‘উপজেলা নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন’
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সভা শেষে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। এর আগে কখনো এত বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিল না। তিনি জানান, প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবে ও ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। সচিব বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসার যেটা বলবেন, সেভাবে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) দায়িত্ব পালন করবে। স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের লাঠিয়াল হয়ে কাজ করছে : রিজভী
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।  রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকবর হোসেন ও ছেলে ছাত্রদল নেতা শাহাদাত হোসেন রনির বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথ হামলা চালিয়েছে। এ সময় বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও নগদ অর্থসহ স্বর্ণের গয়না লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।  রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে বাড়িতে বাড়িতে অভিযানের নামে নারকীয় কর্মকাণ্ডে চালাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।  তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখন আরও তীব্র মাত্রায় কর্তৃত্ববাবাদী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করছে। গত দেড় দশক ধরে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের এবং অবৈধ আওয়ামী সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারীদের ওপর অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন সরকার আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে।  তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে পারবে না। কারণ জনগণ এখন আওয়ামী দখলদার ও লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারীদের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণ আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।  
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ভোটবিরোধী কর্মকাণ্ডে কঠোর হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্বাচনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড করা যাবে না-এমন নির্ধেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিজয় আনন্দ প্রকাশ করতে মানা করছি না। তবে সংযতভাবে চলতে হবে; শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে হবে। ভোটবিরোধী কর্মকাণ্ড চালালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।    শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৮ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা না মেনে আইন লঙ্ঘন ও সহিংসতা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পালন করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।   এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার পর রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। পরে আবারও দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আবারও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এর আগে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে মহান বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

অবরোধে শ্রীমঙ্গলে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে চলছে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ। এদিকে অবরোধকে কেন্দ্র করে সকল ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সতর্ক অবস্থানে মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ টহলে নেতৃত্বে আছেন শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। এ ছাড়া শহরে ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। জোরদার করা হয়েছে টহল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির একটি চৌকস দল এবং পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দূরপাল্লার বাস ছাড়া স্বাভাবিক রয়েছে সব ধরনের যান চলাচল। 
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

তপশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সিলেটে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সিলেটে বিএনপির পঞ্চম দফার প্রথম দিনের অবরোধ ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রীতিমতো যানজট ছিল নগরের বিভিন্ন সড়কে। তবে, সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি মাথায় রেখে নগরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ-র‍্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।   নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তপশিল ঘোষণা করবেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ কালবেলাকে বলেন, সিলেটে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে বলে মনে করছি না আমরা। তবুও পুলিশ সতর্ক রয়েছে। সব ধরনের নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, সিলেট মহানগর ও শহরতলির প্রতিটি মোড় এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বৃদ্ধি করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও অবস্থান। এ ছাড়া বিভিন্ন সড়কে রয়েছে র‌্যাব-৯ এর ‘রোবাস্ট পেট্রোল’ টিম। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে রয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১৫ নভেম্বর, ২০২৩

এবার আমীর খসরুর বাসা ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বনানীর বাসাও ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে মহাসচিবের গুলশানের বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বনানীর বাসা ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিতি হয়েছেন। এর আগে সকালে মির্জা ফখরুলকে আটক করতে তার বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয় বলে জানায় বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে তুলে নিতে সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন। এদিকে রাত থেকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে। শামসুদ্দিন দিদার বলেন, পুলিশ বাড়ির প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করছে। যে কোনো সময় ভেতরে ঢুকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যেতে পারে।
২৯ অক্টোবর, ২০২৩

যাত্রাবাড়ী এলাকায় সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা। সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মাতুয়াইল, ওয়ারী, শ্যামপুর, গেন্ডারিয়া এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে র‍্যাব ও পুলিশ। যাত্রাবাড়ী মোড়ে এবং আশপাশের এলাকায় জনসাধারণের চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক। এছাড়াও রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে দূরপাল্লার যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।  র‍্যাব ১০ এর পলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল বলেন, সকাল থেকেই যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন এলাকাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেওয়া হয়েছে। যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছি আমরা।
২৯ অক্টোবর, ২০২৩

