কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরোনো ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরোনো ছবি

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ (মঙ্গলবার)। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকালে বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেপ্তার হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওই সময় শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জমা দেয়। বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারেআবার ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।

সেদিন ভোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দুই সহস্রাধিক সদস্য সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন ঘেরাও করে। সে সময় শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শেখ হাসিনাকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বন্দি অবস্থায় তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জামিন আবেদন আইনবহির্ভূতভাবে নামঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে বাংলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অবরুদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালায় তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শেখ হাসিনা আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের অগ্নিঝরা বক্তব্যের মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের হীন-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।

গ্রেপ্তারের পূর্বমুহূর্তে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে একটি চিঠির মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগসহ অন্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী দেশবাসীর ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুকন্যার আপসহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং দেশবাসীর অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিতার মতো আপসহীন মনোভাব নিয়েই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শেখ হাসিনার যাত্রা শুরু হয়।

জনগণের মুক্তি আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক জেল-জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন। অসংখ্যবার মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে। জনগণের ভালোবাসায় সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে অকুতোভয় নির্ভীক সেনানীর মতো নিরবচ্ছিন্নভাবে পথ চলেছেন তিনি। সব বাধা-বিপত্তি জয় করে আজ শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বদরবারেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল জনগণের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুবসমাজের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ

তরুণ গোলরক্ষককে হত্যা, জানা গেল কারণ

১০ টাকায় ইলিশের পর এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা

ফেসবুক আইডি বা পেজ হঠাৎ বন্ধ হওয়ার সাধারণ কিছু কারণ

ট্রাম্পের জন্য আধুনিক বলরুম তৈরি হচ্ছে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

বর্ষার ঘটনা অনেকটা মিন্নির কাছাকাছি : ডিএমপি

তুমি না মরলে আমি মাহীরের হতে পারব না, জোবায়েদকে বর্ষা

সালমান শাহর মৃত্যুকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

১০

ঢাকায় খেলবে আফগানিস্তান, তবে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ নয়

১১

জোবায়েদ হত্যায় বর্ষাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা 

১২

ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত : বেবিচক চেয়ারম্যান

১৩

নির্বাচনে এআইর অপব্যবহার রোধে সেন্ট্রাল সেল করা হবে : সিইসি

১৪

রিজওয়ানের অধিনায়কত্ব হারানোর আসল কারণ ফাঁস!

১৫

দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ পিঠ ও কোমরের বিপদ ডেকে আনছে

১৬

কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক, যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে

১৭

বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আনলে দিতে হবে না শুল্ক

১৮

শুভেচ্ছা বার্তায় পরিণীতিকে যা বললেন প্রিয়াঙ্কা

১৯

এক মাস আগেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বর্ষা

২০
X