ভোগ বিলাস করতে রাজনীতিতে আসি নাই : সাদ্দাম
ভোগবিলাস কিংবা নিজের পকেট ভরানোর জন্য রাজনীতি করতে আসি নাই। সততা, বিনয়, পরিশ্রম এবং মানুষের পাশে থাকার তাড়না নিয়ে আজকে আমরা রাজনীতির পথে নেমে এসেছি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় দেবীগঞ্জ পৌরসদরের অলদীনি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে 'তারুণ্য গড়বে পঞ্চগড়' সংগঠনের আয়োজনে অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি এসব কথা বলেন। সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে ছাত্রলীগ সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিংবা বাহাদুরী দেখানোর জন্য আমি রাজনীতি করতে আসে নাই। এটা হতে হবে, ঐটা হতে হবে এটার মানে রাজনীতি নয়, আপনাদের যেটা প্রয়োজন সেটার বাস্তবায়ন করাই হলো আমার কাছে রাজনীতির সমার্থক শব্দ।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছেন, রাস্তাঘাট ও আধুনিক অবকাঠামো তৈরি করে দিয়েছেন, ছেলেমেয়েদের ট্রেনিং সেন্টার করে দিয়েছেন। এই সরকার তথা শেখ হাসিনার গণমুখী নীতির সুযোগ-সুবিধা যেন দেবীগঞ্জের মানুষ গ্ৰহন করতে পারে সেটির জন্য আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করবো।’ সাদ্দাম হোসেন আরো বলেন, ‘আমাদের এখানকার স্কুলগুলো, কলেজগুলো যেন একটি মডেল স্কুল, কলেজে পরিণত হতে পারে, সে ব্যাপারে আমরা যারা ছাত্র রাজনীতি করি, আমরা যারা বিভিন্ন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। আমি বিশ্বাস করি, আজকে নতুন যে পথচলা শুরু হলো, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকবো। বোদা, দেবীগঞ্জকে আধুনিক, সমৃদ্ধ পঞ্চগড় গড়ার জন্য কাজ করে যাব। সেই লক্ষ্যে আপনাদের জায়গা থেকে ঐক্যবদ্ধ থাকার চেষ্টা করবেন।’ আলোচনাসভা শেষে দেবীগঞ্জ পৌরসভার ২ হাজার অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চিশতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন সরকার, দেবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী হুমায়ুন, পঞ্চগড় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আবু নোমান ও সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারী প্রমুখ।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

আমার বিরুদ্ধে শক্ত প্রার্থী নাই, ভালোবাসার টানে আসি : আইনমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাই। অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন, আমি কেন প্রত্যেক ইউনিয়নে মিটিং করছি। এর কারণ হলো- আমি আখাউড়া-কসবাবাসীকে ভালোবাসি। আমি এ-ও জানি আপনারা আমাকে ভালোবাসেন। নির্বাচন মুখ্য নয়, এই ভালোবাসার টানেই আমরা পরস্পর পরস্পরকে দেখতে যাই। ১০ বছর আপনাদের সেবা করে উন্নয়ন করেছি। ভালোবাসার দাবিতে আপনাদের ভোট চাই।   শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া খেলার মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  এ সময় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে ভোট দিয়ে সারা বিশ্বকে দেখাবেন আপনারা আমাকে ভালোবাসেন।  বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচন করতে এসেছে। তারা নির্বাচন করতে এসে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। বিএনপি একেক জায়গায় ৩/৪ জন প্রার্থী দিয়েছিল। আপনাদের সবার মনে আছে আমার এই আসনেও চারজন প্রার্থী দিয়েছিল। তারা একজনের টাকা নিয়ে আরেকজন ও আরেকজনের টাকা নিয়ে ৪ নম্বরকে দিয়েছেন। তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। নির্বাচনের সময় আসলে বিএনপির বাণিজ্য করার দরকার হয়, তখন তারা বলে বাণিজ্য করব। তাদের ছক্কি-ভক্কি জনগণ ধরে ফেলেছে। যখন বিএনপি বাণিজ্য করতে পারে না, তখন তারা বলে নির্বাচন করব না। গণতন্ত্রের যে প্রক্রিয়া, গণতন্ত্র সেভাবে চলে। সঠিকভাবে গণতন্ত্র চলছিল বলেই এবং বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে বলেই তারা এসব গণতন্ত্রান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করতে চায় না। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে। তারা ট্রেনে আগুন দিয়ে ৩ বছরের শিশুকে মেরেছে।  মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান নাজিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মতিন প্রমুখ।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

