আঞ্চলিক যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে ইরানের গুরুতর অভিযোগ
চিরশত্রু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। গেল জুলাইয়ে ক্ষমতাগ্রহণের পর সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন তিনি। এ সময় কথা বলেন বিভিন্ন ইস্যুতে। পেজেশকিয়ানের অভিযোগ, ইরানকে আঞ্চলিক যুদ্ধের দিকে টেনে নিতে চাইছে ইসরায়েল।  দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এমন মন্তব্য করলেন পেজেশকিয়ান। তিনি বলেন, ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার মাধ্যমে তেহরানকে আঞ্চলিক যুদ্ধে জড়াতে চাইছে ইসরায়েল। কিন্তু ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তেহরানের মাটিতে ওই হত্যাকাণ্ড আঞ্চলিক রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছিল। নতুন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়ে গত ৩১ জুলাই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন হানিয়া। তিনি হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছে ইরান। এজন্য চরম প্রতিশোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে দেশটি। তবে ইসরায়েল হত্যাকাণ্ডে দায় অস্বীকার করেছে। ইরান পরমাণু অস্ত্র বানাতে চাইছে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন পেজেশকিয়ান। নিজ দেশের পরমাণু কর্মসূচির পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের কাছে মিসাইল নেই। ইসরায়েল গাজার মতো আমাদের ওপরও যেকোনো সময় বোমা ফেলতে পারে। আমরা আমাদের আত্মরক্ষা সক্ষমতা ত্যাগ করব না। নির্বাচনী সমাবেশে পেজেশকিয়ান পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টিও উঠে আসে। এক সাংবাদিক পেজেশকিয়ানের কাছে জানতে চান, নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কিনা? জবাবে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হলেই সরাসরি সাক্ষাৎ হতে পারে। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই তেহরানকে শত্রু বলে মনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। এ নিয়ে দেশ ৩টির মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও গেল ১১ মাসে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার মতো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, এখনই সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে চায় না তেল আবিব বা তেহরান কেউই।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে ইরাকে গেলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইরাক সফরে গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি বাগদাদে পৌঁছান। খবর আলজাজিরার। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার বরাতে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মাসুদ পেজেশকিয়ান এই প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন। বাগদাদে পৌঁছালে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী তাকে অর্ভ্যর্থনা জানান। এ সময় পেজেশকিয়ানকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সফরে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক বৈঠক হবে। আলোচনা হবে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা নিয়ে। এ ছাড়া বেশ কিছু চুক্তি সইয়ের পরিকল্পনাও আছে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী ইরাকে হামলা চালায়। এই হামলায় ইরাকের সাদ্দাম হোসাইন সরকারের পতন হয়। সন্ত্রাস দমনের নামে ধ্বংস করা হয় ইরাকের সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা। নির্বিচারে চালানো হয় হত্যাযজ্ঞ।  এর পর থেকে অন্যান্য দেশ ইরাককে এড়িয়ে চলছে। এ সুযোগে অব্যাহতভাবে বাগদাদে নিজেদের প্রভাব বাড়ায় তেহরান। বর্তমানে ইরাকে ইরান-সমর্থিত বেশ কয়েকটি দল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়। ইরানের প্রেসিডেন্টের সফরে এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভোটে বিজয়ী পেজেশকিয়ান, এরপর কী?
