আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে আগ্রহী। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট। হাইকমিশনার বলেন, আমাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তার সঙ্গে এটি আমার প্রথম বৈঠক, বলতে পারেন সৌজন্য সাক্ষাৎ। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখী হই। প্রণয় ভার্মা বলেন, কোয়ালিশন পর ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্টাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। গত বছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যেমন– রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বান্দরবা‌নে নামছে বন্যার পানি, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছে মানুষ
বান্দরবা‌নে টানা ৮দিন পর মঙ্গলবার রাত থে‌কে বৃ‌ষ্টি কিছুটা ক‌মে এলে নামতে শুরু করেছে পানি। এদিকে পা‌নি নে‌মে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষ নিজ নিজ বা‌ড়ি‌তে ফির‌তে শুরু ক‌রে‌ছে। এছাড়া এখ‌নো বন্ধ র‌য়ে‌ছে বিদ্যুৎ, নেটওয়ার্ক, ইন্টার‌নেট সেবা ও বিশুদ্ধ পা‌নি সরবরাহ। ২ আগস্ট রাত থে‌কে শুরু হয় টানা বর্ষণ। লাগাতার ৮ দি‌নের টানা বর্ষণের ফ‌লে ডু‌বে যায় বান্দরবা‌নের প্রধান বাজার, ডি‌সির বাসভবন, এস‌পি অ‌ফিস, বাসভবন, এল‌জিইডি অ‌ফিস, নির্বাচন অ‌ফিস, জর্জ কোর্টসহ মেম্বার পাড়া, আর্মি পাড়া, হা‌ফেজ ঘোনা, ইসলামপুর, কালাঘাটা, বালাঘাটাসহ শহ‌রের প্রায় ৮০ শতাংশ বা‌ড়িঘর। অব‌শে‌ষে ৮দিন পর মঙ্গলবার রাত থে‌কে বৃ‌ষ্টি কিছুটা কম‌তে থা‌কে। এতে ধী‌রে ধী‌রে নে‌মে যায় নিচু এলাকার পা‌নি।  প্লাবিত এলাকা ঘু‌রে দেখা‌ গে‌ছে, সকাল থে‌কে নিচু এলাকার পা‌নিও স‌রে গে‌ছে। আর এসব এলাকার বা‌সিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্র থে‌কে ফির‌ছে নিজ বা‌ড়ি‌। বা‌ড়ি‌তে এসেও নেই শা‌ন্তি‌তে। ফি‌রেই প‌রিষ্কার প‌রিচ্ছন্নতার কা‌জে লে‌গে গে‌ছে। এখ‌নো বন্ধ র‌য়ে‌ছে বিদ্যুৎ, ইন্টার‌নেট সেবা। অ‌নে‌কে বা‌ড়ির ভেত‌রে একটু উঁচু স্থা‌নে মালপত্র রে‌খে ঘর থে‌কে বের হ‌য়ে‌ছিল। বন্যায় ক্ষ‌তিগ্রস্থ মো. শামসুল ইসলাম ব‌লেন, এ বছ‌রের পা‌নি অতী‌তের সব রেকর্ড ছা‌ড়ি‌য়ে‌ছে। সব মানু‌ষের বে‌শি ক্ষ‌তি হ‌য়ে‌ছে যা ভাবনার বাহিরে। হোস‌নে আরা বেগম জানান, ‌নিচতলা থে‌কে বের ক‌রে সব‌কিছু দোতলার ওপর রেখ‌ছি। সেখা‌নেও সব কিছু ডু‌বে গে‌ছে। পরিধান করা কাপড় ছাড়া সব ডু‌বে নস্ট হ‌য়ে গে‌ছে। বিদ্যুৎ বিভা‌গের দীপ্ত চক্রবর্তী ব‌লেন, বিদ্যুতের লাইনে অ‌নেক সমস্যা হ‌য়ে‌ছে। আরও ৪ থেকে ৫‌ দিন লাগ‌তে পা‌রে সরবরাহ দি‌তে। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজা‌হিদ উদ্দিন ব‌লেন, জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, উপ‌জেলা প‌রিষদ, ইউনিয়ণ প‌রিষদ, পু‌লিশ, সেনাবা‌হিনী সবাই মি‌লিত হ‌য়ে কাজ করছে। যতটুকু সম্ভব প্রশাসন ক্ষ‌তিগ্রস্থ সবার খোঁজ খবর রাখ‌ছে। তা‌দের খাদ্য সরবরাহ, চি‌কিৎসা ব্যবস্থা সব‌ কিছুই করা হ‌চ্ছে। আশা কর‌ছি সবাই নিরাপ‌দে বা‌ড়ি ফির‌তে পার‌বে।
১১ আগস্ট, ২০২৩
X