ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি, পুলিশ কর্মকর্তা অবরুদ্ধ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার পর স্থানীয়রা গোদাগাড়ীর প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আনোয়ারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় উত্তেজিত জনতা ইটপাটকেল মেরে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। অবরুদ্ধ এএসআইকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় তারা। শনিবার (৪ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গোগ্রাম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অপহরণের শিকার যুবকের নাম সোহান। তিনি গোগ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী মুর্ত্তজার ছেলে। সোহানের অভিযোগ, রাত ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে সামনের মোড়ে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিল। এই সময় দুটি মোটরসাইকেলে চারজন এসে নিজেরা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর নাম জিজ্ঞাসা করে। নাম ঠিকানা বলার পর সোহানকে জোর করে মোটরসাইকেল তুলে নেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর সোহানের হাতে হ্যান্ডক্যাপ পরানো হয়। এরপর তাকে প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশে পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় তারা বলে তোর বাপকে ফোন দিয়ে টাকা আনতে বল, নইলে মাদক মামলায় চালান দিয়ে দিব। এই সময় আমার ফোনে বারবার কল আসছিল। কিন্তু তারা ফোনে কথা বলতে দেয়নি। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে বসন্তপুর-খেতুরধামের রাস্তায় ফাঁকা জায়গায় নামিয়ে দিয়ে যায়। সেখান থেকে তিনি একা গোগ্রাম বাজারে চলে যান। গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সোহানকে অপহরণের পর এএসআই আনোয়ার সাদা পোশাকে গোগ্রাম বাজারে যান। সেখানে স্থানীয় লোকজন তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওসমান অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনতার ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে ৭-৮ জন আহন হন। পুলিশের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে লোকজন। এতে পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে গোদাগাড়ী থানার ওসি আব্দুল মতিন ও গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। মজিবুর রহমান আরও বলেন, উত্তেজিত জনতা পুলিশের কাছে সোহানকে ফেরত চান। এ সময় সোহানের মোবাইল ফোনে অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলেন ওসি আব্দুল মতিন। এর পর তারা সোহানকে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি জানতে চাইলে এএসআই আনোয়ার বলেন, সোহানকে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিষয়ে আমি জানি না। শনিবার রাতে আমার ডিউটি শেষে গোগ্রাম বাজার পার হয়ে কিছুটা গেলে কয়েকজন এসে আমার সঙ্গে কথা বলেন এবং সোহানের বিষয়ে জানতে চান। এ সময় অনেক লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরে আমি প্রেমতলী কেন্দ্রের ইনচার্জকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। তবে রাতে সাদা পোশাকে গোগ্রাম বাজারে কেন গিয়েছিলেন এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান। ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, রাতেই পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। সোহানকে কারা অপহরণ করেছে সেটি তদন্ত করে বের করার জন্য বলেছি। এ সঙ্গে পুলিশ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেছি। গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, কারা সোহানকে তুলে নিয়ে গিয়ে চাঁদা দাবি করেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও গুরুত্বসহকারে দেখছেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
০৫ মে, ২০২৪

পাহাড়ে গোলাগুলি, অবরুদ্ধ অভিনেতা শ্যামল মাওলাসহ সিনেমার টিম
শুটিং করতে গিয়ে সস্ত্রীক গোলাগুলির মধ্যে পরেছেন অভিনেতা শ্যামল মাওলা। তাদের অবস্থানরত হোটেলে ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি এসে লেগেছে। সবাই খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বান্দরবানের থানচি থেকে এক অডিও বার্তায় শুটিং ইউনিটের পক্ষ থেকে এমনটিই জানানো হয়। গত ১ এপ্রিল শুটিংয়ের জন্য বান্দরবানের থানচিতে যায় ‘নাদান’ নামের সিনেমার একটি টিম। যেখানে সস্ত্রীক গিয়েছেন অভিনেতা শ্যামল মাওলা। আছেন সিনেমাটির পরিচালক ফরহাদ চৌধুরী, অভিনেতা এরফান মৃধা শিবলু ও চিত্রনায়ক সাইফ খানসহ বেশ কয়েকজন।  টানা দুই দিন কাজ করার পর আজ (৩ এপ্রিল) দুপুরে তারা পড়েছেন চরম সংকটের মধ্যে। কারণ বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়েছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। সেখানে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। তার ঠিক পাশেই একটি হোটেলে অবস্থান করছে সিনেমার পুরো টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুটিং ইউনিটের বেশ কয়েকজন। জানিয়েছেন, তাদের হোটেলে ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি এসে লেগেছে। বুধবার ৩ এপ্রিল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা থানচির সোনালী ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। তবে ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়েছে কি-না, বা কত টাকা লুট হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা সম্ভব হয়নি।  