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংস্কারপন্থি প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান বিজয়ী হয়েছেন। এবার তার রাষ্ট্রক্ষমতায় বসার পালা। কিন্তু এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অনুমোদন প্রয়োজন। খামেনি অনুমোদন দিলে ইরানের নবম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হবেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। নয়তো তাকে পরবর্তী সাংবিধানিক জটিলতায় পড়তে হবে। সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনের পর পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে। এর মধ্য দিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।  শনিবার (৬ জুলাই) সকালে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। খবর আলজাজিরার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার প্রদত্ত ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে পেজেশকিয়ান ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।’ পার্লামেন্টের গভর্নিং বোর্ডের সদস্য আলি আকবর রঞ্জবারজাদেহ বলেছেন, পেজেশকিয়ান ও তার লোকজন প্রস্তুত থাকলে এই সপ্তাহে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য আইন প্রণয়ন সংস্থা প্রস্তুত রয়েছে। ইরানে সপ্তাহ শনিবার থেকে শুরু হয়। সে হিসেবে সাত দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নিতে পারেন।  আধা-সরকারি তাসনিম নিউজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, পেজেশকিয়ান বর্তমানে সংসদ সদস্য। গভর্নিং বোর্ডে তার পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। আইন প্রণেতাদের অবশ্যই তা গ্রহণ করতে হবে। পেজেশকিয়ান তাবরিজ থেকে দীর্ঘদিন ধরে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শপথের পর নতুন রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভা গঠনের ব্যাপারে সংসদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারবেন। এ ব্যাপারেও তাকে খামেনির মুখাপেক্ষি হতে হবে। উল্লেখ্য, মাসুদ পেজেশকিয়ান শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টরপন্থি সাইদ জালিলিকে হারিয়ে দ্বিতীয় দফার ভোটে বিজয় অর্জন করেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। গত ২৮ জুন প্রথম দফার ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দেশটির নিয়ম অনুযায়ী এগিয়ে থাকা এ দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। প্রথম দফায় পেজেশকিয়ান ৪২ শতাংশ এবং সাইদ জালিলি ৩৯ শতাংশ ভোট পান। দ্বিতীয় দফায় গণনা করা ৩০ মিলিয়নেরও বেশি ভোটের মধ্যে ৫৩.৩ শতাংশ ভোট পান পেজেশকিয়ান। অপর পক্ষে জালিলি পান ৪৪.৩ শতাংশ ভোট। অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেজেশকিয়ান ১৬.৩ মিলিয়ন এবং জালিলি ১৩.৫ মিলিয়ন ভোট পেয়েছেন। এরপরই পেজেশকিয়ানের বিজয়ের খবর জানানো হয়। এর পরপরই স্থানীয় সময় শনিবার (৬ জুলাই) ভোরে পেজেশকিয়ানের সমর্থকরা তেহরানসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় আনন্দ মিছিল বের করেন। তারা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও চত্বরে জড়ো হয়ে জয় উদ্‌যাপন করছেন। এক ভিডিওতে দেখা যায়, উচ্ছ্বসিত জনতা নেচে-গেয়ে আনন্দ করছেন। অনেকে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে গানের তালে তাল দিচ্ছেন।
০৬ জুলাই, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী কে এই মাসুদ পেজেশকিয়ান
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থি প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়া ৬৯ বছর বয়সী পেজেশকিয়ান সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত। তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বিতীয় দফায় গণনা করা ৩০ মিলিয়নেরও বেশি ভোটের মধ্যে ৫৩.৩ শতাংশ ভোট পান পেজেশকিয়ান। অপর পক্ষে জালিলি পান ৪৪.৩ শতাংশ ভোট। অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেজেশকিয়ান ১৬.৩ মিলিয়ন এবং জালিলি ১৩.৫ মিলিয়ন ভোট পেয়েছেন। জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সাবেক সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ খাতামির সরকারে এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ইরানের পার্লামেন্টে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শহর তাবরিজে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন তিনি।  সাবেক এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী একজন স্বনামধন্য কার্ডিওলজিস্ট। তিনি তাবরিজ ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সাইন্সের সাবেক প্রধান ছিলেন। এটি ইরানের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান মেডিকেল প্রতিষ্ঠান।  পেজেশকিয়ান এর আগে ২০১৩ এবং ২০২১ সালেও তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি হাসেমি রাফসানজানিকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন এবং ২০২১ সালে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতা বাতিল করে।  ইরানের ক্ষমতা বেশ কয়েক বছর ধরে রক্ষণশীলদের হাতে রয়েছে। পেজেশকিয়ান বিজয় পাওয়ায় সংস্কারপন্থিরা আশার আলো দেখছেন। নির্বাচনেও তার ফলাফল প্রতিফলিত হয়েছে।  ইরানের সর্বশেষ সংস্কারপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ খাতামি পেজেশকিয়ানের প্রশংসা করেছেন। তিনি তাকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও যত্নশীল মানুষ বলে উল্লেখ করেছেন।  এবার পেজেশকিয়ান নির্বাচনী প্রচারে পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলোচনায় আসেন। কট্টরপন্থিরা তার সমালোচনায় মুখর হন। অপরদিকে বহির্বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্যের আশা জাগায় অনেক ইরানি তার সমর্থন করেন। ফলাফল ঘোষণার পর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তার প্রথম বক্তব্যে পেজেশকিয়ান ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার প্রতি ভালোবাসা এবং সাহায্য করতে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, আমরা সবার প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেব; আমরা সবাই এ দেশের মানুষ; আমাদের দেশের অগ্রগতির জন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব।
