বিএনপি এখন জনগণের আস্থার স্থল : আব্দুস সালাম
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, মানুষ আজ শান্তিতে নেই। কেড়ে নেওয়া হয়েছে ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। অতিষ্ঠ জনগণ আজ বিএনপিকে আস্থার স্থল মনে করে। দেশের কোটি কোটি মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। তাই দলকে আরও সুসংগঠিত করে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবন মিলনায়তনে জোনভিত্তিক থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মহানগর দক্ষিণের ধারাবাহিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপি আন্দোলনে পরাজিত হয়নি, পরাজিত হয়েছে সরকার। তাই রাতের আধারে ভোট চুরি করে ডামি নির্বাচন দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। এই আওয়ামী লীগের কোনো নৈতিকতা নেই। জনগণের কাছে নেই কোনো দায়বদ্ধতা। কিন্তু গণতান্ত্রিক দল হিসেবে জনগণের কাছে বিএনপির দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই সংগঠনকে ইস্পাতের ন্যায় শক্তিশালী করতে হবে। দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যে কারাগারে যাননি। রশি বেশি টাইট করলে যেমন ছিঁড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে, তেমনি অত্যাচারিত হতে হতে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীই এখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে যোদ্ধা হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন। তাই এখন প্রয়োজন সম্মিলিতভাবে নির্ভয়ে রাজপথে নামা। বারবার মরার চেয়ে একবার মরা ভালো। তবু দেশের মানুষকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে হবে। আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন- দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জোন-২ এর সমন্বয়ক ইউনুস মৃধা, আব্দুস সাত্তার, সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাইদুর রহমান মিন্টু, গোলাম হোসেন, অ্যাড. ফারুকুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ আলী চায়না, শামসুল হুদা কাজল, নাদিয়া পাঠান পাপন প্রমুখ।
১৯ মে, ২০২৪

কারাগারে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন
রাষ্ট্রদোহীর অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানিয়েছেন।  মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলায় মিয়ান আরেফিসহ অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ৩০ অক্টোবর মিয়ান আরেফিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ৩১ অক্টোবর সাভার থেকে হাসান সারওয়ার্দী গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এ বিষয়ে ইশরাকের আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ কালবেলাকে বলেন, ইশরাকের ১২ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত ১১টি মামলায় জামিন দিলেও একটা মামলায় নামঞ্জুর করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৯ মে, ২০২৪

বিএনপি ও এই দলের নেতারা মানসিকভাবে উন্মাদ : কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে জনগণ যদি ভোট দিতে না যায় তাহলে ভোটগুলো কোথা থেকে আসে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে এসেছে। বিএনপির কথা ঠিক না। বাস্তবতা হলো, ৪২ শতাংশের বেশি মানুষ জাতীয় নির্বাচনেও ভোট দিয়েছে। ৪২ শতাংশ ভোটার ভোট দিলে কীভাবে ভোটাররা ভোট প্রত্যাখ্যান করল? আসলে বিএনপি ও এই দলের নেতারা মানসিকভাবে উন্মাদ। রোববার (১৯ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনার শেষে উপস্থিত সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বনিম্ন ভোট দাবি করার বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য জানতে চান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে বিএনপি ও এই দলের নেতারা মানসিক উন্মাদ। তারা যা খুশি তাই বলেন। তাদের কথার কোনো বাস্তবতা নেই। তারা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছেন। আন্দোলনে ব্যর্থতা, নির্বাচন বয়কট করা এবং নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে এখন প্রলাপ বকছে। আসলে তারা মানসিকভাবে উম্মাদ। এ কারণেই তারা আবোল-তাবল বলছে। বিএনপি তাদের শরীকদের সঙ্গে বৈঠক করছে এবং তারা আবারও ভালোভাবেই আন্দোলনে নামবে, আন্দোলন মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি কী হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলন করবে। আন্দোলন করার অধিকার তাদের আছে। আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলে আমরা মেনে নেব। আর যদি আন্দোলন সহিংসতাপূর্ণ, আগুনসন্ত্রাস করে, সন্ত্রাসের যে চেহারা তারা অতীতে দেখিয়েছে, আন্দোলন বলতে যদি সহিংসতা বোঝায়, তাহলে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত।
১৯ মে, ২০২৪

জালিয়াত রাজনৈতিক দল বিএনপি
বিএনপিকে জালিয়াত রাজনৈতিক দল বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, গত বছর ২৮ অক্টোবর জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকে হাজির করে দলটি। সে যখন তাদের কার্যালয়ে ছিল তখন শুধু ইংরেজিতে কথা বলেছে। পরে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর গড়গড়িয়ে বাংলা বলতে শুনেছি। তারও আগে কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল বিএনপি। সেসময়ে ভারতের অমিত শাহ ফোন করেছে বলে দাবি করেছিল। পরে অবশ্য অমিত শাহর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, তিনি কাউকে কল করেননি। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে বিএনপি ও তাদের দোসরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, মাঝেমধ্যে জিএম কাদেরেরও মাথা খারাপ হয়ে যায়। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন অ্যামবাসিতে ঘুরত। আর দেনদরবার করত ভোট বন্ধের, লাভ হয়নি। তারা যদি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা, মানুষের ওপর হামলা, ট্রেনের মধ্যে শিশুসহ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা না করত তাহলে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ত। গত দু-তিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশের নির্বাচনেও ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিও সেখানে কোনো হুমকি ছিল না। নির্বাচন চমৎকার না হলে ৮০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিনন্দন জানিয়ে দুদেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতেন না। দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও অভিনন্দন জানান। সেজন্য বিএনপির মাথা খারাপ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান প্রমুখ।
১৯ মে, ২০২৪

বিএনপি অধ্যুষিত জয়পুরহাটে সর্বোচ্চ ভোট, সমীকরণ মিলছে না
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিএনপি অধ্যুষিত জয়পুরহাটে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে। অথচ দলটির হাইকমান্ড বরাবরই নেতাকর্মীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ কিংবা ভোট দিতে নিষেধ করে আসছে। তারপরও জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ৭৩.১৬ এবং কালাইতে ৬৯.৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকের মধ্যেই এত বেশি ভোট পড়ায় এ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ও জেলা-উপজেলার নেতাদের বাঁকা চোখে দেখছে দলের হাইকমান্ড। জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাদের ইশারায় স্থানীয় নেতারা টাকার বিনিময়ে বা ক্ষমতায় গেলে সুবিধা পাবেন- এমন আশায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষ নিয়ে ভোট করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, ব্যাপক উন্নয়নের কারণে বিএনপিমনা ভোটাররাও আওয়ামী লীগ মুখী হয়েছে। কারও কারও দাবি, ভোট অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য ভোটাররা ভোটমুখী হয়েছে। আবার বিএনপির কিছু নেতা টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে ভোটও করেছে। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে এত সংখ্যক ভোট দেখানো হয়েছে।  কিন্তু ভোটের সচিত্র বলছে ভিন্ন কথা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়েও বেশি উৎসবমুখর ও জনসম্পৃক্ত ছিল এ জেলার ১ম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটের দিন সকালে বৃষ্টির জন্য ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভোটারদের সারি। দুপুর ১২টার মধ্যেই বেশিরভাগ কেন্দ্রে ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়ে।  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ জেলায় বিএনপির নির্বাচন বয়কটের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন ছিল চোখে পড়ার মত। ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে প্রায় প্রতিদিনই ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণ ও সভা সমাবেশ করেছে স্থানীয় বিএনপি। কোনো কোনো প্রোগ্রামেই উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে বিএনপির রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন নেতাদের। প্রোগ্রামগুলোতে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আব্বাস আলীকে। তাদের ভোট বর্জনের কর্মসূচিগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিতে বেশ প্রভাবও ফেলে। বিএনপিমনা বেশিরভাগ ভোটারই ভোটকেন্দ্রে যাননি।  তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি ভোট বর্জন সিদ্ধান্তে অটল থাকলেও স্থানীয় নেতারা তার খুব একটা তোয়াক্কা করেনি বলে মত অনেকের। সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জনে বিভিন্ন কর্মসূচি দিলেও এ জেলায় উপজেলা নির্বাচনে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন করেনি জয়পুরহাট জেলা কিংবা উপজেলা বিএনপি। উল্টো তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষ নিয়ে ভিতরে ভিতরে তাদের পক্ষে কাজ করেছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা অনেকটা প্রকাশ্যেই বিএনপিমনা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বিএনপি নেতাদের পছন্দ করা ব্যক্তিকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ থেকে বাদ নেই উপজেলা বিএনপি নেতারাও। আরও অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের সঙ্গে আঁতাত করে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে ভোট কেনাবেচায় তারা জড়িত ছিল এবং তাদের সম্মতি ছিল। ফলে দলের ভোট বর্জনের আহ্বান ও কর্মসূচিকে তারা গুরুত্ব না দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে দায়সারা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ভোটের মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন। এ জেলার বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলও এর জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। এবারের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষেতলাল উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিম মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তাইফুল ইসলাম তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার ও অপর প্রার্থী নাজ্জাসী চৌধুরী। এর মধ্যে দুলাল মিয়া সরদার ৩০ হাজার ৪০০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাইফুল ইসলাম তালুকদারকে সাড়ে ৭ হাজার ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের পক্ষ নিয়ে ভোট করার অভিযোগ উঠেছে খোদ ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমানের আপন বড় ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি, উপজেলা বিএনপির সদস্য, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাবলু ও রাজশাহী বিভাগীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুর রহমান সুইটসহ অনেকেই আলমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুলাল হাজির দোয়াত কলমের পক্ষে ইউনিয়ন বিএনপি এবং জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদানে উৎসাহ যুগিয়েছেন, টাকা বিতরণ করেছেন। তারা এসব করেছেন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধানের যোগসাজশে- এমন অভিযোগও রয়েছে।  যার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে আলমপুর ইউনিয়নের ফলাফলে। এই ইউনিয়নেই উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমানসহ বেশকিছু প্রভাবশালী বিএনপি নেতাদের বাড়ি। গত সংসদ নির্বাচনে পুরো উপজেলার মধ্যে এ ইউনিয়ন সবচেয়ে কম ভোট পড়েছিল। আর এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সে সংখ্যাটা বেড়েছে। কয়েকটি ইউনিয়নের সভাপতি ও সেক্রেটারিরা বিজয়ী প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের পক্ষ নিয়েছিল বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির বেশ কয়েকজন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা। আবার কয়েকটি ইউনিয়নে মোস্তাকিম মন্ডলের পক্ষেও কাজ করেছেন কিছু তৃণমূল নেতা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব নেতারা কৌশলী ছিলেন। নিজেদের আড়াল করে তৃণমূলে নিজেদের কর্মীদের ব্যবহার করেছেন তারা। কালাই উপজেলাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান রহমান মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক মেয়র তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম আহসান হাবীব তালুকদার লজিকের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন হাবীব। এর মধ্যে মিনফুজুর রহমান মিলন ৪২ হাজার ৪৫৪ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলালকে ১১ হাজার ৫১১ ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অভিযোগ রয়েছে, কালাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহিম ফকির অনেকটা প্রকাশ্যেই চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলালের পক্ষ নেন। এমনকি উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের দলীয় কার্যালয়ে ডেকে বেলালের পক্ষে ভোট করার জন্য অনুরোধ করেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত তার অনুসারীদের নিয়ে বেলালের পক্ষে ভোটও করেন। কালাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন কালবেলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহিম ফকির এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক টুকু চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতারা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পার্টি