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

জামালপুরে অবরুদ্ধ সাব-রেজিস্ট্রার, দলিল লেখকদের বিক্ষোভ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিজ কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, দলিল লেখক ও জমির দাতা গ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে দলিল লেখকরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এই ঘটনা ঘটে। তবে দলিল লেখকদের সব অভিযোগ অস্বীকার করে সাব-রেজিস্ট্রার বলেন, দলিল লেখকদের অনৈতিক আবদার না মানার কারণেই তারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এই ঘটনায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।  দলিল লেখকরা জানান, গত বছরের ১৫ অক্টোরব বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। এর আগে তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগতি সাব-রেজিস্ট্রার ছিলেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই দলিল লেখকসহ জমির দাতা গ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণ করে আসছেন। কথায় কথায় তিনি দলিল লেখকদের সনদ বাতিলের হুমকি দেন। সকালের দলিল তিনি রাতে পাস করেন। মনগড়াভাবে চালাচ্ছিলেন সরকারি অফিস। সব দলিল লেখকরা তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন। দিন দিন তার হয়রানি বেড়েই চলছিল। বুধবার রেহেনা বেগম নামে এক নারী তারই সহোদর বোন রুবিনা আক্তারকে ৫৮ শতাংশ জমি হেবা মুলে দলিল করে দিতে যান। ওই দলিল নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের কামরায় যান দলিল লেখক শহিদুল্লাহ। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রার জমিদাতার কাছে জানতে চান, কেন তিনি তার বোনকে হেবা মূলে জমির দলিল করে দিচ্ছেন। কত টাকা নিয়েছেন। তার এমন প্রশ্নে একপর্যায়ে জমির দাতা বলেন, তার বোন তাকে কিছু টাকা দিয়েছেন তাই দলিল করে দিচ্ছেন। এই কথা শোনেই সাব-রেজিস্ট্রার  রেগে যান এবং দলিলটি সম্পাদন না করেই ফিরিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আলী আহসান খোকা সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে যান। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রার আলী আহসান খোকা ও শহিদুল্লাহর সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং তাদের দুজনকেই বরখাস্ত করেন। মুহূর্তেই এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে অন্যন্যা দলিল লেখকদের মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করে সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি করেন। একপর্যায়ে সাব-রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন দলিল লেখকরা। সেই সঙ্গে তাকে অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। ফলে বেকায়দায় পড়ে যায় দাতা গ্রহীতারা। বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আলী আহসান খোকা বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার কাউকে মানুষ মনে করেন না। অনিয়মকে তিনি নিয়মে পরিণত করেছেন। কথায় কথায় দলিল লেখকদের সনদ বাতিলের হুমকি দেন। বুধবার বৈধ এক দলিল না করে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি একাধিক দলিল লেখকের সঙ্গে খারাপ আচরণ এবং আমিসহ দুইজনকে বরখাস্ত করেন। আমরা দলিল লেখকরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি তার অপসারণের দাবিতে। দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া বলেন, বকশীগঞ্জের কোনো দলিল লেখক সাব-রেজিস্ট্রারকে এই অফিসে দেখতে চায় না। তার আচরণে সবাই অতিষ্ঠ। কোনো কারণ ছাড়াই দলিল লেখকসহ জমির দাতা গ্রহীতাদের সঙ্গে তিনি খারাপ ব্যবহার করেন। মনগড়াভাবেই চলছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। আমরা তার অপসারণ চাই। বগারচর এলাকার আল আমিন বলেন, ঢাকার কর্মস্থল থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করতে এসেছিলেন তিনি। ব্যাংক চালানসহ সকল কাজই সম্পন্ন করেন। হঠাৎ করেই সাবরেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের দ্বন্দ্বে  তিনি আর দলিলটি করতে পারেননি। পুনরায় আবার ছুটি নিয়ে তাকে আসতে হবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন।  এ ব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কিছু দলিল লেখক তার কাছ থেকে অনৈতিক আবদার করে আসছিলেন। তাদের কথামত কাজ না করায় তারা আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, কাউকে বরখাস্ত করার সুযোগ আমার নেই, তাদের শোকজ করেছি মাত্র। তারা সরকারি সম্পদ নষ্টের চেষ্টা এবং কিছু বিনষ্ট করেছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেছে। দলিল লেখকরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে জানান।  বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, এ বিষয়ে লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর থেকে টানা ৭ দিন সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীমের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন ও কর্মবিরতি পালন করেছিলেন দলিল লেখকরা। বুধবার দ্বিতীয়বারের মতো আন্দোলনে নামলেন দলিল লেখকরা।
২৮ মার্চ, ২০২৪

