Sat, 27 Jul, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ আনন্দ ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
Kalbela
image/svg+xml
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
বিএনপিসহ বিরোধী নেতারা ফের গ্রেপ্তার আতঙ্কে
৬ মিনিট আগে
পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা
৯ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা-মারধর
৯ ঘণ্টা আগে
নাসিক কাউন্সিলর ইসরাফিল প্রধান গ্রেপ্তার
৯ ঘণ্টা আগে
মোটরসাইকেলের সঙ্গে শিয়ালের ধাক্কায় প্রাণ গেল স্কুলশিক্ষিকার
৯ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ২৭ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে যে শর্ত দিল লেবাননের যোদ্ধারা
ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে লেবানন সীমান্তেও। দেশটির প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। এতে প্রাণও হারিয়েছে কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা। এবার গোষ্ঠীটি ইসরায়েলে হামলা বন্ধে শর্তের কথা জানিয়েছে। বুধবার (০৩ জুলাই) বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা নাইম কাসেম বার্তা সংস্থা এপির এক সাক্ষাৎকারে এ শর্তের কথা জানান। তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করবে। নাইম কাসেম বলেন, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হলো ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর বড় ধরনের সংঘাত এড়ানোর একমাত্র পথ। গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে কোনো আলোচনা ছাড়াই ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করে দিবে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর এ নেতা বলেন, কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছাড়াই ইসরায়েল সামরিক অভিযান বন্ধ ও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে তাহলে লেবানন ইসরায়েল সীমান্তে তুলনামূলক কম সংঘর্ষ হবে। তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধবিরতি না কিংবা যুদ্ধ ও যুদ্ধ না এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে আমরা এখনো এর প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কারণ আমরা এর আকার ও ফলাফল কী হবে তা আমাদের জানা নেই। নাইম কাসেম বলেন ইসরায়েলের বর্তমানে লেবাননে একটি পূর্ণ যুদ্ধ শুরু করার সক্ষমতা বা এমন সিদ্ধান্ত নেই। ইসরায়েল যদি লেবাননে সীমিত আকারে সংঘাত বা বড় ধরনের যুদ্ধ ঠেকিয়ে রাখতে চায় তাহলে যুদ্ধ সীমিত থাকবে এমন আশা তেল আবিবের করা উচিত নয় বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, ইসরায়েল সীমিত যুদ্ধ, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বা আংশিক যুদ্ধের যে কোনো কিছু বেছে নিতে পরে। তবে দেশটির এ আশা উচিত নয়- আমাদের প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরোধ ইসরায়েলের নির্ধারিত সীমা ও নিয়মে আটকে থাকবে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনের সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েল সীমান্তে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির আধুনিক অস্ত্র, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েল বেশ চাপের মুখে পড়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুসারে, দেশটির উত্তর সীমান্ত এরই মধ্যে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া হামলা পালটা হামলার কারণে এলাকা থেকে হাজার হাজার ইসরায়েলি পালিয়ে গেছেন।
০৩ জুলাই, ২০২৪
নতুন কোচের শর্ত শুনে অবসরে রোহিত!
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অপরাজিতভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে ভারত। দলের সবাই যখন আনন্দে আত্মহারা তখন বোমা ফাটানো বিরাট কোহলি। ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে এসে জানান বিশ্বকাপের ফাইনালই তার শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এরপর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে একই কথা বলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপরই ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, এখনই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিতে হবে ভাবতে পারিনি তিনি। অনেকটা পরিস্থিতির চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতেই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কী সম্ভাব্য নতুন কোচ গৌতম গম্ভীরের শর্তের কথা শুনেই এই সিদ্ধান্ত রোহিতের? শনিবার (২৯ জুন) ম্যাচের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে রোহিত শর্মার একটি ভিডিও। যদিও ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হয়নি। Rohit Sharma: "I was not in the mood to retire from T20I, but the situation has arisen, so I decided to do so." Is he targeting Gambhir? Perhaps he is thinking of building a new team. He might have thought of retiring on his own. pic.twitter.com/bD47G9UXUV — Jod Insane (@jod_insane) June 30, 2024 সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে রোহিতকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ভাবিনি যে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেব। কিন্তু পরিস্থিতি এমন, করতেই হলো। আমার মনে হয় সরে যাওয়ার জন্য এটাই সেরা পরিস্থিতি। বিশ্বকাপ জিতে বিদায় জানানোর মতো ভালো আর কিছুতেই নেই।’ ভক্তদের প্রশ্ন কী এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন রোহিত শর্মা। সম্প্রতি ভারতীয় জাতীয় দলের প্রধান কোচের পদের জন্য সাক্ষাৎকার দিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। প্রধান কোচের দায়িত্ব নিতে ভারতের সাবেক এই ওপেনার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে (বিসিসিআই) ৫টি শর্ত দিয়েছেন। এর মধ্যে তিন নম্বরে রয়েছে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আর সিনিয়ার ক্রিকেটার রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ সামিকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। ভারতকে আইসিসির টুর্নামেন্টটিতে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারেন, চিরকালের জন্য জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে তাদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর একে একে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন রোহিত, কোহলি ও জাদেজা। টি-টোয়েন্টি ছাড়লেও অন্য দুই ফরমেটে খেলা চালিয়ে যাবেন তারা। এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে বিসিসিআইয়ের প্রধান রজার বিনি জানান গৌতম গম্ভীর হতে যাচ্ছেন ভারতের পরবর্তী কোচ। গম্ভীরের শর্ত কতটুকু প্রভাব ফেলবে দলে, সময়ই বলে দেবে। তবে একের পর এক তারকা ক্রিকেটারদের অবসরের ঘোষণা কিছুটা অস্বাভাবিক লাগছে সমর্থকদের কাছে!
