সাহস থাকলে তারেক রহমানকে দেশে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সাহস থাকলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছে। সেখানে বসে নির্দেশ দিয়ে বাসে ও অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন দিচ্ছে। পুলিশের ওপর হামলা করছে। রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেলে নরসিংদীর মোসলেহ উদ্দিন স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি অবরোধের নাম করে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে মানুষকে আহত করছে। পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলা করছে। তাদের এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ করে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দিয়েছে। কেউ কি হাসপাতালে আক্রমণ করে? তারেক জিয়ার চামচারা এসব হামলা করছে। বাসে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যদি বাসে আগুন দিতে যায়, তাকে ধরে সেই আগুনে ফেলে দেবেন। সে বুঝুক আগুনের কত জ্বালা। রোববার দীর্ঘ ১৯ বছর পর নরসিংদীতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। 
১২ নভেম্বর, ২০২৩

তারেক রহমান নাকে খত দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে : এমপি খোকা
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ছিলেন না। তাই আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে যান। আল্লাহ চেয়েছিলেন, বাংলাদেশের অসহায় জনগণের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই তাকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি দেশে ফিরে আসার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তার প্রাণনাশের জন্য ২১ বার চেষ্টা চালিয়েছে।  তিনি বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে ২১ জনকে হত্যা করেছে। আর সেই প্রচেষ্টার নেপথ্য নায়ক ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান। সেই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে সে এখন লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আর সেখান থেকেই দেশে অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ষড়যন্ত্র করছে।  শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলায় ১৫০ কোটি টাকার ৩১০ টি উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব উন্নয়ন তুলে ধরার প্রাক্কালে এমপি খোকা এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, তারেক রহমান ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার প্রধান আসামি, তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। তিনি রাজনীতি করবেন না এই শর্তে নাকে খত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছেন। যার অসুস্থ মায়ের প্রতি ভালোবাসা নেই সে কীভাবে বাংলাদেশের জনগণকে ভালোবাসবে।  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজওয়ান উল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি, সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম সুমন, জেলা পরিষদের সদস্য আবু নাইম ইকবাল, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, আরিফ মাসুদ বাবু, জাহিদ হাসান জিন্নাহ, সামসুল আলম, মো. মাহবুবুর রহমান বাবুল, আল আমীন সরকার ও মো. হুমায়ুন কবির ভূইয়া প্রমুখ।
১২ নভেম্বর, ২০২৩

দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য ও মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেক রহমান বলেছেন, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মোটা ঢেউটিনের পরিবর্তে চিকন টিন দিয়ে প্রথম দুর্নীতি শুরু করেন। তারা আর কখনোই ক্ষমতায় যেতে পারবেন না। কারণ, বাংলাদেশের জনগণ আজ বুঝে গেছে বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতির চিত্র। তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। রংপুরের মিঠাপুকুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ উপলক্ষে গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার অডিটোরিয়াম হলরুমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান সরকারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। অনুষ্ঠান শেষে ৮৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত নারী-পুরুষের মাঝে এক বান্ডিল করে ঢেউটিন ও ৩ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩

‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় এবং কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।  তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের জেল-জরিমানা দিয়ে শেষ রক্ষা হবে না। সামনে যে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে তাতে যদি আপনারা রাস্তায় নামতে পারেন তাহলে শেখ হাসিনার পতন হবেই হবে। কেউ তাকে রক্ষা করতে পারবে না। বারবার আমরা মরতে চাই না। এবার রাজপথে নেমে যুদ্ধ করে আমরা জয়ী হতে চাই। আপনারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক। আমাদের বিজয় আসবেই আসবে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে পাবনা জেলা বিএনপি আয়োজিত অনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পাবনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মাসুদ খন্দকারের পরিচালনায় ভার্চুয়াল বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ফ্যাসিবাদী হাসিনার দুঃশাসনের অবসানের লক্ষ্যেই আজকের এই অনশন। সামনে যে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে তাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বে। শেখ হাসিনা আরেকটি ফ্যাসিবাদী নির্বাচন আয়োজনের পাঁয়তারা করছেন। কিন্তু জাতীয়তাবাদী শক্তি বেঁচে থাকতে এবার তা হতে দেওয়া হবে না। ২০১৪ সাল আর ২০১৮ সালের নির্বাচন এবার হতে দেওয়া হবে না। বক্তারা আরও বলেন, একতরফা নির্বাচন আয়োজনের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনা আদালতের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের কারাদণ্ড দিচ্ছেন। জেল-জরিমানা আমরা ভয় করি না। এবারের আন্দোলনে সর্বশক্তি নিয়ে আমরা মাঠে থাকব। ইনশাআল্লাহ শেখ হাসিনার দুঃশাসন মুক্ত করেই তবে ঘরে ফিরব। অনশনে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য একেএম সেলিম রেজা হাবিব, কেএম আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক বাবু, আবু ওয়ায়দা শেখ তুহিন, নুর মোহাম্মদ মাসুব বগা, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাবির হাসান বাচ্চু সাবেক সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপন, যুবদলের সাবেক সভাপতি মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু, ড্যাব পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আহমেদ মোস্তফা নোমান, যুবদলের আহ্বায়ক হিমেল রানা, সদস্য সচিব মনির আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কমল শেখ টিটু, মহিলা দলের সভানেত্রী পুর্নিমা ইসলাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক হাসান প্রমুখ। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর বিএনপির সাবেক বর্তমান সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য রাখেন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৩

