শেখ হাসিনার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওঙ। মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে গণভবনে তিনি এই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে মালয়েশিয়ার একটি বিমানে দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওঙ। গত তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর এটি। সোমবার (২০ মে) অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পেনি ওঙের সফর নিয়ে একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে। এতে পেনি ওঙ বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে আমি এ সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করতে যাচ্ছি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যেতে পারব। তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন, অঞ্চলভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো চ্যালেঞ্জগুলোর বাস্তবমুখী সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। বিষয়গুলো নিয়ে ঢাকায় আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও বাংলাদেশ সরকারের অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করব। অপরদিকে পেনি ওঙের সঙ্গে আজ বিকেলে বৈঠক হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
১০ ঘণ্টা আগে

অটোরিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানতেন না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে তাদের জীবিকায় হাত দেওয়া উচিত হয়নি। তিনি বলেন, একটি বিধিমালার মাধ্যমে অটোরিকশাচালকদের নিয়মের মধ্যে আনা হবে। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এসব যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তা এবং গতিসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। সোমবার (২০ মে) মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রাজধানীসহ বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জানতেন না। জীবন-জীবিকার স্বার্থে বিষয়টি অমানবিক হবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী অটোরিকশা চলাচলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উল্লেখ করে সচিব আরও বলেন, অটোরিকশা চলাচলে একটি নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা (রেগুলেটরি বডি) গঠন করে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেইসঙ্গে চালকদের প্রশিক্ষণ ও অটোরিকশার ডিজাইন করে দিতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের বাজারে মেহনতি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা এবং বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করে, দ্রব্যমূল্যের কথা চিন্তা করে সিটি এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে দেশের ২২টি মহাসড়কে এসব রিকশা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার আগে, বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না। এগুলো চলতে যেন না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এমন ঘোষণা আসার পরেই অভিযান শুরু করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, ওইদিন বিকেল থেকে শনিবার পর্যন্ত ২ হাজার ২৪১টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ২৩৯টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ১১৩টি ইজিবাইক জব্দ করার পর ডাম্পিং করা হয়। চালকদের ভাষ্য, এতে রুটি-রুজির ওপরে আঘাত এসেছে। এর প্রতিবাদে রোববার (১৯ মে) রাস্তায় নামেন অটোরিকশাচালকরা। রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন চালকরা। এ সময় মিরপুর ও পল্লবীর কালশীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। বিকেলে কালশীর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ চালকরা। এর আগে সকালে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষাভ করে তারা। এ সময় ১০-১২টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। দীর্ঘ সময় সেখানে যান চলাচল বন্ধ থাকায় যানজটে দুর্ভোগে পড়েন অনেকে। থেমে থেমে দিনভর মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক বন্ধ করে প্রতিবাদ করে অটোরিকশাচালকরা। তাদের বিক্ষোভের কারণে রাত পর্যন্ত যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে।
২০ মে, ২০২৪