৩০ জুন, ২০২৪
লাখেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক নেবে মালদ্বীপ, শর্ত পূরণ হলেই ভিসা
এবার বাংলাদেশের শ্রমবাজারের জন্য আরেক সম্ভাবনার দ্বার খুলছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এশিয়ার এই দেশটি বাংলাদেশ থেকে আবারও শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় কতদিন এই বাজার ধরে রাখতে পারবে বাংলাদেশ। এর আগেও বাংলাদেশি এজেন্সির নানা দুর্নীতির কারণে এই বাজার একাধিকবার হাতছাড়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে লাখের বেশি শ্রমিক নিতে চায় মালদ্বীপ কিন্তু তাতে কিছু শর্ত দিয়েছেও দীপ রাষ্ট্রটি। এই মুহূর্তে তীব্র শ্রমিক সংকট চলছে সেখানে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের সীমাবদ্ধতা তুলে দিতে চায় দেশটির সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান মত দিয়েছেন, এটি করা না হলে তারা শ্রমিকের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন না। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মালদ্বীপের সান পত্রিকা। তাতে বলা হয়, মঙ্গলবার মালদ্বীপ সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে একটি বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান বলেছেন, বর্তমান নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা লাখের ঘরে পৌঁছে যাবে। তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপে বর্তমানে শ্রমিক সংকট আছে। তাই বাংলাদেশি শ্রমিকদের সর্বোচ্চ ১ লাখ কোটার সীমা বাদ দিতে হবে। তবে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়ার আগে একটি সুরক্ষা নীতি বাস্তবায়নের কথাও বলেছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে দেশটিতে অবস্থান করা সব প্রবাসীর একটি বায়োমেট্রিক ডেটা রেকর্ড তৈরি করার কথা বলেন তিনি। মালদ্বীপে কাজের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রবাসীদের অফিসিয়াল ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াও তাঁরা যে দ্বীপে কাজ করে সেখান থেকে একটি পৃথক পারমিট পেতে হবে। এমনটি করা হলে অবৈধ অভিবাসন রোধ করা যাবে। এর আগে বাংলাদেশ থেকে জাল নথি ব্যবহারের মাধ্যমে শ্রমিক নেওয়ার একাধিক ঘটনার পর গত এপ্রিলেই দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তাই বাংলাদেশি শ্রমিকের সীমাবদ্ধতা হিতে বিপরীত হয় কি না তা নিয়েও সন্দেহ করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের আগের সরকার বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমারেখা টেনে দিয়েছিল। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এই সীমারেখা তুলে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশি এজেন্সিগুলোর নানা দুর্নীতির কারণে গত এপ্রিলে আবারও বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগকে দেশটি কঠোর হয়ে যায়। মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের সর্বোচ্চ এক লাখ শ্রমিক দেশটিতে কাজ করতে পারবে। কিন্তু বর্তমানে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি মালদ্বীপে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে অনেকেই আছেন অবৈধভাবে।
২৮ জুন, ২০২৪
রোহিত-কোহলিকে বাদ দেওয়াসহ গম্ভীরের পাঁচ শর্ত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতের কোচের পদে আর থাকছেন না রাহুল দ্রাবিড়। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের প্রধান কোচের পদে একমাত্র প্রার্থী গৌতম গম্ভীর। গত সপ্তাহে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটির (সিএসি) কাছে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে নিজের পাঁচটি শর্তের কথা জানিয়েছেন গম্ভীর। এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সেই শর্তগুলো মেনে নিলেই কোচের দায়িত্ব নেবেন তিনি। বিসিসিআই গম্ভীরের শর্তগুলো কথা কিছুই জানায়নি। তবে বোর্ড সূত্রের বরাত দিয়ে গম্ভীরের শর্তগুলো প্রকাশ করেছে ভারতীয় এক গণমাধ্যম। প্রথম শর্ত: ভারত জাতীয় দলের ক্রিকেটীয় সকল বিষয় থাকবে তার নিয়ন্ত্রণে। তিনি বোর্ডের কর্তাদের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ মেনে নিবেন না। দ্বিতীয় শর্ত: নিজের পছন্দ অনুযায়ী সহকারী কোচদের বেছে নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে তার কাছে। সহকারী কোচদের ব্যাপারে কারো অনুরোধ বা সুপারিশ শুনবেন না তিনি। তৃতীয় শর্ত: ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ সামিকে। আইসিসির এই বৈশ্বিক আসর পর্যন্ত জাতীয় দলের দরজা তাদের জন্য খোলা থাকবে। যদি তারা দলকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জেতাতে না পারে, তাহলে হলে বাদ দেওয়া হবে তাদের। চতুর্থ শর্ত: টেস্ট এবং সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য আলাদা দল চেয়েছেন তিনি। ক্রিকেটারদের চাপ নেওয়ার ক্ষমতা এবং দক্ষতা দেখে দল নির্বাচন করা হবে। পঞ্চম শর্ত: দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরিকল্পনা তৈরিতে করে কাজ করতে দিতে হবে তাকে। ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের তৃতীয় শিরোপা জেতানোই তার প্রধান লক্ষ্য। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর দলের সিনিয়র চার ক্রিকেটার রোহিত, কোহলি, জাদেজা এবং সামিকে বাদ দেওয়ার পথ এখন থেকেই তৈরি করতে চাইছেন তিনি। তবে টেস্ট দলে তাদের রাখা হবে নাকি বাদ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি গম্ভীর। তবে আগামী বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ না জিততে পারলে, চার ক্রিকেটারের টেস্ট ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। এদিকে বিসিসিআইয়ের কর্তাদের একাংশ মনে করছে সাদা বলের ক্রিকেট অর্থাৎ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে তরুণদের প্রাধান্য দিতে চান গম্ভীর। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়ার জন্য তরুণদের বাড়তি সময় দিতে চান তিনি।
