তামাকজাত দ্রব্যে কর বৃদ্ধিতে পাশে থাকবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রীর উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নারী সদস্য ফোরামের স্বাক্ষর সংবলিত একটি চিঠি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে এই চিঠি জমা দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি তামাকজাতদ্রব্যে কর বৃদ্ধি ও তামাকবিরোধী সব কর্মকাণ্ডে নারী মৈত্রীর পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তামাকের ব্যবহার কমানোর একটি কার্যকর উপায় হলো তামাকজাতদ্রব্যে কর বৃদ্ধি করা। কর বৃদ্ধি করা হলে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে যেমন মানুষ নিরুৎসাহিত হবে, তেমনি জাতীয় রাজস্ব আয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। তামাকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার নিমিত্ত আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তামাক কর ও দাম বৃদ্ধির জন্য তামাকবিরোধী নারী সাংসদ ফোরামের প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে- ১. প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের নিম্নস্তরের মূল্য ৬০ টাকা, মধ্যম স্তরের মূল্য ৮০ টাকা, উচ্চ স্তরের মূল্য ১৩০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের মূল্য ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা। অন্যান্য স্তরের মতো নিম্ন স্তরের সিগারেটের ওপরও ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। ২. ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। ৩. প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা ৫৫ টাকা, এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে উল্লিখিত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়ন করা হলে কেবল সিগারেট খাত থেকেই প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে, প্রায় ১৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে এবং প্রায় ১০ লাখ তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে। এটি সুস্পষ্টভাবে সরকার ও জনগণ উভয়ের জন্যই লাভজনক। এটি ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
১৬ মে, ২০২৪

জনগণের প্রতিনিধি জমিদার নয়, সেবক : অর্থ প্রতিমন্ত্রী
জনগণের প্রতিনিধি জমিদার নয়, জনগণের কাছে থেকে সেবা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতা কর্মীরাই আওয়ামীলীগকে বাঁচিয়ে রেখেছে, তারাই আওয়ামীলীগের প্রাণ। আজ আপনারা শেখ হাসিনার জন্য এসেছেন, বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে এসেছেন, আপনাদের দেখে আমার মনে হচ্ছে আজ আমার ঈদ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতুরী চৌমহনী বাজারে তৃণমূল আ.লীগের নেতাকর্মীদের ঈদ পুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার প্রায়াত পিতা আতাউর রহমান খান কাইসার একটা বিষয় শিখিয়ে গেছেন, দেশের চরম মুহুর্তে দেশ ছেড়ে পালানো যাবেনা। আমারও দেশ ছেড়ে পালানোর প্রশ্নই আসেনা, আমাকে অনেক ভয় দেখিয়েছিল, নিজেরাই কোন কাজ করেনা অন্যদেরও করতে দেয়না। শেখ হাসিনা আমাকে শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি, সরকারি টাকার কাজ যথাযথ হচ্ছে কিনা সেটা জানার দায়িত্ব আপনাদের আছে। সরকারের অর্থ আপনাদের অর্থ, কাজ হচ্ছে কিনা পাহারা দেবেন, নিজেদের মধ্যে ভেদাবেদ সৃষ্টি করবেন না, তাতে দুষ্টরাই লাভবান হয়। তিনি বলেন, বাংলার এই জনপথ বাংলার মানুষের রক্তে গড়া জনপথ, শেখ হাসিনার সঙ্গে থেকে কাজ করব। স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা যুক্ত হয়েছি, কেউ আমার ভদ্রতাকে দুর্বলতা যেন না ভাবেন, আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আপনাদের সঙ্গে থাকব। আপনাদের মাঝে আমি আমার প্রয়াত বাবাকে খোঁজে পাচ্ছি। দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সহ সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জিয়া উদ্দিন বাবলু, ওয়াহেদুল আলম ও আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন। এসময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা ডা. নাছির উদ্দিন মাহমুদ, দক্ষিণ জেলা আ.লীগের শ্রম সম্পাদক খোরশেদুল আলম, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজামেল হক, দক্ষিণ জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. ইদ্রিস, শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, কর্ণফুলীর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, মঈন উদ্দিন খান পিন্টু, আ.লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন সুজন, দক্ষিণ জেলা মহিলা আ.লীগের সহ সভাপতি রেহেনা ফেরদৌস, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার, এইচ এম নজরুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. মাঈনুদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ জেলা তাঁতীলীগের সহ সভাপতি আজিজুল হক আজিজ, যুবলীগ নেতা মোজাম্মেল হক, মাহাতাব হোসেন জুয়েল, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