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) এ আবেদন করা হয়। আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান এ আবেদন করেন। সোমবার (২০ মে) তিনি নিজেই তথ্যটি জানান। এ ছাড়া আদালতের ওয়েবসাইটে আবেদনের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, নেতানিয়াহু ছাড়াও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের দল হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন- ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, গাজা উপত্যকার ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার, সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেডের কমান্ডার-ইন-চিফ মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল মাসরি ও হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। আবেদনে করিম খান বলেন, উভয়পক্ষের এ ব্যক্তিরা গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ভার বহন করেছেন। এটি বিশ্বাস করার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ তার কাছে আছে। হামাস যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রবেশ করে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা করে। তারা শত শত ইসরায়েলিকে হত্যা, লুটপাট, বেসামরিকদের সম্পদ ধ্বংসের পর ২৪৫ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে।  এসব অপরাধ প্রমাণে সিসিটিভি ফুটেজ, বিশ্বাসযোগ্য অডিও, ভিডিও, ছবি, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা, বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে। অপরদিকে গাজায় চলমান যুদ্ধপরাধে দায়ী নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট। তারা নির্বিচারে হামলা করে মানুষ মারছে। গাজায় এমনভাবে বোমা ফেলা হচ্ছে যেন সেখানে কোনো মানুষই নেই। এ ছাড়া সেখানে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল; যা যুদ্ধপরাধ। চলমান গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া গাজার ৭০ শতাংশ বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে নেতানিয়াহুর বাহিনী।  গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এসব নিহতদের অস্ত্রধারী হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। নিয়ম অনুযায়ী আইসিসির বিচারকরা আবেদনটি পর্যালোচনা করবেন। এতে তাদের কাছে প্রমাণগুলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার জন্য যথেষ্ট মনে হলে রায় আসবে। অন্যথায় আবেদনটি খারিজ হয়ে যাবে। বিবিসি বলছে, আইসিসির প্রসিকিউটর গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধ করা এবং বিচারকরা এটির ওপর রায় দেওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধানের বাধ্যবাধকতা নেই। মাঝে মধ্যে কয়েক সপ্তাহ এবং এমনকি কয়েক মাস কেটে যেতে পারে।
২০ মে, ২০২৪

ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে, দেশের ২২টি মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি। সোমবার (২০ মে) দুপুরে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওলামা লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা একথা জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্মূল্যের বাজারে মেহেনতি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের কথা চিন্তা করে সিটি এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা কে এম আব্দুল মমিন সিরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা প্রমুখ।
২০ মে, ২০২৪

ভিক্ষা করে চলবে না দেশের মানুষ : প্রধানমন্ত্রী
কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমি কৃষির ওপর গুরুত্ব দেই, আলাদা বাজেট রাখি। সে সময় দেশকে প্রথম খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। ২০০৯ আবার ক্ষমতায় এসে দেখি খাদ্যসংকটে দেশ। এখানে নীতির ব্যাপারে একটা প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, আমি যেদিন সংসদে বলেছিলাম দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তখন বিরোধী দলের সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে খাদ্য সাহায্য পাওয়া যাবে না। তখন আমি উঠে বললাম, কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। আমরা সম্মান নিয়ে চলতে চাই। কারণ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার মাটি আছে, মানুষ আছে। এ সোনার মাটি আর মানুষ দিয়েই তো আমি সোনার বাংলা গড়ে তুলব। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি মানুষের উদ্যম এবং কর্মক্ষমতাকে যদি কাজে লাগাতে পারি তাহলে এ সোনার মানুষগুলোই সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯-২৩ এ বাংলাদেশ বদলে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে, পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে। মানুষের উদ্যম কাজে লাগাতে পারলেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। এসএমই উদ্যোক্তারা একক বা যৌথভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে। নারী-পুরুষকে সমানভাবে উদ্যোক্তা করতে পারলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, শিল্পকে পরিবেশবান্ধব হতে হবে। শিল্পখাত একান্তভাবে পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত। যারা যেখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন,  শিল্পের বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে। আমাদের পানি যেন কোনোভাবেই দূষিত না হয়। খরচ কমাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, শুধু পণ্য উৎপাদন করলেই হবে না। পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য বাজারজাতকরণের প্রতিও নজর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মহামারি করোনার কারণে সব কাজ বন্ধ, রপ্তানি বন্ধ, আমদানি বন্ধ সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি এবং নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশেও এ ধাক্কাটা এসে পড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত আছে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের যুদ্ধ। বিদেশ থেকে যে পণ্যগুলো আমদানি করতে হয় তার প্রত্যেকটার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার একটা প্রভাব পড়েছে আমাদের দেশে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। এটা করতে পারব, যখন আমরা নিজস্ব উৎপাদন বাড়াতে পারব। এ মেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় তিন শতাধিক উদ্যোক্তা অংশ নেন। মেলায় প্রায় ৬০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তা। এসএমই মেলায় ১০০ শতাংশ দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হবে। এবারের মেলায় সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করবে। একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে বেশকিছু ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের হাতে ক্রেস্ট ও অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেটসহ জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে স্বপ্না রানী সেন জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ জেতার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এবারের মেলায় পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এ ছাড়া ৪২টি প্রতিষ্ঠান পাটজাত পণ্য, ৩৮টি প্রতিষ্ঠান হস্তশিল্প, ৩২টি প্রতিষ্ঠান চামড়াজাত পণ্য এবং ২৭টি প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য প্রদর্শন করবে। এ ছাড়াও ২৩টি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, ১৪টি খাদ্যপণ্য, ১৩টি আইটিভিত্তিক পরিষেবা, ১২টি এসএমই ক্লাস্টার উদ্যোক্তা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মেলায় অংশ নেবে, ৫টি ভেষজ শিল্পের পণ্য এবং ৫টি প্রতিষ্ঠান গয়না পণ্য প্রদর্শন করবে। ৪টি স্টলে প্লাস্টিক পণ্য, ৩টি ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস সেক্টর, ৩টি আসবাবপত্র এবং ১৯টি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করবে। এ ছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাব এবং প্রায় ৫০টি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণকারীদের সেবা প্রদান করবে। এসএমই ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ঢাকা ও চট্টগ্রামের এসএমই বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারগুলো তাদের কার্যক্রম প্রদর্শন করবে। উইন্ডি টাউন হলে সহজ অর্থায়ন, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি, আইসিটি এবং ক্লাস্টার উন্নয়ন বিষয়ে ৬টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ মে, ২০২৪

বন্ধু হারাচ্ছে ইসরায়েল, চাপে নেতানিয়াহু
একে একে হাত ছাড়ছে মিত্ররা। আর তাই ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকলেও ইউরোপে পায়ে নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে ইসরায়েলের। নেতানিয়াহুর পশ্চিমা বন্ধুরা এখন তার টুঁটি চেপে ধরেছেন। তাই বুঝি শেষ রক্ষা হচ্ছে না, ক্ষমতার লোভে মসনদ আঁকড়ে থাকা নেতানিয়াহুর। সারা দুনিয়া একদিকে আর নেতানিয়াহু একদিকে। কারও কথা গায়েই মাখছেন না তিনি। গাজায় নিরপরাধ নারী ও শিশুসহ প্রায় ৩৫ হাজার মানুষকে হত্যার কুশীলব নেতানিয়াহুকে, কেউই যেন থামাতে পারছে না। তবে বিশ্বজুড়ে চাপ বাড়ছে নেতানিয়াহুর ওপর। ঘরের ভেতরও জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। এবার সম্ভবত সবচেয়ে বড় ধাক্কাটাই খেতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি ইসরায়েলি সরকারকে একটি চিঠি লিখেছে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার ওই চিঠিটি দেখেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গাজায় যেন আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে ইসরায়েল। আর মানবিক সহায়তা নিশ্চিতেও ইসরায়েলি সরকারকে চাপ দিয়েছে বিশ্বের শক্তিশালী এসব দেশ। তাই মনে করা হচ্ছে, এবার ভালোই চাপে পড়বেন নেতানিয়াহু। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ফোরাম, গ্রুপ সেভেনের সদস্য দেশ- কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্য ওই চিঠিতে সই করেছে। তবে পিঠ টান দিয়েছে গ্রুপের অন্যতম সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। গ্রুপ সেভেনের বাইরেও অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড চিঠিতে সই করেছে। এসব দেশের অধিকাংশের কাছ থেকেই অস্ত্র আমদানি করে ইসরায়েল। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নেতানিয়াহু সরকার। সেখানে থাকা হামাসের যোদ্ধাদের নির্মূল করতে চায় তেল আবিব। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, এতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। কেননা গেল প্রায় সাত মাস ধরে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলার কারণে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। চিঠিতে ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা জানায়, নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে গেলেও দেশটিকে পুরোপুরিভাবে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে। গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতর ঢুকে হামাসের হামলার ঘটনার পর একই মাসের শেষদিকে নেতানিয়াহু প্রশাসন পাল্টা পদক্ষেপ নেয়, তবে তা অনেক ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা রাফায় পূর্ণমাত্রার অভিযানের বিরোধী। একই সঙ্গে গাজার জনগোষ্ঠীর কাছে যেন ত্রাণ পৌঁছে সেটাও নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে তারা। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, তারা গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে না। যদিও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এর ভিন্ন চিত্রই দেখা মিলছে।
১৮ মে, ২০২৪

