বিনোদন শিক্ষার ব্যবস্থা করছে ইউনিসেফ
যুদ্ধের ভয়াবহতার সবচেয়ে বড় শিকার শিশুরা। শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তারা। এ মানসিক বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে লাগে অনেক সময়। গাজায় অনেক শিশু মা-বাবা, ভাইবোন বা পরিবারের অন্য সদস্যকে হারিয়ে এখন মানসিকভাবে বেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এসব শিশুর পাশে দাঁড়াচ্ছে। সেখানে গান ও নাচের মতো বিনোদনমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে শিশুদের কিছু প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে সংস্থাটি। ইউনিসেফ সেখানে অর্ধশত তাঁবুভিত্তিক স্কুল চালু করার পরিকল্পনা করেছে। যেখানে প্রতিদিন তিন শিফটে প্রায় ছয় হাজার শিশুকে পাঠদান করা হবে। ইউনিসেফ ফিলিস্তিনের হেড অব কমিউনিকেশন জনাথন ক্রিক্স বলেন, ‘এটা করা খুবই জরুরি। কারণ অনেক শিশু হাসতে ভুলে গেছে। কথা ঠিকমতো বলছে না। কষ্টে অনেকে পাথর হয়ে গেছে। যদিও আমাদের এ কর্মকাণ্ড প্রয়োজনের সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো। তারপরও আমরা সেটা করব যাতে এ শিশুরা মানসিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
১৬ মে, ২০২৪

তাপপ্রবাহে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা : ইউনিসেফ
দুঃসহ তাপপ্রবাহ। অস্বস্তিতে জনজীবন। দেশজুড়ে এমন অসহনীয় তামপাত্রায় শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে ইদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ। ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকিসূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। শিশুদের ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউনিসেফ বাবা-মায়েদের প্রতিতাদের সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছে। চলমান এই তাপপ্রবাহসহ জলবায়ু পরিবর্তনের আরও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরী পদক্ষেপ নেবার এখনই সময়। অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায়, আমাদেরকে আগে শিশু ও সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার প্রতি নজর দিতে হবে। চলমান এই তাপপ্রবাহ থেকে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুরক্ষার জন্য ইউনিসেফ সম্মুখ সারির কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, পরিচর্যাকারী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছে: প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা : শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের বসা ও খেলার জন্য ঠাণ্ডা জায়গার ব্যবস্থা করুন। তপ্ত দুপুর ও বিকেলের কয়েক ঘণ্টা তাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো থেকে বিরত রাখুন। শিশুরা যেন হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সারা দিন তারা যেন প্রচুর পানি পান করে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসা : যদি কোনো শিশু বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মধ্যে ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপমাত্রাজনিত সমস্যার উপসর্গ দেখা দেয় (যেমন, মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমিবমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাংসপেশীতে টান, ডায়াপার পরার জায়গাগুলোতে ফুসকুড়ি) তাহলে তাকে একটি ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যান যেখানে ছায়া এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের সুযোগ আছে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিন বা গায়ে ঠাণ্ডা পানি দিন। তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা খাবারস্যালাইন (ওআরএস) পান করতে দিন। তবে হিট স্ট্রেসের উপসর্গ তীব্র হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিতে হবে। আপনার প্রতিবেশীদের খেয়াল রাখুন : তাপপ্রবাহ চলাকালে অসহায় পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিরাই সবার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতেও তারাই বেশী থাকেন। আপনার প্রতিবেশী, বিশেষ করে যারা একা থাকেন, তাদের খোঁজ নিন ও খেয়াল রাখুন।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ করবে ইউনিসেফ
মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ। এছাড়া নতুন কারিকুলাম প্রণয়নে ইউনিসেফ যে সহযোগিতা করছে, তা অব্যাহত রাখবে এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতেও সহায়তা করবে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফের চিফ অব এডুকেশন ডিপা সংকর, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফের এডুকেশন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

