টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রোমাঞ্চ। গ্লোবাল সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সেই উত্তেজনার সর্বোচ্চ ছোঁয়া দিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল রংপুর রাইডার্স। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে স্বাগতিক গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সকে ৮ রানে হারিয়ে শুভসূচনা করল নুরুল হাসান সোহানের দল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের শুরুটা ছিল দারুণ। সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে শক্ত ভিত। যদিও সাইফ দ্রুতই (১৮ রান) ফিরলেও সৌম্য ৩৬ বলে ৩৫ রান করে বিদায় নেন। এরপর পরপর উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে রংপুর। তবে শেষ দিকে কাইল মায়ার্স ও ইফতিখার আহমেদের ৭৬ রানের জুটি দলকে টেনে তোলে। তাদের দৃঢ়তায় রংপুর তোলে ১৬২ রানের লড়াকু সংগ্রহ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে গায়ানার শুরুটা ছিল নড়বড়ে। গুরবাজ ফিরে যান মাত্র ৮ রানে। তবে চার্লস ও মঈন আলীর ব্যাটে ম্যাচে ফেরে স্বাগতিকরা। দুজনই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও মাঝপথে তাদের বিদায়ে রংপুরের স্বস্তি ফিরে আসে। এরপর শেরফান রাদারফোর্ড ও শিমরান হেটমায়ারের মতো বড় হিটারদের ফিরিয়ে দেন খালেদ আহমেদ। শেষ দুই ওভারে যখন প্রয়োজন মাত্র ২০ রান, তখনও ম্যাচ ছিল গায়ানার দিকেই।
১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে টানা দুই উইকেট তুলে নিয়ে খালেদ নাটকীয় মোড় আনেন ম্যাচে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান, হাতে একটি মাত্র উইকেট। ঠিক তখনই আজমতউল্লাহ ওমরজাই প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন ডেভিড ভিসাকে। তাতেই গায়ানার সব আশা শেষ হয়ে যায়, রংপুর উদযাপন করে ৮ রানের এক দারুণ জয়।
বল হাতে ম্যাচের নায়ক খালেদ আহমেদ, যিনি শেষ সময়ে দায়িত্বশীল বোলিংয়ে ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দেন। আর ব্যাটিংয়ে মায়ার্স-ইফতিখারের জুটি এনে দিয়েছে রংপুরকে লড়াইয়ের মতো পুঁজি।
এই জয়ে গ্লোবাল সুপার লিগে দুর্দান্ত সূচনা করল শিরোপাধারী রংপুর রাইডার্স। সোহানরা দেখিয়ে দিলেন, শেষ পর্যন্ত লড়াই করে জিততে জানে তার দল।
মন্তব্য করুন