তেঁতুলিয়ায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তবে বিগত কিছুদিন ধরে তাপমাত্রা ৮-৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। স্থানীয়ভাবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলে যায়।   হিমেল বাতাস ও কনকনে শীতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে জনজীবনে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রিকশা-ভ্যান চালকসহ শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন আয় কমে গেছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে বাড়ির আশপাশে এবং পথঘাটে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.রাশেল শাহ্ বলেন,আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মাসে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। 
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত
হিমালয়ঘেঁষা দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। অন্যান্য জেলার তুলনায় তেঁতুলিয়া উপজেলায় শীতের প্রকোপ একটু বেশি হয় এ অঞ্চলটিতে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৬ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরের হিমেল বাতাসে তেঁতুলিয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বিকেল থেকেই উত্তর দিক থেকে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে। চারপাশে কুয়াচ্ছন্ন পরিবেশের সঙ্গে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ৷ শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চা-পাথর, রিকশা-ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন আয় কমে গেছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের।  এই কনকনে শীতে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে বাড়ির আশপাশে এবং পথঘাটে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বলেন, আজ সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। 
০৫ জানুয়ারি, ২০২৪

সপ্তাহের শেষে আসতে পারে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
পৌষ আসতে আরও কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে সারা দেশে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। গতকাল সোমবার রাজধানীবাসী মৌসুমের প্রথম শীত অনুভব করে। রাজধানী ঢাকাসহ এর আশপাশের এলাকায় সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি বললেই চলে। হালকা কুয়াশার সঙ্গে ছিল কনকনে ঠান্ডা। কেউ শীতের কাপড় ছাড়া বাইরে বের হননি। তবে দেশের উত্তরের জনপদে অপেক্ষাকৃত বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ মঙ্গলবার থেকে রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। বুধবার রাতের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এতে শীতের অনুভূতি আরেকটু বাড়বে। তবে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে চলতি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সারা দেশের তাপমাত্রা কমে যায়। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গত ৩ ডিসেম্বর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে এসেছিল। গতকাল সকাল ৬টায় নওগাঁর বদলগাছিতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, ডিসেম্বরে সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে থাকে। এদিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা নেমেছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। আর রাজশাহী জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা জেলার তাপমাত্রা নেমেছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। ১৩ ডিগ্রির ঘরে নেমেছে ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলার তাপমাত্রা। জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি, সৈয়দপুরে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি, ডিমলায় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ১৪ ডিগ্রির ঘরে নেমেছে ফরিদপুর, মাদারীপুর, বগুড়া, রাজারহাট, শ্রীমঙ্গল, সাতক্ষীরা, কুমারখালী ও বরিশালের তাপমাত্রা। মিগজাউমের প্রভাবে বৃষ্টি বন্ধ হলেও আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, ঝড়ের রেশ এখনো রয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আর্দ্রতা বয়ে নিয়ে আসে। সাধারণত রোদের প্রভাবে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়; কিন্তু এবার এখনো তা হয়নি। যে কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে অন্য অঞ্চলগুলো। আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির কালবেলাকে বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। দেশের অন্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহের শেষ ভাগে, অর্থাৎ ১৪-১৫ ডিসেম্বরের দিকে দেশের উত্তর-উত্তরপশ্চিম অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এসব এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩
X