পুকুরে অবরুদ্ধ কুমির ৩৫ বছর পর উদ্ধার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুকুরে অবরুদ্ধ এক কুমির ৩৫ বছর পর উদ্ধার হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা চরহাজারী গ্রামের কুমির আলা বাড়ির পুকুর থেকে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের একটি দল কুমিরটি উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩৫ বছর এ পুকুরে অবৈধভাবে অবরুদ্ধ ছিল লোনা পানির এ কুমির। ওই কুমিরের নাম অনুসারে বাড়িটি পরিচিতি লাভ করে কুমির আলা বাড়ি হিসেবে। বছর খানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের। এরপর ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিট। বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, উদ্ধার কুমিরটি ৫০ বছর বয়সী, এর ওজন প্রায় একশ কেজি। এখান থেকে কুমিরটি চট্টগ্রামের সাফারি পার্কে নিয়ে চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করা হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পুকুর থেকে উদ্ধার হলো ৩৫ বছরের অবরুদ্ধ কুমির
দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে লোনা পানির কুমির পুকুরে অবরুদ্ধ থাকলেও নজরে আসেনি বন বিভাগের। অবশেষে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) উদ্ধার হয় কুমিরটি।  আজ দুপুর ২ টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চরহাজারী ইউনিয়নের ৩নাম্বার ওয়ার্ডের চরহাজারী গ্রামের কুমির আলা বাড়ির পুকুর থেকে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের একটি দল কুমিরটি উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩৫ বছর উপজেলার চরহাজারী গ্রামের কুমির আলা বাড়ির পুকুরে অবৈধভাবে অবরুদ্ধ ছিল লোনা পানির এ কুমির। ওই কুমিরের নাম অনুসারে বাড়িটি পরিচিতি লাভ করে কুমির আলা বাড়ি হিসেবে। বছর খানেক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের  মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের। এরপর দুপুরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিট। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে কুমিরটি উদ্ধার করে নোয়াখালী উপকূলীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় নিয়ে আসা হয়। স্থানীয়দের মধ্যে জনশ্রুতি রয়েছে অনেক মানুষ উদ্দেশ্য পূরণে মানত করে এ কুমিরকে খাবার দিত।   বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি আমরা অবগত হই। উদ্ধারকৃত কুমিরটি পঞ্চাশ বছর বয়সী এর ওজন প্রায় ১'শ কেজি। এখান থেকে কুমিরটি চট্রগ্রামের সাফারি পার্কে নিয়ে চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করা হবে।   এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালীর উপকূলীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ,বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা প্রমুখ।  
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

৫ ঘণ্টা পর মুক্ত হলেন অবরুদ্ধ অধ্যক্ষ
অবরুদ্ধ থাকার পাঁচ ঘণ্টা পর পর মুক্তি পেলেন সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজহর অন্যান্য শিক্ষকরা। এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অধ্যক্ষের কার্যালয় তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ছুটে যান সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামসহ স্থানীয় কাউন্সিলর। পরে তাদের মধ্যস্ততায় আন্দোলন রোববার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম। জানা যায়, কলেজের ইতিহাস বিভাগে মাত্র চারজন শিক্ষক ছিলেন। গত কয়েক মাস থেকে একজন শিক্ষকও নেই এ বিভাগে। এছাড়া ছাত্রাবাসে দীর্ঘদিন ধরে পানির সংকট। এসব সমস্যা সমাধানে অধ্যক্ষকে লিখিত আবেদন দেওয়া হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। বৃহস্পতিবার এসব সমস্যা নিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো. রিয়াজ। বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি। এতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রেখে আন্দোলন করেন। বিকেল ৪টা থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে প্রায় ৫ ঘণ্টা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন অধ্যক্ষসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুহেল আহমদ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দিলোয়ার হোসেন রাহীসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের সমস্যা মানে আমাদের সমস্যা। শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আগামী এক সপ্তাহের ভেতরে সমাধান করা হবে। এছাড়া ছাত্রী নিবাসের নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব করার বিষয়টি লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। এ সময় বঙ্গবন্ধু হলের পানি বিষয়টি আগামী রোববারের ভেতর সমাধান হবে বলে জানান তিনি। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রোববার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

এমসি কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা
বিভিন্ন দাবিতে সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজে আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের জন্য অধ্যক্ষকে ৩ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে তারা।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা অধ্যক্ষকে অফিসে অবরুদ্ধ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) অধ্যক্ষকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক সংকট ও হলের পানি সমস্যা নিরসনের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। এ ছাড়া নতুন হল ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও শেখ হাসিনার নামে করতে হবে। আমরা তাদের দাবির সঙ্গে একমত। শাহপরাণ থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ কালবেলাকে বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমাদের আলোচনা চলছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রশাসনিক ভবনে তালা, অবরুদ্ধ ভিসি
