বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
মহাখালীতে নেই সেই চিরচেনা যানজট, ‘বাস বে’ ছাড়া দাঁড়ালেই মামলা
মহাখালী বাস টার্মিনালে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বাস, অবৈধ পার্কিং, টার্মিনালের ইনগেট ও আউটগেটে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, টার্মিনালের সামনে অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন সব মিলিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল পার হওয়া ছিল নগরবাসীর কাছে এক ভোগান্তির নাম। কিন্তু ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের শক্ত অবস্থানে সেই চিরচেনা যানজটের এখন রূপ পাল্টেছে। সড়কে ফিরেছে শৃঙ্খলা, স্বস্তিতে যাতায়াত করছেন নগরবাসী।  এ বিষয়ে ট্রাফিক-গুলশান দক্ষিণের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এ.এস.এম হাফিজুর রহমান জানান, মহাখালীকেন্দ্রিক যানজট নিরসনে গত ৬ মে মহাখালী বাস টার্মিনালের পরিবহন ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে ট্রাফিক-গুলশান বিভাগ একটি বৈঠক করে। সেখানে টার্মিনালে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বাস, রাস্তার পাশে অবৈধ পার্কিং, টার্মিনালের ইনগেট ও আউটগেটে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, টার্মিনালের সামনে অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন, সীমিত এলাকায় অতিরিক্ত তেল ও গ্যাসের পাম্প, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে মহাখালীতে নামার র‌্যাম্প স্থাপন, এলাকাগত সীমা নির্ধারণ ও সমন্বয়ের অভাবসহ বেশকিছু সমস্যা চিহ্নিত করা হয় এবং এসব সমস্যা সমাধানে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এখন যেখানে সেখানে বাস দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ হয়ে গেছে। যান চলাচল শৃঙ্খলার স্বার্থে মহাখালীর সামনের সড়ক পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাসগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে গুলশান-ট্রাফিক বিভাগের ডিসির নির্দেশে মহাখালীতে নতুন করে ইনকামিং সড়কে একটি ‘বাস বে’ চালু করা হয়েছে। ‘বাস বে’ ছাড়া দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না কোনো যাত্রীবাহী বাসকে। বিশৃঙ্খলা করলেই বাস থামিয়ে সাবধান করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নিয়ম না মানলে দেওয়া হচ্ছে মামলা। সঙ্গত কারণেই এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। এই এলাকার মূল সড়কে কমেছে যানজট, উধাও হয়েছে যত্রতত্র পার্কিং। শৃঙ্খলা ফিরতে শুরু করেছে মহাখালী বাস টার্মিনাল, মহাখালী রেলগেট, আমতলী ও কাকলী এলাকা পর্যন্ত। ফলে দৃশ্যত ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যান চলাচলে গতি বেড়েছে। এটি বহাল ও চলমান রাখা সম্ভব যদি পরিবহন মালিক শ্রমিক ও যাত্রীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকে। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টার কমতি নেই। মহাখালী বাস টার্মিনালের ধারণক্ষমতা আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক ) মো. মুনিবুর রহমান। তিনি জানান, মহাখালী বাস টার্মিনালের পেছনে অনেকখানি জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় আছে। সেটি যদি মহাখালী টার্মিনালের সঙ্গে একীভূত করা যায় তাহলে অনেকখানি সমাধান হয়ে যাবে। এটা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক পক্ষ এবং সিটি করপোরেশনের মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছে। আশা করছি, সহসা এর সমাধান হবে। আর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার একটা র‌্যাম্প মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে চালু করা হয়েছে। ওঠার জন্য আরেকটি র‌্যাম্প চালু হলে সড়কের চাপটা আর থাকবে না। 
৮ ঘণ্টা আগে

