ইভ্যালির রাসেল শামীমার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলাটি পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি এবং সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত সেই আবেদনও মঞ্জুর করেছেন। জানা যায়, রাজধানীর দারুস সালাম থানার বাসিন্দা মুজাহিদ হাসান ফাহিম ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকার একটি বাইক অর্ডার করে এর মূল্য পরিশোধ করেন। বাদীর কেনা মোটরসাইকেল যথাসময়ে অর্থাৎ ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে ব্যর্থ হলে ফাহিম ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করেন। তখন মোটরসাইকেল ক্রয় বাবদ টাকা পরিশোধের জন্য চেক দেন। চেকটি নগদায়নের জন্য ওই বছরের ২৩ আগস্ট ইভ্যালি প্রতিষ্ঠান থেকে ফোন দিয়ে ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করে। চেকের অর্থ পরবর্তী সময়ে পরিশোধ করবে মর্মে নিশ্চয়তা দেয়। পরে চেকটি নগদায়নের জন্য ফাহিম ইভ্যালি, রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে বারবার তাগাদা দিলেও তারা আজ-কাল করে কালক্ষেপণ করে চেকের মেয়াদ অতিক্রম করান। ফাহিমের অভিযোগ, তারা অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ এবং প্রতারণামূলকভাবে তার কেনা মোটরসাইকেলের টাকা আত্মসাৎ করতে এমন কাজ করেছেন। এ ঘটনায় ফাহিম এ বছরের ১৬ জানুয়ারি আদালতে মামলা করেন।
০৮ মার্চ, ২০২৪

জামিন পেলেন ইভ্যালির রাসেল
চেক প্রতারণার মামলায় আত্মসমর্পণের পর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ঢাকার আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। মোহাম্মদ রাসেলের আইনজীবী আহসান হাবীব কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  আহসান হাবিব বলেন, চার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন রাসেল। তার উপস্থিতিতে জামিন শুনানি হয়। শুনানি শেষে পৃথক চার আদালত এ চার মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি আদালতে হাজির না হওয়ায় রাসেল ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরোয়ানা জারির পর আসামি রাসেল আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।  ২০২১ সালের ১৩ মার্চ মামলার বাদী তানভীর হোসেন বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোটরসাইকেল কেনা বাবদ দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। তবে নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করেন। এরপর চেকটি নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়।  এ বিষয়ে সবশেষ গত বছরের ২২ অক্টোবর তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে বাদী মামলা করেন। এ মামলার পর তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চেক প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আদালতে হাজির না হওয়ায় গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন। অভিযোগ বলা হয়, ২০২১ সালের ১৩ মার্চ মামলার বাদী তানভীর হোসেন বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোটরসাইকেল কেনা বাবদ ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। তবে নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটি চেক প্রদান করেন। এরপর চেকটি নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে সর্বশেষ গত বছরের ২২ অক্টোবর তাদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। পরে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় শামীমা ও রাসেলের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেন। এ মামলার পর তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। ইভ্যালির আরেক গ্রাহকের করা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। আট মাস কারাবাসের পর জামিন পেয়ে ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল কারামুক্ত হন শামীমা। তার স্বামী রাসেল জামিনে ছাড়া পান গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

কিছুদিনের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ করতে চান ইভ্যালির রাসেল