বাঙালিত্বের চেতনায় সব অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ড. ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির হাজার বছরের চিরায়ত ঐতিহ্য। বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনমুক্ত থেকে বাঙালিত্বের চেতনায় সব অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমাদেরকে নববর্ষে শপথ নিতে হবে। রোববার (১৪ এপ্রিল) পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের আম্রকাননে সম্মিলিত বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যা অব্যাহত রাখতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এতে উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান সরওয়ার কামাল রাজিবের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সচিব প্রণব দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, প্রবীণ রাজনীতিবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, পৌর মেয়র আলহাজ আইয়ুব বাবুল, ইউএনও আলাউদ্দিন ভূঞা জনী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি মো. নাছির, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, সাবেক চেয়ারম্যান একেএম আবদুল মতিন চৌধুরী, ম সাইফুল ইসলাম, আলমগীর আলম, এমএনএ নাছির, বিশ্বজিৎ দাশ।  অনুষ্ঠানে উপস্থাপনায় ছিলেন গৌতম চৌধুরী ও পহেলী দে। এতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বলীখেলা পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে।  উল্লেখ্য, পটিয়ায় এবার তিন দিনব্যাপী বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

দেশের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী : অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অন্ধকার থেকে সমৃদ্ধ, সমৃদ্ধ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের মাধ্যমে আনোয়ারাকে শহরের আরও নিকটে নিয়ে গেছেন, যা আনোয়ারা তথা সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া আমাদের শিখিয়েছেন উন্নয়নের মাধ্যমে কীভাবে জনসাধারণের কাছে আসা যায়। শনিবার (২৩ মার্চ) চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বারশত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পার্কি বিচ পরিদর্শন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি চর্চা করেন না, তিনি উন্নয়নের রাজনীতির মাধ্যমে দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তার রূপান্তরকারী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর বুকে উন্নয়ন বিস্ময়।  কাজী শেখ মোহাম্মদ শাহর সভাপতিত্বে ও তৌহিদুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, সদস্য ডা. নাছির উদ্দীন মাহমুদ, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোজাম্মেল, আবুল মনসুর চৌধুরী, হাজী নুরুল হক, মোহাম্মদ আলী, নাজিম উদ্দীন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।    এর আগে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস বি.কম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর কবরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও কবর জিয়ারত, আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের গুজরা নাথপাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ এবং রায়পুর বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প ও পার্কিতে পর্যটন সুবিধাবাদী প্রবর্তন প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
২৪ মার্চ, ২০২৪

সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম গেলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী
সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম গেলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ ) সকালে সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে চড়েন তিনি।   সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে যাত্রীদের সঙ্গে চট্টগ্রাম এসেছেন দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথমবার নিজ জেলা চট্টগ্রাম গেলেন ট্রেনে চড়ে। জানা যায়, ট্রেন ভ্রমণের ফাঁকে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজও সারেন ওয়াসিকা আয়শা খান। এর মধ্যে প্রতিমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সাধারণ যাত্রীরা। প্রতিমন্ত্রীও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ছবি তোলার আবদার মেটান। তিন দিনের সরকারি সফরে চট্টগ্রাম এসেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।  তার আগমন উপলক্ষে চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। ওয়াসিকা আয়শা খান ২০১৪ সালে দশম, ২০১৮ সালে একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩১ নম্বর সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। ওনার বাবা আতাউর রহমান খান কায়সার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং আমৃত্যু আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
০৮ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশি নারীদের ভূমিকা ও কৃতিত্ব গর্ব করার মতো : অর্থ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশি নারীদের ভূমিকা ও কৃতিত্ব গর্ব করার মতো বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসেকা আয়েশা খান। তিনি বলেছেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেল হয়েছে। আরও অন্তর্ভূক্তিমূলক ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কিছু প্রগতিশীল পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।  সংবর্ধনার আয়োজন করে ভারতের সহকারী হাইকমিশন, চট্টগ্রাম। এ সময় রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, একাডেমিয়া, সংবাদকর্মী, শিল্পকলা সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন পটভূমির বিশিষ্ট মহিলারা উপস্থিত ছিলেন। অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে সহকারী হাইকমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগে সর্বস্তরের নারীদেরকে উৎসবের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানান।   তিনি বলেন, ভারত নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন এবং লিঙ্গ সমতাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের নারী ও মেয়েরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।   এসময় বিশিষ্ট নারী নেত্রীদের মধ্যে প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়ের সর্বাধ্যক্ষ শীলা মোমেন, সঙ্গীত ভবনের পরিচালক কাবেরী সেনগুপ্তা, দৈনিক বাংলার ব্যুরো চিফ ডেইজি মওদুত তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। শেষে প্রমা অবন্তীর পরিচালনায় ওডিসি এন্ড ট্যাগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টারের শিক্ষার্থীরা আনন্দদায়ক ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় লোকনৃত্য দিয়ে দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে।
০৮ মার্চ, ২০২৪