উপজেলা আ.লীগ সভাপতিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা
বরগুনার তালতলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন, তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু, পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু। বুধবার (৮ মে) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।  আদালতের বিচারক মো. মশিউর রহমান খাঁন মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্তপূর্বক সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে মামলার বাদীর মেয়ের মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান বাচ্চু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু পরে চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে না করে টালবাহানা করতে থাকে। পরে ভুক্তভোগী বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে করবে বলে স্ট্যাম্পে লিখিত দেয় এবং বিভিন্ন স্থানে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতে শুরু করে। এ সময় গোপনে মোবাইলে ছবি ধারণ করে চেয়ারম্যান। ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মামলার ২নং আসামি পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারও দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। চেয়ারম্যান রাজ্জাক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং তিনিও মোবাইলে ছবি ধারণ করে রাখেন।  পরে তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারও ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেইল করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বাধ্য করে। তার কথা না শুনলে তাকে জীবননাশের হুমকি দেন। নিরুপায় হয়ে ধর্ষিতা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে বাধ্য হয়। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ধর্ষণের শিকার নারী তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করবে বলে হুমকি দেয়। এমন খবর পেয়ে তিন চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিলে ওই ধর্ষিতার বিরুদ্ধে উল্টো পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দেয়। ওই মামলায় ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে ওই মামলায় ধর্ষিতা জেলহাজতে রয়েছে।  এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বুধবার বরগুনা নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু ও পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।  আদালতের বিচারক মো. মশিউর রহমান খাঁন মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার ও অন্য দুই চেয়ারম্যানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি আইনগতভাবে মোকাবিলা করব।  মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আনিচুর রহমান মিলন বলেন, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে

দেশে বিচারাধীন মামলা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার
সারা দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ২৩৫টি। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪টি দেওয়ানি এবং ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৪টি ফৌজদারি মামলা। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় এমপি এ কে আবদুল মোমেনের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান। গতকাল স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। সরকারদলীয় এমপি মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের ১০ জুন থেকে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৮টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। সরকারদলীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানানÑ ৪০, ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসের মাধ্যমে নন-ক্যাডার (৯ম-১২তম গ্রেড) পদে সাত হাজার ৪৪৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪

মুন্সীগঞ্জে ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার আব্দুল বারেক। আব্দুল বারেক সিরাজদিখান উপজেলার বড়বর্তা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই-পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীদের জখমের বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জামাল হোসাইন জানান, গত ১৮ এপ্রিল জেলার সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২৪ এপ্রিল ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল বারেক বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতে। এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি আদালতে একটি পিটিশন মামলা হয়েছে। তবে ওই ঘটনার সময় আমি  ট্রেনিংয়ে ছিলাম।
০৬ মে, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি মোক্তারকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার (৪ মে) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে শুক্রবার (৩ মে) রাতে খাগড়াছাড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৭ এর আভিযানিক দল। গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মো. মোক্তার (২৫) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ছোনার গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার ভিকটিম ও তার স্বামী উভয়ই পেশায় শ্রমিক। ভিকটিমের স্বামী ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ভাড়া বাসায় তার স্ত্রীকে রেখে কাজে চলে যান। বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ভিকটিমকে একা পেয়ে সন্ধ্যায় আসামি মোক্তার (২৫) ও তার সহযোগীরা মিলে ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে এবং পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে আসামিরা ভিকটিমকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।  র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া জানান, গত ১৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামি মোক্তার (২৫), ও খোকা (৩০) কে রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। উভয় আসামি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি বলেন, আদালতের রায় ঘোষণার পর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খোকাকে র‌্যাব-১১ এর আভিযানিক দল গ্রেপ্তার করলেও প্রধান আসামি মোক্তার পলাতক ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৭ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
০৫ মে, ২০২৪

‘রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা প‌রিচালনার তহ‌বি‌ল অপর্যাপ্ত’
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা প‌রিচালনার তহ‌বি‌ল অপর্যাপ্ত বলে জানিয়েছেন গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল এইচ ই দাউদা এ জাল্লো।  গাম্বিয়ার স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ মে) বানজুলে দেশ‌টির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন। রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।  বানজুলে ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক-প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভার সাইডলাইনে হওয়া বৈঠকে গাম্বিয়ার বিচারবিষয়ক মন্ত্রী মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা পরিচালনার জন্য অর্থ সাহায্য প্রদান করার জন্য তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সৌজন্য সাক্ষাতকালে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর রক্ষণাবেক্ষণে বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যত প্রতিবন্ধকতাসমূহও তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজভূম মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রতিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন। এর প্রেক্ষিতে গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বর্তমান অবস্থা সরোজমিনে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।  এ সময় গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন। এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে একই সঙ্গে তিনি এ মামলা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত ফান্ডের বিষয়টিও তুলে ধরেন। ওআইসিতে গাম্বিয়ার সভাপতিত্ব থাকাকালীন সদস্য রাষ্ট্রসমূহের নিকট হতে আরও সহযোগিতা প্রাপ্তির বিষয়ে গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর প্রেক্ষিতে ড. হাছান মাহ্‌মুদ এ মামলা পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় আইনি সাহায্য ও সাক্ষ্য প্রমাণ প্রদানের আশ্বাস দেন।  উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে আন্তর্জা‌তিক বিচা‌র আদালতে (আই‌সি‌জে) গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। 
০৩ মে, ২০২৪