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চলা নানা ধরনের সমস্যার কোনো সমাধান না করাসহ বিভিন্ন দাবিতে তিনটি হল ও প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা দিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ হয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেনসহ প্রশাসন দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের সঙ্গে দিনভর আলোচনা করে কোনো সমাধান না আসায় রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা।  এর আগে এদিন দুপুরে প্রথম শেখ রাসেল হলের গেটে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর বিকেলে ও সন্ধ্যায় যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও জননেতা আব্দুল মান্নান হলে তালা দেয় তারা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেখ রাসেল হলের ডাইনিং ও ইন্টারনেট চালু, ইলেকট্রনিক সমস্যার সমাধান, লোকবল বৃদ্ধি করা, মসজিদে মাইকের ব্যবস্থা ,সাইকেল-বাইক রাখার গ্যারেজের ব্যবস্থা, খেলার ব্যবস্থার জন্য তারা আন্দোলনে নেমেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের দাবিগুলো হচ্ছে- ওয়াশরুম পরিষ্কার ও জুতা রাখার ব্যবস্থা করা, টোকেন সর্বজনীন করা, সাইকেল-বাইক রাখার গ্যারেজের ব্যবস্থা করা ও লোকবল বৃদ্ধি করা। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. নূরুল ইসলাম‌ জানান, শেখ রাসেল হলের ডাইনিং চালু না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। গ্যাসের সুবিধা না থাকায় ৫০০-৬০০ জন শিক্ষার্থীকে দুইবেলা খাওয়ানো অসম্ভব। সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

সিরাজগঞ্জে অবরুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বীর নিবাস পেয়েছেন এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। তবে বাড়ির চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় চলাফেরার সমস্যায় রয়েছে পরিবারটি। পরিবারটির অভিযোগ, তারা অবরুদ্ধ হয়ে আছে।  বীর নিবাসের সামনে প্রতিবেশী নুরনবী ও আনোয়ার হোসেন সবুর নিজেদের জায়গা দাবি করে চলাচলের রাস্তায় গড়ে তুলেছেন টিনের দেয়াল। ঘটনাটি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের কয়ড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুল আজিজের বীর নিবাসে।  এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও বিষয়টি সমাধান হয়নি। বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন পরিবারটি।  সরেজমিনে দেখা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুল আজিজ এক ছেলে ও শারীরিক প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন ওই বীর নিবাসে। কিন্তু তাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা নেই। বীর নিবাসের সামনে টিন দিয়ে দেয়াল তুলেছেন প্রতিবেশী নুর নবী ও আনোয়ার হোসেন সবুজ।  বীর নিবাসে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুল আজিজ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই বাড়িতে বসবাস করছি। কোনো কারণ ছাড়া আমার পরিবারের ওপর আগে থেকে ষড়যন্ত্র করে আসছে একটি চক্র। বীর নিবাস হওয়ার পর থেকে তারা আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।  আব্দুল আজিজের ছেলে বলেন, আমার বাবা এ দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। সরকার আমার বাবাকে বীর নিবাস করে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের মনে হয় বীর নিবাসে থাকা হবে না। বীর নিবাস থেকে বের হতে পারছি না। বাড়ির সামনে টিনের প্রাচীর। বারবার অঙ্গীকার সত্ত্বেও চলাচলের রাস্তা পাচ্ছি না।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বীর নিবাসটিতে বসবাসের শুরুর পর পরই ২০১৯ সালে বাড়ির সামনে স্থানীয় নুর নবী ও আনোয়ার হোসেন সবুর এর বিরুদ্ধে বাড়ির সম্মুখে চলাফেরার রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে। তখন বিষয়টি আমলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা হয়। দীর্ঘদিন মীমাংসার পর আবারও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের ওপর নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। সম্প্রতি একটি মামলাও করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা এই পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নুর নবী ও আনোয়ার হোসেন সবুরের বাড়িতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি। তাদের মা জানান, জমিসংক্রান্ত বিষয়ে আব্দুল আজিজের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। আমাদের জমির কাগজপত্র ঠিক করে দিলে আমরা তাদের চলাচলের রাস্তা খুলে দেব। আমাদের জায়গায় করা রাস্তায় আমরাই প্রাচীর দিয়েছি। ব্রহ্মগাছা  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ছরওয়ার লিটন বলেন, আসলে মুক্তিযোদ্ধার ওই পরিবারের চলাচলের সমস্যার দ্রুত সমাধান করার জন্য এর আগে একাধিকবার সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষই ঘটনাটি সমন্বয় করে নিচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকে না। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে চলাচলে বাধা সৃষ্টির কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪
X