ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে জনগণের শক্তি বাড়াতে হবে : আনু মুহাম্মদ

অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ছবি : কালবেলা
অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ছবি : কালবেলা

রাষ্ট্রীয় শক্তি খুব সংঘবদ্ধ, তারা সংগঠিত এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে জনগণের শক্তি বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

‘নিত্যপণ্যের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দফায় দফায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির রুখতে’ শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকাল ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহা মীর্জা, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. হারুন অব রশীদ, গণমুক্তি ইউনিয়নের সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমাদত্ত, বঙ্গন্ধু হলে ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফী, নারী অধিকার কর্মী মার্জিয়া প্রভা, সিনিয়র নাগরিক সুজিত চৌধুরী প্রমূখ।

আনু মুহাম্মদ বলেন, এদেশটি শাসকগোষ্ঠী, লুটেরা গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এবং তাদের অনুগ্রহের আমরা ঠিকে আছি, বেঁচে আছি এই বোধ থেকে দেশের জনগণ মুক্ত না হলে এবং দেশের ওপরে জনগণের মালিকানা বোধ তৈরি না হলে ক্ষমতা তৈরি করার রাজনীতি বিকাশ হবে না।

তিনি আরও বলেন, একটা দেশের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, জনসমর্থন, জনসম্মতি ছাড়া কর্তৃত্ব এবং ফ্যাসিবাদী বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটা সরকার দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাই থাকলে এর পরিণতি কি হয় এটি দেশের জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি ও মানুষের জীবন যাত্রার দেখে তা স্পষ্ট হয়। সুতরাং এটা লড়াইয়ের সাথে কোনো না কোনোভাবে সম্পর্কিত। এর বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে, এর ছাড়া আমাদের কোনো পথ নাই। এ লড়াইয়ে দেশের জনসাধরণ সর্বশক্তি নিয়োগ দেবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বলেন, একটি দেশের বাজার ব্যবস্থা এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা কঠিন কিছু নয়। বাজার ব্যবস্থার জন্য বাজারের সুশাসনের পাশাপাশি যে জিনিসটা দরকার বিকল্প বাজারের ব্যবস্থা। কিন্তু সরকার তা করেনি।

তিনি আরও বলেন, দেশের চাল, ডাল, তেল, আটা, পেঁয়াজের ব্যবসা মুষ্টিমেয় লোকের হাতে চলে গেছে। এখানে যদি মধ্যবিত্ত ও ছোটখাটো ব্যবসা যারা আগে ছিল তারা যদি থাকতো তাহলে বাজারে এ ধরণে সিন্ডিকেট তৈরি হতো না। সে কারণে দেশের বাজার ব্যবস্থাকে সংস্কার করা দরকার। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মধ্যবিত্ত ও ছোটখাটো ব্যবসায়ীদেরকে সুযোগ সুবিধা দেওয়া দরকার। বাজারের জিনিসের দাম বেড়ে গেছে সরকারের তো কোনো ক্ষতি নেই, তাদের লোকজনের এত দুঃখ নেই। একমাত্র একটা ব্যাপার ছিল ভোটের সময় জবাবদিহিতা করতে হতো, কিন্তু এখনতো আর ভোট হয় না, সে কারণে তাদের জবাবদিহিতাও করতে হয় না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপির নতুন ক্যাম্পেইন / ‘ইন্টেরিম রিমেম্বার, ইলেকশন ইন ডিসেম্বর’ 

তারেক রহমান সব মামলায় খালাস পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ ইউট্যাবের 

বিবাহবার্ষিকীতে কপাল খুলল দম্পতির, পেলেন ২৩ কোটি টাকা

ব্যবসায়ীর পিকআপভ্যান আটকে ‘চাঁদা’ নিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

ঘরে ঢুকে নারীকে গলাকেটে পুকুরে ফেলল মরদেহ

সাগরে নিম্নচাপ, বৃষ্টি থাকবে আরও দুদিন

চাকরি দিচ্ছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, আবেদন করবেন যেভাবে

ট্রাম্পের পাশে থাকা মাস্ক অবশেষে সরে দাঁড়ালেন

চিফ ইঞ্জিনিয়ারের পরিকল্পনায় মোংলা বন্দরে জাহাজে ডাকাতি

আজ থেকে দেশের সব সোনার দোকান বন্ধ

১০

সকাল থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি

১১

কেউ নিরাপদ থাকবে না, ইসরায়েলকে ইয়েমেনি বিদ্রোহীরা

১২

বিনা টেন্ডারে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার অভিযোগ

১৩

সাভারে ছাত্রদলের কমিটিতে বিবাহিত ও ছাত্রলীগ কর্মী

১৪

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

১৫

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা

১৬

সকালে খালি পেটে এক মুঠো কাঁচা ছোলা কী কী উপকার করে

১৭

কে এই মোহাম্মদ সিনওয়ার, যাকে হত্যার দাবি করছে ইসরায়েল

১৮

পুশইনে ব্যর্থ হয়ে ককটেল ফাটিয়ে ফিরে গেল বিএসএফ

১৯

কেমন কাটতে পারে আজকের দিন, জেনে নিন রাশিফলে

২০
X