‘বিদ্যালয়ে আসি কি না, সেই কৈফিয়ত কি আপনাকে দিব’
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় নিজের খেয়ালখুশিমতো বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তিনি চলতি শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়েছেন হাতে গোনামাত্র কয়েক দিন। এ ঘটনাটি ঘটেছে ডিমলা সদর ইউনিয়নের সরদারহাট সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফয়জুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে এসব কর্মকাণ্ড করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দাবি, এ বিষয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে বলেও তার কোনো সুরাহা হয়নি। অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ে যথাসময়ে উপস্থিত হওয়ার নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না ওই শিক্ষক। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে নিজের খেয়ালখুশিমতো স্কুলে আসেন যান। কখনো স্কুলে আসলেও ঠিকমতো কোনো ক্লাস করান না তিনি। চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া রাবেয়া আক্তার বলেন, স্যার আমাদের একদিন ক্লাস নিয়েছে আর কোনোদিন ক্লাস নেয়নি। আমাদের অন্য স্যার-ম্যাডামরা ক্লাস নেন কিন্তু উনি নেন না। কেন নেন না, তা জানি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ক্লাস ফোরে মাত্র একদিন ইংরেজি ক্লাস নিয়েছেন তিনি। বাকি দিনগুলো স্কুলে আসলে আমাদের ক্লাস করাতে আসেনি। তিনি স্কুলে আসেন, চলে যান, আবার আসেন। কোনো কোনো দিন স্কুলেও আসেন না। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া সূর্য ভানু বলেন, ফয়জুর রহমান স্যার আমাদের স্কুলে ঠিকমতো আসেন না এবং আমাদের ক্লাস নেন না। রুটিনে স্যারের নাম আছে, তিনি আমাদের ইংরেজি ক্লাস নেবেন তবুও তিনি ইংরেজি ক্লাস নেন না। আমরা তাকে অনেক জোর করেছি ক্লাস নেওয়ার জন্য। স্যার ক্লাস নিতে বললেও তিনি ক্লাস নেন না। মুস্তাকিম নামে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলেন, রুটিনে স্যারের ক্লাস থাকলেও আমাদের ক্লাসে আসেন না। কিন্তু স্যার স্কুলে আসেন আবার খেয়ালখুশিমতো চলে যান যখন ইচ্ছে হয়। স্থানীয় অধিবাসী ও তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ফিজিয়ার মা বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত ফয়জুল আলম স্কুলে আসেন না। আমি এর প্রতিকার চাই। তিনি যেন পুরোপুরিভাবে ক্লাস আসেন এবং শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান করান। এভাবে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বইবিমুখ হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফয়জুর রহমান বলেন, আমার স্কুলে আপনাকে পাঠিয়েছে কে, এটা বলেন তো আগে। আমাকে দেখার জন্য স্টাফ আছে, আমার কর্তৃপক্ষ আছে। আমি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসি কিনা সেই কৈফিয়ত কি আমি আপনাকে দেব। এই বিদ্যালয়ের অনেকেই নিয়মিত আসেন-না তাদেরকেও বলেন, শুধু আমাকে বলছেন কেনো, বলতে বলতে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহানা জামান বলেন, মৌখিকভাবে একাধিকবার জানিয়েও কোনো সমাধান পায়নি। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে তিনি গাফিলতি করেন। পরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।  উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজুল আলম বলেন, ইতোপূর্বে  নিয়মিত পাঠদান না করার কারণে তাকে শোকজ করা হয়েছিল। উনি পরিবর্তন না হলে আগামীতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ আলম বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কোনো সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ এম শাহজাহান সিদ্দিক বলেন, দায়িত্ব অবহেলার কোনো সুযোগ নাই। যদি আমার কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসে একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তার যে শাস্তি, সে পাবে। এটা আমি নিশ্চিত করব।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X