০৬ জুলাই, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ীর নাম ঘোষণা
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংস্কারপন্থি প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান বিজয়ী হয়েছেন। এ জয়ের মধ্য দিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। শনিবার (৬ জুলাই) সকালে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। খবর আলজাজিরার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার প্রদত্ত ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে পেজেশকিয়ান ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।’ মাসুদ পেজেশকিয়ান শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টরপন্থি সাইদ জালিলিকে হারিয়ে দ্বিতীয় দফার ভোটে বিজয় অর্জন করেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। গত ২৮ জুন প্রথম দফার ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দেশটির নিয়ম অনুযায়ী এগিয়ে থাকা এ দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। প্রথম দফায় পেজেশকিয়ান ৪২ শতাংশ এবং সাইদ জালিলি ৩৯ শতাংশ ভোট পান।  দ্বিতীয় দফায় গণনা করা ৩০ মিলিয়নেরও বেশি ভোটের মধ্যে ৫৩.৩ শতাংশ ভোট পান পেজেশকিয়ান। অপর পক্ষে জালিলি পান ৪৪.৩ শতাংশ ভোট। অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেজেশকিয়ান ১৬.৩ মিলিয়ন এবং জালিলি ১৩.৫ মিলিয়ন ভোট পেয়েছেন। এরপরই পেজেশকিয়ানের বিজয়ের খবর জানানো হয়। এর পরপরই স্থানীয় সময় শনিবার (৬ জুলাই) ভোরে পেজেশকিয়ানের সমর্থকরা তেহরানসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় আনন্দ মিছিল বের করেন। তারা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও চত্বরে জড়ো হয়ে জয় উদ্‌যাপন করছেন। এক ভিডিওতে দেখা যায়, উচ্ছ্বসিত জনতা নেচে-গেয়ে আনন্দ করছেন। অনেকে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে গানের তালে তাল দিচ্ছেন।  পেজেশকিয়ান ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সাবেক সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ খাতামির সরকারে এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ইরানের পার্লামেন্টে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শহর তাবরিজে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন তিনি। সাবেক এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী একজন স্বনামধন্য কার্ডিওলজিস্ট। তিনি তাবরিজ ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্সের সাবেক প্রধান ছিলেন। এটি ইরানের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান মেডিকেল প্রতিষ্ঠান।  পেজেশকিয়ান এর আগে ২০১৩ এবং ২০২১ সালেও তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি হাসেমি রাফসানজানিকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন এবং ২০২১ সালে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতা বাতিল করে। এবার পেজেশকিয়ান নির্বাচনী প্রচারে পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলোচনায় আসেন। কট্টরপন্থিরা তার সমালোচনায় মুখর হন। অপরদিকে বহির্বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্যের আশা জাগায় অনেক ইরানি তার সমর্থন করেন। ইরানের ক্ষমতা বেশ কয়েক বছর ধরে রক্ষণশীলদের হাতে রয়েছে। তবে পেজেশকিয়ান মনোনয়ন পাওয়ায় সংস্কারপন্থিরা আশার আলো দেখছেন। নির্বাচনেও তার ফলাফলই প্রতিফলিত হলো।
০৬ জুলাই, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াল দ্বিতীয় দফায়
ইরানে শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াচ্ছে ‘রান-অব’ বা দ্বিতীয় পর্বে। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় এককভাবে কোনো প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় পরের ধাপে যাচ্ছে নির্বাচন। দেশটির নির্বাচনী সদর দপ্তরের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামি গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ সিদ্ধান্ত জানান। নির্বাচনে মূলত দুজন প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়েছে। তবে এগিয়ে থাকা প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৪২.৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হলে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে আবারও নির্বাচন হয়। আগামী ৫ জুলাই দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণের তারিখ আগে থেকেই নির্ধারিত রয়েছে। সূত্র: পার্স টিভি চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে প্রথম পর্বে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪০ ভোট। নির্বাচনের বাকি দুই প্রার্থী পার্লামেন্ট স্পিকার বাকের কলিবফ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি পেয়েছেন যথাক্রমে ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ ভোট এবং ২ লাখ ৬ হাজার ৩৯৭ ভোট। নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন শীর্ষ দুই প্রার্থী: সাঈদ জালিলি ও মাসুদ পেজেশকিয়ান দ্বিতীয় পর্বের ভোটের জন্য তাদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ইরানের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, প্রথম পর্বের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষিত হওয়ার মুহূর্ত থেকে শীর্ষ দুই প্রার্থী তাদের প্রচারাভিযান শুরু করতে পারবেন এবং এ প্রচার চলবে দ্বিতীয় পর্বের ভোট গ্রহণ শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত। এর আগে ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময়সীমা শুক্রবার তিন দফা বাড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত রাত ১২টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। শুক্রবারের ভোট গ্রহণের জন্য সারা দেশে প্রায় ৫৮ হাজার ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। এ ছাড়া ৯৫টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী ইরানি নাগরিকদের জন্য বিশ্বজুড়ে ৩১৪টি ভোটকেন্দ্র খোলা হয়েছিল। ওইসব কেন্দ্রেও ইরান সময় শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। ইরানের নির্ধারিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৫ সালের জুন মাসে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৯ মে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি তার সাত সফরসঙ্গীসহ এক মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় শহীদ হওয়ার কারণে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ইরানে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর। ইব্রাহিম রায়িসির শাহাদাতের পর সংবিধান অনুসারে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন এবং তার তত্ত্বাবধানে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবারের নির্বাচনের নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন ৬ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে মোট ভোট দিয়েছেন ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫ জন ভোটার। অর্থাৎ এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরো ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব পালন করছে।
৩০ জুন, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে থাকা কে এই মাসুদ পেজেশকিয়ান
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ‘রান-অফ’ বা দ্বিতীয় পর্বে গড়াচ্ছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে এককভাবে কোনো প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পাননি। ফলে পরের ধাপে যাচ্ছে নির্বাচন। এ নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন সংস্কারপন্থি প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি নির্বাচনে ৪২.৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনের এ দৌড়ে এগিয়ে থাকা মাসুদ পেজেশকিয়ান সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত। তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সাবেক সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ খাতামির সরকারে এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ইরানের পার্লামেন্টে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শহর তাবরিজে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন তিনি।  সাবেক এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী একজন স্বনামধন্য কার্ডিওলজিস্ট। তিনি তাবরিজ ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সাইন্সের সাবেক প্রধান ছিলেন। এটি ইরানের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান মেডিকেল প্রতিষ্ঠান।  পেজেশকিয়ান এর আগে ২০১৩ এবং ২০২১ সালেও তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি হাসেমি রাফসানজানিকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন এবং ২০২১ সালে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতা বাতিল করে।  ইরানের ক্ষমতা বেশ কয়েক বছর ধরে রক্ষণশীলদের হাতে রয়েছে। তবে পেজেশকিয়ান মনোনয়ন পাওয়ায় সংস্কারপন্থিরা আশার আলো দেখছেন। নির্বাচনেও তার ফলাফলি প্রতিফলিত হয়েছে।  ইরানের সর্বশেষ সংস্কারপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ খাতামি পেজেশকিয়ানের প্রশংসা করেছেন। তিনি তাকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও যত্নশীল মানুষ বলে উল্লেখ করেছেন। 
২৯ জুন, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াল দ্বিতীয় দফায়
ইরানে শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াচ্ছে ‘রান-অফ’ বা দ্বিতীয় পর্বে। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় এককভাবে কোনো প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় পরের ধাপে যাচ্ছে নির্বাচন। দেশটির নির্বাচনী সদরদপ্তরের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ সিদ্ধান্ত জানান।  নির্বাচনে মূলত দুজন প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়েছে। তবে এগিয়ে থাকা প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৪২.৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।  ইরানের সংবিধান অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হলে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে আবারো নির্বাচন হয়। আগামী ৫ জুলাই দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণের তারিখ আগে থেকেই নির্ধারিত রয়েছে। সূত্র : পার্স টিভি  চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান এক কোটি চার লাখ ১৫ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে প্রথম পর্বে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪০ ভোট।   নির্বাচনের বাকি দুই প্রার্থী পার্লামেন্ট স্পিকার বাকের কলিবফ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি পেয়েছেন যথাক্রমে ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ ভোট এবং ২ লাখ ৬ হাজার ৩৯৭ ভোট।  নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে শীর্ষ দুই প্রার্থী সাঈদ জালিলি ও মাসুদ পেজেশকিয়ান দ্বিতীয় পর্বের ভোটের জন্য তাদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ইরানের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, প্রথম পর্বের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষিত হওয়ার মুহূর্ত থেকে শীর্ষ দুই প্রার্থী তাদের প্রচারাভিযান শুরু করতে পারবেন এবং এ প্রচার চলবে দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত। এর আগে ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময়সীমা শুক্রবার তিন দফা বাড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত রাত ১২টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়।  শুক্রবারের ভোটগ্রহণের জন্য সারাদেশে প্রায় ৫৮ হাজার ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। এ ছাড়া ৯৫টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী ইরানি নাগরিকদের জন্য বিশ্বজুড়ে ৩১৪টি ভোটকেন্দ্র খোলা হয়েছিল। ওইসব কেন্দ্রেও ইরান সময় শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ইরানের নির্ধারিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৫ সালের জুন মাসে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৯ মে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তার সাত সফরসঙ্গীসহ এক মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় শহীদ হওয়ার কারণে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ইরানে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর। ইব্রাহিম রাইসির শাহাদাতের পর সংবিধান অনুসারে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন এবং তার তত্ত্বাবধানে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবারের নির্বাচনের নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন ৬ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে মোট ভোট দিয়েছেন ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫ জন ভোটার। অর্থাৎ এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরো ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব পালন করছে।
২৯ জুন, ২০২৪

দেশে দেশে দূতাবাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহতের পর দেশটিতে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেয় গার্ডিয়ান কাউন্সিল। এ ঘোষণা অনুসারে আগামীকাল শুক্রবার (২৮ জুন) দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ইরানের বিভিন্ন দূতাবাস।  বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ইরনার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অবস্থিত দেশটির দূতাবাস জানিয়েছে, ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।  ইরনা জানিয়েছে, ইরানের নাগরিকরা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা ও গ্রাজ শহর এবং স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় ভোট দিতে পারবেন। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া এবং ফিনল্যান্ডে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসও তাদের প্রস্তুতির খবর জানিয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গত ১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। কেবল তিনি নয়, ওই দুর্ঘটনায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। একটি জলাধার উদ্বোধন শেষে ফেরার পদে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা।  ইরানের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, পরমাণু কর্মসূচিবিষয়ক সাবেক মধ্যস্থতাকারী সাইদ জালিলি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পোউর মোহাম্মাদি, তেহরানের মেয়র আলি রেজা জাকানি, বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির হোসেইন গাজিজাদেহ হাশেমি এবং পার্লামেন্ট সদস্য মাসুদ পেজেশকিয়ান। এ ছয় প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন রক্ষণশীল এবং একজন মধ্যপন্থি। ইরানের নির্বাচনসংক্রান্ত দেখভালের দায়িত্বে থাকা গার্ডিয়ান কাউন্সিল তাদের প্রার্থিতার অনুমোদন দিয়েছে। 
২৭ জুন, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে পাকিস্তানেও
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পাকিস্তানেও হবে। এ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামাবাদে ইরানের দূতাবাস। ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামাবাদে ইরানের দূতাবাস এবং পাকিস্তানের চারটি শহরে ২৮ জুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। এ জন্য কনস্যুলেট-জেনারেলরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূত রেজা আমিরি মোগাদ্দাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আমিরি মোগাদ্দাম বলেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইসলামাবাদে ইরানের দূতাবাস এবং করাচি, লাহোর, পেশোয়ার ও কোয়েটায় পাঁচটি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। করাচিতে সবচেয়ে বেশি ইরানিরা অবস্থান করেন। তাই মূলত এ ভোটকেন্দ্রে বেশি ভিড় হবে। সে অনুযায়ী ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইরানে ভোট দেওয়ার বয়স ১৮ বছর। এ জন্য জন্মসনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে। তবে পাকিস্তানে বসবাসরতদের ক্ষেত্রে সেসব না থাকলেও সমস্যা নেই। তাদের পাসপোর্ট দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
২০ জুন, ২০২৪
X