১ মিলিয়ন পাউন্ড অনুদান দেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল, আবেদনের সুযোগ পাবে বাংলাদেশও
দ্বিতীয়বারের মতো ‘ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন গ্র্যান্টস-২০২৪’ অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এক মিলিয়ন পাউন্ডের এ অনুদান কর্মসূচি যুক্তরাজ্যের শিল্পজগৎ এবং বিশ্বব্যাপী শিল্পকর্ম সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নতুন সাংস্কৃতিক তৈরিতে সহায়তা করবে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অনুদান ২৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার পাউন্ড। অনলাইনে আবেদন চলছে। গত ৩১ জানুয়ারি থেকে আবেদন শুরু হয়েছে যা আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। প্রতি প্রকল্পে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার পাউন্ড অনুদান দেওয়া হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীদের কিছু জানার প্রয়োজনে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি অনলাইন তথ্য সেশন চালু রাখবে সংস্থাটি। আবেদনের যোগ্যতা : আবেদনকারীকে তাদের প্রকল্পে অবশ্যই যুক্তরাজ্যের শিল্পী এবং তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য এবং তাদের অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে কী কী সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করবে সে বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। প্রকল্পগুলো যে কোনো সম্পর্কিত হতে পারে। যেসব দেশ অংশগ্রহণ করতে পারবে : অংশীদারত্বের অংশ হিসেবে প্রতিটি প্রকল্পে কমপক্ষে একটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা এবং নিচে তালিকাভুক্ত দেশগুলোর একটি সংস্থা অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। দেশগুলো হলো আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, ব্রাজিল, চীন, কলম্বিয়া, কিউবা, মিসর, ইথিওপিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, কসোভো, লেবানন, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মন্টিনিগ্রো, মেক্সিকো, মরক্কো, মিয়ানমার, নেপাল, নাইজেরিয়া, উত্তর মেসিডোনিয়া, ফিলিস্তিনি অঞ্চল, পাকিস্তান, পেরু, ফিলিপাইন, সার্বিয়া, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, ইউক্রেন, উজবেকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন ও জিম্বাবুয়ে। আগ্রহীরা আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের চিকিৎসা ও শিক্ষা অনুদান প্রদান
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিদেরকে চিকিৎসা ও শিক্ষা অনুদান করেছে কর্মকর্তাদের সহধর্মিণীদের সংগঠন ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা)। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচায় মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী নূরান ফাতেমা ২০০ কর্মচারির মধ্যে এ অনুদান বিতরণ করেন।  ফোসা সভাপতি পররাষ্ট্র সচিবের সহধর্মিণী ফাহমিদা জাবীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নূরান ফাতেমা ফোসার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা যাতে বহাল থাকে সে লক্ষ্যে তৎপরতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।  অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ মঙ্গলময় কর্মকাণ্ডের জন্য ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ ও উৎসাহ প্রদান করেন।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

মৎস্য খাতে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান
মৎস্য খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারকে ১৭২ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে জাপান সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির এ-সংক্রান্ত চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রকল্পের আওতায় এ টাকা ব্যয় হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, জাপান সরকারের অনুদানে মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ এবং হস্তান্তরে দক্ষতা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ও উপকূলে অবতরণের মান উন্নয়ন, জেলেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতিতে ব্যয় হবে। ইআরডি জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার ৩২ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ইউএস ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রদান করেছে। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। নমনীয় ঋণ ছাড়াও জাপান বিভিন্ন প্রকল্পে অনুদান ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। যার মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