রোববারের হরতাল, সাতক্ষীরায় কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
বিএনপির পর জামায়াতের রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘিরে নাশকতা মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ। সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে পুলিশের বাড়তি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকেই সাতক্ষীরার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য লক্ষ্য করা গেছে। তবে রাত পর্যন্ত জেলায় কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হরতালকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ কিংবা যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম বলেন, সাতক্ষীরায় হরতালে কোনো ক্ষয়ক্ষতি সম্ভাবনা নেই। জনগণের নিরাপত্তা ও জানমালের জন্য হুমকি এমন যেকোন কর্মসূচি সাতক্ষীরাতে হতে দেওয়া হবে না। হরতালে যারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ কিংবা ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। সেজন্য শনিবার সন্ধ্যা থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিগত ১৩-১৪ সালে নাশকতার সময় সাতক্ষীরায় কাজ করেছি। এজন্য দুষ্কৃতিকারীদের কীভাবে দমন করতে হয় এমন অভিজ্ঞতা আমার আছে। এজন্য জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং স্থাপনার নিরাপত্তা বিধানে অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। জ্বালাও-পোড়াও যাতে না হয় সেজন্য জেলা পুলিশের সব কয়টি ইউনিট কাজ করছে।’ অন্যদিকে হরতাল কর্মসূচিকে ঘিরে সাতক্ষীরায় যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৬) সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি নাজমুল বলেন, সাতক্ষীরাতে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‌্যাব-৬ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। র‌্যাবের টহল টিম কাজ করছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।’
২৯ অক্টোবর, ২০২৩

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, আন্দোলন করা রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার। কিন্তু কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তাকে আমি ভালো জানতাম। কিন্তু জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য তিনি অনেক কথা বলেন।’ আইনমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় আখাউড়া রেলস্টেশনে পৌঁছান। এ সময় আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে আইনমন্ত্রী পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেন।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩

২৮ অক্টোবর : যেসব প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। মতিঝিল শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করতে চায় জামায়াতে ইসলামী। অন্যদিকে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। রাজধানীতে এসব সভা-মহাসমাবেশকে ঘিরে প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ, র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখা। রাজনৈতিক দলগুলোর এই মহাআয়োজনকে ঘিরে বারবার সতর্ক করছে পুলিশ ও র‌্যাব। বিএনপিকে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের অনুমতি দিতে চায় নি ঢাকা মহানগরী পুলিশ (ডিএমপি)। বিএনপিকে মহাসমাবেশের জন্য অন্য জায়গা বিবেচনার কথা বললেও জামায়াতের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে পছন্দমতো স্থানে একই শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান আজ রাতে কালবেলা বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো বড় দুইটি দল তাদের কর্মূসচি কীভাবে, কখন, কোথায় করতে চায়- তা পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পুলিশের কাছে দেওয়া দুই দলের চিঠি ইতিবাচকভাবে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। কমিশনার বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে তাদের পছন্দের জায়গায় সমাবেশ করার অনুমতি দিতে সমস্যা নেই। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। তা হলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে জলকামান, সাঁজোয়া যান, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিয়ে সর্বাত্মক প্রস্তুত থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা রেঞ্জের আওতায় থাকা বিভিন্ন থানায় রাখা হবে রিজার্ভ ফোর্স। সূত্র জানায়, বিজিবিকে রাখা হচ্ছে স্ট্যান্ডবাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে মাঠে নামবে তারা।  ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, কোনো সহিংসতার শঙ্কা দেখছি না। তবে জামায়াতকে কোনোভাবেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। বিশৃঙ্খলা রোধে যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ মহিদ উদ্দিন। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকার প্রবেশপথসহ রাজধানীর ভেতরে সড়কও গলিতে টহল দিচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা। সূত্র জানায়, রাজধানীর প্রবেশপথগুলোসহ মহাসমাবেশ ঘিরে মোতায়েন করা হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০-১৫ হাজার সদস্য। এ ছাড়া মহাসমাবেশের দিন জলকামান, সাঁজোয়া যান, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিয়ে প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যখনই নিরাপত্তার ঘাটতি দেখা দেবে, তখনই শক্তি প্রয়োগ করা হবে। ডিএমপির একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপি-জামায়াতের মহাসমাবেশের দিন ঢাকার প্রবেশপথ সাইনবোর্ড, আব্দুল্লাহপুর, গাবতলী,  পোস্তগোলা সেতু, বাবুবাজার সেতুসহ রাজধানীর পয়েন্টগুলোতে প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির দাঙ্গা দমন বিভাগ, থানা-পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মূল দায়িত্বে থাকবে। বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণের জন্য প্রস্তুত থাকবে ডিএমপির বিশেষায়িত দল সোয়াটের সদস্যরা। এদিকে রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা। চেক করা হচ্ছে সন্দেহভাজন নাগরিক ও ব্যক্তিগত গাড়ি। চেক করা হচ্ছে রোগীবাহী এম্বুলেন্সও।  বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমিনবাজার ও আশুলিয়ায় পুলিশের চেকপোস্টের কার্যক্রম শুরু হয়। পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আরেকটি চেকপোস্ট পরিচালনা করছেন র‌্যাব-৪ এর সদস্যরা। ইতোমধ্যে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে কেরানীগঞ্জ, সাইনবোর্ড ও আব্দুল্লাহপুর এলাকায়। সন্ধ্যার পর থেকে মতিঝিল, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি, রিকশা থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়।
২৬ অক্টোবর, ২০২৩
X