রাজনৈতিক আশ্রয়ে তারেক রহমান লন্ডনে - পররাষ্ট্র সচিব
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, তারেকসহ সেদেশে পলাতক আসামিদের ফেরাতে বন্দি বিনিময় চুক্তির বিষয়ে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলমান। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পঞ্চম কৌশলগত সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, তারা এদেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, সহিংসতামুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। সংলাপের পর ব্রিটিশ প্রতিনিধি ফিলিপ বার্টন সাংবাদিকদের বলেন, সংলাপ খুবই গঠনমূলক হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশ ঢাকা-লন্ডন অংশীদারত্বের সম্পর্ক আরও জোরদারে একমত হয়েছে বলেও জানান তিনি। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঢাকা-লন্ডন পঞ্চম কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন। এ সময় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ব্রিটিশ হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মাসুদ বিন মোমেন ও ফিলিপ বার্টন। উল্লেখ্য, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত চারটিতে তার সাজা হয়েছে। এর মধ্যে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ২০১৩ সালে বিচারিক আদালতের রায়ে তিনি খালাস পেলেও পরে উচ্চ আদালত তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারও সাজা হয়। তারেককে দেওয়া হয় ১০ বছরের কারাদণ্ড। একই বছরের অক্টোবরে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কয়েকটি ধারায় তারেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিস্ফোরক আইনের আরেকটি ধারায় তার ২০ বছর কারাদণ্ডাদেশ হয়। সবশেষ গত ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই মামলায় তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সরকার অনেক দিন ধরেই তাকে দেশে ফিরিয়ে সাজা কার্যকরের চেষ্টা করছে। তবে দেশটিতে তিনি যে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন, সে ব্যাপারে মুখ খোলেনি কোনো পক্ষই। পররাষ্ট্র সচিব জানান, সংলাপে যুক্তরাজ্যে ভিসার বাইরে থাকা বা অনিয়মিত হয়ে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার উপায় খুঁজতে দুই দেশ শিগগির স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে। এজন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপও গঠন করা হবে। দেশটিতে আরও বেশি শিক্ষার্থী ও শ্রমিক যাতে যেতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। নির্বাচন নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য আমাদের পুরোনো বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগী। তাই আমাদের নির্বাচনে তাদের আগ্রহ রয়েছে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি। আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়, এজন্য প্রয়োজনে সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে তাদের প্রস্তাব দিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক’ শব্দের অনেক অর্থ হতে পারে। সব মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ এক ধরনের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। তবে কোন দল কী ভাবছে, তা তারা জানে না। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। তিনি জানান, সংলাপে জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গতিশীলতা ও অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সুশাসন, মানবাধিকার, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, সাইবার নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সংকটসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব দিক আলোচনা হয়েছে। আমরা এই ইস্যুতে আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। বাংলাদেশের রাজস্ব আয় ও সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাজ্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে চায় জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ২০২৬ সালের পর সেদেশে জিএসপি-পরবর্তী সুবিধা বিবেচনার অনুরোধ করেছি।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায়: ইউট্যাব
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায়কে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ও ফরমায়েশি আখ্যা দিয়ে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।  বুধবার (২ আগস্ট ২০২৩) ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে বলেন, ২০০৭ সালে ১/১১ এর জরুরি সরকারের সময় তারেক রহমান দম্পতির বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছিল তা ছিল সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ তথাকথিত জরুরি সরকার ছিল বর্তমান আওয়ামী সরকারেরই আন্দোলনের ফসল। একটা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করে আজ রায় ঘোষণা করা হলো সেই পুরনো কৌশলে। এটি একটি ফরমায়েশি রায়। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে চেয়েছে আদালত সেভাবে লিখে এখানে উপস্থাপন করেছে মাত্র। যে মামলা চলার মতো আইনগত কোনো উপাদান নেই সেই মামলার রায় ঘোষণা করে মূলত এই মুহূর্তের সবচেয়ে অন্যতম একজন জনপ্রিয় নেতাকে হেয় প্রতিপন্ন এবং একজন বরেণ্য চিকিৎসক ও কার্ডিওলোজিস্ট ডা. জুবাইদা রহমানের সম্মান ক্ষুন্ন করা হল। তারা বলেন, ভবিষ্যতে ডা. জুবাইদা রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন, এমন আশঙ্কা ও ভীতি থেকেই সরকারের ইঙ্গিতে মামলাটির রায় দেওয়া হলো। এমন সময় এই আদেশ দেওয়া হলো যখন ভোটবিহীন অবৈধ মাফিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠেছে। এই আন্দোলনের সময় জুবাইদা রহমান দেশে ফিরলে আন্দোলনের গতি বৃদ্ধি পাবে ও নেতাকর্মীরা আরও চাঙ্গা হবে। এই ভয়ে ও ভবিষ্যতে যদি সঠিক ফর্মুলায় নির্বাচন হয়, তাতে যেন জুবাইদা রহমান অংশ নিতে না পারেন সেজন্য সাজানো মামলায় সরকারের নির্দেশে রায় ঘোষণা করা হল। আমরা মনে করি এই রায় সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। এই মুহুর্তে এ ধরণের আদেশ জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানোর অপচেষ্টা মাত্র। নেতৃদ্বয় বলেন, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ২০০৭ সালের জরুরি সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও কয়েকটি মামলা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরই সেই মামলাগুলো উধাও হয়ে যায়। মূলত বিএনপি তথা জিয়া পরিবারকে দমনের লক্ষ্যেই সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদক এই মামলাটি করেছিল। এর পেছনে ক্ষমতাসীনদের চক্রান্ত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্যই বানোয়াট, কাল্পনিক ও অসত্য মামলায় তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এই রায় দেওয়া হল। তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অর্থ পাচার করে বিভিন্ন দেশসহ কানাডায় বেগম পল্লী তৈরি হলেও এসব দুর্নীতি তদন্তে দুদকের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। কারণ সরকারপন্থীরা এসব লুণ্ঠনে জড়িত। তাই তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে থাকা মামলার রায় দেওয়ার মানে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে নির্মূল করার চক্রান্ত।  ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের কোটি কোটি তরুণের রাজনৈতিক আইকন। দল পরিচালনায় তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। তার দক্ষতা, যোগ্যতা ও রাজনৈতিক দূরদশির্তা অনন্য। সম্প্রতি তিনি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ঘোষণা দিয়ে নিজের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও যোগ্যতাকে বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তারেক রহমানের বাবা ছিলেন এ দেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। তার মা বেগম খালেদা জিয়া হলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। যাকে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ভোট দিয়ে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই পরিবারের সন্তান এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আগামীদিনের কাণ্ডারি হচ্ছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে ফের নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ডা. জুবাইদা রহমান একদিকে যেমন জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও একটি ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য পরিবারের সন্তান। মেধাবী চিকিৎসক জুবাইদা রহমান পড়ালেখা করেছেন দেশের স্বনামধন্য ও সেরা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তার পিতা মরহুম মাহবুব আলী খান বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সাবেক প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী। চাচা কর্ণেল এমএজি ওসমানী মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। সুতরাং তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা অবান্তর এবং ভিত্তিহীন। মূলত সরকার আদালতকে ব্যবহার করে অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই এই মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে টিকিয়ে রেখেছে, যার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা মনে করি তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
০২ আগস্ট, ২০২৩

