কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিচারপতি থেকে কাঠগড়ায়, যেসব অভিযোগ মানিকের বিরুদ্ধে

সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদালতে তোলার সময় ডিম ও জুতা নিক্ষেপ। ছবি : সংগৃহীত
সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদালতে তোলার সময় ডিম ও জুতা নিক্ষেপ। ছবি : সংগৃহীত

পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাগারে রয়েছেন সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। নিজের বিতর্তিক কর্মকাণ্ডের জন্যই ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে তাকে। একজন বিচারক থেকে কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর নজির অবাক করছে অনেককে। টিভি উপস্থাপিকাকে অপদস্ত কারার ঘটনায় সবাই তাকে চিনতে শুরু করে। কিন্তু এই সাবেক বিচারপতির অপকর্মের শেষ নেই। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে সমালোচিত হয়েছেন বারবার।

বিচারপতির আসনে বসে যখন যাকে খুশি আদালতে ডেকে অপমান-অপদস্থ করা, বিজনেস ক্লাসে বসতে না পেরে বিমানের ভেতর তুলকালাম, রাস্তায় সালাম না দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশকে আদালতে তলব, ২১ জন সিনিয়রকে ডিঙিয়ে পদোন্নতি, সরকারি বাড়িতে থেকে ভাড়া না দেওয়া, লন্ডনে বাড়ি কিনে আয়ের উৎস দেখাতে না পারার মতো ঘটনা জড়িয়ে আছে তাকে ঘিরে। এখানেই শেষ নয়, দখলবাজিতেও পিছিয়ে ছিলেন না সাবেক এই বিচারপতি। রাজধানীর বারিধারায় দুস্থ সাংবাদিকদের নামে ওয়াকফ করা প্রায় ৯০০ কোটি টাকার ৫ একর জমি দখল করেছেন তিনি। এরপর ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে গড়েছেন ৭টি আটতলা ভবন।

রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর প্রতিবেশী দেশে পালাতে গিয়ে গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে আরেকবার আলোচনায় এসেছেন সাবেক বিচারপতি মানিক। জানা যায়, ২০০৩ সালে গাড়িতে চড়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় সালাম না দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সে সময় বাংলাদেশ পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক বলেছিলেন, ‘যে ট্রাফিক পুলিশ কাউকে অভিবাদন জানাতে বাধ্য নয়।’ পরে ওই আইজিপি তার নিজের পদ হারান।

২০১২ সালের শেষ দিকে বিচারপতি থাকা অবস্থায় বিমানের বিজনেস ক্লাসে সিট না পাওয়ায় লঙ্কাকাণ্ড বাধিয়েছিলেন বিচারপতি মানিক। সেই ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করেছিলেন তিনি। পরে চারজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হাইকোর্টে গিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রেহাই পান।

২০১২ সালে শামসুদ্দিন মানিক লন্ডনে ৩টি বাড়ি কেনেন। কিন্তু তার আয়ের উৎস দেখাতে পারেননি। এ ছাড়া লন্ডনে শামসুদ্দিন মানিক ও তার পরিবারের নামে আরও সম্পত্তি আছে বলেও জানা গেছে।

তিনি ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তাকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত করা হয়। পরে তাকে হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পদোন্নতি পান মানিক। এ সময় জ্যেষ্ঠ ২১ জন বিচারককে ডিঙিয়ে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ববি উপাচার্য দপ্তরে ‘মুলা’ ঝুলিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ

ধেয়ে আসছে তীব্র শীত, দফায় দফায় শৈত্যপ্রবাহ

‘বাকসু’ নিজেদের রাখতে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি

নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে ২ রাজনৈতিক দল

বেওয়ারিশ কুকুরের প্রতি সামিনের ‘অদ্ভুত’ ভালোবাসা

ডিসেম্বরেই তিনশ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে এনসিপি : সারজিস

দেশে এল তারেক রহমানের বুলেটপ্রুফ গাড়ি

বাসচাপায় প্রাণ গেল দুজনের, সাংবাদিকসহ আহত ৩

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ‘কারিগরি ক্রটি’, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রায় দেরি হতে পারে

আপন দুই ভাই পেলেন বিএনপির মনোনয়ন 

১০

বিপিএলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি চান লিটন

১১

গাজায় বিতর্কিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাকে হত্যা করল ফিলিস্তিনিরা

১২

বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে দুঃসংবাদ দিল যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়

১৩

রেকর্ড ভেঙেও আকরামকে শীর্ষে রাখলেন স্টার্ক

১৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশে রদবদল, সিএমপি পেল ২২ জন

১৫

ব্রিটিশ সংসদে খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ

১৬

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন

১৭

চায়ের দোকানে কৃষককে গুলি করে হত্যা

১৮

তারেক রহমান এসএসএফের নিরাপত্তা পাবেন কিনা, জানালেন রিজওয়ানা 

১৯

খালেদা জিয়ার আপসহীন অবস্থান জাতির জন্য চিরকাল স্মরণীয় : মাসুদ সাঈদী

২০
X