কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় শিশুদের কান্না করার মতো শক্তিও নেই : ইউনিসেফ

খাবারের জন্য অপেক্ষা করছে গাজার শিশুরা। ছবি : সংগৃহীত
খাবারের জন্য অপেক্ষা করছে গাজার শিশুরা। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলার সঙ্গে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা বিরাজ করছে। না খেতে পেয়ে ফিলিস্তিনি শিশুরা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে, অনাহারে শিশুদের গায়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এমন ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

রোববার (১৭ মার্চ) ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল মার্কিন টিভি নেটওয়ার্ক সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আরও হাজার হাজার শিশু আহত হয়েছে। অথবা এসব শিশু কোথায় আছে তা-ও আমরা নির্ধারণ করতে পারছি না। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারে। আমরা বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে শিশুদের এত মৃত্যুর হার দেখিনি।

তিনি বলেন, আমি শিশুদের ওয়ার্ডে ছিলাম। তারা মারাত্মক রক্তস্বল্পতাজনিত অপুষ্টিতে ভুগছে। অথচ পুরো ওয়ার্ড একেবারে নীরব। কারণ শিশুদের গায়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই।

রাসেল বলেন, ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের শিকার হয়েছেন। কিন্তু ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’ যুদ্ধের কারণে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক বড় ধরনের আমলাতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

এর আগে গত শনিবার (১৬ মার্চ) অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের প্রধান ত্রাণসহায়তাবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শিশুদের মধ্যে দ্রুত তীব্র অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে দুজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।

ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং সেটি নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকি অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শিশুদের মৃত্যুর খবর আসছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুখবর পাচ্ছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণরা

‘হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে থুতু ছিটিয়েছিলেন শেখ হাসিনা’

ভারতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১২

গাজায় যুদ্ধবিরতি ঠেকাতে মরিয়া ইসরায়েলের এই মন্ত্রী

ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কল্যাণভিত্তিক বিনিয়োগ পদ্ধতিসমূহ

এশিয়া কাপ ইন্টারন্যাশনাল ল’ মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি

ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে ইসরায়েলিরা, গ্রেপ্তার ৩

সিদ্ধান্ত বদলেছেন মুরাদনগরের সেই নারী, চালাবেন মামলা

আগুন নেভাতে গিয়ে গুলিতে ফায়ার সার্ভিসের ২ কর্মী নিহত

দুদিন পর কাজে ফিরেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা

১০

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ 

১১

নিলামের মঞ্চে শেবাগ-পুত্র ও কোহলির ভাতিজা

১২

১৪৪ ধারা ভেঙে যমুনা যাওয়ার চেষ্টা, পুলিশের বাধা

১৩

মহাসমাবেশের ঘোষণা খতমে নবুওয়াতের

১৪

পেছাতে পারে ভারতের বাংলাদেশ সফর

১৫

‘ভিআইপি গেটের স্ক্যানারে অস্ত্রের ম্যাগাজিন ধরা পড়ল না কেন’

১৬

‘মরি নাই রে ভাই!’ মাহি নিজেই দিলেন জীবিত থাকার খবর

১৭

১ জুলাই ঢাকায় জুলাই ঐক্যের পদযাত্রা

১৮

ডিসেম্বর না মে—কবে মাঠে গড়াবে বিপিএল?

১৯

‘দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা করবে ব্যবসায়ীরা’

২০
X