২৯ মার্চ, ২০২৪

পাঁচ প্রকল্পে ২ কোটি ২২ লাখ ইউরো অনুদান দেবে জার্মানি
শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের পাঁচ প্রকল্পে ২ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ইউরো অনুদান দেবে জার্মানি। দেশটির কারিগরি সহযোগী সংস্থা ‘গিজ’ (ডয়েচে গেজেলেশাফট ফুয়ের ইন্টারন্যাশিওনালে সুজামেনারবাইট-জিআইজেড) অর্থ সহায়তা দিতে পাঁচটি চুক্তি করেছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি শিক্ষা এবং বাকি চারটি দক্ষতা উন্নয়নের। গতকাল এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, জার্মান সরকারের পক্ষে গিজ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আন্দ্রেস কুক। ইউজিসির অধীনে টেক্সটাইল খাত উন্নয়নে হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফর সাসটেইনেবল টেক্সটাইলস (হেলড) শীর্ষক প্রকল্পে ৭৭ লাখ ৮০ হাজার ইউরো অনুদান পাওয়া যাবে। স্রেডার ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর সাসটেইনেবল এনার্জি সলিউশন্স’ শীর্ষক প্রকল্পে ৫০ লাখ ইউরো অনুদান দেবে জার্মানভিত্তিক সংস্থাটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘স্কিল ফর সেলফ মনিটরিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স উইথ ক্লিন অ্যান্ড ফেয়ার প্রোডাকশন ইন দ্য টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পে ৭০ লাখ ইউরো অনুদান পাওয়া যাবে। আঞ্চলিক প্রকল্প ডিজিটাল স্কিল টু সাকসিড ইন এশিয়া (২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত) ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫২৬ ইউরো দেবে সংস্থাটি। স্রেডার আরেকটি প্রকল্প এনার্জিসিং ডেভেলপমেন্টে ২০ লাখ ইউরো ঋণ দেবে জিআইজেড।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পাঁচ প্রকল্পে ২ কোটি ২২ লাখ ইউরো অনুদান দেবে জার্মানি
শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের পাঁচ প্রকল্পে ২ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ইউরো অনুদান দেবে জার্মানি। জার্মানির কারিগরি সহযোগী সংস্থা ‘গিজ’ (ডয়েচে গেজেলেশাফ্ট ফুয়ের ইন্টারন্যাশিওনালে সুজামেনারবাইট- জিআইজেড) অর্থ সহায়তা দেওয়ার পাঁচটি চুক্তি করেছে। পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে একটি প্রকল্প শিক্ষার উন্নয়নে আর বাকি চারটিই দক্ষতা উন্নয়নের জন্য।  বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সরকার ও জার্মান সরকারের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, জার্মান সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন গিজ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আন্দ্রেস কুক।  বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধীনে টেক্সটাইল খাতের উন্নয়নে ‘হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফর সাসটেইনেবল টেক্সটাইলস- হেলড শীর্ষক প্রকল্পে ৭৭ লাখ ৮০ হাজার ইউরো অনুদান দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, টেকসই করপোরেট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেক্সটাইল শিল্পের ভবিষ্যৎ বিশেষজ্ঞ এবং পরিচালকদের ভিত্তিক দক্ষতা জোরদার করা। এ প্রকল্পটি কলেজ, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে টেকসই পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার কাজ করা হবে। তাছাড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ টিভিইটিতে সামাজিক এবং পরিবেশগত বিষয়গুলো চালু করা হবে। টেক্সটাইল এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পে তরুণ পেশাজীবীদের জন্য টেকসই ব্যবস্থাপনায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কাজ করা সংস্থা স্রেডার ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর সাসটেইনেবল এনার্জি সলিউশন্স’ শীর্ষক প্রকল্পে ৫০ লাখ ইউরো অনুদান দেবে জার্মানভিত্তিক এ সংস্থা। এ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো- টেকসই জ্বালানি খাতের জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা। এ ধরনের শিক্ষা বাজারের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করে স্রেডা। প্রকল্পটি প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার একটি সাধারণ বোঝাপড়া বিকাশের জন্য কাজ করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে নেওয়া প্রকল্প ‘স্কিল ফর সেলফ মনিটরিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স উইথ ক্লিন অ্যান্ড ফেয়ার প্রোডাকশন ইন দ্য টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পে ৭০ লাখ ইউরো অনুদান দেওয়ার চুক্তি হয়েছে জার্মানির এ সংস্থার সঙ্গে। এ প্রকল্পটি রেডি-মেড গার্মেন্ট সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) মাধ্যমে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট শিল্পে নিরাপত্তা, শ্রম এবং পরিবেশগত মান পর্যবেক্ষণ উন্নত করতে চায়। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, প্রকল্পটি আরএসসির প্রযুক্তিগত এবং সাংগঠনিক ক্ষমতা জোরদার করার জন্য কাজ করছে। আঞ্চলিক প্রকল্প ডিজিটাল স্কিল টু সাকসিড ইন এশিয়া (২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত চলমান) ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫২৬ ইউরো সহায়তা দেবে সংস্থাটি। এর লক্ষ্য হলো- উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, উন্নত অধ্যয়ন কর্মসূচির টেকসই বাস্তবায়নকে উৎসাহিত করা। জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিএমজেড) পক্ষ থেকে জিআইজেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের কেন্দ্রীয় ফোকাস হলো একটি উচ্চ শিক্ষার নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা, যা বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম এবং ভারতে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আরও আন্তর্জাতিক অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। স্রেডার আরেকটি প্রকল্প ‘এনার্জিসিং ডেভেলপমেন্ট’ এ ২০ লাখ ইউরো ঋণ দেবে জিআইজেড। দক্ষ এবং পরিষ্কার রান্নার পাশাপাশি সৌরশক্তি প্রযুক্তির উৎপাদনশীল ব্যবহারকে উৎসাহ দেবে এ প্রকল্প। প্রোগ্রামটি ই-কুকিং অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং বায়োমাসভিত্তিক উন্নত রান্নার প্রযুক্তি এবং ই-রিকশার সোলার ব্যাটারি চার্জিংসহ আধুনিক শক্তি সুবিধার জন্য বাজারের উন্নয়নে সহায়তা করে। জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিএমজেড) পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার ডিভিশনকে সহায়তা করছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দুই সিটি ও ৮ পৌরসভায় সব ধরনের অনুদান স্থগিত করল ইসি
আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং আটটি পৌরসভায় নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব এলাকায় নতুন ধরনের কোনো প্রকার অনুদান/ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব এম. মাজহারুল ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছেন।  চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের শূন্য পদ এবং তিনটি পৌরসভার (পটুয়াখালী পৌরসভা, বকশীগঞ্জ পৌরসভা, আমতলী পৌরসভা) সাধারণ নির্বাচন ও পাঁচটি পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনগুলো প্রভাবমুক্ত রাখা এবং আচরণবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নতুন ধরনের কোনো প্রকার অনুদান/ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। তবে যেসব ত্রাণ কার্যক্রম আগে হতে পরিচালিত হচ্ছে, তা চালু থাকবে। চিঠিতে আরও জানানো হয়, নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নতুনভাবে গৃহীত অনুদান/ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্যও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। কোনো এলাকায় অনুদান/ত্রাণ বিতরণ সংক্রান্ত নতুন কার্যক্রম গ্রহণ আবশ্যক হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এই অবস্থায় উল্লিখিত নির্দেশনা পরিপালনপূর্বক কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।  
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা অনুদান পাচ্ছেন চুয়েটের চার শিক্ষক
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) এর চারজন শিক্ষক পাচ্ছেন গবেষণা প্রকল্পের জন্য অনুদান। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গবেষণা প্রকল্পের জন্য তাদের এ অনুদান প্রদান করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকার অনুদান পাচ্ছেন চুয়েটের চার গবেষক। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। ৪টি আলাদা প্রজেক্টের জন্য চুয়েট থেকে নির্বাচিত প্রথম গবেষক দলের সদস্যরা হলেন পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইসলাম মিয়া ও সহযোগী গবেষক হিসেবে আছেন এক‌ই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান। খনিতে নির্দিষ্ট গভীরতার নিচে যেখানে পাললিক শিলা স্তর রয়েছে সেই জায়গায় গ্যাস ও পানির মজুত থাকে। এ গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে শিলাস্তরের বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে পানি ও গ্যাসের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। যার মাধ্যমে নতুন করে আধুনিক তথা হালনাগাদ মডেল গঠন করা হবে যা ভূগর্ভে প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণ নির্ধারণে সহায়তা করবে। চুয়েটের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম কে মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের নেতৃত্ব অনুদান পাওয়া অন্য একটি গবেষণা দলের মূল লক্ষ্য হলো এক ধরনের তড়িৎ রাসায়নিক সেন্সর তৈরি করা। যেটি মানবদেহে এরিথ্রোমাইসিন নামক এন্টিবায়োটিকের ক্ষুদ্র উপস্থিতি পরিমাপ করবে। ঔষধ শিল্পে বহুত প্রচলিত একটি রাসায়নিকের নাম হলো এরিথ্রোমাইসিন। এদিকে এ প্রজেক্টে শুরুতে গ্রাফিন অক্সাইড থেকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে নেওয়া হবে। গ্রাফিন অক্সাইড হলো এক ধরনের রাসায়নিক যা গ্রাফিনের অক্সিডাইজড ফর্ম এবং তা ন্যানো ম্যাটেরিয়ালস হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এরপর সেন্সরে ব্যবহৃত ভোল্টেজ পরিমাপক (পটেনশিয়োটর) এবং বিশেষ তিন ধরনের ইলেক্ট্রডের মাধ্যমে মানবদেহে এন্টিবায়োটিক উপাদানগুলোর উপস্থিতিও নির্ণয় করা যাবে। অধ্যাপক হায়দার বলেন, আমরা মূলত তড়িৎ রাসায়নিক সেন্সর প্রস্তুত নিয়েই কাজ করব, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির ক্রয় মূল্য বেশি হওয়ার পরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সেন্সর প্রস্তুত শেষে ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে এ ছাড়াও এই পরীক্ষা থেকে বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণের লক্ষ্যও আমরা নিয়েছি। এমন কাজ চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দিক উন্মোচন করবে। এ প্রজেক্টে সহযোগী গবেষক হিসেবে আছেন এক‌ই বিভাগের প্রভাষক সানজিদা মুকুট। শিল্পায়নের এ যুগে নগরের শিল্প কারখানাগুলোতে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলোর একটি অংশ রঙ এবং তার উচ্ছিষ্ট। যা বৃষ্টির পানি কিংবা কারখানার নিষ্কাশন পদ্ধতির মাধ্যমে নদীতে গিয়ে মিশে যায়। ব্যবহৃত রঙে ক্ষতিকর উপাদানগুলো দিনে দিনে নদীর পানিকে বিষাক্ত ও ব্যবহার অনুপযোগী করে তোলে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। কারখানায় ব্যবহৃত রঙের এমন ক্ষতিকর উপাদানগুলো নদীর পানি থেকে দূরীকরণ ও তাদের প্রভাব প্রশমন করার জন্য ডাবল পেরোভস্কাইট ক্রোমিয়াম ফেরাস অক্সাইড নামক একধরনের রাসায়নিক যৌগ ব্যবহার করা হবে। যা নদীর পানির সাথে মেশানোর পর রঙে উপস্থিত উপাদানগুলোর সাথে বিক্রিয়া করে এবং ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাব থেকে পানিকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। এমন উদ্ভাবনী প্রজেক্টের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ আলী ও সহযোগী গবেষক হিসেবে আছেন অধ্যাপক মো. মহি উদ্দিন। চুয়েটের হয়ে চতুর্থ প্রজেক্টে অনুদান পেয়েছেন রসায়ন বিভাগের আরও একটি গবেষণা দল। যার প্রধান হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক ড. রঞ্জিত কুমার সূত্রধর ও গবেষণা সহযোগী হিসেবে রয়েছেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. দীন ইসলাম। অধ্যাপক রঞ্জিত কুমার জানান, আমরা মূলত একধরনের হেটারো থায়াজোল বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করছি। হেটারো থায়াজোল এমন এক রাসায়নিক যৌগ যেখানে বেনজিন যৌগে কার্বন পরমানুর সাথে সালফার ও নাইট্রোজেন যোগসাজশ ঘটবে। রাসায়নিকটি মূলত ঔষধ শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। এখানে শুরুতে আমরা ফিনাইল থায়াজোল প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি। এরপর তার সংশ্লেষণ, বিশ্লেষণ করব। এখানে সফল হওয়ার পর জীবদেহে এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব। মানবদেহে এর প্রভাব কেমন, রাসায়নিক ধর্মগুলো জানার মধ্য দিয়ে দেহ গঠনে উপাদান কোষ ও ক্ষুদ্রতম উপাদান প্রোটিনগুলোর সাথে এর বিক্রিয়া জানতে এক ধাপ এগিয়ে যাব। সর্বোপরি এ রাসায়নিকটি কোনো ধর্ম বা মেকানিজম ব্যবহার করে বিক্রিয়াগুলো সংঘটিত করল- বাকি অন্য কোনো গঠনের রাসায়নিক দ্রব্য এমন বিক্রিয়া দিল না সেসবের কারণ উদ্ঘাটন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের প্রজেক্টে সফলতা আমাদের ঔষধশিল্প ও চিকিৎসা খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। বিশেষ গবেষণা অনুদানের জন্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে গবেষক  ড. মোহাম্মদ ইসলাম মিয়া বলেন, এ অনুদান আমাদের গবেষণা প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক সহায়তা করবে। উক্ত গবেষণায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণাক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হতে আরো বেশি অনুপ্রেরণা জোগাবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে চুয়েট গবেষণাখাতে আরও অগ্রগতির মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম বয়ে আনবে। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচির আওতায় ৬৯৬টি গবেষণা প্রকল্পকে অনুদান দিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণার জন্য গবেষণা অনুদান প্রদান করে আসছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