ইউটিউব চ্যানেল, পোর্টালসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দৈনিক যুগান্তরের চট্টগ্রাম স্টাফ রিপোর্টার এম এ কাউসারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ৩টি অনলাইন পোর্টালের ৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সাংবাদিক কাউসার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্টো শাখাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, দেশইনফো২৪.কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক অতুল দাস, সহসম্পাদক সাইদুল আরেফিন, বার্তা সম্পাদক সাঈফ আজমল, প্রতিবেদক ফাইজুল আলম সিরাজ, অপরাজিত বাংলা২৪.কম এর সম্পাদক ও প্রকাশক সাইদুল ইসলাম সবুজ, সহসম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন ও বার্তা সম্পাদক তাজুল ইসলাম। মামলায় ‘হিউমিনিটি’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল ও বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর নামক একটি অনলাইন পোর্টালকে আসামি করা হয়েছে। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে কয়েকটি অনিবন্ধিত পোর্টালে সাংবাদিক এমএ কাউসার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৬, ২৯, ৩৩ ও ৩৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা সূত্র জানায়, গত ৩১ মার্চ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘চসিক নারী কাউন্সিলরের দাপট : ব্যক্তির প্লট মসজিদের নামে দখলের পাঁয়তারা’ এবং ২ এপ্রিল ‘ওসি-ডিসিকে নিয়ে কথিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার গালাগাল’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের জেরে রিপোর্টার এমএ কাউসারের ওপর ক্ষুব্ধ হয় চসিক নারী কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম এবং তার ছোট ভাই রাশেদ হায়দার সোহেল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ মার্চ ‘হিউমিনিটি’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সংশ্লিষ্টরা। সেই চ্যানেলে সাংবাদিক কাউসারের ছবি ব্যবহার করে একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়। অডিওটি রাশেদ হায়দার সোহেল এবং মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তির কথোপকথন হলেও প্রচারিত রেকর্ডে সাংবাদিক কাউসারের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া কাউসারের ফেসবুকে ব্যবহৃত প্রোফাইল পিকচার এবং স্ত্রী-সন্তানের ছবি সংগ্রহ করে অপরাজিত বাংলা২৪.কম, দেশ ইনফো ২৪.কম ও বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর.কম নামক পোর্টালে মানহানিকর মিথ্যা, বানোয়াট, আপত্তিকর ও মনগড়া তথ্য প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়।
০২ মে, ২০২৪

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের টর্চার সেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে।  মানবপাচার আইনে তার বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি হয়েছে। তৃতীয় মামলার বাদী হলেন রাজধানীর জিগাতলার বাসিন্দা এম রাকিব (৩৫)। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুন্সী ছাব্বির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মিলটন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে। জাল মৃত্যু সনদ তৈরির করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি হয়। এরপর তার আশ্রমের টর্চারসেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়েছে। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে আরও একটি মামলা হয়েছে। মানবপাচার আইনের মামলার বাদী হয়েছেন রাজধানীর জিগাতলার বাসিন্দা এম রাকিব। মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে জাল সনদ জালিয়াতির মামলা করেছে। লাশ দাফনের জন্য জালিয়াতি করে কাগজ তৈরির অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে ডিবি পুলিশ। এ সময়ে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, আমরা তাকে রিমান্ডে এনে অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করবো। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। মিল্টনকে রিমান্ড দেওয়ার সময় তার স্ত্রীকেও মুখোমুখি করা হবে। যদিও এ ঘটনায় তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এর আগে আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে মিল্টনের বিস্তারিত ফিরিস্তি তুলে ধরেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ। সংবাদ সম্মেলনে মানবপাচার, কিডনি কেটে বিক্রি, মরদেহ দাফন গড়মিল, মৃত্যু সনদে জালিয়াতির মতো ভয়াবহ অভিযোগের বিষয় তুলে ধরেন ডিবিপ্রধান। তিনি বলেন, মৃত্যুর জাল সনদ তৈরিসহ তার বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ রয়েছে। সব বিষয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে পেটালে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। সেখান থেকেই মূলত তার উত্থান হয়। পরে শাহবাগে এসে একটা ফার্মেসিতে চাকরি করে। সেখান থেকে ওষুধ চুরি করার কারণে বের করে দেয়। পরে মিটু হালদার নামে এক নার্সকে সে বিয়ে করে। বিয়ে করার পর তার স্বপ্ন এলো সে একটা ওল্ড অ্যান্ড কেয়ার স্থাপন করবে। তারপর সে তার স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুরে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করে। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। উঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০২ মে, ২০২৪