৬ তারিখে বাজেট দেব, বাস্তবায়নও করব : প্রধানমন্ত্রী
আমরা ৬ তারিখে বাজেট দেব, বাস্তবায়নও করব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশি-বিদেশি নানা কারণে জিডিপি হয়তো কিছুটা কমবে, তবে তা উত্তরণ করতে পারব। শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে। যারা একবেলা ভাত খেতে পারত না, তারা চারবেলা খায়। আগে হাটবারের বাইরে কিছু পাওয়া যেত না, এখন সুপার মার্কেট হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে, শিল্প কলকারখানা বাড়ছে। শেখ হাসিনা বলেন, অনেকের অনেক বড় বড় ডিগ্রি আছে। আমার কিন্তু তা নেই। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেছি। অর্থনীতির সুক্ষ ও জটিল বিষয়াদি আপনাদের মতো আমি বুঝি না। এতটুকু বুঝি কীভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়। কীভাবে মানুষের উপকার হবে। তিনি বলেন, আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকেই আমি এটা শেখেছি। তিনি তো বেশিরভাগ সময়ই জেলে থাকতেন। যতক্ষণ বাইরে থাকতেন। আমাদের সঙ্গে গল্প করতেন- কীভাবে তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চান, কীভাবে গ্রামগুলোকে সাজাবেন।   প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে, চেয়েছিলেন এ দেশে মানুষ অন্তত দুই বেলা দুই মুঠো খেয়ে বাঁচবে, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ পাবে। উন্নত জীবন পাবে, এটাই ছিল তার স্বপ্ন। 
১৭ মে, ২০২৪

যারা একবেলা খেতে পারত না, তারা চারবেলা খায় : প্রধানমন্ত্রী
গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে। যারা একবেলা ভাত খেতে পারত না, তারা চারবেলা খায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন, আগে হাটবারের বাইরে কিছু পাওয়া যেত না, এখন সুপার মার্কেট হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে, শিল্প কলকারখানা বাড়ছে। শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, অনেকের অনেক বড় বড় ডিগ্রি আছে। আমার কিন্তু তা নেই। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেছি। অর্থনীতির সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়াদি আপনাদের মতো আমি বুঝি না। এতটুকু বুঝি কীভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়। কীভাবে মানুষের উপকার হবে। তিনি বলেন, আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকেই আমি এটা শেখেছি। তিনি তো বেশিরভাগ সময়ই জেলে থাকতেন। যতক্ষণ বাইরে থাকতেন। আমাদের সঙ্গে গল্প করতেন- কীভাবে তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চান, কীভাবে গ্রামগুলোকে সাজাবেন।   প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে, চেয়েছিলেন এ দেশে মানুষ অন্তত দুই বেলা দুই মুঠো খেয়ে বাঁচবে, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ পাবে। উন্নত জীবন পাবে, এটাই ছিল তার স্বপ্ন। 
১৭ মে, ২০২৪

