সারা দেশে তীব্র দাবদাহের মধ্যে হবিগঞ্জে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি দেখা যায়। এতে ঘরবাড়িসহ পাকা ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, দু’একদিনের মধ্যে যেসব জমি কাটার কথা সেই জমির ধান বেশি ক্ষতি হয়েছে।
রহিম মিয়া নামে এক রিকশাচালক জানান, শিলাবৃষ্টি মাথায় পড়ার কারণে অনেকে আঘাত পেয়েছেন।
মোস্তফা মিয়া নামে এক কৃষক জানান, আমার বেশির ভাগ জমির ধান কেটে নিয়ে আসছি কিন্তু কয়েকটা জমি বাকি ছিল। কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।
হবিগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবলে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পরে জানা যাবে। হয়তো আগামীকাল বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে সিলেটে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিভাগের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে।
গত ১ মে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত হাওর অঞ্চলের নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যের বরাতে জানানো হয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টা (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
এ সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, এ সময়ে সিলেট জেলার সীমান্ত সংলগ্ন সুরমা নদীর কানাইঘাট, লোভাছড়া নদীর লোভাছড়া, সারি গোয়াইন নদীর সারিঘাট ও গোয়াইনঘাট পয়েন্টে পানি সমতল স্বল্পমেয়াদে প্রাকমৌসুমী বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় সিলেটের জৈন্তাপুরের লালাখাল স্টেশনে ৭০ মিলিমিটার, জকিগঞ্জ পয়েন্টে ৬৮ মিলিমিটার, বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে ৫৪ মিলিমিটার, কানাইঘাট পয়েন্টে ৫১ ও সিলেট শহর পয়েন্টে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
একই সময়ে ভারতের আসামের শিলচরে ৬২ মিলিমিটার এবং মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
মন্তব্য করুন