অফিসে ডেকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল তালুকদারের পক্ষে সরাসরি ভোট করার জন্য বলেছেন এবং ইব্রাহিম ফকির নিজে বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়েও ভোটারদের ভোট প্রদানে উৎসাহ যুগিয়েছেন। এ সমস্ত কিছুই তারা করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, মুঞ্জুর মওলা পলাশসহ জেলার নেতাদের ইশারায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষেতলালের এক সাবেক ছাত্রনেতা কালবেলাকে বলেন, যারা দলের সিদ্ধান্তকে না মেনে দলের বিরুদ্ধে কাজ করে তারা মীরজাফর। তারা দলের সঙ্গে বেইমানি করেছে। করবেই না বা কেনো, কালা -ক্ষেতলালে যাদের পদে বসানো হয়েছে তারা কেউই যোগ্য ব্যক্তি নন। যেভাবে কমিটি করা হয়েছে তা সঠিক হয়নি। অযোগ্যদের পদে বসালে তারা দলকে বিক্রি করবে এটাই স্বাভাবিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা কালবেলাকে বলেন, দলের দুর্দিনে যখন জয়পুরহাট জেলায় রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম করার জন্য, কারাবন্দি নেতাকর্মীদের এবং তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেউ ছিল না তখন আমি আমরা গুটি কয়েকজন রাজপথে সক্রিয় ছিলাম। আর যারা রাজপথে সক্রিয় ছিল না, মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে ছিল তারাই আজকে সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছে এবং উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা খেয়ে সরাসরি বিএনপির কর্মীদের ভোট প্রদানে উৎসাহ যুগিয়েছেন। তাই দলের হাইকমান্ডের প্রতি আকুল আবেদন দ্রুত দলের দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া।  অভিযোগ অস্বীকার করে ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান কালবেলাকে বলেন, আমি কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করিনি। মানুষজন টাকার বিনিময়ে ভোট দিয়েছে। আমরা ভোটারদের নিরুৎসাহিত করেছি, কিন্তু কাজ হয়নি। তার ভাই সাবলু চেয়ারম্যানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি দুলাল হাজির পক্ষ নিতে পারে আমি সঠিক জানি না। কালাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহিম ফকির কালবেলাকে বলেন, আমি কারও পক্ষে ভোট করার জন্য বলিনি। প্রমাণ থাকলে দেন। বরং ভোট বর্জনের জন্য বলেছি কেউ শুনেছে কেউ শুনেনি।   জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন কালবেলাকে বলেন, এত ভোট পড়াটা দুঃখজনক। হাইকমান্ড থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। আমি কারও পক্ষ নেয়নি বা কাউকে বলিনি। আমিতো বেলালকে তেমন চিনিই না। মিলনকে চিনি। আর ক্ষেতলালের দুলাল, তাইফুল বা মোস্তাকিমের নাম জানি তবে সামনাসামনি কখনও দেখা হয়নি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ইব্রাহিমের বিষয়ে আমাদের কাছেও তথ্য এসেছিল। আমি তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। তাকে নিষেধ করার জন্য তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো নেই। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো শক্ত প্রমাণ না থাকায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি নি। যাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রমাণ পেয়েছি তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে তাকেও বহিষ্কার করা হবে। তবে খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমানের বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। আপনার কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে আমাদের দেন আমরা ব্যবস্থা নেব। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী) এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম কালবেলাকে বলেন, অতীতে বিএনপি এ অঞ্চলকে বিএনপি অধ্যুষিত দাবি করলেও এখন আর করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের জন্য সাধারণ ভোটাররা এখন আওয়ামী লীগমুখী। বিএনপি নেতাদের ভোটে পক্ষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুখে ভোট বর্জনের কথা বললেও টাকা খেয়ে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট করেছে। খোদ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আঞ্জুমান ও তার চাচা সাবলু সাড়ে ৬ লাখ টাকা নিয়ে দুলাল মিয়ার পক্ষে ভোট করেছে। এটা সবাই জানে।
১৮ মে, ২০২৪

বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী, জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা হাজিরকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়িতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনাদের মনে আছে, বিএনপি গত বছর ২৮ অক্টোবর জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকে হাজির করেছিল। সে বিএনপি কার্যালয়ে শুধু ইংরেজি বলছিল, পুলিশ যখন ধরে নিয়ে গেল তখন দেখি গড়গড়িয়ে বাংলা বলে। এ ছাড়াও বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয়, তারা সে সময় বলেছিল ভারতের অমিত শাহ ফোন করেছিল। কিন্তু অমিত শাহর অফিস থেকে বলা হলো তিনি কাউকে ফোন করেননি, যে আওয়াজ প্রচার করা হয়েছিল সেটা অমিত শাহর নয়। এসব জালিয়াতিই তাদের কাজ। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে বিএনপি ও তাদের দোসরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে দেখি জি এম কাদেরেরও মাথা খারাপ হয়ে যায়। নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন অ্যাম্বাসিতে ঘুরে বেড়াত আর দেন-দরবার করতে, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়। এসবে কোনো লাভ হয় নাই। নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা না থাকত তাহলে আরও বেশি মানুষ ভোট দিত। আর বিএনপি যদি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে মানুষের ওপর হামলা, ট্রেনের মধ্যে শিশু সন্তানসহ পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে হত্যা না করত তাহলে ভোটের হার ৬০ শতাংশের বেশি হতো, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  অন্যান্য দেশের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, গত দুতিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে অনেক দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিও বা সেখানে নির্বাচনে বর্জন ও প্রতিহতের কোনো হুমকি ছিল না।     পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন যদি চমৎকার না হতো তাহলে পৃথিবীর ৮০টা দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষ দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান খাদ্য সচিব ছিলেন। খাদ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে ফেরত যাওয়ার পেছনে তার বাবার কারসাজি ছিল, যাতে দেশে খাদ্য সংকট তৈরি হয়।  হাছান মাহমুদ আরও বলেন, খাদ্য সংকট তৈরি করে বঙ্গবন্ধুকে অর্জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আবদুল মোমেন খানের ভূমিকা ছিল। সেটির পুরস্কার স্বরূপ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর আবদুল মোমেন খানকে মন্ত্রীর মর্যাদায় খাদ্য উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। ’৭৯ সালের নির্বাচনের পর আবদুল মোমেন খান সংসদে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে বক্তব্যে বলেছিলেন খাদ্যের জন্য দরকার হলে দেশ বিক্রি করে দিব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে, শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনাই, এই দেশে আর কোনো বিকল্প নেই। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের।  তিনি বলেন, এবার আমরা স্লোগান দিয়েছি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নেন্স এবং স্মার্ট পিপল। এই ৪টি অনুসঙ্গকে আমরা সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ রচনা করতে চাই।  চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।  সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, শফিক আদনান প্রমুখ।
১৮ মে, ২০২৪

জামিনে মুক্ত বিএনপি নেতা হাবিব
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ সময়ে কারাফটকে হাবিবকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক নেতাকর্মী। গত ১৮ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে হাবিবুর রশীদ হাবিবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তার তিন মামলায় ৬ বছর ৯ মাসের সাজা হয়। এ ছাড়া দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিল। সবকটি মামলায় জামিন শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
১৮ মে, ২০২৪

এক মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা হাবিব
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ সময়ে কারাফটকে হাবিবকে স্বাগত জানাতে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত হতে দেখা যায়। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পুরো দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে এই সরকার। তারা শুধু বিএনপির নেতাকর্মী নয়। দেশের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সবকিছুকে ধ্বংস করেছে। এই আওয়ামী লীগ সরকার থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের বিকল্প নেই। সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান হাবিব। গত ১৮ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে হাবিবুর রশীদ হাবিবকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাকে তিন মামলায় ৬ বছর নয় মাসের সাজা দেন আদালত। এছাড়া দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিল। সব মামলায় জামিন শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