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল বলেছেন, যেসব গ্রাহক ও ব্যবসায়ী ইভ্যালির কাছে টাকা পান, আমি আপনাদের কষ্টটা ফিল করি। আমি মনে করি, ইভ্যালিকে যদি বিজনেস করতে দেওয়া হয়, তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনাদের সব দেনা পরিশোধ করব। আমি এটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলছি। সেটা কীভাবে সম্ভব হবে তার সব উত্তর আমি দেব। জাতীয় নির্বাচনের পর একটি সংবাদ সম্মেলন করে গ্রাহক, ব্যবসায়ী ও মিডিয়ার সব প্রশ্নের উত্তর দেব। পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। ফেসবুক লাইভের শুরুতেই মোহাম্মাদ রাসেল বলেন, বিগত দিনগুলোতে হয়ত আপনারা খারাপ ছিলেন। কারণ ইভ্যালিতে অর্ডার করা পণ্য আপনারা পাচ্ছিলেন না। এজন্য আপনাদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এতদিন আমি কারাগারে ছিলাম। যেসব গ্রাহক ও ব্যবসায়ী ইভ্যালির কাছে টাকা পান, আমি আপনাদের কষ্টটা ফিল করি। আমি মনে করি, ইভ্যালিকে যদি বিজনেস করতে দেওয়া হয়, তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনাদের সব দেনা পরিশোধ করব। আমি এটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলছি। সেটা কীভাবে সম্ভব হবে তার সব উত্তর আমি দেব। জাতীয় নির্বাচনের পর একটি সংবাদ সম্মেলন করে গ্রাহক, ব্যবসায়ী ও মিডিয়ার সব প্রশ্নের উত্তর দেব। তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমরা এ দেনা পরিশোধ করা শুরু করব। সেই অ্যামাউন্টটা কত হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। লাইভে তিনি বলেন, অজস্র মানুষ ইভ্যালিকে ভালোবাসে বলেই আজ ইভ্যালি ফিরে আসতে পেরেছে। গুটিকয়েক মানুষ যারা ইভ্যালির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারাই ইভ্যালির বিরুদ্ধে নিজে বা অন্য কাউকে দিয়ে অপপ্রচার করায়। ইভ্যালিকে ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হলে রাসেল বা ইভ্যালি যতটা উপকৃত হবে, তার চেয়ে বেশি লাভবান হবে এ দেশের জনগণ। যারা ইভ্যালিতে কেনাকাটা করে পণ্য পাননি এবং যারা ইভ্যালিতে পণ্য দিয়ে পেমেন্ট পাননি, তারাও উপকৃত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমাকে গৃহবন্দি করুক। না হলে আমাকে অফিসে বন্দি করে রাখুক। প্রয়োজনে এখানেই খাব, এখানেই ঘুমাব। আমি বিদেশে কেন পালাব? প্রয়োজনেই দেশেই মারা যাব কিন্তু বিদেশে পালাব না। কখনোই ভাববেন না আমি পালিয়ে যাব। আপনারা সব বলেন কিন্তু কেউ কোনো ট্যাগ লাইন দিয়েন না যে আমি দেশ ছেড়ে পালাব। আমি কোর্টে আমার পাসপোর্ট জমা দিয়ে এসেছি; আমার দেশ ছেড়ে পালানোর কখনোই চিন্তা ছিল না।   জানা গেছে, নতুন করে ব্যবসা শুরু উদ্যোগ নেওয়ায় ইভ্যালির প্লাটফর্মে পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া পড়ছে। প্রথম অফারে প্রায় দেড় হাজার বিক্রেতা তাদের নানা পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে। বিগ ব্যাং-এ প্রায় ১৫ হাজার ধরনের কয়েক লাখ পণ্যে নানা রকম অফার থাকছে। অফারের মধ্যে আকর্ষণীয় ১০ টাকায় পাঞ্জাবি, ১৬ টাকায় কয়েকটি গ্যাজেট আইটেম ও ১০০ টাকা প্রেসার কুকারসহ বেশকিছু পণ্যে সারপ্রাইজিং অফার থাকছে। পাশাপাশি বেশিরভাগ পণ্যেই ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড় থাকছে। তবে বিশেষ সারপ্রাইজ থাকছে মোবাইল ফোনে। এবার কোনো পণ্যে ইভ্যালি নিজ থেকে ভর্তুকি বা লোকসান দিচ্ছে না। সকল পণ্যেই বিক্রেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে ছাড় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগ ব্যাং অফারে পুরোটাই থাকবে ক্যাশ অন ডেলিভারি। ফলে পণ্য বুঝে নিয়ে মূল্য পরিশোধ করবেন গ্রাহকরা। অন্যদিকে গ্রাহকদের পরিশোধ করা অর্থ সরাসরি চলে যাবে বিক্রেতার হাতে। ইভ্যালির এবারের ক্যাম্পাসে অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠানও তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম ওয়ালটন, আখতার ফার্নিচার, স্যামসাং, মার্সেল, যমুনা ইলেক্ট্রনিক্স, মিনিস্টার ইলেক্ট্রনিক, বাজাজ, নোকিয়া, রিয়েল মি, মেক্সিমাস, ভিভো, ওয়ান প্লাস। দীর্ঘ সময় পর এই ক্যাম্পেইনে ইভ্যালি বড় সাড়া ফেলতে পারবে বলে আশা করছেন মোহাম্মদ রাসেল ও তার সঙ্গে থাকা বিক্রেতারা। এ বিষয়ে মোহাম্মদ রাসেল কালবেলাকে বলেন, প্রায় দেড় হাজার বিক্রেতার পণ্য নিয়ে আজকের অফার উন্মুক্ত করা হচ্ছে। কোনো পণ্যেই লোকসান দেওয়া হচ্ছে না। তবে বেশিরভাগ পণ্যই শুধু উৎপাদন খরচে বিক্রি