কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

যে যুদ্ধে বদলে যাবে বিশ্ব মানচিত্র

চীন-তাইওয়ান যুদ্ধ হবে ভয়াবহ। প্রতীকী ছবি
চীন-তাইওয়ান যুদ্ধ হবে ভয়াবহ। প্রতীকী ছবি

গেল দশক থেকে বিশ্বজুড়ে বাড়তে শুরু করে পরাশক্তিগুলোর মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে একপ্রকার সরাসরি যুদ্ধে নেমেছে পশ্চিমা দেশগুলো।

ইউরোপজুড়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই গত বছর শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ বৈশ্বিক সংঘাতের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে বহুগুণে। এর মধ্যেই দরজায় কড়া নাড়ছে আরেক যুদ্ধ, যা পাল্টে দিতে পারে গোটা দুনিয়ার মানচিত্র।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ান উপদ্বীপ দখলকে কেন্দ্র করে চীন যদি কোনো যুদ্ধ শুরু করে তাহলে তার বৈশ্বিক পরিণতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতোই ব্যাপক আকার ধারণ করবে।

বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত কেভিন রুড। এমনকি এ যুদ্ধের ফলে বিশ্ব পুরোপুরি বদলে ভিন্ন রূপধারণ করতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কেভিন রুড অস্ট্রেলিয়ার দুইবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

কেভিন জানান, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই মাসে ৭১ বছরে পা দিয়েছেন। তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের চূড়ান্ত জাতীয় ঐক্য অর্জন করতে চাইলে তিনি সম্ভবত পরবর্তী দশকে কাজ করবেন। বয়স ৮০ বছর হওয়ার আগেই তিনি সেটা করতে পারেন। এ সময় সাম্প্রতিক মহড়ার ধরনসহ চীনের সামরিক ইঙ্গিত উপেক্ষা করা বোকামি হবে বলে জানান তিনি। বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর চীনের কার্যক্রম নির্ভর করবে।

সাবেক এ অজি প্রধানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রও স্বীকার করেছে যে চীন যদি তাইওয়ান দখলে সফল হয় তাহলে এটি মার্কিন বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর প্রভাব ফেলবে। বিশ্বজুড়ে মার্কিন জোটের ওপর যে নির্ভরতা তার ওপর গভীর ও সম্ভাব্য অপরিবর্তনীয় প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, তাইওয়ান ঘিরে ভবিষ্যৎ সামরিক সংঘাত এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও তাইওয়ানের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। এই যুদ্ধের অর্থনৈতিক খরচ, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রভাব ও অজানা ভূ-কৌশলগত যে পরিণতি হবে তার মাত্রা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দেখা যায়নি। যুদ্ধে যে দেশই জয়ী হোক না কেন তারপর বিশ্ব পুরোপুরি পাল্টে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। এই দ্বীপটিকে নিজেদের দখলে নিতে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের হুমকি দিয়ে রেখেছে বেইজিং।

তবে তাইওয়ানের ওপর চীনের সার্বভৌমত্বের দাবিতে তীব্র আপত্তি রয়েছে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটির। তাইওয়ান সরকারের দাবি, শুধু এই দ্বীপের নাগরিকরাই তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে পারবেন।

তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তারপরও তাদের প্রধান নিরাপত্তা অংশীদার ওয়াশিংটন। দ্বীপ দেশটিতে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে আমেরিকা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামীপন্থি সাংবাদিকদের পুনর্বাসনের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে

২৮ বছর পর মা-বাবাকে ফিরে পেল সন্তান

মানুষের ভোট মানুষকে ফিরিয়ে দিতে চাই : টুকু

মাটি দিয়ে সাদাপাথর আড়ালের চেষ্টা, ৫০ হাজার ঘনফুট উদ্ধার

দুই হাজার ট্রেইনি কনস্টেবল নিয়োগ দিচ্ছে পুলিশ, কোন জেলায় কতজন নেবে

ছিনতাইকারীর হাতে রক্তাক্ত সাংবাদিক, আটকের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ

লন্ডনের রাস্তায় ভারতীয় ছাত্রীর কাণ্ড, ভিডিও ভাইরাল

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পিএমআই বাংলাদেশের আয়োজন

টানা ২ দফায় স্বর্ণের দাম কত বাড়ল?

চাকসু নির্বাচন / ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক, পজিটিভ হলেই প্রার্থিতা বাতিল

১০

এনআইডি সংশোধনের বাতিল হওয়া আবেদন পুনরায় করার সুযোগ

১১

চায়ের দোকানদারদের মেধাবী সন্তানদের সম্মাননা দিল ‘নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড’

১২

গণপিটুনিতে নিহত রূপলালের ছেলে এখন বাবার পেশায়

১৩

বাসর রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নববধূ

১৪

নারীদের মধ্যে বাড়ছে হার্ট ব্লকের ঝুঁকি, নেপথ্য কারণ জানালেন বিশেষজ্ঞ

১৫

বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের কমিটি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

১৬

ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে : উপদেষ্টা আসিফ

১৭

নারীদের সব বিউটি পার্লার বন্ধের নির্দেশ তালেবানের

১৮

ইউজিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে চীনের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

১৯

মতিঝিলে কালবেলার সাংবাদিকের ওপর হামলা

২০
X