ইব্রাহিম রাইসি নিহত, জরুরি বৈঠকে ইরান
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান নিহত হওয়ার পর জরুরি বৈঠকে বসেছে ইরানি সরকার। সোমবার (২০ মে) ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থার বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। সোমবার দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। এরপর দেশটির বিভিন্ন বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই। তার আগে ইরানি রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে হেলিকপ্টারটির যাত্রীদের জীবিত থাকার কোনো চিহ্ন খুঁজে পাননি তারা। ফলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও সফরসঙ্গীরা মারা গেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ইরানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। এর আগে গতকাল রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। বলা হচ্ছে, আজারবাইজানে একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে যাচ্ছিলেন তারা। ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের খবরে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেটি থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের কেউ ওই ফোন করেছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের উদ্ধারে অংশ নেয় ৪০টি দল। উদ্ধাকারী দল এসেছে তুরস্ক ও রাশিয়া থেকেও। তবে দুর্ঘটনাস্থলে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। এ ছাড়া এ অঞ্চলটি পাহাড়-পর্বতে ভরপুর হওয়ায় দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাইসির হেলিকপ্টারের খোঁজ পান উদ্ধার কর্মকর্তারা।
২০ মে, ২০২৪

ইব্রাহিম রাইসি মারা গেছেন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই। সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।  এর আগে গতকাল রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট তিনি। একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক রাইসি বিশ্ব রাজনীতিতেও অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে। তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ইব্রাহিম রাইসিকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন। ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তিনি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্টকে বহনকারী ওই হেলিকপ্টারে তার সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন।      
২০ মে, ২০২৪

কয়েক সেকেন্ডেই জবাব দেবে ইরান
ইসরায়েল পাল্টা কোনো হামলা চালালে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান। সেই পদক্ষেপ হবে আরও কঠোর ও ভয়াবহ।  এমন হুংকার দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি। দেশটির অন্যতম বার্তা সংস্থা আইএসএনএ ও এবিসি নিউজ এ খবর প্রকাশ করে।  প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এক বিবৃতিতে বলেন, ইরান মনে করে ইসরায়েলকে একটি উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের স্বার্থের ওপর যে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।  হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ, যা ইরানের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকারের আওতায় পড়ে। আমাদের দেশের স্বার্থের ওপর ইসরায়েলি আক্রমণের প্রতিক্রিয়া এটি।’ এ সময় আবার আক্রান্ত হলে যে কোনো পদক্ষেপের জন্য ইরান প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। এদিকে মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে কথা বলেছেন ইব্রাহিম রাইসি। তিনি তখন বলেন, ‘ইরানি স্বার্থের বিরুদ্ধে যে কোনো অপরাধীর ন্যূনতম পদক্ষেপ অবশ্যই কঠোর, বিস্তৃত এবং বেদনাদায়ক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে মোকাবিলা করা হবে।’ অপরদিকে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি বলেন, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় তবে ইরানের প্রতিক্রিয়ার গতি হবে কয়েক সেকেন্ডেরও কম।  সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে নিজেদের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। গত শনিবার রাতের এ হামলায় শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে দেশটি।  ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দেশটির ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ইসরায়েলি স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা বিরাজ করছে।  ইসরায়েলের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার জবাবে একের পর এক হুংকার দিচ্ছে ইরান। সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দেবে তার দেশ। যদিও মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকতে তেল আবিবকে চাপ দিয়ে আসছে। এদিকে নিজেদের পরবর্তী পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (চিফ অব স্টাফ) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাগেরি। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মোহাম্মদ বাগেরি বলেন, ইসরায়েল যদি এ হামলার জবাব না দেয় তাহলে দেশটিতে আর হামলা পরিকল্পনা নেই ইরানের। ইসরায়েলের যেসব লক্ষ্যে হামলা চালানো হয়েছে তার সবই পূরণ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ইসরায়েলের কোনো বেসামরিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে ইরান হামলা চালায়নি। দেশটিতে হামলায় কেবল সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়েছে। হেরমন পর্বতে ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ইরানের হামলায় ইসরায়েলের এ ঘাঁটি দুটিই উল্লেখযোগ্যভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। শনিবারের হামলার চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী হামলা চালাতে তেহরান সক্ষম বলেও দাবি করেন তিনি।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ইরান যুদ্ধ শুরু না করলেও উসকানির জবাব দেবে : ইব্রাহিম রাইসি