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ২ মামলা
আশ্রমের মৃত ব্যক্তিদের জাল মৃত্যু সনদ দেওয়ার অভিযোগে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়েল করা হয়েছে। এ ঘটনায় মিল্টন সমাদ্দারকে আজ আদালতে তোলা হবে। বৃহস্পতিবার (০২ মে) মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাব্বির মামলার বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। মো. সাব্বির বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২ টি মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়াও আরও একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর আগে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বলেন, মিল্টন সমাদ্দার তার আশ্রমে মৃত ব্যক্তিদের মৃত্যু সনদ জাল করে তৈরি করতেন। এক্ষেত্রে তিনি চিকিৎসকের স্বাক্ষর ও সিল জাল করতেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। এছাড়া মানবপাচার ও অবৈধভাবে আটক রাখার অভিযোগে আরও মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে ডিবি সূত্র জানিয়েছে, মিল্টনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা তদন্ত করবে ডিবি পুলিশ। রিমান্ডে আনলে আরও তথ্য জানা যাবে। যে কারণে তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করা হবে। এর আগে আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে মিল্টনের বিস্তারিত ফিরিস্তি তুলে ধরেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ। সংবাদ সম্মেলনে মানবপাচার, কিডনি কেটে বিক্রি, মরদেহ দাফন গড়মিল, মৃত্যু সনদে জালিয়াতির মতো ভয়াবহ অভিযোগের বিষয় তুলে ধরেন ডিবিপ্রধান। তিনি বলেন, মৃত্যুর জাল সনদ তৈরিসহ তার বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ রয়েছে। সব বিষয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে পেটালে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। সেখান থেকেই মূলত তার উত্থান হয়। পরে শাহবাগে এসে একটা ফার্মেসিতে চাকরি করে। সেখান থেকে ওষুধ চুরি করার কারণে বের করে দেয়। পরে মিটু হালদার নামে এক নার্সকে সে বিয়ে করে। বিয়ে করার পর তার স্বপ্ন এলো সে একটা ওল্ড অ্যান্ড কেয়ার স্থাপন করবে। তারপর সে তার স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুরে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করে। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। উঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০২ মে, ২০২৪

দুই খাদ্য কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নওগাঁর মহাদেবপুরে খাদ্যগুদামের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ভালো মানের চাল বের করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের চাল গুদামে প্রবেশ করার অপরাধে এ মামলাটি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সমন্বিত নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহমুদুর রহমান।  মামলার আসামিরা হলেন- খাদ্যগুদামের খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম (৪৬), উপখাদ্য পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম (৪৯) এবং খাদ্যগুদামের শ্রমিক সর্দার আজমের আলী (৫২)। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হাসান গত দুই বছর ধরে মহাদেবপুর উপজেলায় কর্মরত। গত ১৭ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার ইউএনও কামরুল হাসান সোহাগ এলএসডির ১নং গুদামের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি ট্রাক দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তিনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হাসানকে খবর দেন। পরে সেখানে উপখাদ্য পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম এবং আজমের আলীকে দেখতে পান। সেখানে ট্রাক থেকে অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের ৩০০ বস্তা চাল ১নং গুদামের ১০৯/১০১১৫৫৬নং ধামালে খামালজাত করা হয়েছে। আর বাকি ১২০ বস্তা চাল গুদামজাত করার অপেক্ষায় ট্রাকে আছে। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইউএনওর নির্দেশক্রমে মোট ৪২০ বস্তা (প্রতিটি বস্তা ৩০ কেজি) চালসহ ট্রাক থানায় পাঠায়। সেইসঙ্গে ১নং গুদামটি সিলগালা করা হয়। মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমদ বলেন, আতিকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম ও আজমের আলীসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন মিলে পরস্পর যোগসাজশে অধিক মুনাফা লাভের আশায় ভালো মানের চাল গুদামের মধ্য থেকে বের করে অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের চাল গুদামের মধ্যে ঠুকানোর চেষ্টা করছিল। অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪
X