করা হবে। এজন্য গ্রাহকরা বাজার মূল্যের তুলনায় বিশাল ছাড় পাবে। অফারের আগে লাইভে আরও বিস্তারিত জানানো হবে। উল্লেখ্য, ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মো. রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। কিন্তু ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের। অভিযোগ আছে, দেশি ও বিদেশীয় কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান মিলে ইভ্যালিকে থামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করে তারা। একপর্যায় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করা হয় রাসেলকে। কিন্তু রাসেলকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। রাসেলকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সবশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

ফেসবুক লাইভে ইভ্যালির রাসেল
সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন দেশের বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল। জামিনে কারা মুক্তির পর প্রথম ক্যাম্পেইন ‘বিগ ব্যাং’ এর ঘোষণা দেন। এরপরই শুক্রবার লাইভে আসার ঘোষণা দেন তিনি। পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। ফেসবুক লাইভের শুরুতেই মোহাম্মাদ রাসেল বলেন, বিগত দিনগুলোতে হয়ত আপনারা খারাপ ছিলেন। কারণ ইভ্যালিতে অর্ডার করা পণ্য আপনারা পাচ্ছিলেন না। এজন্য আপনাদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এতদিন আমি কারাগারে ছিলাম। জানা গেছে, নতুন করে ব্যবসা শুরু উদ্যোগ নেওয়ায় ইভ্যালির প্লাটফর্মে পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া পড়ছে। প্রথম অফারে প্রায় দেড় হাজার বিক্রেতা তাদের নানা পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে। বিগ ব্যাং-এ প্রায় ১৫ হাজার ধরনের কয়েক লাখ পণ্যে নানা রকম অফার থাকছে। অফারের মধ্যে আকর্ষণীয় ১০ টাকায় পাঞ্জাবি, ১৬ টাকায় কয়েকটি গ্যাজেট আইটেম ও ১০০ টাকা প্রেসার কুকারসহ বেশকিছু পণ্যে সারপ্রাইজিং অফার থাকছে। পাশাপাশি বেশিরভাগ পণ্যেই ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড় থাকছে। তবে বিশেষ সারপ্রাইজ থাকছে মোবাইল ফোনে। এবার কোনো পণ্যে ইভ্যালি নিজ থেকে ভর্তুকি বা লোকসান দিচ্ছে না। সকল পণ্যেই বিক্রেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে ছাড় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগ ব্যাং অফারে পুরোটাই থাকবে ক্যাশ অন ডেলিভারি। ফলে পণ্য বুঝে নিয়ে মূল্য পরিশোধ করবেন গ্রাহকরা। অন্যদিকে গ্রাহকদের পরিশোধ করা অর্থ সরাসরি চলে যাবে বিক্রেতার হাতে। ইভ্যালির এবারের ক্যাম্পাসে অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠানও তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম ওয়ালটন, আখতার ফার্নিচার, স্যামসাং, মার্সেল, যমুনা ইলেক্ট্রনিক্স, মিনিস্টার ইলেক্ট্রনিক, বাজাজ, নোকিয়া, রিয়েল মি, মেক্সিমাস, ভিভো, ওয়ান প্লাস। দীর্ঘ সময় পর এই ক্যাম্পেইনে ইভ্যালি বড় সাড়া ফেলতে পারবে বলে আশা করছেন মোহাম্মদ রাসেল ও তার সঙ্গে থাকা বিক্রেতারা। এ বিষয়ে মোহাম্মদ রাসেল কালবেলাকে বলেন, প্রায় দেড় হাজার বিক্রেতার পণ্য নিয়ে আজকের অফার উন্মুক্ত করা হচ্ছে। কোনো পণ্যেই লোকসান দেওয়া হচ্ছে না। তবে বেশিরভাগ পণ্যই শুধু উৎপাদন খরচে বিক্রি করা হবে। এজন্য গ্রাহকরা বাজার মূল্যের তুলনায় বিশাল ছাড় পাবে। অফারের আগে লাইভে আরও বিস্তারিত জানানো হবে। উল্লেখ্য, ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মো. রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। কিন্তু ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের। অভিযোগ আছে, দেশি ও বিদেশীয় কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান মিলে ইভ্যালিকে থামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করে তারা। একপর্যায় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করা হয় রাসেলকে। কিন্তু রাসেলকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। রাসেলকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সবশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

এবার লাইভে আসছেন ইভ্যালির রাসেল