১৭ মে, ২০২৪

বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : নাছিম
বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, মির্জা ফখরুলরা এখনো স্বপ্ন দেখছেন, মিথ্যাচার করছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত আছেন। তবে আমরা বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। এটাই হোক আজকের দিনের আমাদের অঙ্গীকার। শুক্রবার (১৭ মে) তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৭ মে একটি ঐতিহাসিক দিন। বাঙালি জাতির উন্নয়ন অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক অধিকার ও খুনি মোস্তাকদের হাত থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনার দিন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর সকল ষড়যন্ত্র থেকে ফিরিয়ে আনার দিবস এটি। আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে এগিয়ে নিয়ে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি। জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। নাছিম বলেন, অনেক তিক্ততার ইতিহাস আছে, জীবন গড়ার করার ইতিহাস আছে। যারা তার সঙ্গে থাকার কথা ছিল, তাদের পাওয়া যায়নি। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে রেখে ভিন্ন দল করার চেষ্টা করেছিল। আমরা দেখেছি, কেউ কেউ খুনি মোস্তাককে বলেছে, আপনি আওয়ামী লীগ করেন, আমরাও করি। যদি খুনি মোস্তাক বেঁচে থাকত তাহলে দেখা যেত তারা সেই খুনি মোস্তাকের জন্য আওয়ামী লীগ করছে। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আজ শেখ হাসিনার সঙ্গে একাত্ম হয়ে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
১৭ মে, ২০২৪

ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিল বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে এ মন্তব্য ক‌রেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এ নিয়ে বিএনপির মাথা আরও খারাপ হয়ে গেছে। অনেক চেষ্টা করেছিল সাক্ষাৎ করতে। তাদের সে আশায় পানি ঢেলে বার্তা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।  তিনি বলেন, আসলে বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে। আগে দেখতাম দুই-একজন নেতা খেই হারায়। গয়েশ্বর বাবু খেই হারায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী আবোল-তাবোল বলে। এখন দেখি, সিনিয়র নেতারাও আবোল-তাবোল বলে, খেই হারিয়ে ফেলেছে। আসলে কেউ যখন আশার আলো দেখে না, তখন তারা খেই হারিয়ে ফেলে। তো বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেটি। বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে আমি অনুরোধ জানাব- আপনারা যে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন, সেই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয় নাই। বরং আপনারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে বাইরে থাকার যে পথ অনুসরণ করছেন, এতে করে বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে। সেই পথে যদি থাকেন, তাহলে এক সময় বিএনপি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। আমরা চাই না বিএনপি আরও দুর্বল হোক। আমরা চাই, বিএনপি আরও শক্তিশালী হোক, শক্তিশালী বিরোধী দলের দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুক। কারণ, গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে হলে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে। তারা সেই দায়িত্বটি পালন করুক, সেটিই আমরা চাই। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন দিবস নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার আগমন ঠেকানোর জন্য জিয়াউর রহমান সব প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। তারপর শেখ হাসিনার আগমনের দিন সমাবেশ না হওয়ার জন্য সব প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। তারপরেও ১৯৮১ সালের ১৭ মে তার আগমনে জনসমুদ্র সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বারবার আওয়ামী লীগকে ভাঙার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা যখন ফিরে এলেন এবং দলের দায়িত্ব নিলেন তখনই সব নেতাকর্মী উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। হাছান মাহমুদ ব‌লেন, শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ দুজনই শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। একবার নয় বহুবার তারা হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা কখনোই তার লক্ষ্য ‘জনগণের অধিকার আদায়’ থেকে বিচ্যুত হননি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব‌লেন, বিএনপির ষড়যন্ত্র কাজে দেয়নি। আমি তাদের অনুরোধ করব তারা গণতন্ত্রের স্বার্থে নিজের দলকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে এবং সব নির্বাচনে অংশ নেবে।
১৬ মে, ২০২৪
X