একই দিনে দুই মঞ্চে খেলেছে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। গায়ানায় গ্লোবাল সুপার লিগে ব্যাট-বলে রাজত্ব করেছেন সাকিব আল হাসান। আর শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে আবারও মুখ থুবড়ে পড়েছে জাতীয় দল। একদিকে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের আলো ছড়ানো, অন্যদিকে জাতীয় দলের টানা ব্যর্থতার অন্ধকার—বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক বিপরীত প্রতিচ্ছবি দেখা গেল আজ।
গ্লোবাল সুপার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে ব্যাট হাতে ৩৭ বলে ৫৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন সাকিব। ম্যাচে চার-ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি দলের টালমাটাল পরিস্থিতিতে ছিল সত্যিকারের ‘রেসকিউ অ্যাক্ট’। এরপর বল হাতেও জ্বলে ওঠেন। মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেই সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসকে ২২ রানে হারায় দুবাই ক্যাপিটালস।
অন্যদিকে ক্যান্ডিতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ১৫৪ রানের মাঝারি সংগ্রহের পরও বোলাররা কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। পাথুম নিসাঙ্কার ঝড়ো ১৬ বলে ৪২ ও কুশল মেন্ডিসের ৫১ বলে ৭৩ রানে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় টাইগার বোলিং আক্রমণ। ১৯তম ওভারেই ম্যাচ শেষ করে দেয় লঙ্কানরা।
এই হারের ফলে বাংলাদেশ টানা তিনটি সিরিজে (টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি) প্রথম ম্যাচ হেরে শুরু করল। ব্যাটিংয়ে কিছুটা প্রতিরোধ দেখা গেলেও, বোলাররা ছিলেন নিষ্প্রভ। বিশেষ করে তাসকিন ও তানজিম হাসান ছিলেন খরুচে। বিপরীতে, স্পিনে মিরাজ ও রিশাদ কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও উইকেট তুলে নিতে পারেননি নিয়মিতভাবে।
একদিকে সাকিব আল হাসান একা হাতে ম্যাচের রং বদলে দিচ্ছেন বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে, অন্যদিকে বাংলাদেশ দল লড়াইটাই করতে পারছে না। এটা শুধু পারফরম্যান্সের ফারাক নয়, এটা মানসিকতা ও কৌশলের ব্যবধানও।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও দলের টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে প্রশ্নটা এখন খুব স্পষ্ট—‘এই বিপর্যয়ের দায় কে নেবে? আর কবে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ?’
মন্তব্য করুন