

গণমাধ্যমের ওপর হামলা ও দেশজুড়ে চলমান নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। একইসাথে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান তিনি।
রোববার সকালে আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয় পরিদর্শন শেষে এই কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের ওপর এমন ভয়ংকর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি শুধু সাংবাদিকদের ওপর আঘাত নয় বরং পুরো জাতির জন্য এটি এক অশনি সংকেত।
তিনি বলেন, সারা দেশে যখন ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে শোক ও ক্ষোভে উত্তাল ঠিক তখনই জনগণের ঐক্য ভাঙতে পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমে হামলা চালানো হচ্ছে। পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এবং তাদের দেশি-বিদেশি সহযোগীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। ওসমান হাদির শাহাদাতের প্রকৃত মূল্য দিতে হলে গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষের ক্ষোভটাকে একটা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই গণমাধ্যমে হামলা করছে। আমরা দেখলাম যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিসে হামলা করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণের মধ্যে যে একটা বৃহত্তর ঐক্য তৈরি হয়েছে, সেই ঐক্যটা ভেঙে দিয়ে, এখানে শেখ হাসিনা যে ধরনের বিভাজনের রাজনীতি করেছিল যেটাকে আমরা হাসিনাগিরি বলি, সেই হাসিনাগিরি আবার নতুন করে ফিরে আসার যেন ব্যবস্থা হচ্ছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জিএসএর রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, দীপক কুমার রায়, মুন্নী মৃ, রেকসোনা পারভীন সুমি, গোলাম মোস্তফা, সাইফুল্লাহ সিদ্দিক রুমন, মোস্তাফিজুর রহমান রাজীব, আবু রায়হান খান, কেন্দ্রীয় পরামর্শক পরিষদের সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) মো. খালেদ হোসাইনসহ জিএসএর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন