অপতথ্য রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ইতালি : তথ্যপ্রতিমন্ত্রী
অভিবাসন সংক্রান্ত অপতথ্য রোধে বাংলাদেশ-ইতালি একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। রোববার (৫ মে) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তিনিও আলেসান্দ্রোর সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।  প্রতিমন্ত্রী এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, অভিবাসনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় যেটি ওঠে এসেছে তা হলো, একটা গোষ্ঠী যারা মানবপাচারকারী তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপতথ্য ছড়িয়ে মানুষকে লোভে ফেলে। মিথ্যাচার করে ফেইক নিউজের মাধ্যমে। লোভে পড়ার ফলে মানুষ ফাঁদে পড়ে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়, এমনকি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যত অপতথ্য, ফেক নিউজ ও গুজব আছে, শুধু অভিবাসনের ক্ষেত্রে যারা মানবপাচারের শিকার হয় তারাই নয় বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষরা এগুলোর শিকার হয়।  এ বিষয়ে কীভাবে বাংলাদেশ-ইতালি একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত একমত হয়েছেন যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপতথ্যের প্রচার যেভাবে হয়, দিনশেষে মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সেটা অভিবাসনের ক্ষেত্রে বা অন্য যে কোনো ক্ষেত্রেই হোক। এ বিষয়ে দুই দেশ কীভাবে একসাথে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের আইন কানুন যেগুলো আছে সেগুলো তারা শেয়ার করবে। অপতথ্য রোধ করার জন্য আমরা যে উদ্যোগ নেব সেগুলো তারা সমর্থন করবে। তিনি আরও বলেন, মানবপাচার অপতথ্যের একটা ফল। এই ধরনের ফলের মধ্যে যাতে মানুষ না পড়ে। অপতথ্য শুধু রাজনীতি বা দলীয় রাজনীতির বিষয় না। সমাজের বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ অপতথ্যের শিকার হয়ে বিপদে পড়ে। গ্রামে-গঞ্জে অনেক নারী-শিশু অপতথ্যের শিকার হয়ে বিপদে পড়ে। অনেক সাধারণ মানুষ অপতথ্যের শিকার হয়ে অবৈধ অভিবাসনের রাস্তা বেছে নিয়ে বিপদে পড়ে। যে কারণে সঠিক তথ্যের জায়গায় আমাদের সাথে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের এবং দেশের মধ্যে অংশীজন যারা আছেন তাদের মধ্যে একটা সমঝোতা থাকা দরকার। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইতালির একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে চলচ্চিত্র এবং সংস্কৃতির অন্যান্য ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিনিময় হতে পারে। ইতালির ভেনিস শহরে বড় ধরনের উৎসব হয়। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে কীভাবে আমরা বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারি সে বিষয়েও ইতালির রাষ্ট্রদূত আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং সে বিষয়ে তারা সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন। বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর সূচক প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। কিন্তু এই সূচকের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যাবে যদি পদ্ধতিগত দুর্বলতা থাকে। আমি তাদের অনুরোধ করব তারা যাতে বিশ্বাসযোগ্যতার স্বার্থে পদ্ধতিগত দুর্বলতা উতরে যেতে পারে এবং তথ্য নেওয়ার পর তা যাচাই করে। আরএসএফ-এর এ বছরের প্রতিবেদন এসেছে গত বছরের কার্যক্রমের ওপর। তাদের নির্ণয় প্রক্রিয়াতে তারা কোনো পরিবর্তন আনেনি। দশ-বারোজন মানুষের একটা মতামত নিয়ে সূচক তৈরি করলে, এটা গোটা দেশের চিত্র হতে পারে না। এ মতামতগুলো কার কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে, কতজনের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে, সেখানে কারা আছে এটার কোনো স্বচ্ছতা সেখানে নেই। আরএসএফ’র সূচক তৈরির পদ্ধতি খুবই দুর্বল একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে প্রকৃত চিত্রের প্রতিফলন হয় না। আরএসএফ’র এ ধরনের পদ্ধতিতে সূচক প্রকাশ গণমাধ্যমের পরিবেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে পারছে না। এ পদ্ধতিতে গলদ আছে, ভুল আছে। সেটা আমরা তাদের কাছে তুলে ধরব। 
০৫ মে, ২০২৪

বাংলাদেশিদের ভিসা পেতে দেরির কারণ জানাল ইতালি দূতাবাস
ইতালির ভিসা পেতে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছে দেশটির দূতাবাস। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকায় ইতালির দূতাবাস থেকে এ বিষয়ে জানানো হয়। দূতাবাস জানায়, ভিসা আবেদনের সংখ্যা কোভিড মহামারির আগের সময়ের তুলনায় তিনগুণের বেশি এবং ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। গড়ে চারটির মধ্যে একটি আবেদনের সঙ্গে জাল নথি রয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণে দূতাবাসকে অতিরিক্ত চেকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা প্রকৃত আবেদনকারীদের প্রক্রিয়াকেও ধীর করে দিচ্ছে।  ইতালিয়ান দূতাবাস থেকে বলা হয়, আমরা ভিসা আবেদনকারীদের একটি সাবলীল সেবা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি। দূতাবাসের ভিসা বিভাগ সম্প্রতি একটি নতুন এবং বড় জায়গা নিয়েছে। কিছু অতিরিক্ত কর্মীও প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ঢাকায় ইতালির জন্য ভিএফএস ভিসা আবেদনকেন্দ্রটি বৃহত্তর এবং আরও দক্ষ প্রাঙ্গণে স্থানান্তরিত হয়েছে। ২০২৩ সালে দূতাবাস দ্বারা প্রক্রিয়াকৃত ভিসা আবেদন ২০ শতাংশ বেড়েছে। আমরা কোনো ধরনের অযৌক্তিক বিলম্বের জন্য দুঃখিত এবং আবেদনকারীদের এটা বোঝার জন্য ধন্যবাদ। যেসব ভিসা আবেদনকারীদের তাদের পাসপোর্ট ফেরত প্রয়োজন, তারা আবেদনের মাধ্যমে প্রত্যাহার করতে পারবেন বলেও দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে।
০১ মে, ২০২৪

ইতালি প্রবাসীদের পহেলা বৈশাখ উদযাপন
ইতালির ভিসেনজা প্রভিন্সের থিয়েনে শহরে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয়েছে। থিয়েনে বসবাসরত তরুণরা আয়োজন করে এ উৎসবের। প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের বাংলাদেশের নিজস্ব কৃষ্টি কালচার ও উৎসবের সঙ্গে পরিচিতি ও যুক্ত থাকার জন্যই মূলত এ উৎসবের উদ্দেশ্য। উৎসবের প্রধান আকর্ষণ পান্তা ইলিশ ও ভাবিদের নিজেদের হাতে তৈরি করা নানাবিধ ভর্তা ও পিঠা প্রদর্শন ও পরিবেশন হয় এ অনুষ্ঠানে। পরিবার-পরিজনসহ আগত প্রবাসীরা প্রবাসের মাটিতে উৎসবটিকে খুব প্রাণভরে উপভোগ করেন। এ সময় অতিথিদের মধ্যে কাজী সাত্তার, শাহাদাত হোসেন, রুহুল আমিন মান্না, সোহেল পাটোয়ারী, মশিউর রহমান সুমন, ইব্রাহিম ইবু, হাসান আহমেদ, কবির হোসেন, সাক্ষাৎকারে সবার উদ্দেশে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুলতান সরকার, হেলাল উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মতিউর রহমান, এমদাদ বেপারী, সাদ্দাম হোসেন, হুমায়ুন কবির, রাশেদ ভূঁইয়া, রাহেল, সোহেল রানা, ইমরান শুক্কুর আলম, ইকবাল হোসেন, আব্দুল কাহার, সাকিব, আমির, মহিন প্রমুখ।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

ইতালি থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সম্মাননা পেলেন ৫ বাংলাদেশি
বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণ উৎসাহিত করতে রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস একজন মহিলাসহ ৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ‘রেমিট্যান্স পুরস্কার’ প্রদান করেছে। দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ইতালি থেকে বাংলাদেশে জুলাই ২০২২ থেকে জুন ২০২৩ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী হিসেবে তাদেরকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের প্রবাসী কল্যাণ সচিব আসিফ আনাম সিদ্দিকীর পরিচালনায় পুরস্কার বিতরণ করেন রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম। ২০২৩ সালের  ‘রেমিট্যান্স পুরস্কার’ প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ব্যক্তি ক্যাটাগরি (পুরুষ) উদ্দিন জিয়া, মো. মাহফুজুল হক, মো. ওমর ফারুক ও ব্যক্তি ক্যাটাগরি (মহিলা) মেহেনাস তাব্বাসুম। প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে কাফ পিসি পয়েন্টের স্বত্বাধিকারী নিবাশ চক্রবর্তী।  বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম ‘রেমিট্যান্স পুরস্কার’ চালু করে। 
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

২০০ যাত্রী নিয়ে ৯ বছর পর ইতালি যাচ্ছে বিমান
৯ বছর পর ইতালির রোমে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৩টায় ঢাকা-রোম-ঢাকা রুটে ফ্লাইট চালু করছে তারা।  এর আগে ১৯৮১ সালের ২ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রোম ফ্লাইট চালু হয়। তবে ২০১৫ সালে বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইটটি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জিএম-জনসংযোগ তাহেরা খন্দকার জানান, ঢাকা থেকে মধ্যরাত সাড়ে ৩টায় রোমের উদ্দেশ্যে  বিমানের প্রথম ফ্লাইট বিজি-৩৫৫ যাত্রা করবে। ফ্লাইটটি রোমে পৌঁছাবে ২৭ মার্চ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায়। ফিরতি ফ্লাইট বিজি-৩৫৬ রোম থেকে ২৭ মার্চ সকাল সোয়া ১০টায় যাত্রা করে ঢাকায় পৌঁছাবে পরের দিন স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১২টায়। তিনি জানান, ২৬ মার্চের প্রথম ফ্লাইটে বিজনেস ক্লাসে ২৩ জন এবং ইকোনমি ক্লাসে ১৭৭ জন যাত্রা করবেন। প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে বিজনেস ক্লাসে ৭ জন এবং ইকোনমি ক্লাসে ২৪৭ জন (ফুল বুকড) যাত্রা করবেন।  বিমান জানায়, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সকল ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলে একযোগে বিক্রয়ের জন্যে ঢাকা-রোম-ঢাকা ফ্লাইটের টিকেট বিক্রি শুরু করে।    যাত্রীরা বিমানের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট (www.biman-airlines.com), মোবাইল অ্যাপস, বিমানের যে কোনো সেলস সেন্টার, বিমান কল সেন্টার এবং বিমান অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে এ রুটের টিকিট ক্রয় করতে পারছেন।  নতুন রুট উপলক্ষে ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড় দিয়েছে বিমান। বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের মাধ্যমে রোম ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এই রুটটি চালুর মধ্য দিয়ে বন্ধুপ্রতীম ইতালির সাথে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হলো। রুটটি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, শিক্ষার বিস্তার ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
২৬ মার্চ, ২০২৪

ইউক্রেনে ন্যাটোর সেনা পাঠানোর মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ : ইতালি
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সেনা ইউক্রেনে পাঠালে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ বেঁধে যাবে বলে সতর্ক করেছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি। ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ভেরোনায় এক অনুষ্ঠানে এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন তিনি। আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। আন্তোনিও তাজানি বলেন, নেটোর সৈন্য ইউক্রেনে পাঠানোর মানে পৃথিবীকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঢেলে দেওয়া। আমরা মনে করি, নেটোকে ইউক্রেনে প্রবেশ থেকে বিরত থাকা উচিত। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য আমরা ইউক্রেনকে সাহায্য করতে পারি। কিন্তু রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ওই দেশে প্রবেশ করা মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ানো। ফান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে সৈন্য পাঠানোর প্রথম ধারণা দিয়েছিলেন তিনি। আমাদের সেনাবাহিনী তাদের সেনাবাহিনী থেকে দক্ষ। লোহিত সাগর রক্ষায় আমাদের জাহাজ আছে। লেবানন, আফ্রিকা ও ইরাক যা করছে তা ভালো। তারা সবাই শান্তি ও স্বাধীনতার বাহক। তাজানি গাজায় চলমান যুদ্ধের বিষয়ে বলেন, গাজায় শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য মিসরের সাথে ইতালির মতো "মধ্যপন্থি মুসলিম দেশগুলোর কাজ করতে হবে। মিসর হলো তার গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত । গাজায় শান্তি আনতে পারে এমন একটি চুক্তি উপায় বের করতে হবে। এই অঞ্চল ও ভূমধ্যসাগরের স্থিতিশীলতার জন্য এই দেশগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
১৫ মার্চ, ২০২৪

পরিবারের সবাই পুড়ল, পুড়ল ইতালি যাওয়ার স্বপ্নও
সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার (৫০) ১৫ বছর ধরে ইতালিতে ব্যবসা করতেন। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে সেখানে স্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। তিন সন্তান নিয়ে মোবারকের স্ত্রী রাজধানীর মধুবাগে থাকতেন। গত ৩০ জানুয়ারি দেশে ফিরে সব কাগজপত্র ঠিক করেছিলেন মোবারক। আগামী ২২ মার্চ স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। বিদেশযাত্রার আগে শুক্রবার বৃদ্ধা মা ও স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। আগামীকাল রোববার ঢাকার বাসায়ও বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে মিলনমেলার আয়োজন ছিল। এতদিন পর ছেলে গ্রামে ফিরবে বলে বাড়িতে চলছিল পছন্দের খাবার তৈরির আয়োজন। গ্রামে যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে শখ করে খেতে গিয়েছিলেন বাসার কাছের বেইলি রোডে। সেখানে দগ্ধ হয়ে সবাই প্রাণ হারালেন তারা। গতকাল সকালে নয়, বিকেলে গ্রামে গেলেন। চিরচেনা হাস্যোজ্জ্বল রূপে নয়, নিথর দেহে। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে চারটি অ্যাম্বুলেন্সের হুইসেল বাজিয়ে শান্ত শাহবাজপুর গ্রামে ফিরলেন। আগে থেকে বাড়ির আঙিনায় সারি সারি সাজানো ছিল পাঁচটি খাটিয়া। অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে এক এক করে রাখা হলো মোবারক হোসেন, তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৪২), বড় মেয়ে সৈয়দা ফাতেমা তুজ জহুরা (১৯), ছোট মেয়ে সৈয়দা আমেনা আক্তার (১৩) ও একমাত্র ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহর (৮) নিথর দেহ। স্বজনরাও ছুটে এলেন শেষবারের মতো এক পলক দেখতে। পোড়া লাশের সারি দেখে স্বজন ও প্রতিবেশীদের আহাজারিতে আকাশ ভারি হয়ে ওঠে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের শাহবাজপুর গ্রাম এখন শোকে স্তব্ধ। বাড়ির অদূরে পারিবারিক কবরস্থানে এক এক করে খোঁড়া হয় পাঁচটি কবর। বাদ আসর জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে একসঙ্গে পাঁচজনকে দাফন করা হয়। মোবারকের বৃদ্ধা মা হেলেনা বেগম প্রবাসী ছেলে, নাতি, নাতনি ও ছেলের স্ত্রীর মৃত্যু শোকে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। কান্না যেন কোনোভাবেই থামছে না তার। কে দেবে তাকে সান্ত্বনা। মুখে শুধু একটিই কথা, ‘আল্লাহ তুমি আমাকে না নিয়ে আমার ছেলেকে কেন নিলা! ওরা, আগুনে পুড়ে মরল, আমি বেঁচে কী করমু। ছেলেকে রেখে আমারে নিয়ে যেতে, আমি এই শোক সইব কী করে।’ রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুনে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেউ ভবনটির রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন পরিবারসহ, কেউ গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। কেউ কেউ ভবনটিতে কাজ করে সংসার চালাতেন। তারা সবাই এখন না ফেরার দেশে।
০২ মার্চ, ২০২৪

বিমানবাহিনী প্রধান ইতালি থেকে ফিরেছেন
সরকারি সফর শেষে ইতালি থেকে ফিরেছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমানবাহিনী প্রধান ইতালির সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান লিওনার্দো এসপিএর আমন্ত্রণে গত ১৯ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইতালি সফর করেন। সফরকালে তিনি রোমে অবস্থিত লিওনার্দোর সদর দপ্তরসহ ইলেকট্রনিক্স ডিভিশন, ইউএভি প্রোডাকশন ফ্যাসিলিটিজ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পরিদর্শন করেন। তিনি লিওনার্দো এসপিএর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং দ্বিপাক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিমান বাহিনী প্রধান
ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দেশে ফেরেন তিনি। সামরিক সরঞ্জামাদি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘লিওনার্দো এসপিএ’-এর আমন্ত্রণে সরকারি সফরে তিনজন সফরসঙ্গীসহ ১৮ ফেব্রুয়ারি ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি। সফরকালে তিনি রোমে অবস্থিত ‘লিওনার্দো সদর দপ্তরসহ ইলেকট্রনিক্স ডিভিশন, ইউএভি প্রোডাকশন ফ্যাসিলিটিজ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া বিমান বাহিনী প্রধান ‘লিওনার্দো এসপিএ’-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইতালি থেকে মায়ের জানাজায় এসে লাশ হলো ছেলে
নরসিংদীতে মায়ের জানাজা পড়তে এসে মাইক্রোবাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ইতালি প্রবাসী ছেলে ও মেয়ের জামাতা নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। নিহতরা হলেন প্রবাসী শাহ আলম (৫০) এবং তার ভগ্নিপতি সেলিম মিয়া (৪০)। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, দীর্ঘ ১৪ বছর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ইতালিতে বসবাস করতেন শাহ আলম। গত বুধবার সন্ধ্যায় বার্ধক্যজনিত কারণে তার মায়ের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মায়ের জানাজায় অংশ নিতে সকালে দেশে ফেরেন। তাকে বিমানবন্দর থেকে আনতে যান ভগ্নিপতি সেলিম মিয়া, ভাগিনাসহ চারজন। আসার পথে শিবপুর উপজেলার ঘাসিদিয়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শাহ আলম এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তার ভগ্নিপতি সেলিম মিয়ার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকসহ আরও দুজন আহত হন। ইটাখোলা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাইক্রোবাসের চালক এবং অন্য যাত্রী নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X