শিশুদের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে ইউনিসেফ কাজ করতে চায় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ইউনিসেফ করোনার সময় গোটা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও নানাভাবে সহযোগিতা করেছে। এখন জাতিসংঘের শিশু তহবিল থেকে দেশের শিশুদের শতভাগ ভ্যাকসিন পাওয়া নিশ্চিত করা, নিরাপদ মাতৃত্বসহ স্বাস্থ্যখাতের অন্যান্য দিক নিয়েও জাতিসংঘের এই বিশেষ সংস্থাটি দেশে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ইউনিসেফ এর জাতিসংঘ শিশু তহবিলের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট এবং জাতিসংঘ শিশু তহবিলের হেলথ সেকশনের চীফ মায়া ভ্যানডেন্ট এর সঙ্গে একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে একথা জানান তিনি।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব, ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করা, দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা করা, তৃণমূল পর্যায়ে শিশুদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অবকাঠামো নির্মাণ করা সহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজেও ইউনিসেফ ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এগুলোর সঙ্গে শিশুদের জন্য তৃণপর্যায়ে স্বাস্থ্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ইউনিসেফ প্রতিনিধিগণকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানালে তারা সেটিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। সাক্ষাৎকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটো মিয়া, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মামুনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।  বৈঠকে জাতিসংঘের শিশু তহবিলের প্রতিনিধি দল করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানারকম ফলপ্রসূ উদ্যোগ এর ভূয়সি প্রশংসা করেন। দেশের স্বাস্থ্যখাত আগের থেকে আরও উন্নত হচ্ছে বলেও তারা জানান। টিকাদানে বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি উদাহরণ হিসেবেও প্রতিনিধিগণ উল্লেখ করেন।
৩১ মার্চ, ২০২৪

গাজায় ১৩ হাজার শিশু নিহত, অন্যরা ভুগছে অপুষ্টিতে : ইউনিসেফ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে ইসরায়েলের হামলায় ১৩ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে পূর্ণ অবরোধের কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা বিরাজ করায় শিশুরা গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে। পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অনাহারে শিশুদের গায়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এমন ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার। রোববার (১৭ মার্চ) ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল মার্কিন টিভি নেটওয়ার্ক সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আরও হাজার হাজার শিশু আহত হয়েছে। অথবা এসব শিশু কোথায় আছে তা-ও আমরা নির্ধারণ করতে পারছি না। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারে। আমরা বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে শিশুদের এত মৃত্যুর হার দেখিনি। তিনি বলেন, আমি শিশুদের ওয়ার্ডে ছিলাম। তারা মারাত্মক রক্তস্বল্পতাজনিত অপুষ্টিতে ভুগছে। অথচ পুরো ওয়ার্ড একেবারে নীরব। কারণ শিশুদের গায়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই। রাসেল বলেন, ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের শিকার হয়েছেন। কিন্তু ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’ যুদ্ধের কারণে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক বড় ধরনের আমলাতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর আগে গত শনিবার (১৬ মার্চ) অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের প্রধান ত্রাণসহায়তাবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শিশুদের মধ্যে দ্রুত তীব্র অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে দুজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এমনকি অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শিশুদের মৃত্যুর খবর আসছে। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। পবিত্র রমজান মাসের আগে দুপক্ষের মাঝে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত এই চুক্তিটি আর হয়নি। বর্তমানে যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিতে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে হামাসের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩১ হাজার ৬৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৩ হাজার ৬৭৬ জন আহত হয়েছে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

গাজায় শিশুদের কান্না করার মতো শক্তিও নেই : ইউনিসেফ
দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলার সঙ্গে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা বিরাজ করছে। না খেতে পেয়ে ফিলিস্তিনি শিশুরা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে, অনাহারে শিশুদের গায়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এমন ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার। রোববার (১৭ মার্চ) ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল মার্কিন টিভি নেটওয়ার্ক সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আরও হাজার হাজার শিশু আহত হয়েছে। অথবা এসব শিশু কোথায় আছে তা-ও আমরা নির্ধারণ করতে পারছি না। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারে। আমরা বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে শিশুদের এত মৃত্যুর হার দেখিনি। তিনি বলেন, আমি শিশুদের ওয়ার্ডে ছিলাম। তারা মারাত্মক রক্তস্বল্পতাজনিত অপুষ্টিতে ভুগছে। অথচ পুরো ওয়ার্ড একেবারে নীরব। কারণ শিশুদের গায়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই। রাসেল বলেন, ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের শিকার হয়েছেন। কিন্তু ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’ যুদ্ধের কারণে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক বড় ধরনের আমলাতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর আগে গত শনিবার (১৬ মার্চ) অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের প্রধান ত্রাণসহায়তাবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শিশুদের মধ্যে দ্রুত তীব্র অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে দুজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং সেটি নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকি অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শিশুদের মৃত্যুর খবর আসছে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

