বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কেবল সাংবাদিক হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে হাবীব ছিলেন অনন্য, যাকে না ভালোবেসে পারা যায় না। কেবল তাই নয়, পেশাগত জায়গায় তিনি ছিলেন নির্মোহ। সত্য প্রকাশে অদম্য ও অবিচল।
শনিবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রয়াত সাংবাদিক দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার হাবিবুর রহমান খানের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। গত ২২ আগস্ট ৪২ বছর বয়সে মারা যান সাংবাদিক হাবীবুর রহমান খান।
বিএনপি মহাসচিব অত্যন্ত ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলেন, হাবিবের স্মরণসভায় এসে কথা বলতে হবে-এটি কখনও ভাবিনি। অল্প সময়েই তার বন্ধুসুলভ ব্যবহার আমাকে বিমোহিত করেছে। সে একসময় ছাত্রদলের রাজনীতি করলেও সাংবাদিকতার সঙ্গে রাজনীতিকে মেলাতেন না। পেশাগত চেতনায় আত্মবিশ্বাসী থেকে সত্য প্রকাশে দ্বিধা করতেন না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সাংবাদিকতা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের একটি পেশা। সেই জায়গায় তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লড়াই করে গেছেন।
তিনি বলেন, এতো অল্প বয়সে তার চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া কষ্টের। দেশের আজকের প্রেক্ষাপটে তার মতো একজন স্পষ্টবাদী সাংবাদিকের খুব প্রয়োজন ছিল।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি তার জানাজায় যেতে পারিনি, বাসায় গিয়ে পরিবারের খোঁজ নিতে পারিনি। তবে আমার বিশ্বাস, অনেক কষ্টের মধ্যেও তার পরিবার উঠে দাঁড়াবে। আমরাও সব সময় তার পরিবারের পাশে আছি। যে সহায়তা প্রয়োজন, তা দিতে প্রস্তুত আছি। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, পরপারে আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রয়াত হাবীবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, হাবীব আমাদের আগে চলে যাওয়ার কথা নয়। সে বয়সে আমার ছোট হলেও কর্মে ছিলেন অনেক বড়। মৃত্যুর দুদিন আগেও একটি বিষয় নিয়ে দীর্ঘ কথা হলো। তখন বুঝিনি হাবীবের সাথে সেটাই হবে আমার শেষ কথা। রাজনীতিবিদদের সাথে সাংবাদিকদের ভালো সম্পর্কে থাকে। এ সম্পর্ক বজায় রাখতে হাবীবের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। ১/১১-এর দুঃসময়ে তার নির্ভীক দায়িত্ব অন্য সাংবাদিকদেরও অনুপ্রাণিত করেছে।
দৈনিক নয়া দিগন্তের বিশেষ প্রতিনিধি মঈন খানের পরিচালনায় স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন আহমেদ অসীম, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, তাবিথ আউয়াল, রফিক সিকদার, সাংবাদিক নেতা এম আব্দুল্লাহ, খুরশিদ আলম, মুরসালিন নোমানী, ইলিয়াস হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, রফিকুল ইসলাম আজাদ, রাশেদুল হক, বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
এ সময় হাবীবের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন চৌধুরী, মনিরুল ইসলাম, হাসান শিপলু, আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর, গাইছুল আজম বিপু, মাহমুদুল হাসান, রুমানা জামান, শাসমুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন