আ.লীগের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করাটাই চ্যালেঞ্জ : মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকলে পুরো দেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ জাতিকে এবং দেশকে অসুস্থতা থেকে মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।  শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মাজার জিয়ারত করেন মির্জা আব্বাস। এসময় সমবেত নেতাকর্মীদের নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার আন্দোলন সফলে শপথবাক্য পাঠ করান মির্জা আব্বাস। দীর্ঘদিন পর জিয়াউর রহমানের মাজারে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির বিগত কমিটির নেতা, বিভিন্ন থানা এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ছাড়াও মহানগর ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী জমায়েত হন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন, যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী প্রমুখ। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি। সবাই শপথ নিলেন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকলে পুরো দেশ অসুস্থ হয়ে যায়। তিনি এখন মারাত্মক অসুস্থ। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন বেগম খালেদা জিয়াকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে যা করা দরকার মহানগর বিএনপি নেতারা আগামীতে তা করবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলন যৌক্তিক ও ন্যায্য। বিএনপি সমর্থন দিয়েছে বলেই আসল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চায়। এটা তাদের অপকৌশল। আমরা আশংকা করছি এই আন্দোলনের ফাঁক দিয়ে সরকার কোনো অপকর্ম বা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে কিনা। তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। বরং সরকার আন্দোলন নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র করেছে। অনেক নেতাকর্মী দলে দলে কারাগারে গেছেন। আবার বের হচ্ছে আবার জেলে যাচ্ছে। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। অনেকেই গুলি খেয়েছেন। সুতরাং আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি। বিএনপির এখন চ্যালেঞ্জ কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে গণতন্ত্র স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কিছুই থাকবে না। সুতরাং এ হায়েনা সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। উল্লেখ্য যে, গত ৭ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির দুই সদস্যের নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবকে আহ্বায়ক ও বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্য সচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আহ্বায়ক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনকে সদস্য সচিব করা হয়।
১৩ জুলাই, ২০২৪

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দরকার রাজনৈতিক দাওয়াই : মির্জা আব্বাস
বিএনপির চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনা করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা কদিন পর পর দোয়া করছি। তবে দোয়া মাহফিল রাজনীতির অংশ নয়। ধর্মীয় অংশ হিসেবে আমরা দোয়া করব। আর দোয়ার সঙ্গে দাওয়াইও লাগবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে ধর্মীয় অংশের বাইরে রাজনৈতিক অংশ হিসেবে দাওয়াইও লাগবে। কারণ রাজনৈতিক দাওয়াবিহীন খালেদা জিয়া মুক্ত হবে না।  বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বাদ আসর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।  যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে শরিক হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের নতুন সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম পল, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল, মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজসহ যুবদলের বিগত কমিটির অসংখ্য নেতাকর্মী। শেষে দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের সদস্যসচিব মাওলানা আবুল হোসেন। মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়া যতবারই ক্ষমতায় এসেছেন ততবারই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যুবদলের একটি ভালো ভূমিকা ছিল। ওইসময় আমি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকত উল্লাহ বুলু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। আমাদের সফলতা ছিল এটুকু যে, সবসময় একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের সঙ্গে মূল দল বিএনপিসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনগুলো ছিল। একে অপরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। আমরা আন্দোলন করে একে একে তিনবার বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিলাম। তিনি বলেন, এখন আমাদের প্রত্যাশা হলো এখনকার যুবদলের একটা বিশাল পরীক্ষা হবে, তারা এই দলকে ক্ষমতায় কতদূর নিয়ে যেতে পারবে? এমনকি এই দেশের গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হলো আমাদের লক্ষ্য। সবার আগে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এরপর আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এখন নতুন নতুন কমিটি হচ্ছে। সকল নতুন কমিটির এটাই হলো কাজ। কারণ এই কমিটিগুলোর পরিবর্তন একটা আশা করেই করা হয়েছে কিন্তু। কাউকে পদ-পদবি বেঁচাকেনার জন্য দেওয়া হয় নাই। এই কমিটি এই দলকে নতুন জীবন দান করবে, এই আশা করেই কমিটি করা হয়েছে। যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার জন্য দোয়া করছি আল্লাহ যেন গণতন্ত্রের মাতাকে সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন। একইসঙ্গে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দোয়া কামনা করছি। দোয়া মাহফিলে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এমএ গাফ্ফার, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১১ জুলাই, ২০২৪

