মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় এই উৎসবের দিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের নামাজ আদায় শেষে সৃষ্টিকর্তার নামে পশু কোরবানি দেন।
সব শঙ্কা উপেক্ষা করে এদিন ফিলিস্তিনিদের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের দিন সকালে এক সঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন লাখো মুসল্লি। নামাজ শেষে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ প্রার্থনা করেছেন তারা।
আমরা গাজাবাসী বহু বছর ধরে ক্ষত আর বেদনা বয়ে বেড়াচ্ছি। এখানকার পরিবেশ অন্য সব জায়গার চেয়ে আলাদা। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারি।
স্থানীয় এক মুসল্লি বলেন, ফিলিস্তিন, সুদান, সিরিয়া এবং ইরাকে যেসব ভাইয়েরা আছে, তাদের শান্তি কামনা করছি আল্লাহর কাছে। তারা হয়তো আমাদের মতো স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারছে না। সবকিছুর বিনিময়ে আমরা শান্তি চাই।
ফিলিস্তিন ছাড়াও, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, মিসর ও জর্ডানে একযোগে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। মক্কার কাবা শরিফ, মদিনার মসজিদে নববিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মসজিদে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। এ ছাড়াও ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের নামাজ।
ভৌগোলিক অবস্থান এবং চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদ উদযাপিত হবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে।
কোরবানি মুসলিমদের জন্য মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি মহৎ ইবাদত। ইসলামে কোরবানির অর্থ হলো—আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য শরিয়ত নির্দেশিত পন্থায় পশু কোরবানি করা।
মন্তব্য করুন