গবেষণা প্রকল্পে সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন যবিপ্রবির ২৮ শিক্ষক
গবেষণা প্রকল্পে সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২৮ জন শিক্ষক। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গবেষণা প্রকল্পে এ অনুদান পেতে যাচ্ছেন তারা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গবেষণা প্রকল্পের অনুদানের বিষয়টি জানানো হয়। জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি’র আওতায় ৬৯৬টি বিশেষ গবেষণা প্রকল্প অনুদান দিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তারমধ্যে ১৪টি গবেষণা প্রকল্পের আওতায় যবিপ্রবির প্রধান গবেষক হিসেবে ১৪ জন শিক্ষক ও তাদের আওতাধীন প্রকল্পের সহকারী হিসেবে ১৪ জন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন। যবিপ্রবি থেকে নির্বাচিত গবেষকরা হলেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবিটি) বিভাগের অধ্যাপক মো. জিয়াউল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মশিয়ার রহমান ও এ এম সরাজ, প্রভাষক তাসমিয়া ইসলাম, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরীন নিগার, সহযোগী অধ্যাপক ড. আশরাফুজ্জামান জাহিদ, মো. ওমর ফারুক ও মো. সাইদুজ্জামান।  সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা-তুজ-জোহরা, শুভাশীষ দাস শুভ, ড. মো. শিমুল ইসলাম ও রসায়ন বিভাগের ড. মো: কোরবান আলী; এগ্রো প্রোডাক্ট অ্যান্ড প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস ও প্রভাষক মাহফুজুল আলম, ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তানভির ইসলাম ও প্রভাষক মো. শামীনুর রহমান, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অধ্যাপক ড. রাজেশ কুমার চন্দ্র।  পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের অধ্যাপক ড. এইচ এম জাকির হোসাইন, অধ্যাপক মো. মোকলেসুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ফারজানা ইয়াসমিন নিপা ও প্রভাষক অলিউর রহমান, ফিশারীজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জহুরুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম। সাধারণত তিনটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। প্রতিবছর বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিক্যাল সায়েন্স, অ্যানভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্স ও ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি গ্রুপসহ মোট ৬টি গ্রুপে এ গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে।  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদানের লক্ষ্যে গবেষণা প্রকল্পে অনুদান প্রদান করা হয়। ১৯৯৭-১৯৯৮ অর্থবছর থেকে বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণার জন্য বিশেষ গবেষণা অনুদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

গবেষণা প্রকল্পে সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন যবিপ্রবির ২৮ শিক্ষক
গবেষণা প্রকল্পে সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২৮ জন শিক্ষক। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গবেষণা প্রকল্পে এ অনুদান পেতে যাচ্ছেন তারা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গবেষণা প্রকল্পের অনুদানের বিষয়টি জানানো হয়। জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি’র আওতায় ৬৯৬টি বিশেষ গবেষণা প্রকল্প অনুদান দিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তারমধ্যে ১৪টি গবেষণা প্রকল্পের আওতায় যবিপ্রবির প্রধান গবেষক হিসেবে ১৪ জন শিক্ষক ও তাদের আওতাধীন প্রকল্পের সহকারী হিসেবে ১৪ জন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন। যবিপ্রবি থেকে নির্বাচিত গবেষকরা হলেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবিটি) বিভাগের অধ্যাপক মো. জিয়াউল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মশিয়ার রহমান ও এ এম সরাজ, প্রভাষক তাসমিয়া ইসলাম, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরীন নিগার, সহযোগী অধ্যাপক ড. আশরাফুজ্জামান জাহিদ, মো. ওমর ফারুক ও মো. সাইদুজ্জামান।  সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা-তুজ-জোহরা, শুভাশীষ দাস শুভ, ড. মো. শিমুল ইসলাম ও রসায়ন বিভাগের ড. মো: কোরবান আলী; এগ্রো প্রোডাক্ট অ্যান্ড প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস ও প্রভাষক মাহফুজুল আলম, ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তানভির ইসলাম ও প্রভাষক মো. শামীনুর রহমান, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অধ্যাপক ড. রাজেশ কুমার চন্দ্র।  পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের অধ্যাপক ড. এইচ এম জাকির হোসাইন, অধ্যাপক মো. মোকলেসুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ফারজানা ইয়াসমিন নিপা ও প্রভাষক অলিউর রহমান, ফিশারীজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জহুরুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম। সাধারণত তিনটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। প্রতিবছর বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিক্যাল সায়েন্স, অ্যানভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্স ও ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি গ্রুপসহ মোট ৬টি গ্রুপে এ গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে।  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদানের লক্ষ্যে গবেষণা প্রকল্পে অনুদান প্রদান করা হয়। ১৯৯৭-১৯৯৮ অর্থবছর থেকে বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণার জন্য বিশেষ গবেষণা অনুদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

গবেষণা প্রকল্পে সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন যবিপ্রবির ২৮ শিক্ষক
গবেষণা প্রকল্পে সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২৮ জন শিক্ষক। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গবেষণা প্রকল্পে এ অনুদান পেতে যাচ্ছেন তারা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গবেষণা প্রকল্পের অনুদানের বিষয়টি জানানো হয়। জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি’র আওতায় ৬৯৬টি বিশেষ গবেষণা প্রকল্প অনুদান দিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তারমধ্যে ১৪টি গবেষণা প্রকল্পের আওতায় যবিপ্রবির প্রধান গবেষক হিসেবে ১৪ জন শিক্ষক ও তাদের আওতাধীন প্রকল্পের সহকারী হিসেবে ১৪ জন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন। যবিপ্রবি থেকে নির্বাচিত গবেষকরা হলেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবিটি) বিভাগের অধ্যাপক মো. জিয়াউল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মশিয়ার রহমান ও এ এম সরাজ, প্রভাষক তাসমিয়া ইসলাম, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরীন নিগার, সহযোগী অধ্যাপক ড. আশরাফুজ্জামান জাহিদ, মো. ওমর ফারুক ও মো. সাইদুজ্জামান।  সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা-তুজ-জোহরা, শুভাশীষ দাস শুভ, ড. মো. শিমুল ইসলাম ও রসায়ন বিভাগের ড. মো: কোরবান আলী; এগ্রো প্রোডাক্ট অ্যান্ড প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস ও প্রভাষক মাহফুজুল আলম, ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তানভির ইসলাম ও প্রভাষক মো. শামীনুর রহমান, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অধ্যাপক ড. রাজেশ কুমার চন্দ্র।  পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের অধ্যাপক ড. এইচ এম জাকির হোসাইন, অধ্যাপক মো. মোকলেসুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ফারজানা ইয়াসমিন নিপা ও প্রভাষক অলিউর রহমান, ফিশারীজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জহুরুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম। সাধারণত তিনটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। প্রতিবছর বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিক্যাল সায়েন্স, অ্যানভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্স ও ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি গ্রুপসহ মোট ৬টি গ্রুপে এ গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে।  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদানের লক্ষ্যে গবেষণা প্রকল্পে অনুদান প্রদান করা হয়। ১৯৯৭-১৯৯৮ অর্থবছর থেকে বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণার জন্য বিশেষ গবেষণা অনুদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
X