গাজীপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন
গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা থেকে জামালপুরগামী যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন শ্রীপুর স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়। এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও অন্যরা এগিয়ে গিয়ে আগুন ৭টা ২০মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে ট্রেনের ইঞ্জিনের তেমন কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। পরে ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে জামালপুরের উদ্দেশে শ্রীপুর স্টেশন ত্যাগ করে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বেলাল আহমেদ জানান, ট্রেনে আগুন লাগার খবরে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
১৬ মে, ২০২৪

রাজশাহীগামী ট্রেনে আগুন,  আহত ১০
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু রেল সংযোগ সড়কে মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া রেলস্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  এ সময় যাত্রীরা ভয়ে ট্রেন থেকে নামার সময় হুড়াহুড়িতে অন্তত ১০ জন আহত হন। গরমের কারণে ট্রেনের হাইড্রলিক ব্রেক থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনার প্রায় ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট পর রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এলাকাবাসী জানান, ওই স্থানে বিকেল ৫টার সময় ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্রসিয়ের জন্য সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন থামানো হয়। ‘ট’ বগির কয়েকজন যাত্রী নিচে নেমে হাইড্রোলিক ব্রেকের স্থানে আগুন দেখতে পান। খবর পেয়ে স্টেশনের ও ট্রেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এদিকে আগুন লাগার খবরে আতঙ্কিত যাত্রীরা ভয়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামার চেষ্টা করলে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।  এ বিষয় মহেড়া রেলস্টেশন মাস্টার সোহেল খান জানান, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামানোর সময় গরমের কারণে ট্রেনের হাইড্রলিক ব্রেক থেকে আগুন লাগে। যাত্রীরা তাৎক্ষণিক জানতে পারায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন থেকে লাফিয়ে নিচে নামার কারণে আহত কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার কারণে সিরাজগঞ্জগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস মির্জাপুর রেলস্টেশন থেকে কিছুটা বিলম্বে ছেড়ে যায়। 
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ভেতর থেকেই ট্রেনে আগুন
ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেসের ‘চ’ কোচে প্রথম আগুন দেখতে পান যাত্রীরা। এরপর ‘ছ’ কোচেও আগুন ছড়িয়ে যায়। অল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয় ‘জ’ কোচ ও পাওয়ার কার। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলন্ত অবস্থায় ট্রেনটিতে আগুন দেওয়া হয়েছিল। আগুনদাতা ট্রেনের ভেতরেই ছিল। নাশকতার উদ্দেশ্যেই এ আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা ও ইন্ধনদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীকে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছিল যুবদলের নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার ভোরে নবী উল্লাহসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি লালবাগ এবং ওয়ারী বিভাগ। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে চলন্ত ট্রেনটিতে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। রেলওয়ে ও ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, যশোরের বেনাপোল থেকে ট্রেনটি ঢাকায় আসছিল। সায়েদাবাদ এলাকা অতিক্রম করার সময় ওই ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে গোপীবাগ এলাকায় থামানো হয়। আগুনে ট্রেনটির তিনটি কোচ পুড়ে গেছে। আগুনে পুড়ে মারা গেছেন দুই নারী, এক শিশুসহ অন্তত চারজন। আগুনের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. কামরুল আহসান বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে বা অন্য কোনো ত্রুটির কারণে ঘটেনি। কোনো যাত্রী এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে। রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আগুন দেওয়া হয় বগির ভেতর থেকে। ‘চ’ বগির মাঝখানের বাঁপাশে প্রথম আগুন জ্বলে ওঠে। এ ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় নাশকতার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গতকাল রাজধানীর মিরপুর কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানীতে নাশকতা ঘটতে পারে—র্যাবের কাছে এমন গোয়েন্দা তথ্য ছিল। কিন্তু কোথায় নাশকতা ঘটবে, তা নিশ্চিত করে জানা ছিল না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাশকতার জন্য বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জন করলেও মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। তবে ট্রেনে কারা আগুন লাগিয়েছে, সে বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা যাবে না। এ বিষয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধান চলছে। নবী উল্লাহসহ আটজন গ্রেপ্তার বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আটজন হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, যুবদল নেতা কাজী মনসুর আলম, ইকবাল হোসেন, মো. রাসেল, দেলোয়ার হাকিম, সালাউদ্দিন, মো. কবির ও হাসান আহমেদ। ডিবির লালবাগ এবং ওয়ারী বিভাগ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘গ্রেপ্তার কাজী মনসুরকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি তারা কেন্দ্রে কেন্দ্রে টাকা বিতরণ করেছে। অগ্নিসংযোগের সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। তাদের প্রথম পরিকল্পনা ছিল নির্বাচনী যে ক্যাম্পগুলো আছে, সেগুলোতে আগুন দেবে। ভোটকেন্দ্রের আশপাশের ক্যাম্পগুলোতেও আগুন লাগাবে। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। যাতে কেউ ভোটকেন্দ্রে না আসে।’ ডিবি প্রধান হারুন বলেন, ৪ জানুয়ারি বিকেলে কাজী মনসুরসহ যুবদলের খন্দকার এনামুল, রবিউল ইসলাম এবং অন্য নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে ট্রেনে আগুন দেওয়ার বিষয় তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী কোনো ট্রেনে, বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে অগ্নিসংযোগ করা। আরেকটি হচ্ছে কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ রোডে অগ্নিসংযোগ করা। আগুন দিয়ে দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় আলোচনায় আসা। জনগণকে চূড়ান্তভাবে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলা। হারুন অর রশীদ আরও বলেন, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের তত্ত্বাবধায়নে যুবদলের কয়েকটি দল বৃহত্তর লালবাগের কয়েকজন বোমাবাজকে নিয়ে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করে। তিনজন দাগিকে দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসের আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের নাম জানতে পেরেছেন তারা। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করছেন না। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনে জড়িতদের শনাক্ত হয়নি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ১৯ ডিসেম্বর ভোরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মা-শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় হওয়া হত্যা মামলাটির থানা-পুলিশের পাশাপাশি ডিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন ইউনিট ছায়া তদন্ত করছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কোনো ইউনিটই ট্রেনে আগুনের ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্তের কথা জানাতে পারেনি। যদিও ঘটনার পরপর ডিবি বলেছিল তারা জড়িতদের নাম নম্বর পেয়েছে এবং র্যাব-৩ দাবি করেছিল, তারা চারজনকে শনাক্ত করেছে। ডিবি ও র্যাবের পক্ষ থেকে এই দাবি করার হলেও মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারের কথা জানাতে পারেনি তারা। ঘটনার দিন রাতেই ঢাকা রেলওয়ে থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ট্রেনের প্রহরী খালেদ মোশাররফ। গতকাল দুপুরে রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতার ঘটনা সমন্বিতভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ঘটনাও সব সংস্থা মিলে তদন্ত করবে। নিন্দা ও প্রতিবাদ অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা অবিলম্বে বন্ধের দাবিসহ ট্রেনে আগুনের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন। আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় শোক, উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছেন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব ড. মোর্শেদ হাসান খান।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

কোরআন ছুঁয়ে ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা বর্ণনা
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে কোরআন ছুঁয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য মোহাম্মদ মনসুর আলম নামে এক ব্যক্তি।  আগুনের ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে মনসুরকে জিজ্ঞাসাবাদে ট্রেনে আগুন দিতে বিএনপির পরিকল্পনার কথা সামনে আসে বলে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।  ডিবিপ্রধান জানান, মনসুরকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- দুই ধাপে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিলেন যুবদলের নেতাকর্মীরা।  জবানবন্দিতে মনসুর নামে ওই ব্যক্তি বলেছেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সদস্য সচিবসহ আমরা টিম লিডাররা ভার্চুয়ালি মিটিং করেছিলাম। সেখানে দুটি সিদ্ধান্ত হয়। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে না আসেন সেজন্য থানা ও ওয়ার্ড কমিটির সদস্যরা ভীতি সৃষ্টি করবেন এ জন্য নির্বাচনী ক্যাম্প আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণ করার পরিকল্পনা করা হয়। দ্বিতীয়ত, ঢাকায় প্রবেশের পথে ট্রেনে হামলার চালানোর কথা হয়।      মনসুরের বরাত দিয়ে হারুন অর রশীদ জানান, ১৭ মিনিটের ওই মিটিং চলাকালে সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন টিম লিডারদের জিজ্ঞাস করেন, ট্রেনে হামলা কে করতে পারবে? পরে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আগুন দেওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়। এদিকে, মোহাম্মদ মনসুরের স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে মোহাম্মদ মনসুর আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি কাউকে ফাঁসাতে কোনো মিথ্যা বলছি না, কোরআন শরীফ হাতে রেখে বলছি, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ সব টিম লিডার মিলে ভার্চুয়ার মিটিং করি। গতকাল (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ২ মিনিটের দিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কল আসে। প্রায় ১৭ মিনিট কথা হয়। ওই মিটিংয়ে দুটি সিদ্ধান্ত আসে। ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয় ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্প জ্বালিয়ে দেওয়া এবং ককটেল মেরে ভীতি সৃষ্টি করা। এছাড়া ট্রেনে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়। ট্রেনে আগুন দেওয়ার কাজটা দেওয়া হয় সদস্যসচিবকে।’   তিনি বলেন, ‘আমার একটা ছোট বাচ্চা আছে এবং কোরআন ছুঁয়ে শপথ করে বলছি, আমি মোটেও মিথ্যা বলছি না। আমি কাউকে ফাঁসাচ্ছি না, কোনো মিথ্যাও বলছি না।’  