আ.লীগ সরকার টেলিযোগাযোগ খাতকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করেছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার টেলিযোগাযোগ খাতের সব সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করেছে। ইন্টারনেট ডেনসিটি ও সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে নতুন সাবমেরিন ক্যাবল। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে। রূপকল্প-২০২১ ঘোষণার পর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ফোর-জি প্রযুক্তি চালু করেছি। ফাইভ-জি প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা চালু করার প্রস্তুতি চলছে। দেশের প্রায় শতভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। জনগণ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র, উপজেলা ই-সেন্টার এবং জেলা ই-সেবা কেন্দ্র ছাড়াও মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির সেবাগ্রহণ করছে। শেখ হাসিনা বলেন, সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণের ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এসেছে ফাইভ-জি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি। আর এগুলোকে জনকল্যাণে ব্যবহার করাই হচ্ছে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। শেখ হাসিনা আরও বলেন, জনগণকে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে। যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন এবং এর ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। এ খাতের সুষ্ঠু বিকাশে প্রণয়ন করা হয়েছে আইসিটি নীতিমালা, আইসিটি আইন, তথ্য নিরাপত্তা গাইডলাইন ও তথ্য অধিকার আইন। তিনি বলেন, আমরা ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটি স্থাপন করেছি। এর ফলে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন গ্রোথ সেন্টারসমূহে অর্থাৎ প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় চক্ষু ও টেলিমেডিসিন সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। করোনার ভয়াবহতম সময়ে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সিং চালু থাকার ফলে খুব অল্প সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং সরকারি দিকনির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির বহুল ব্যবহারের ফলে সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।   শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে পদার্পণ করেছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা ঘরে তুলতে এবং জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে আমি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই। আসুন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা উন্নততর তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ পরিণত করি।
১৭ মে, ২০২৪

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলাধুনা হলেন নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের তোপের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনার প্রশ্নে সরকারের ব্যর্থতার জন্য খোলাখুলি হতাশা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এতে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে সামরিক অভিযানের দিকনির্দেশনা নিয়ে বিভক্তি প্রকাশ্যে এলো। ইসরায়েলের নেতাদের মধ্যে এ ধরনের বিভক্তি খুবই বিরল। এক সভায় গ্যালান্ট প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে জনসমক্ষে যুদ্ধপরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে ঘোষণা দিতে বলেন। তিনি বলেন, গাজায় যে ইসরায়েলের বেসামরিক বা সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো পরিকল্পনা নেই তা জনসম্মুখে নেতানিয়াহু বলে দিক। তিনি রাগান্বিত সুরে বলেন, অক্টোবর থেকে আমি মন্ত্রিসভায় এই বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে উত্থাপন করছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। এতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহের কার্যকলাপ তুলে ধরেন। নেতানিয়াহু জানান, তিনি ‘ফাতাহস্তানের’ কাছে ‘হামাস্তান’ দিয়ে দিতে এখনই প্রস্তুত নন।  ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, সিদ্ধান্তহীনতা গাজায় কেবল দুটি খারাপ বিকল্প রেখে যাবে। ইসরায়েলের অভিযান শেষে হামাসই গাজা শাসন করবে। নয়তো ইসরায়েলি সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। হতে পারে, আমাদের সামরিক অর্জনগুলো ক্ষয় হয়ে যাবে। হামাসের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি কাঠামো অর্জনের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করবে। যুদ্ধ মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য বেনি গ্যান্টজ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করেন। এ সদস্য এর আগেও নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘গ্যালান্ট সত্য কথা বলেছেন। যে কোনো মূল্যে দেশের জন্য সঠিক কাজ করা নেতৃত্বের (নেতানিয়াহুর) দায়িত্ব।’ এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও গ্যালান্টের সুরে কথা বলেছেন। গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ইসরায়েলের একটি পরিষ্কার এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা প্রয়াজন বলে তিনি মনে করেন। বুধবার (১৫ মে) কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে আমরা সমর্থন করি না এবং করবও না। অবশ্যই আমরা গাজায় হামাস শাসনকেও সমর্থন করি না।’ এ বিষয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনায় আসতে ইসরায়েলকে তাগিদ দেন তিনি।
১৬ মে, ২০২৪
X