ইরান কারও সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করবে না। তবে কেউ যদি উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের। ইব্রাহিম রাইসি বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধ শুরু করব না। তবে কেউ যদি আমাদের উসকানি দিতে চায় তাহলে তাদের কঠোর জবাব দেওয়া হবে। আগে যখন তারা (আমেরিকানরা) আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছে, তারা বলেছে বিকল্প হিসেবে তাদের হাতে সামরিক পদক্ষেপ রয়েছে। এখন তারা বলছে ইরানের সঙ্গে তাদের সংঘাতে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে ইরানের সামরিক শক্তি কোনো দেশের প্রতি হুমকি নয় এবং কখনো ছিল না। বরং ইরানি সেনাবাহিনী এমন নিরাপত্তা দেয় যে, এই অঞ্চলের দেশগুলো একে অন্যের ওপর নির্ভর করতে পারে এবং আস্থা রাখতে পারে। গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) ইরান সমর্থিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় জর্ডানে তিন মার্কিন সেনা নিহত ও ৪১ জন সেনা আহত হয়েছেন। এ হামলার পর পাল্টা জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। এরপর থেকে ঠিক কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার জবাব দেবে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যে বৃহস্পতিবার সিবিএস নিউজ জানায়, সিরিয়া ও ইরাকে ইরানি স্থাপনায় টানা হামলা চালানোর পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়া ও ইরাকে ইরানের স্থাপনা নিশানা করে টানা হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। বেশ কয়েক দিন ধরে এই হামলা হবে। কবে থেকে এই হামলা শুরু হবে তা এখনো জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে হামলা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গাজার গণহত্যা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে যে আলোচনা হলো রাইসির
টানা দুই মাস পেরিয়েছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে ইরান। চলমান এ যুদ্ধের মধ্যে মস্কো সফরে গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সফরে তিনি গাজার গণহত্যা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গাজায় গণহত্যার জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের আসকারা পেয়ে গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।  মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের কর্তৃত্ব বাড়াতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব সফরের পরের দিন ক্রেমলিন ইরানের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে। পুতিন এ সফরে গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ, রাশিয়ার সহযোগিতা এবং ওপেকে তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।  আলোচনায় পুতিন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা নিয়ে আলোচনা এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত ফিলিস্তিনের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা।  অনুবাদকের মাধ্যমে রাইসি বলেন, ফিলিস্তিনি ও গাজায় যা ঘটছে তা অবশ্যই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ। তিনি বলেন, সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো এসব কর্মকাণ্ডে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা সহযোগিতা করছে।  ইসরায়েলের ফিলিস্তিনে আক্রমণের পর থেকে হামাসের পাশে রয়েছে ইরান। অন্যদিকে গাজায় সংঘাত থামাতে উভয়পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য আগ্রহের কথা জানিয়েছে রাশিয়া।  আলজাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বায়েস বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে দেশটির বিপক্ষে আগের চেয়ে কঠোর অবস্থানে দাঁড়িয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধের আগে উভয় দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল দেশটির। এমনকি এ যুদ্ধের মধ্যে মস্কো সফরে গেছে হামাসের প্রতিনিধি দল। এ ছাড়া দেশটি এখনো এ যুদ্ধের মধ্যস্থতার জন্য সম্পৃক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে।  গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) স্থল অভিযান শুরু নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান পরিচালনা করে, সে ক্ষেত্রে বেসামরিক নিহতের সংখ্যা ‘অগ্রহণযোগ্য’ পর্যায়ে পৌঁছাবে। পুতিন বলেন, ‘আবাসিক এলাকায় ভারী অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার খুবই জটিল একটি ব্যাপার এবং এর পরিণতিও হবে মারাত্মক। কারণ এই পরিস্থিতি (গাজায়) স্থল অভিযান পরিচালিত হলে সাধারণ বেসামরিক নিহতদের সংখ্যা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছবে এবং তা কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।’
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানাল ইরান
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠকে বসেছেন মুসলিম বিশ্বের নেতারা। আরব লিগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এই যৌথ সম্মেলনে হামাসের প্রশংসা করার পাশাপাশি ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। খবর রয়টার্সের। রাইসি বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমরা হামাস যোদ্ধাদের হাতে চুম্বন করি।’ এ সময় ইসরায়েলের ওপর তেল ও পণ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গাজা যুদ্ধ নিয়ে সৌদি আরবের আহ্বানে শনিবার রিয়াদে বৈঠকে বসেন আরব লিগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নেতারা। এই সম্মেলন থেকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন মুসলিম বিশ্বের নেতারা। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন তারা। গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে গাজায় টানা বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যেই এবার সেখানে বড় ধরনের স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। গাজায় টানা ৩৬ দিনের অব্যাহত বোমাবর্ষণে নিহত মানুষের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত গাজায় ১১ হাজার ৭৮ জন মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৫০৬ জন শিশু রয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রতিদিন শত শত মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা সেখানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে আহ্বান জানিয়েছেন। এত কিছুর পরও যুদ্ধবিরতির দাবি আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল ও তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে যুক্তরাষ্ট্র ‍ও ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াতে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
১১ নভেম্বর, ২০২৩
X