জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের কঠোর সমালোচনা করেছে ভারত। জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত পরভথনেনি হরিশ বলেন, পাকিস্তান ‘পদ্ধতিগত গণহত্যা’ চালায় এবং শুধু ভ্রান্তি ও অতিরঞ্জনের মাধ্যমে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। তারা এমন এক দেশ যারা নিজের জনগণের ওপরই বোমা মারে। গতকাল মঙ্গলবার পরভথনেনি হরিশের মন্তব্যটি আসে কাশ্মীরি নারীদের নিয়ে এক পাকিস্তানি কর্মকর্তার বক্তব্যের পরপরই। ওই কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, কাশ্মীরি নারীরা ‘দশকের পর দশক যৌন সহিংসতার শিকার’ হয়ে আসছেন। খবর এনডিটিভির।
হরিশ বলেন, ‘প্রতি বছর, দুর্ভাগ্যবশত আমাদের নিয়তি হলো পাকিস্তানের বিভ্রান্তিমূলক বক্তৃতা শোনা, বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে—যে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রতি তারা লালায়িত। নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা এজেন্ডায় আমাদের পথপ্রদর্শক ভূমিকা নির্ভুল ও অক্ষুণ্ন।’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যারা ১৯৭১ সালে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করেছিল এবং নিজেদের সেনাবাহিনী তার দেশের প্রায় ৪ লাখ নারীর ওপর গণধর্ষণের ‘পদ্ধতিগত অভিযান’ চালিয়েছিল।’
এই কূটনীতিক বলেন, ‘বিশ্ব পাকিস্তানের প্রচারের ভেতর দিয়ে সত্য দেখতে পাচ্ছে।’’
গত সপ্তাহেও ভারত পাকিস্তানকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেছিল। জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের কাউন্সেলর কেএস মোহাম্মদ হুসেন গত মঙ্গলবার জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের ৬০তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে বলেন, ‘আমরা এটিকে ভীষণ বিদ্রুপাত্মক মনে করি যে, বিশ্বের অন্যতম নিকৃষ্ট মানবাধিকার রেকর্ডধারী একটি দেশ অন্যদের নৈতিক শিক্ষা দিতে চায়।’
পাকিস্তানের প্রতি ইঙ্গিত করে হুসেন বলেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে এই সম্মানিত মঞ্চের অপব্যবহার করার চেষ্টা তাদের ভণ্ডামিকেই প্রকাশ করে। ভিত্তিহীন প্রচার চালানোর বদলে, তাদের উচিত নিজেদের সমাজে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষক নির্যাতন এবং পদ্ধতিগত বৈষম্যের মোকাবিলা করা।’
ভারত বারবার পাকিস্তানকে জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ছিল, আছে এবং চিরকালই থাকবে।
মন্তব্য করুন