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ফেসবুক লাইভে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় লাইভে আসবেন তিনি। এর আগে একই দিন ‘বিগ ব্যাং’ ক্যাম্পেইন চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন রাসেল।   শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইভ্যালির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। এ ব্যাপারে ইভ্যালির গ্রাহকরা অনেকেই বলছেন, নতুন কোনো সুখবর দিতে লাইভে আসছেন তিনি। এদিকে  শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে পোস্ট করেছেন রাসেল। ‘বিগ ব্যাং’ শিরোনামের পোস্টারের ক্যাপশনে লিখেছেন, কোনো সমস্যা বা দূরত্ব না থাকলে সম্পর্ক সবসময় মধুর হয়। গ্রাহকদের সেরা অফার দেওয়ার জন্য আমাদের সরবরাহকারীরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। আর এই দূরত্বটা শুধু ইভ্যালির ‘বিগ ব্যাং’ অফারের মাধ্যমে কমানো যাবে। তিনি আরও লিখেছেন, একসঙ্গে আমরা ইতিহাস গড়ব ইনশাআল্লাহ। (এটা হবে) বিজয়ের ইতিহাস, অসম্ভবকে সম্ভব করার ইতিহাস। ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মো. রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। কিন্তু ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের। অভিযোগ আছে, দেশি-বিদেশীয় কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান মিলে ইভ্যালিকে থামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করে তারা। একপর্যায় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করা হয় রাসেলকে। কিন্তু রাসেলকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। রাসেলকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন। জানা গেছে, মুক্তি পাওয়ার পর অফিস করতে শুরু করেছেন মো. রাসেল। ইতোমধ্যে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বহু উদ্যোক্তা ও বিক্রেতা। ইভ্যালিকে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করতে এগিয়ে আসছেন তারা। কয়েকদিন ধরে ইভ্যালির অফিসে বিক্রেতাদের চলছে যাতায়াত।
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

কারামুক্ত হলেন ইভ্যালির রাসেল
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আলোচিত অনলাইন মার্কেট প্লেস ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মো. রাসেল। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাসেল কারাগার থেকে মুক্তি পান। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম।  কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেলার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মো. রাসেল একাধিক মামলায় কারাগারে বন্দি ছিলেন। সব মামলার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছালে যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল সোমবার বিকেলে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সিই্ও রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর চেক জালিয়াতি, টাকা দিয়ে পণ্য না পাওয়াসহ নানা অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সারাদেশে অনেক মামলা হয়। গত বছরের ৬ এপ্রিল শামীমা নাসরিন জামিনে মুক্ত হলেও রাসেল কারাগারে ছিলেন।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইভ্যালির রাসেল ও তার স্ত্রীর নামে প্রতারণা মামলা
ঠাকুরগাঁওয়ে অনলাইন শপিং প্ল্যাটফরম ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের নামে প্রতারণা মামলা করেছেন সাদ্দাম নামে ভুক্তভোগী এক গ্রাহক। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার মামলা করেন তিনি। এজাহার সূত্রে জানা যায়, চটকদার অফার দেখে বাদী ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মহিষমারি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ২১ মে পর্যন্ত মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্যের মোট সাড়ে ৭ লাখ টাকা অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেও কোনো পণ্য বুঝে পাননি। এসব পণ্যের বর্তমান বাজার মূল্য ১৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা দাঁড়িয়েছে। ঠাকুরগাঁও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত রাসেল ও শামিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
২২ অক্টোবর, ২০২৩
X