অস্ত্রোপচার শেষে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আনু মুহাম্মদ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং তেল, গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পায়ের আঙুলে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আনু মুহাম্মদ। চিকিৎসকরা জানান, তার পায়ের আঙুল গুরুতরভাবে থেতলে গেছে। এতে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান বিধান সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পায়ের আঙুলের চামড়া কেটে ফেলা হয়েছে। আঙুল কাটা হয়নি। দিনাজপুরে একটি স্মরণসভায় অংশ নিয়ে গতকাল রোববার সকালে ঢাকায় ফিরছিলেন আনু মুহাম্মদ। রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ট্রেন থেকে নামার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। এ বিষয়ে তার বন্ধু নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফুলবাড়ী থেকে ট্রেনে ওঠেন। খিলগাঁওয়ে পৌঁছানোর পর নামতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান। সে সময় তার দুই পা ট্রেনের চাকার নিচে চলে যায়। সকাল ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এক বিবৃতিতে এ দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে আনু মুহাম্মদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।  চিকিৎসাধীন অবস্থায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, তার আঙুলে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন চিকিৎসকেরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পায়ের আঙুল মারাত্মকভাবে থেঁতলে গেছে। এতে আঙুলের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তার চিকিৎসা করা হচ্ছে।  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান বিধান সরকার জানান, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পায়ের আঙুলের চামড়া কেটে ফেলা হয়েছে। এতে আঙুলের হাড় বের হয়ে গেছে। তবে আঙুল কাটা হয়নি। প্রসঙ্গত, জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চার তেল, গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি দিনাজপুরে একটি স্মরণসভায় অংশ নিয়ে আজ রোববার ঢাকায় ফিরছিলেন। রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ট্রেন থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। 
২১ এপ্রিল, ২০২৪

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে জনগণের শক্তি বাড়াতে হবে : আনু মুহাম্মদ
রাষ্ট্রীয় শক্তি খুব সংঘবদ্ধ, তারা সংগঠিত এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে জনগণের শক্তি বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ‘নিত্যপণ্যের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দফায় দফায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির রুখতে’ শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকাল ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে ও  গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহা মীর্জা, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. হারুন অব রশীদ, গণমুক্তি ইউনিয়নের সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমাদত্ত, বঙ্গন্ধু হলে ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফী, নারী অধিকার কর্মী মার্জিয়া প্রভা, সিনিয়র নাগরিক সুজিত চৌধুরী প্রমূখ। আনু মুহাম্মদ বলেন, এদেশটি শাসকগোষ্ঠী, লুটেরা গোষ্ঠী  দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এবং তাদের অনুগ্রহের আমরা ঠিকে আছি, বেঁচে আছি এই বোধ থেকে দেশের জনগণ মুক্ত না হলে এবং দেশের ওপরে জনগণের মালিকানা বোধ তৈরি না হলে ক্ষমতা তৈরি করার রাজনীতি বিকাশ হবে না। তিনি আরও বলেন, একটা দেশের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, জনসমর্থন, জনসম্মতি ছাড়া কর্তৃত্ব এবং ফ্যাসিবাদী বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটা সরকার দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাই থাকলে এর পরিণতি কি হয় এটি দেশের জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি ও মানুষের জীবন যাত্রার দেখে তা স্পষ্ট হয়। সুতরাং এটা লড়াইয়ের সাথে কোনো না কোনোভাবে সম্পর্কিত। এর বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে, এর ছাড়া আমাদের কোনো পথ নাই। এ লড়াইয়ে দেশের জনসাধরণ সর্বশক্তি নিয়োগ দেবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বলেন, একটি দেশের বাজার ব্যবস্থা এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা কঠিন কিছু নয়। বাজার ব্যবস্থার জন্য বাজারের সুশাসনের পাশাপাশি যে জিনিসটা দরকার বিকল্প বাজারের ব্যবস্থা। কিন্তু সরকার তা করেনি। তিনি আরও বলেন, দেশের চাল, ডাল, তেল, আটা, পেঁয়াজের ব্যবসা মুষ্টিমেয় লোকের হাতে চলে গেছে। এখানে যদি মধ্যবিত্ত ও ছোটখাটো ব্যবসা যারা আগে ছিল তারা যদি থাকতো তাহলে বাজারে এ ধরণে সিন্ডিকেট তৈরি হতো না। সে কারণে দেশের বাজার ব্যবস্থাকে সংস্কার করা দরকার। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মধ্যবিত্ত ও ছোটখাটো ব্যবসায়ীদেরকে সুযোগ সুবিধা দেওয়া দরকার। বাজারের জিনিসের দাম বেড়ে গেছে সরকারের তো কোনো ক্ষতি নেই, তাদের লোকজনের এত দুঃখ নেই। একমাত্র একটা ব্যাপার ছিল ভোটের সময় জবাবদিহিতা করতে হতো, কিন্তু এখনতো আর ভোট হয় না, সে কারণে তাদের জবাবদিহিতাও করতে হয় না।
২৯ মার্চ, ২০২৪

দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতির বিকাশে চাপ তৈরি করতে হবে : আনু মুহাম্মদ
আয়ুর্বেদ-ইউনানীর উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে না। আর আমলাদেরও এসব বিষয়ে কোনো ধারণা নেই। এ দেশে ওষুধ শিল্প এখনো বাণিজ্য মাফিয়াদের হাতে। ফলে চিকিৎসা করতে গিয়ে মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সংগঠক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।  শনিবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আয়ুর্বেদ ও ইউনানীবিষয়ক জাতীয় সংলাপ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, এখনো মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করে। বাকিরা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির সেবা নেয়। তাই আমাদের দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতির বিকাশে চাপ তৈরি করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ বলেন, প্রাচির কাজ প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি একটি বিষয়। ইউনানী ও আয়ুর্বেদের গুণগত ও শিক্ষামান একসাথে উন্নয়ন করতে হবে। তাদের জন্য আলাদা কাউন্সিল হতে হবে। সেই কাউন্সিল দেশি-বিদেশি সব পর্যায়ের শিক্ষামানের অনুমোদন দেবে। ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ জরুরি।  বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সের ফেলো অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলি বলেন, ২০১৬ সালে হেলথ প্রফেশনাল কাউন্সিল নামে একটি বিষয় পাশ হয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। তারপর আমাদের রেজিস্ট্রেশন অথরিটিও নেই। তাই সমস্যা। ইউনানী-আয়ুর্বেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টির আওতায় আনতে হবে।  কলামিস্ট ও লেখক রাখাল রাহা বলেন, রাষ্ট্রের অন্যান্য অংশের সমস্যার মতোই ইউনানী-আয়ুর্বেদ আলাদা কোনো বিষয় না।  অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, প্রাচি’র কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি সালেহ মুহাম্মদ আব্দুর রহমান, আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র সাবেক প্রধান নির্বাহী শিপা হাফিজা, গবেষক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মাসফিদা আক্তার, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের সাধারণ শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসেন জাহান, প্রবীণবান্ধব বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন মিতালী হোসেন প্রমুখ। বাংলাদেশ আয়ুর্বেদ ও ইউনানী চিকিৎসা শাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সম্ভাবনা, সমস্যা ও প্রতিকারবিষয়ক আলোচনা জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে প্রাচীন ও চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থায় অগ্রগামী জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রাচি এর আয়োজন করে। জাতীয় সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন প্রাচির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোখলেছুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। জাতীয় সংলাপের মূল প্রবন্ধে ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা ও শিক্ষামান উন্নয়নে ১৮টি সুপারিশ করা হয়। সংলাপে সর্বসম্মতিক্রমে এসব সুপারিশ গৃহীত হয়।
২১ অক্টোবর, ২০২৩
X