২৪ জুন, ২০২৪
খুলল সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র, আছে শর্ত
পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে আকস্মিক বন্যায় বন্ধ হয়ে যাওয়া সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর রোববার (২৩ জুন) শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো। বন্যার কারণে গত ১৮ জুন থেকে সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, শ্রীপুর, জাফলং পান্থুমাই, মায়াবী ঝরনাসহ সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। জেলা প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাফলং পর্যটন স্পটে নৌ-চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সকল বোট মালিক, নৌ চালক-মাঝিদেরকে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। জাফলংয়ে পিয়াইন নদীর পানির গভীরতা ও স্রোত বিবেচনায় সাঁতার জানে না এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের নিয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট স্পটে নৌকায় চলাচল করা যাবে না। ট্যুরিস্ট পুলিশকে পর্যটন স্পটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিধানের জন্য বলা হয়েছে। এদিকে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে খবর নিয়ে জানা গেছে, এখনো নদীর স্রোত বেশি। বিশেষ করে গোয়াইঘাট উপজেলার জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে এখনো অনেক বেশি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথরের যেসব জায়গায় পর্যটকরা বিচরণ করতেন সেসব জায়গার অনেকাংশ এখনো পানির নিচে। ফলে ভরা বর্ষা মৌসুমে শিশুদের নিয়ে আসার জন্য পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন। যে কারণে পর্যটক উপস্থিতি এখনো তুলনামূলক কম। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার সবকটি পর্যটনকেন্দ্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল কয়েক দফা পরিদর্শন করে। জাফলং পর্যটন স্পটে নৌ-চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সকল বোট মালিক, নৌ চালক-মাঝিদের যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। জাফলংয়ে পিয়াইন নদীর পানির গভীরতা ও স্রোত বিবেচনাহ সাঁতার জানে না এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের নিয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট স্পটে নৌকায় চলাচল করা যাবে না। ট্যুরিস্ট পুলিশকে পর্যটন স্পটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিধানের জন্য বলা হয়েছে। উল্লেখিত শর্তসাপেক্ষে সবকটি পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত পর্যটকরা সিলেট ঘুরতে আসলেই ভ্রমণের তালিকায় শীর্ষে রাখেন জাফলং, লালাখাল, সাদা পাথর, বিছানাকান্দি ও রাতারগুল। এই জায়গাগুলোর অবস্থান কোম্পানিগঞ্জ এবং গোয়াইনঘাট উপজেলাতে। এ দুটি উপজেলা বন্যাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে যেতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখা হয়। সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান কালবেলাকে বলেন, এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর রোববার শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো। বাকিগুলো পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে খুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, পর্যটন স্পটে নৌ-চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সব বোট মালিক, নৌ চালক-মাঝিদের যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
২৩ জুন, ২০২৪
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে শর্ত জানালেন পুতিন
টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া। দেশটির এ হামলার কাছে নাস্তানাবুদ ইউক্রেন। পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা নিয়েও নাকানি-চুবানি খাচ্ছে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য দুটি শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এ শর্তের একটি হলো, নিজেদের দখলে নেওয়া চারটি এলাকায় থেকে ইউক্রেনকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া দেশটিকে ন্যাটো জোটের সদস্য পদের জন্য তদবির থেকে বিরত থাকার ঘোষণার কথাও বলা হয়েছে। শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরবসহ অন্য কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুতিন বলেন, যে মুহূর্তে কিয়েভ সেনা প্রত্যাহার এবং ন্যাটোতে যোগদানে আর চেষ্টা না করার ঘোষণা দেবে, তখন থেকে আমরা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি ও যুদ্ধবিরতির প্রস্তুতি নিতে শুরু করব। এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এবার হঠাৎ যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কয়েকটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, যুদ্ধ থামাতে রাজি হয়েছেন পুতিন। তবে পুতিন বলেছেন, কিয়েভ বা পশ্চিমারা যদি তার প্রস্তাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানায়, তাহলে অবশ্য তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পুতিনের সঙ্গে কাজ করেছেন বা করছেন—এমন অন্তত পাঁচটি সূত্র এ বিষয়ে মুখ খুলেছে। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তারা ‘অনন্ত যুদ্ধ’ চান না। তাই যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা চালাতে তাদের আপত্তি নেই। বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা চাপের মুখে রয়েছে। তাই অর্থনীতিকে খাপ খাওয়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তা ছাড়া ক্ষমতা ধরে রাখলেও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তার জনপ্রিয়তা কমেছে। তাই যুদ্ধ না চালিয়ে বরং আলোচনায় যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছেন তিনি। ঠিকমতো এগোলে হয়তো যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটা সম্ভব হবে। তবে যুদ্ধবিরতি বা সেই সংক্রান্ত আলোচনা এখনো কুয়াশাচ্ছন্নই রয়েছে। ক্রেমলিনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কথাবার্তার সঙ্গে পরিচিত দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন মনে করেন এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে যা অর্জন হয়েছে, তা রাশিয়া জনগণের কাছে জয় বলে চালিয়ে দেওয়া সম্ভব।
১৬ জুন, ২০২৪
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে শর্ত জানালেন পুতিন
টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া। দেশটির এ হামলার কাছে নাস্তানাবুদ ইউক্রেন। পশ্চিমাদেশগুলোর সহায়তা নিয়েও নাকানি-চুবানি খাচ্ছে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (১৪ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য দুটি শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এ শর্তের একটি হলো নিজেদের দখলে নেওয়া চারটি এলাকায় থেকে ইউক্রেনকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া দেশটিকে ন্যাটো জোটের সদস্য পদের জন্য তদবির থেকে বিরত থাকার ঘোষণার কথাও বলা হয়েছে। শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরবসহ অন্যান্য কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুতিন বলেন, যে মুহূর্তে কিয়েভ সেনা প্রত্যাহার এবং ন্যাটোতে যোগদানে আর চেষ্টা না করার ঘোষণা দেবে, তখন থেকে আমরা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি ও যুদ্ধবিরতির প্রস্তুতি নিতে শুরু করব। এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এবার হঠাৎ যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কয়েকটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, যুদ্ধ থামাতে রাজি হয়েছেন পুতিন। তবে পুতিন বলেছেন, কিয়েভ বা পশ্চিমারা যদি তার প্রস্তাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানায় তাহলে অবশ্য তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পুতিনের সঙ্গে কাজ করেছেন বা করছেন, এমন অন্তত পাঁচটি সূত্র এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তারা ‘অনন্ত যুদ্ধ’ চান না। তাই যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা চালাতে তাদের আপত্তি নেই। বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা চাপের মুখে রয়েছে। তাই অর্থনীতিকে খাপ খাওয়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তাছাড়া ক্ষমতা ধরে রাখলেও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তার জনপ্রিয়তা কমেছে। তাই যুদ্ধ না চালিয়ে বরং আলোচনায় যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছেন তিনি। ঠিকমতো এগোলে হয়তো যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটা সম্ভব হবে। তবে যুদ্ধবিরতি বা সেই সংক্রান্ত আলোচনা এখনও কুয়াশাচ্ছন্নই রয়েছে। ক্রেমলিনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কথাবার্তার সঙ্গে পরিচিত দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন মনে করেন এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে যা অর্জন হয়েছে, তা রাশিয়া জনগণের কাছে জয় বলে চালিয়ে দেওয়া সম্ভব।
১৫ জুন, ২০২৪
নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি, আছে শর্ত
