

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ দল-মতনির্বিশেষে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্ভভৌমত্ব রক্ষা করেছেন। এ জন্য তাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা দেখেছি আমাদের তরুণরা ২৪-এর আগস্টে এ দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে কীভাবে আন্দোলন করেছে আমরা দেখেছি। ৭১-এ যারা শহীদ হয়েছেন, ২৪-এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে তাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব আমরা, যা একজন মা দেখেন। অর্থাৎ একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন মানুষ নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারে ও ঘরে ফিরে আসতে পারে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রথমেই রাব্বুল আলামিনের প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। জনগণের দোয়ায় প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল। আমরা সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যা একজন মা দেখেন। অর্থাৎ একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন মানুষ নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারে ও ঘরে ফিরে আসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘দেশ পুনর্গঠনে আমার একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। এ দেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সেই প্ল্যান আমি বাস্তবায়ন করব।’
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দীর্ঘ সময় পর প্রিয় মাতৃভূমিতে পা রেখে তিনি আবেগপ্লুত হয়ে পড়েন। বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই তিনি মাটির ওপর বসে পড়েন এবং দু-হাত দিয়ে মাতৃভূমির মাটি ছুঁয়ে দেখেন। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর তিনি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও উপস্থিত শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলিঙ্গন ও কুশল বিনিময় করেন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন তাঁর শাশুড়ি, স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা।
মন্তব্য করুন