স্বজনদের নিয়ে খালেদা জিয়ার ঈদ উদযাপন
ঈদের দিন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপি মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এদিন রাতে রাজধানীর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় গিয়ে দলীয়প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন তারা। এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। পরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদও বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঘণ্টাব্যাপী বিএনপি নেতৃবৃন্দ দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে সময় কাটান ও কুশলাদি বিনিময় করেন। এ ছাড়া দলের নেতাকর্মীরা শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন। সাক্ষাৎ শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি অসুস্থ, বন্দি অবস্থায় আছেন। আমরা এখানে তার সঙ্গে দেখা করেছি। এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি। তবে তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এখনো তিনি রাজনৈতিক কারণেই বন্দি হয়ে আছেন। আমরা মনে করি, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো উচিত। বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি দোয়া চেয়েছেন যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন, ভালো থাকেন। তিনি এটাও বলেছেন যে, তিনি জনগণ ও রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছেন। জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভিক এস্কান্দারসহ কয়েকজন নিকটাত্মীয় খালেদা জিয়ার বাসায় যান। ছোট ভাই বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রান্না করা খাবার স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে খান তিনি। দুপুরে লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, তাদের একমাত্র মেয়ে জাইমা রহমান, প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান, তাদের দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান, জাফিয়া রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন খালেদা জিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধী মেজো বোন সেলিমা ইসলামেরও খোঁজখবর নেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

শরীয়তপুরের ৫০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের ঈদ উদযাপন
শরীয়তপুর জেলার ৫০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। সৌদি আরবসহ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সঙ্গে মিল রেখে তারা প্রতি বছর ঈদ পালন করে থাকেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) শরীয়তপুরের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরিফে। তাদের ভক্ত ও আশেকানদের সুবিধার্থে দুটি জামাত হয়। প্রথমটি সকাল ১০টায় এবং দ্বিতীয়টি সকাল সাড়ে ১০টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টার  ঈদের প্রথম নামাজের মধ্য দিয়ে ঈদের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ডামুড্যা হতে নামাজ আদায় করতে আসা ভক্ত ও মুসল্লি ইসহাক সিকদার কানু কালবেলাকে বলেন, গত ত্রিশ বছর ধরে সুরেশ্বর দরবারে ঈদের  নামাজ আদায় করতে এসেছি। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন পর্যন্ত আসব। এখানে আসলে আমরা আত্মিক প্রশান্তি অনুভব করি।  সুরেশ্বর দরবার শরিফের গদিনশিন পীর সৈয়দ শাহ নূরে কামাল কালবেলাকে বলেন, প্রতিবছর আমরা চাঁদের হিসাব ও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের একদিন আগে রোজা রাখি এবং সেই সঙ্গে ঈদও উদযাপন করে থাকি। তিনি বলেন, আমার পূর্বপুরুষ থেকেই এ নিয়ম চালু হয়ে আসছে এবং বংশ পরম্পরায় আমাদের এ নিয়ম চলমান থাকবে। নামাজ শেষে দুরুদ ও মিলাদ শরিফ পাঠ  করে দোয়া ও মোনাজাত করি।  দোয়া ও মোনাজাতের শেষে সব মুসল্লিদের তেহারি ও সেমাই খাওয়ানো হয়।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন গ্রামে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় ৬০টি গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) পটিয়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা উপজেলার এসব গ্রামের মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করেন।  মিজার্রখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশ জাহাগিরিয়া শাহ্ সুফি মমতাজিয়া দরবারের দুজন খলিফা হজরত আতিক উল্লাহ শাহ্ (র.) এবং হজরত আবুল হোসেন (র.) প্রায় ১২৫ বছর পূর্ব থেকে অত্র এলাকায় তাদের পীরানে পীরের নির্দেশ ও মাজহাব মতে পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে সব মুসলিম ধর্মীয় কার্যক্রম পালন করে আসছেন। প্রায় আড়াইশ বছর আগে সাতকানিয়া মির্জাখিল গ্রামে হজরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান জাহাগিরি (র.) হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তারই উত্তরসূরি হজরত মাওলানা আবদুল হাই জাহাগীরির অন্যতম প্রধান খলিফা চন্দনাইশ শাহ্ছুফি দরবারের পীর হজরত মাওলানা শাহ্ছুফি আমজাদ আলী (র.) এর মুরিদ ও অনুসারীরা একই নিয়মে সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন। মির্জাখীল দরবারে আলীয়া জাহাগিরিয়ার মাওলানা আবদুর রহমান জানান, আমরা যেহেতু সৌদি আরবের দিনক্ষণ অনুসরণ করি, সে অনুযায়ী বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করেছি। এ ছাড়া হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী রয়েছে। যারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেন। 
১০ এপ্রিল, ২০২৪

চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার হাজীগঞ্জে সাদ্রা মাদ্রাসা মাঠে মুসল্লিরা ঈদের নামাজের প্রধান জামাত আদায় করছেন। মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরে ৫টি উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব গ্রামের বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ আরব দেশ সমূহের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে সামিল হোন।
১০ এপ্রিল, ২০২৪
X