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কোনো ছাড় নয় : মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া কোনোমতে বেঁচে আছেন। আমরা তার মুক্তির দাবিতে কোনো ছাড় দেব না। কোনো আপস করব না। আর চিকিৎসার কথা বলি না। ক্লান্ত হয়ে গেছি। শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের একমাত্র দাবি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা জরুরি। আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না। অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে ছাড়া গণতন্ত্র চলতে পারে না। আমরা দোয়া করছি আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুন। সুস্থ করে দিন। তার মুক্তির দাবিতে আরও কর্মসূচি আসবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিকেল পৌনে ৩টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর ২টার আগেই নয়াপল্টন এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। কার্যালয়ের সামনের দু’পাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল। এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।
২৯ জুন, ২০২৪

জনগণের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই : মির্জা আব্বাস
জনগণের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ঈদ বলতে যে আনন্দ বোঝায় তা গত দেড় যুগ ধরেই জনগণের মধ্যে নেই। সোমবার (১৭ জুন) ঈদের নামাজ শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।  মির্জা আব্বাস বলেন, ঈদ আবরি শব্দ। যার বাংলা অর্থ হলো খুশি। এই খুশি উপভোগ করার মনমানসিকতা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে নেই। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে কোরবানি দিচ্ছে। আমার বাড়ির (শাহজাহানপুর) পাশে কোরবানির পশুর হাট ছিল। দেখলাম বেশ কিছু বেপারি তাদের গরু বিক্রি করতে পারেনি। অর্থাৎ টাকার অভাব লক্ষ্য করা গেছে। মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে জনগণের মধ্যে যে কষ্ট এটা বর্তমান সরকারের জন্য। বিনাভোটের সরকারের জন্য। যদি নির্বাচিত সরকার থাকতো তাহলে জনগণের এই কষ্ট হতো না।  ‘জনগণ অক্টোপাসের মতো বন্দি অবস্থায়’ মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে দেশের মানুষ চারদিক থেকে অক্টোপাসের মতো বন্দি অবস্থায় আছে। কী রাজনৈতিক, কী অর্থনৈতিক, কী সামাজিক, কী ভৌগোলিক। আমি যদি ভৌগোলিক অবস্থার কথা বলি আমরা কিন্তু ভালো অবস্থানে নেই, শান্তিতে নেই। সেন্টমার্টিন ঈস্যুতে তিনি বলেন, দ্বীপে আজকে খাদ্য সংকট পড়েছে। একদিকে তো অভাব যদি আমরা নাও বলি… তাহলে সেই দ্বীপ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ওখানে খাদ্য সরবারহ করা যাচ্ছে না। কার ভয়ে?  তিনি বলেন, অথচ ১৯৭৮-৭৯- এর দিকে সালের দিকে এই মিয়ানমার নতজানু হয়ে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি (জিয়াউর রহমান) তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে বিদায় নিয়েছিল। সেই মিয়ানমার আজকে কতটুকু উদ্যোত্ত হয়ে গেছে, তারা আমাদের রাষ্ট্রকে রক্তচক্ষু দেখায়।
১৭ জুন, ২০২৪