গাজায় প্রতিদিন ৪২০ শিশু হতাহত : ইউনিসেফ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় প্রতিদিন ৪২০ জনের বেশি শিশু হতাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেওয়া এক বক্তব্যে এমন ভয়াবহ তথ্য জানান ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল। খবর আলজাজিরার। ক্যাথরিন রাসেল বলেন, গাজায় প্রতিদিন ৪২০ জনের বেশি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে। এত বেশি শিশু হতাহত হচ্ছে যে তা আমাদের প্রত্যেককে নাড়া দেবে। জাতিসংঘের ত্রাণসহায়তাবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএরের প্রধান ফিলিপ লাজারিনি নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, গাজায় নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই শিশু ও নারী। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার জবাবে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। টানা বোমা হামলার মধ্যেই গত শনিবার সেখানে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। মাত্র তিন সপ্তাহের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আট হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিশু রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে সংঘাতে মোট যত শিশু নিহত হয়েছে তার চেয়ে গত তিন সপ্তাহে গাজায় বেশি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জতিক শিশুবিষয়ক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অন্তত তিন হাজার ৩২৪ শিশু নিহত হয়েছে। আর অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৩৬ শিশু মারা গেছে। অন্যদিকে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বের ২৪টি দেশে সংঘাতে মোট ২ হাজার ৯৮৫ শিশু, ২০২১ সালে ২ হাজার ৫১৫ এবং ২০২০ সালে ২২টি দেশে ২ হাজার ৬৭৪ শিশু নিহত হয়েছে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৩

শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তায় কাজ করবে গ্রামীণফোন, টেলিনর ও ইউনিসেফ
ইউনিসেফ বাংলাদেশ, গ্রামীণফোন ও টেলিনরের মধ্যে নতুন এক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তির নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহারবিষয়ক সহায়তা পাবে বাংলাদেশের এক কোটির বেশি শিশু। এই পার্টনারশিপের অধীনে ‘বাংলাদেশে শিশুদের জন্য ডিজিটাল সাক্ষরতা জোরদারকরণ এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপদ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার’ শীর্ষক একটি কর্মসূচি চালু হবে। আজ রোববার (৮ অক্টোবর) ইউনিসেফ বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, এই কর্মসূচির প্রাথমিক উদ্দেশ্য বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা গড়ে তোলা এবং ডিজিটাল যুগের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ বিবেচনায় তাদের মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপদ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এ বিষয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু যেন নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠে এবং সহিংসতা, অপব্যবহার, অবহেলা ও শোষণ থেকে সুরক্ষিত থাকে তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ইউনিসেফ। ইন্টারনেট শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। অন্যদিকে, ইন্টারনেটে এমন অনেক ক্ষতিকর আধেয় (কনটেন্ট) থাকে, যা শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং অনলাইনে হুমকির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই শিশুদের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৪২ লাখ শিক্ষার্থীসহ সারা দেশের এক কোটির বেশি শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রতিবন্ধী শিশুসহ ডিজিটাল শিক্ষা অর্জনে পিছিয়ে থাকা মোট ১০ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ শিশুকে সহায়তা করার বিষয়টি প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়া অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির আরও ৬০ লাখ শিক্ষার্থীকে তাদের বয়স অনুযায়ী সাইবার নিরাপত্তা ও ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অনলাইন নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে ধরতে এই প্রকল্পে ২৫ হাজার শিক্ষক এবং ২০ লাখ অভিভাবক ও বাবা-মাকে যুক্ত করা হবে, যাতে তারা অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে অর্জিত জ্ঞান গোটা সমাজে ছড়িয়ে দিতে পারেন। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, অনলাইন নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল সাক্ষরতাকে আমাদের শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্তকরণ নিশ্চিত করা আমাদের শিশুদের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য একটি অঙ্গীকার। কীভাবে নিরাপদে এবং দায়িত্বশীলভাবে ডিজিটাল জগতে বিচরণ করতে হয়, তা শেখানোর মাধ্যমে আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তোলার পাশাপাশি প্রযুক্তির পূর্ণ সম্ভাবনা ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখি। এক্ষেত্রে একইসঙ্গে আমরা তাদের সুরক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিতেও কাজ করি। তিনি বলেন, এমন একটি বৈশ্বিক অংশীদারিত্বে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করার জন্য ইউনিসেফের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। অনলাইনে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে। আর এই মহৎ কাজে অবদান রাখতে এগিয়ে আসার এখনই সময়। টেলিনর এশিয়ার হেড অব সাসটেইনিবিলিটি ইয়োহ্যান মার্টিন সিল্যান্ড বলেন, কানেক্টিভিটির সুযোগ ও সম্ভাবনা উন্মোচনে ডিজিটাল দক্ষতা ও অনলাইন সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগকে পরিসর, ব্যাপ্তি এবং প্রভাবের দিক থেকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে টেলিনর এশিয়া, গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফের একসঙ্গে কাজ করা এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করবে। প্রযুক্তি বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এবং বর্তমানের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভবিষ্যতের ডিজিটাল বিশ্বে নিজেদের সুরক্ষায় সবারই ডিজিটাল দক্ষতা তৈরি ও বিকাশের সুযোগ প্রয়োজন।
০৮ অক্টোবর, ২০২৩

