মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৩ এএম
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ওয়ার্ডপ্রেস কন্ট্রিবিউশনের গর্বিত মুখ বাংলাদেশের নাসিম

নাসিম মিয়া। ছবি : সংগৃহীত
নাসিম মিয়া। ছবি : সংগৃহীত

তরুণ বয়সে চোখে ছিল বড় স্বপ্ন। প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে বদলে দেওয়াই ছিল একধরনের পণ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ছোট্ট একটি গ্রাম শাহবাজপুর থেকে সেই স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন নাসিম মিয়া। আর আজ মালয়েশিয়ায় বসে তিনি বিশ্বজুড়ে ওয়ার্ডপ্রেস কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করছেন।

তার এই নিরলস অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন সম্মানজনক Yoast Care Fund -এ। এটি কেবল তার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের জন্য এক অনন্য মাইলফলক।

Yoast Care হচ্ছে বিশ্বব্যাপী স্বেচ্ছাসেবী ওয়ার্ডপ্রেস কন্ট্রিবিউটরদের সম্মান জানাতে প্রতিষ্ঠিত একটি রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম। এ ফান্ডে অন্তর্ভুক্ত হওয়া মানে শুধু অর্থনৈতিক সম্মাননা নয়— এটি একজন কন্ট্রিবিউটরের কমিউনিটির প্রতি দায়বদ্ধতা ও অবদানকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা।

নাসিম মিয়া এই ফান্ডে নির্বাচিত হয়েছেন ১৩তম বাংলাদেশি হিসেবে। পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ৫০০ ইউরো সম্মানী, একটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং Yoast ব্যাজ— যা তার ওয়ার্ডপ্রেস প্রোফাইলে গর্বের চিহ্ন হয়ে থাকবে।

২০১৫ সালে এসএসসি ও ২০১৭ সালে এইচএসসি পাস করার পর, ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান নাসিম। বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন মালয়েশিয়ার একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি Laminor (M) Sdn Bhd -তে। তবে অফিসের বাইরেও তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়ে পরিচিত— একজন উৎসর্গিত ওয়ার্ডপ্রেস কন্ট্রিবিউটর হিসেবে।

ওয়ার্ডপ্রেস প্রোফাইল অনুযায়ী, তিনি একজন দক্ষ থিম ও প্লাগইন ডেভেলপার, কাস্টম সলিউশনের স্রষ্টা, এসইও অপটিমাইজার এবং পারফরম্যান্স-বুস্টিং এক্সপার্ট। ২০১৫ সাল থেকেই তিনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে আসছেন, ইতোমধ্যে হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন বিশ্বজুড়ে ক্লায়েন্টদের জন্য।

নাসিম মিয়া শুধু কোড লেখায় দক্ষ নন, তিনি একাধারে একজন কমিউনিটি অর্গানাইজার, প্রশিক্ষক ও মোটিভেটর। মালয়েশিয়ার ওয়ার্ডপ্রেস মিটআপ ও ওয়ার্ডক্যাম্প আয়োজনের সঙ্গে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত। নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে তিনি নিয়মিত আয়োজন করেন কর্মশালা ও মিটআপ, যেখানে নবীন ও অভিজ্ঞ ডেভেলপারদের মধ্যে হয় অভিজ্ঞতা বিনিময়।

নাসিম মিয়ার এই স্বীকৃতি শুধু তার একক প্রচেষ্টার ফসল নয়, এটি গোটা বাংলাদেশের জন্য এক গৌরবের মুহূর্ত। প্রবাসে থেকেও তিনি প্রমাণ করেছেন, একজন ব্যক্তি চাইলে কীভাবে নিজ দেশের নাম বিশ্বমানচিত্রে তুলে ধরতে পারেন। তার এই সাফল্য তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে— বিশেষ করে যারা প্রযুক্তিকে পেশা ও সম্ভাবনার মাধ্যম হিসেবে নিতে চান।

আজ নাসিম মিয়া শুধু একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার নন, তিনি বাংলাদেশের প্রযুক্তি সম্ভাবনার এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি। তার এই অর্জন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মেধা ও পরিশ্রমের কোনো ভৌগোলিক সীমা নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গুলশানের একটি সড়কের নতুন নাম ‘ফেলানী এভিনিউ’

এসএসসি পাসেই বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরি, পাবেন যেসব সুবিধা

দল মত নির্বিশেষে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান সেলিমুজ্জামানের

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

তৈরি পোশাক খাতে নারী নেতৃত্ব অগ্রগতিতে অংশীজনদের আহ্বান

ছাত্রীর টিফিন বক্স থেকে পথ কুকুরদের খাওয়ানোর দৃশ্য ভাইরাল

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি বাতিল

কোন ব্যথায় গরম সেঁক, কোন ব্যথায় ঠান্ডা? জানুন সঠিক পদ্ধতি

সিআইডি কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতকারী পলাতক সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাউশির জরুরি নির্দেশনা

১০

খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি, স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

১১

পোস্টাল ব্যালটে থাকছে না ৪ দলের প্রতীক

১২

অপরাধ দমনে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

১৩

বাজারের অবিক্রীত মোবাইল ফোন নিয়ে বিশেষ বার্তা বিটিআরসির

১৪

ঢাবির চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

১৫

২০২৫ সালে গুগলে যে ১৫টি স্বাস্থ্য প্রশ্ন বেশি খুঁজেছেন ভারতীয়রা

১৬

ফেসবুকে রিচ কমে যাওয়ায় মিথ্যা ‘বিয়ে’র পোস্ট অভিনেতার

১৭

যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় শঙ্কায় বিশ্বকাপে ১৯ দেশের অংশগ্রহণ

১৮

দেশে কোটিপতি বাড়ার কারণ জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

১৯

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৩ জানুয়ারি 

২০
X