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি পেতে পারে বলে জিনিয়েছে ডিএমপি। তবে বিএনপিকে মানতে হবে কিছু শর্ত। শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। সমাবেশের অনুমতি চাইতে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে যান বিএনপির তিন নেতা। তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর বাইরে বেরিয়ে এসে শুক্রবারের (১০ মে) সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ বলে জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। তিনি বলেন, আমরা আগেই এই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছেন, যেহেতু শুক্রবার ট্র্যাফিক সংক্রান্ত কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি তাদের সহযোগিতা পাব। বিএনপি শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনো বাধা দেই না। তবে সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকি। খ. মহিদ বলেন, বিএনপি সমাবেশ করলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারবে না। রাস্তার একপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। কিছু শর্তসাপেক্ষে বিএনপি কাল সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে।
০৯ মে, ২০২৪
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত সৌদির
ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক স্থাপনে তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আলোচনা চলছে। মার্কিনিদের বিশ্বাস, সৌদির সঙ্গে ইসরায়েলের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক হলে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরবে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্তারোপ করেছে সৌদি আবর। টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমেসে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এটি লিখেছেন বিখ্যাত কলামিস্ট থমাস ফ্রাইডম্যান। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হলে সৌদিকে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা দিবে। তিনি লিখেন, ইসরায়েলকে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সৌদির শর্ত মানতে হবে। তবেই এ সম্পর্ক স্থাপিত হবে। এ শতগুলো হলো গাজা থেকে সরে যাওয়া, বসতি স্থাপন বন্ধ করা এবং তিনি থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা। থমাস ফ্রাইডম্যান লিখেন, ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অধীনে এ চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে সৌদির শর্ত মেনে নেওয়ার মতো ইসরায়েলে কোনো সরকার আসলে তখন চুক্তি হতে পারে। চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে। এছাড়া পারমাণবিক অবকাঠামোর ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে তারা। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। গাজায় যুদ্ধ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার আলোচনা থেকে সরে আসে সৌদি আরব। এ বিষয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হতে আরও দেরি হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
০৩ মে, ২০২৪
অস্ত্র সমর্পণে যে শর্ত দিল ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহতভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। গত অক্টোবর মাসে শুরু হওয়া এ অভিযানে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। দেশটির সেনাদের হামলায় বিধ্বস্ত জনপদের শহরে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। এমন পরিস্থিতিতে অস্ত্র সমর্পণের জন্য শর্তারোপ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হামাস জানিয়েছে, দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান তথা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের কিছু কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলের দখলকৃত এলাকায় স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে তারা সশস্ত্র সংগ্রাম ছেড়ে দিতে পারে। সিএনএন জানিয়েছে, হামাসের কিছু কর্মকর্তার এমন বার্তা তাদের কিছুটা নমনীয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা এ গোষ্ঠীটি দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। হামাসের পলিট ব্যুরোর ইস্তাম্বুলভিত্তিক সদস্য বাসেম নাইম সিএনএনকে বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে হামাস নিজেদের নিরস্ত্র করতে রাজি হবে। হামাসের সামরিক শাখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের অধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এমনটি করা হলে আল কাসেম ব্রিগেডকে জাতীয় সেনাবাহিনীতে একীভূত করা যেতে পারে। হামাস বরাবরই দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এ নীতি অনুযায়ী ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত থাকবে। এর বদলে হামাসের দাবি হলো- সমস্ত ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা বারঘৌতি বলেন, হামাসের অস্ত্র সমর্পণের প্রস্তাবের বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি বলেন, এটি সত্য হলে তা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। অন্যদিকে হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে এপি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের এ গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের সঙ্গে ৫ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হতে ইচ্ছুক। ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে তারা অস্ত্র সমর্পণ ও রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪
আরও
X