দুর্নীতিমুক্ত অর্থ ব্যবস্থা গড়তে চান অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে সাশ্রয়ী এবং দুর্নীতিমুক্ত হওয়ার কথা বলছেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গতকাল রোববার প্রথম অর্থ মন্ত্রণালয়ে আসেন ওয়াসিকা আয়শা খান। সচিবালয়ে নতুন অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, কোন খাতে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জই বা মোকাবিলা করবেন কীভাবে। জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম দিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি আগে দেখবেন মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকারগুলো কী। কিছু না জেনে তিনি অগ্রাধিকার বলতে পারবেন না। তবে অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল রেখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাওয়াই হবে তার অগ্রাধিকার। ‘ব্যক্তিগত অগ্রাধিকার’ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সমুন্নত রেখে এবং প্রধানমন্ত্রীর রূপান্তরকারী নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে দুর্নীতিমুক্ত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন বলেও মন্তব্য করেন ওয়াসিকা আয়শা খান। অর্থনীতিতে কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯-এর পর থেকেই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় আছে। তার ওপর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধবাজদের যে হুংকার, তা অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে। বিশ্বের যেসব বৃহৎ অর্থনীতির দেশ আগে খাদ্য সাহায্য দিত, এখন অস্ত্রের পেছনেই তাদের অর্থ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদাহরণ টেনে ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বহু আগে থেকেই সাশ্রয়ী হওয়ার কথা বলে আসছেন। আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।’ সাশ্রয়ী হতে আপনারা কী করবেন—এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি অর্থ প্রতিমন্ত্রী। শুধু বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবেই এগোতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থার কথা যে কয়েকবার উল্লেখ করলেন, সমাজে কি দুর্নীতির আধিক্য দেখতে পাচ্ছেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ এলাম। দেখি, বুঝি। প্রশ্ন করার আরও সময় পাবেন।’ অর্থ প্রতিমন্ত্রীর আগে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীও। দেশের মানুষ ভালো আছে কি না—জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। আমি তো মনে করি তারা ভালো আছেন।’ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বাজারদর ইত্যাদি নিয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী অনেকটা কূটনীতির ভাষায় বলেন, ‘চেষ্টা তো করছি। ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এটাতেও যদি না কমে...,’ তবে বাক্য শেষ করেননি অর্থমন্ত্রী। কিন্তু দ্রব্যমূল্য কমছে না—জানালে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ধরুন তাদের।’ সাংবাদিকরা বলেন, ‘আমরা ধরলে তো হবে না। ধরতে হবে এবং নির্দেশনা দিতে হবে সরকারকে।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার তো নির্দেশনা দিচ্ছেই। আচ্ছা, এখন চলি’—এভাবে কথা বলা শেষ করেন অর্থমন্ত্রী।
০৪ মার্চ, ২০২৪

দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের মেয়ে ওয়াসিকা
দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার মেয়ে ওয়াসিকা আয়শা খান। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে সাতজন নতুন প্রতিমন্ত্রী শপথ নেওয়া সদস্যদের মধ্যে দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন তিনি।  ওয়াসিকা আয়শা খান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার খবরে তার নিজ এলাকা আনোয়ারা ও কর্ণফুলীর বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ মিষ্টি বিতরণ করেন। এ সময় নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ উল্লাস শুরু হয়। ওয়াসিকা আয়শা খানের পিতা আতাউর রহমান খান কায়সার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ২৪ জুলাই আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।  ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক হন। এ ছাড়া চিটাগাং আর্টস কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর জন্য ওকালতি করা ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ নামক নেটওয়ার্কের ভাইস চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। ২০২১ সালের জুনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। গত ১ মার্চ ২০২৪ সালে আয়শা খান অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসে দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রীর তালিকায় নাম উঠে তার। এদিকে ওয়াসিকা আয়শা খান অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া ও শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, সরকার হাট, পরৈকোড়া, বারশত ইউনিয়ন ও কর্ণফুলীতে নেতা কর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করেন। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় দুইজন প্রতিমন্ত্রী এসেছে। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। আশাকরি তারা দেশের পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টগ্রামের উন্নয়নে অবদান রাখবেন।
০২ মার্চ, ২০২৪
X