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা কীভাবে হয়, জানালেন ডিবির হারুন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে বিএনপির নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করে ভার্চ্যুয়াল একটি মিটিং করে। ১৭ মিনিটের ওই মিটিংয়ে ট্রেনে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আগুন দেওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবিপ্রধান।  হারুন অর রশীদ বলেন, বিএনপি নেতা নবীউল্ল্যাহ নবীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানান যুবদলনেতা কাজী মনসুর। জিজ্ঞাসাবাদে মনসুরের দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও গণমাধ্যমকে দিয়েছে ডিবি পুলিশ। সেখানে ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনার বর্ণনা রয়েছে। তিনি বলেন, কাজী মনসুরকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছে আমরা দুটি বিষয় জানতে পেরেছি। তার বড় ভাই, বড় মাপের নেতা এনামুল ইসলাম খন্দকার ও রবিউল ইসলাম নয়নের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে টাকা, ককটেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য বিতরণ করেছে; নির্বাচনী ক্যাম্পগুলোতে তারা আগুন লাগাবে। ককটেল বিস্ফোরণ করবে, উদ্দেশ্য কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে না আসে। এই পরিকল্পনায় জড়িত পাঁচজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ও ২০ পিস ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। নবী উল্লাহ নবীকে অর্থদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  হারুন বলেন, দুই দিন আগে তাদের হাইপ্রোফাইল ভিডিও কনফারেন্স ছিল। সেখানে প্রথমে আসে মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম। তারপর আসে সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফার ও ইকবাল হোসেন বাবলু, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী এবং যুবদলের আটটি টিমের লিডার। সেই কনফারেন্সে ছিলেন কাজী মনসুর। কনফারেন্সে এক পর্যায়ে বলা হলো, বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেনে; বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে এসে সুবিধাজনক জায়গায় অগ্নিসংযোগ করা। আরেকটি হলো কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ রুটে যাত্রীবাহী বগিতে অগ্নিসংযোগ করা; যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়, জনগণ চূড়ান্তভাবে ভীত হয়। ভিডিও কনফারেন্সের এক পর্যায়ে তারা বলছিল, আগুন লাগাতে হবে ট্রেনে, আপনাদের কে রাজি আছেন? ১০-১২ জনের মধ্যে একজন শুধু বলল, আমি পারব। এই মুহূর্তে আমি নাম বলছি না। ২০১৩-১৪ সালে বাংলামোটর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ করেছিল এ রকম তিনজনকে তারা ঠিক করে। তাদের নামও আমাদের কাছে আছে। ডিবিপ্রধান আরও বলেন, একটি গ্রুপ ভিডিও কনফারেন্সে এসে কারা কারা ঘটনা ঘটাবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরেকটি গ্রুপ হচ্ছে দূর থেকে পরামর্শ ও অর্থদাতা। পরামর্শ ও অর্থদাতা হিসেবে আমরা যাদের নাম পেয়েছি তার মধ্যে এক নম্বর হচ্ছেন নবী উল্লাহ নবী। তাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। 
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

দুই ট্রেনে আগুন / যুবদল-ছাত্রদলের ৩ জন গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে দুটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশ। আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে জয়পুরহাট ও আক্কেলপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজন হলো- জয়পুরহাট সদর উপজেলার নিশির মোড় গ্রামের তাইজুল ইসলাম (২৬), একই গ্রামের মো. অপু (২৪) ও আক্কেলপুর পৌর শহরের হাস্তাবসন্তপুর মহল্লার আবদুল মোমিন (২৮)। বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মুক্তার হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। চলমান আন্দোলনে দলের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে তারা ট্রেনে আগুন দিয়েছেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। তারা দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সান্তাহার রেলওয়ে থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৪ ডিসেম্বর ভোরে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়পুরহাট স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর পাঁচবিবি স্টেশনের কাছে ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। যাত্রীরা ট্রেনের আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এতে ট্রেনের কামরার সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর ১৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় পার্বতীপুরগামী উত্তরা মেইল ট্রেনটি জামালগঞ্জ রেলস্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর জয়পুরহাট রেলস্টশনে পৌঁছার আগে চলন্ত ট্রেনের একটি বগিতে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় ট্রেনের ওই বগির কয়েকটি আসন পুড়ে যায়। জয়পুরহাট রেলস্টেশনে পৌঁছার পর ফায়ার সার্ভিস ও রেলস্টেশনের লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলেন। দুটি ঘটনায় সান্তাহার রেলওয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। রেলওয়ে থানা পুলিশ ট্রেনে নাশকতাকারীদের ধরতে মাঠে তৎপরতা শুরু করে। শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

জয়পুরহাটে ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনার গ্রেপ্তার ৩
