রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি
বজ্রপাতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে স্বস্তি নেমেছে রাজধানীতে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। হঠাৎ বৃষ্টিতে অবশ্য ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা। রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বাতাস শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ঝোড়ো বাতাসের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে ঝরছে শিলাও। ঠিক এই মুহূর্তে রাজধানীতে কী পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ তথ্য পেতে আরও ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে। এদিকে আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে দেশের আট বিভাগেই টানা তিন দিন বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তামপাত্রা কমারও পূর্বাভাস মিলেছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তাপপ্রবাহ: ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দ্বিতীয় দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। তৃতীয় দিনের অবস্থায় বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় জানানো হয়, এই সময়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
০৫ মে, ২০২৪

হবিগঞ্জে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি
সারা দেশে তীব্র দাবদাহের মধ্যে হবিগঞ্জে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি দেখা যায়। এতে ঘরবাড়িসহ পাকা ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, দু’একদিনের মধ্যে যেসব জমি কাটার কথা সেই জমির ধান বেশি ক্ষতি হয়েছে। রহিম মিয়া নামে এক রিকশাচালক জানান, শিলাবৃষ্টি মাথায় পড়ার কারণে অনেকে আঘাত পেয়েছেন। মোস্তফা মিয়া নামে এক কৃষক জানান, আমার বেশির ভাগ জমির ধান কেটে নিয়ে আসছি কিন্তু কয়েকটা জমি বাকি ছিল। কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। হবিগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবলে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পরে জানা যাবে। হয়তো আগামীকাল বিস্তারিত বলা যাবে। এদিকে সিলেটে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিভাগের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে। গত ১ মে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত হাওর অঞ্চলের নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যের বরাতে জানানো হয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টা (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এ সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, এ সময়ে সিলেট জেলার সীমান্ত সংলগ্ন সুরমা নদীর কানাইঘাট, লোভাছড়া নদীর লোভাছড়া, সারি গোয়াইন নদীর সারিঘাট ও গোয়াইনঘাট পয়েন্টে পানি সমতল স্বল্পমেয়াদে প্রাকমৌসুমী বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় সিলেটের জৈন্তাপুরের লালাখাল স্টেশনে ৭০ মিলিমিটার, জকিগঞ্জ পয়েন্টে ৬৮ মিলিমিটার, বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে ৫৪ মিলিমিটার, কানাইঘাট পয়েন্টে ৫১ ও সিলেট শহর পয়েন্টে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই সময়ে ভারতের আসামের শিলচরে ৬২ মিলিমিটার এবং মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
০৫ মে, ২০২৪

৯ জেলায় তীব্র ঝড়ের শঙ্কা, হতে পারে শিলাবৃষ্টি
দেশের ৯ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

‘এরকম শিলাবৃষ্টি কখনো দেখিনি’
সিলেট বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।  এছাড়া শিলা পড়ে আহত একজন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহত বিল্লাল আহমেদ (৪০) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলীর বাসিন্দা। রোববার (৩১ মার্চ) রাত সোয়া ১০টা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী এই ঝড় এবং ৫ মিনিট ধরে শিলাবৃষ্টিতে বেশ কিছু বাড়িঘরের কাচ ভেঙেছে, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যানবাহনেরও। সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ভেঙে পড়েছে।  এর আগে সিলেটে এরকম শিলাবৃষ্টি আগে দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই। রাস্তায় চলাচল করা বিভিন্ন গাড়ির গ্লাসও ভেঙে যায় শিলাবৃষ্টিতে। আহত হয়েছেন খোলা জায়গায় ও রাস্তায় অবস্থান করা কেউ কেউ। সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের বাসিন্দা মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান শিপু বলেন, এমন শিলাবৃষ্টি আগে কখনো দেখিনি। বাসার চাল ছিদ্র হয়েছে, গাড়ির কাচ ভেঙে গেছে। নগরীর রায়নগরের বাসিন্দা আহবাব চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, শিলাবৃষ্টিতে আমার প্রাইভেট কারের গ্লাস ভেঙে গেছে। জীবনের প্রথম এরকম শিলাবৃষ্টি দেখেছি। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, বছরের এই সময়ে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিকে কালবৈশাখী বলা হয়ে থাকে। কালবৈশাখীতে শিলাবৃষ্টি হয়।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

মধ্যরাতে রাজধানীতে ঝড়সহ শিলাবৃষ্টি
রাজধানী ঢাকায় মধ্যরাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়সহ ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এ সময় প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলতে থাকে এ ‍বৃষ্টি।  শনিবার (২৪ মার্চ) মধ্যরাত সোয়া ২টা থেকে শুরু হয় এই ঝড়। বাংলা ক্যালেন্ডারের চৈত্র মাসে হওয়া এটি তৃতীয় ঝড়। ঝড়ের সাথে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। সাথে বয়ে যাচ্ছে হালকা বাতাসও। এতে সমস্ত প্রকৃতি শীতল অনুভব হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাতে ঢাকা, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৪ মার্চ, ২০২৪
X