তারেক রহমান দেশকে জ্বালিয়ে দিতে চায় : নানক
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। আগামী ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রংপুর আগমন উপলক্ষে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির নেতারা আন্দোলনের নামে সারা দেশে আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছেন। তারা বাস পুড়েছে, সাধারণ মানুষ এবং পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। গত শনিবার তাদের দলের নেত্রী নিপুণ রায় মোবাইলে ফোন করে বলেছেন- বাসে আগুন দিয়ে আমাকে ছবি তুলে পাঠাও। তুমি কি বোঝ না আমি উপরে পাঠাব? উপরে কোথায় পাঠাবে? সেই তারেক রহমানকে খুশি করার জন্য পাঠাবে।’  এ সময় আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখনই এগিয়ে যাচ্ছে তখন সেই চিরচেনা দেশবিরোধী অপশক্তি আবার নতুন করে অগ্নিকাণ্ডে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করে তারা যখন ব্যর্থ হয়েছে তখন তাদের সেই চিরচেনা অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’ এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী এবং কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া প্রমুখ। সভাশেষে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে রংপুরে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিলটি রংপুর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় বক্তব্য দেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবলু, জয়নাল আবেদীন ও আনোয়ারুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম আহসানুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
৩০ জুলাই, ২০২৩
X