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি এবং জয়পুরহাটে পৃথক দুটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনার মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।  সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মুক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জয়পুরহাট নিশিপাড়া মহল্লার অপু (২৪) ও তাইজুল ইসলাম (২৬) এবং আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর গ্রামের মো. মমিন (২৬)। সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মুক্তার হোসেন জানিয়েছেন, গত ৪ ডিসেম্বর ভোরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেস এবং ১৫ ডিসেম্বর রাতে জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে উত্তরা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই দুটি ঘটনার মূল আসামি অপু, তাইজুল ও মমিন। আজ ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের জয়পুরহাটের নিশিপাড়া ও আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সকলেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।  ওসি আরও জানান, তাদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত সেসব তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

ট্রেনে আগুন দেওয়ায় জড়িত চারজন শনাক্ত : র‍্যাব
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় বেশ কিছু ক্লু ও নাম পেয়েছি। এর মধ্যে চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের দুজন বিরোধীদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বাকি দুজন ভাসমান ব্যক্তি। শনাক্তকারীদের নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করছি না। তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধে ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে নাশকতাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিশেষ নিরাপত্তা পেট্রল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টায় নেত্রকোনা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় ট্রেনটিতে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়ার পর ট্রেনটি প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ঢাকার তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় থামে। আগুনে ট্রেনের ৩টি বগি পুরোপুরি পুড়ে যায়। পরে একটি বগি থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঢাকায় এবার আরেক ট্রেনে আগুন
ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ায় ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনো জানা যায়নি।  ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের এসপি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ট্রেনের ইঞ্জিনের সাইলেন্সার পাইপের উপরে একটা চটের বস্তা ছিল। যেটার কারণে সাইলেন্সার পাইপের ধোঁয়া বের হতে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। এ সময় হঠাৎ করে ওই চটের বস্তায় আগুন দেখা যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক টের পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে আগুনে নেভায়। পরবর্তীতে ট্রেনটি পুনরায় গন্তব্যে ছেড়ে যায়। জানা গেছে, ট্রেনটি সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ক্যান্টনমেন্ট এরিয়াতে প্রবেশের পর ট্রেনে আগুন দেখা যায়। পরবর্তীতে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ট্রেনটি থামানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিভিয়ে পুনরায় ট্রেনটি গন্তব্যে ছেড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে একটি শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩

হরতাল-অবরোধকারীরাই ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে : ডিএমপি কমিশনার 
যারা অবরোধ-হরতাল দিচ্ছে, তারাই তেজগাঁওয়ে রেলে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় হতাহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন,  হরতাল-অবরোধকারীরা আগেও নাশকতা ঘটিয়েছে। এর আগেও তারা এভাবে ট্রেনে নাশকতা করেছিল। গাজীপুরে রেলের লাইন কেটে ফেলা হয়েছিল এবং সেখানে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কোনো অবস্থাতেই পার পাবে না। অতীতেও পার পায়নি।  প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাস-ট্রেনে জ্বালাও-পোড়াওয়ের প্রত্যেকটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের (বিএনপি) নির্দেশে ও রাজনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তারা এই নাশকতা করতে বাধ্য হয়েছে।   দেশ থেকে এ ধরনের নির্দেশনা না কি দেশের বাইরে থেকে আসছে, এমন প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে, জ্বালাও-পোড়াও করছে, যারা নাশকতা করছে তাদের বিদেশি নেতাদের দেশীয় এজেন্ট-অনুসারীদের দিয়ে এসব কাজা করানো হচ্ছে। যা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।  ট্রেনের ভেতর যাত্রীবেশে যারা ছিল, তারাই আগুন দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।  প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ট্রেনের একটি সিটের ভেতরে প্রথমে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আগুনে একজনকে আহত রোগীর বিবরণ জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ট্রেনের ভেতর যারা ছিল তারাই আগুন দিয়েছে। সে (আহত ব্যক্তি) দেখেছে সিটের ভেতরে প্রথমে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় যাত্রীরা যে যেদিকে পারে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। কেউ জানালা দিয়ে কেউবা দরজা দিয়ে লাফ দিয়ে বাইরে আসার চেষ্টা করে।  তিনি বলেন, ঘটনার সময় ভোর থাকায় অনেকে যাত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। একজন মা নাদিরা আক্তার পপি যার তিন বছরের শিশু সন্তানকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন। মা ও সন্তান উভয়ই বাঁচার চেষ্টা করছিল। 
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
X