দেশকে তলাবিহীন করে ফেলেছে সরকার : মির্জা আব্বাস
‘দুর্নীতি-লুটপাট’ করে সরকার দেশকে ‘তলাবিহীন’ করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।  শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে ‘গণদোয়া’ পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন।  বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই গণদোয়া অনুষ্ঠান হয়। মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থকরা এই দোয়ায় শরিক হন। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজা এই দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন। মির্জা আব্বাস বলেন, একমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সিলেট যুদ্ধ করেছেন সরাসরি নিজে। জিয়াউর রহমানের নাম শুনলেই অনেকের গাত্রদাহ হয়। কারণ যেই কাজটা তাদের করার কথা ছিল ওই কাজটা জিয়াউর রহমান করেছেন। সংক্ষিপ্ত রাষ্ট্র পরিচালনার ইতিহাস শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাত্র সাড়ে তিন বছর। এই সাড়ে তিন বছরে উনি বাংলাদেশকে যা দিয়ে গেছেন তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে যেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। সেই বাংলাদেশকে আবারও তলাবিহীন করে ফেলেছে এই সরকার। মির্জা আব্বাস বলেন, পত্রিকায় দেখলাম ঘুম থেকে উঠেই, এক লিটার জ্বালানি তেলের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বুঝতে পারছেন। এক লিটার তেলের দাম যদি আড়াই টাকা বাড়ায় এমনিতে তো দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। আর আড়াই টাকা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর অর্থ হলো সকল জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া। কত জিনিস আছে বিদ্যুৎ-তেল এগুলোর দাম বাড়লে এটা মানুষের শিরায় শিরায় প্রবেশ করে, প্রতিটা জায়গায় এর প্রভাব পড়ে। মির্জা আব্বাস বলেন, এই বাংলাদেশ এত দুরাবস্থা কেন? এই দেশ আজকে লুটেরাদের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। আমরা আগে শুনতাম বর্গীরা দেশে আসত লুট করে চলে যেতে। এখন বর্গীরাই ক্ষমতায় বসে গেছে। তারা লুট করে চলে যায় না, তারা লুট করে সম্পদ দেশের বাইরে পাচার করে দেয়। সেই বর্গীরা ক্ষমতায় আছে এখন। তিনি বলেন, আজকে এতদিন পরেও যারা একসময় বলেছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নাই, বিএনপিও নাই। যারা ভাবে, বিএনপি থাকবে না কিংবা থাকবে না তাদের মুখে ছাই দিয়ে বিএনপি আল্লাহ রহমতে টিকে আছে এবং বিএনপি টিকে থাকবে আজীবন। বিএনপি মানুষের মননে-মগজে টিকে আছে, টিকে থাকবে এবং ইনশাআল্লাহ এই দেশকে সকল রকমের বালা-মসিবত-বিপদ থেকে রক্ষা করবে। বিএনপির হাতে একমাত্র স্বাধীনতা নিরাপদ কারণ এই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যিনি দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সুতরাং এই একমাত্র বিএনপিই একটা দল যার হাতে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ, অন্য কোনো দলের হাতে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল আলম তেনজিং, যুবদলের মোনায়েম মুন্না, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, মামুন হাসান, মহানগর উত্তর বিএনপির আমিনুল হক, দক্ষিণ বিএনপির নবীউল্লাহ নবী, লিটন মাহমুদ, মোশাররফ হোসেন খোকন, ইউনুস মৃধা, হাজী মনির হোসেন, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
৩১ মে, ২০২৪

খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার : মির্জা আব্বাস
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে সরকার খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। রোববার (২৬ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবনসংগ্রামের ওপর লেখা এক গ্রন্থ প্রকাশনার অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা আব্বাস বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা… যেখানে বাংলাদেশের ডাক্তাররা আশা ছেড়ে দিয়েছেন… তারা বলছেন, তাকে অবিলম্বে বিদেশে নেওয়া দরকার। বারবার বলার পরেও জেনেশুনে একটা মানুষকে কীভাবে হত্যা করা হচ্ছে এটা ইতিহাস সাক্ষী হয়ে থাকবে। যারা ওনাকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না তারা ইতিহাসে অপরাধীর মতো থাকবে।’  তিনি বলেন, ‘এই সরকার বারবার যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং বিএনপির অস্তিত্ব টিকে থাকতে দেবে না। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এই সরকার থাকলে এ দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। আমাদের দেশের মানুষকে যদি সচেতন করতে না পারি, যদি নিজেরা সচেতন না হই তাহলে এই সরকারের হাত থেকে বাঁচতে পারব না।’  এ সময় অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনকে এভারকেয়ার হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার কথা তুলে ধরে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এত নির্দয়-নিষ্ঠুর আচরণ কোনো মানুষ মানুষের সঙ্গে করতে পারে এটা বলা যায় না।’  সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির পরে দেশের মানুষের মধ্যে অনেকে বলেছেন, আর পারলে না… এরা পাঁচ বছরই থাকবে, কেউ কেউ এ রকম করে বলেছেন, যতদিন জীবিত আছে নড়াতে পারবেন না। এখন দেখছি নিজে নিজেই নড়ছে।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা জামান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন প্রাগমেটিক পপুলার লিডার। আজকে তার ওপর জেল-জুলুম-নির্যাতন উনি ভিকটিম হয়েছেন… এটা একটা টর্চার। রাজনীতি করতে গিয়ে উনি বিভিন্ন সরকারের আমলে ভিকটিম হয়েছেন। শেখ হাসিনার আমলে জেলে গিয়েছেন, এরশাদের আমলে জেলে গিয়েছেন, এখন উনি কত বছর ধরে জেলে আছেন…চিকিৎসা করার সুযোগ পাচ্ছেন না। চোখ দেখাতে আমাদের প্রেসিডেন্ট চলে ‍যাচ্ছেন সিঙ্গাপুরে ফ্যামিলিসহ… আরও অনেক নেতা চলে যাচ্ছেন সিঙ্গাপুর, লন্ডন, জার্মানিতে যখন-তখন। অথচ বেগম জিয়াকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা একটা প্রতিশোধ, এটা একটা রেলিভেন্স। এভাবে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।  গুলশানে হোটেল লেকশোরে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ‘র লেখা ইংরেজি গ্রন্থ ‘বেগম খালেদা জিয়া : হার লাইভ, হার স্টোরি’-এর বাংলা সংস্করণ ‘খালেদা জিয়া : জীবন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক গ্রন্থে প্রকাশনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়। ইতি প্রকাশনা ৬৭০ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে। শাহরিয়ার সুলতান ইংরেজি এই গ্রন্থটি অনুবাদ করেন। গ্রন্থটির মূল্য দুই হাজার টাকা।  অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহর সভাপতিত্বে ও কবি আবদুল হাই শিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, গ্রন্থের অনুবাদক শাহরিয়ার সুলতান, ‘ইতি প্রকাশনা’র প্রকাশক জহির দীপ্তি এবং গ্রন্থের লেখক প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ‘র সহধর্মিণী দিনারজাদি বেগম বক্তব্য রাখেন। প্রকাশনার অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামী মজিবুর রহমান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, সাম্যবাদী দল (মার্কবাদী-লেলিনবাদী) হারুন চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের নূরুল হক নূর, জাগপা খন্দকার লুৎফুর রহমান, ইকবাল হোসেন প্রধান, এনডিপির আবু তাহের, পিপলস পার্টির বাবুল সর্দার চাখারি, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ‍গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম,বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকী, বিএনপির আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, মনিরুল হক চৌধুরী, আবদুস সালাম, আফরোজা খানম রীতা, এসএম আবদুল হালিম, হাবিবুর রহমান হাবিব, অধ্যাপক শাহিদা রফিক, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, বিজন কান্তি সরকার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, শ্যমা ওবায়েদ, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস আফরোজা আব্বাস, শিরিন সুলতানা, নিলোফার চৌধুরী মনি, এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজাম, অধ্যাপক আনম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী উপস্থিত ছিলেন। 
২৬ মে, ২০২৪

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন মির্জা আব্বাস
চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং তার সহধর্মিণী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। সেখান থেকে শাহজাহানপুরের বাসায় যান।  বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে, গত ১৪ মে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান তারা। এদিকে, শুক্রবার দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান (অব.) আজিজ আহমেদ ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অংশীদার বর্তমান সরকারও। তিনি বলেন, সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে এই সরকারও তাদের সঙ্গে জড়িত। সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ বর্তমানে সপরিবারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছেন। তার মাধ্যমে ২০১৮ সালে আপনি নদী পার হয়েছিলেন। আপনার একসময়ের পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের সম্পদ এবং ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য বলেছেন কোর্ট। তিনি শুধু আপনার সমর্থকই ছিলেন না, তার ঘাড়ে চেপে আপনারা সরকার গঠন করেছেন। দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে গণতন্ত্র ফোরাম।
২৪ মে, ২০২৪

চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তারা।  মির্জা আব্বাসের সঙ্গে তার সহধর্মিণী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস রয়েছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে তারা সিঙ্গাপুরের কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন সে সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি। এর আগে, গত বছরের ২৬ আগস্ট চিকিৎসার উদ্দেশে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন মির্জা আব্বাস। ২০২২ সালের ২৪ মে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান তিনি। ওই সময় তার স্ত্রী ও সন্তান সঙ্গে ছিলেন।  
১৪ মে, ২০২৪

ভোট দিতে না পারলে নির্বাচনের দরকার নেই : মির্জা আব্বাস
নির্বাচনে ভোট দিতে না পারলে সে নির্বাচনের প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতেও পারবে না সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখ দিয়ে মানায় না। শনিবার (০৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদ। এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিবের মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। সরকারকে উৎখাতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা তো সরকারই দেখি না। এখানে তো নির্বাচন করে সরকার হয়নি। সুতরাং এ সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। মির্জা আব্বাস বলেন, প্রতিদিন আমার বাসায় ৫০ থেকে ১০০ জন অভিভাবক, স্ত্রী-সন্তান আসেন। কেউ বলে আমার বাবা জেলে, কেউ বলে আমার স্বামী জেলে, কেউ বলে আমার ছেলে জেলে, কেউ বলে আমার ভাই জেলে। কতজনের জন্য কথা বলব, আর কতজনের জন্য সান্ত্বনা দিব। তিনি বলেন, ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস। তার দল বিএনপির যে নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুর মিছিলে শামিল হয়েছেন এখন। আল্লাহই জানেন, কয়দিন পরে তার কী হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। মির্জা আব্বাস বলেন, আপনাদের (সরকার) মনে থাকে না, একটা মামলা দিবেন, জেলে পাঠাবেন। আর বলবেন, রাজনৈতিক কোনো রাজবন্দি জেলে নাই। এরা হলো মামলার আসামি। আরে কোন মালমার আসামি? রাজনৈতিক মামলার আসামি। যারা আপনাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বিএনপি নেতা অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, যুবদলের সাবেক সহসভাপতি শহীদুল্লাহ তালুকদার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সহসাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পার্থদেব মন্ডল, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, জয়দেব জয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়ালসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
০৪ মে, ২০২৪

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী : মির্জা আব্বাস
তীব্র গরমের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।  তিনি বলেন, ১১শর বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশোর মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরে ইট কাঠ পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা তা ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।  জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এই কর্মসূচির আয়োজন করে। পরে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গরিব ও সাধারণ মানুষের মাঝে উক্ত সামগ্রী বিতরণ করেন।   জেডআরএফ’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শিক্ষাবিয়ষক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।  অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেডআরএফ’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। এ সময় মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ১নং সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, জেডআরএফ’র ডা. এএস হায়দার পারভেজ, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, প্রকৌশলী আসিফ হোসেন রচি, অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, মিসেস শামিমা রহিম, ডা. এএসএম রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ডা. তানজিম রুবাইয়্যাত আফিফ, ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম তারিকসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  মির্জা আব্বাস বলেন, দেশে প্রচণ্ড গরম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে মানুষ কোথাও না কোথাও মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এই অবস্থা কিন্তু বাংলাদেশে অতীতে ছিল না। এই অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ আমরা আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য। জেডআরএফ শীত, গরমসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে এমন উদ্যোগ নিয়ে থাকে। তিনি বলেন, একজন না কি হিট অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাকে বলব- সরকারকে বলুন ঢাকার চারপাশে খালগুলো খুলে দিতে। ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলুন। না হলে সারা দেশের জন্য পানি আনতে হবে। আজকে ঢাকা শহরসহ দেশকে মরুকরণ করা হচ্ছে। এসব নিয়ে কথা বলুন। তবেই বুঝব আপনি দেশ ও ঢাকাকে ভালোবাসেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, তীব্র দাবদাহে মানুষ রুদ্ধশ্বাস হয়ে উঠেছে। শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে জেডআরএফ। কারণ রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য মানবসেবা। যার নেতৃত্বে রয়েছেন তারেক রহমান। 
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
X