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কোটি শিশু বাস্তুচ্যুত: ইউনিসেফ
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার বিপর্যয়ে বন্যা, খরা, ঝড় ও দাবানলে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৪৩ দশমিক ১ মিলিয়ন শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার অভিযোগ করেছে। খবর বিবিসির। এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্টে জাতিসংঘের এজেন্সি আক্রান্ত কিছু শিশুর হৃদয়বিদারক ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। রিপোর্টের সহলেখক লরা হিলি বলেন, ডাটা শুধু ‘সামান্য অংশই’ প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে আরও অনেক ক্ষতিগ্রস্তের হিসাব উঠে আসেনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত একের পর এক ক্রমবর্ধমান চার ধরনের জলবায়ু বিপর্যয়ে (বন্যা, ঝড়, খরা ও দাবানল) ৪৪টি দেশে ৪৩ দশমিক ১ মিলিয়ন শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই বাস্তুচ্যুতির ৯৫ শতাংশ বন্যা ও ঝড়ের কারণে।
০৭ অক্টোবর, ২০২৩

জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত কোটি কোটি শিশু : ইউনিসেফ
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বন্যা, খরা, ঝড় ও দাবানলে বিশ্বব্যাপী গত পাঁচ বছরে ৪ কোটি ৩১ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে সংস্থাটি। ইউনিসেফ বলছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৪ কোটি ৩১ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চার ধরনের ক্রমবর্ধমান জলবায়ু বিপর্যয় (বন্যা, ঝড়, খরা ও দাবানল) ৪৪টি দেশে এসব শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই বাস্তুচ্যুতির ৯৫ শতাংশ বন্যা ও ঝড়ের কারণে হয়েছে। প্রতিবেদনের সহলেখক লরা হিলি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, এটি প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শিশু বাস্তুচ্যুত হওয়ার সমান। তিনি বলেন, এসব তথ্যে খুব সামন্য অংশই উঠে এসেছে। এ প্রতিবেদনে আরও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হিসাব উঠে আসেনি। ইউনিসেফের এবারের প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া শিশুদের বিভিন্ন করুণ কাহিনীও তুলে ধরা হয়েছে। এসব শিশুর একজন হলো সুদানের খালিদ আবদুল আজিম। খালিদ বলেছে, ‘আমরা কয়েক সপ্তাহ ধরে সড়কে বসবাস করছি। সেখানেই আমাদের সব জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে।’ ভয়াবহ বন্যার পর তার গ্রামে বর্তমানে শুধু নৌকায় করে যাওয়া-আসা করা যায় বলেও জানায় খালিদ।   সাধারণত জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ স্থানচ্যুতির ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের বয়সের হিসাব করা হয় না। তবে ইউনিসেফ এবার ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যাও হিসাবে নিয়ে এসেছে।
০৬ অক্টোবর, ২০২৩
X