দেশ ও ইসলাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, ইসলাম মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে উৎসাহ দেয়; কিন্তু মানুষ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, সেজন্য একটি রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। দেশ ও ইসলাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠক হয়। ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মাদ্রাসার বইতে সালামের পরিবর্তে প্রণাম দেওয়া শেখানো হচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের অবাধ চলাফেরা দেখানো হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য শিক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন শিল্প সংস্কৃতির মধ্যে ঢোল-তবলা দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে

স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন নজরুল ইসলাম
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল। মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি জেলা নির্বাচন অফিসে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তার সঙ্গে ছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নজরুল ইসলাম দুলাল বলেন, দলীয় মনোনয়ন না পেলেও এলাকার মানুষের চাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিলাম। গতকাল তিনজনসহ মোট চার প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ার্দার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আব্দুল আলিম নিজামী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মুনিয়া আফরিন ও নজরুল ইসলাম দুলাল। সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য হয়। পরে উপনির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
৮ ঘণ্টা আগে

ইসলামী আন্দোলনের সেমিনার / ‘দেশ ও ইসলাম নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ইসলাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ইসলাম মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে উৎসাহ দেয়। কিন্তু মানুষ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম (শায়খে চরমোনাই) প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শিক্ষায় আলো। শিক্ষা থেকে যদি বঞ্চিত রাখা যায় তবে জাতিকে ধ্বংস করা যায়। ছেলে-মেয়েদের অবাধ চলাফেরা দেখানো হয়েছে পাঠ্যপুস্তকগুলোতে। মা বাবার দ্বীনি পরিবেশ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য শিক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন শিল্প সংস্কৃতির মধ্যে ঢোল-তবলা দেওয়া হয়েছে। এটা শিল্পকলার কাজ, জাতীয় কারিকুলামে এটা হতে পারে না। মুসলিম সন্তানদের একত্রে নাচতে গাইতে, ছেলে-মেয়েদের বন্ধুদের হাত ধরে চলতে শেখানো হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষক ফেরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. নাছির উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আ খ ম ইউনুস, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, মগজ বিকৃত কিছু বুদ্ধিজীবী শিক্ষা থেকে ইসলামকে দূরে রাখতে অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সংকীর্ণতা দূর করে লোভকে পরিহার করে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবে ভবিষ্যতে প্রজন্ম ঈমান ইসলাম নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। আশরাফ আলী আকন বলেন, বাংলাদেশে আগ্রাসন বহুমুখী। এ আগ্রাসন থেকে মুক্ত হতে না পারলে আমাদের কপালে দুর্ভোগ আছে। অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, ইসলাম কাউকে গোলাম তৈরি করতে শেখায় না, বরং মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে উৎসাহ দেয়। আমাদের একটি নতুন শিক্ষা কমিশন গঠনের ঘোষণা সময়ের দাবি। অধ্যাপক আ খ ম ইউনুস বলেন, বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে হাবুডুবু খেয়ে যারা বেড়ে উঠেছে তারাই এই কারিকুলাম তৈরি করেছে। বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলিয়া মাদ্রাসা। আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা সংরক্ষণে দলমত নির্বিশেষে উদ্যোগ নেওয়া দরকার। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মো. নাছির উদ্দীন খান বলেন, আমরা মনে করি সকলের মেধা ও প্রতিভা কখনোই এক হবে না। কিন্তু সরকার, অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের লক্ষ্য ও প্রতিভার ভিন্নতা বিবেচনা না করে বাধ্যতামূলকভাবে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের একমুখী মডেলে তৈরি করতে চান। শিক্ষা কারিকুলাম-২০২১ এ সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো প্রায় প্রতিটি বিষয়ই সবচেয়ে কম মেধাবী ছাত্রের কথা বিবেচনা করে পাঠ্যপুস্তক প্রণীত হয়েছে যা বিজ্ঞান বইগুলোতে চোখ রাখলেই এর বাস্তবতা লক্ষ্য করা যাবে। এতে করে আমাদের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মেধার বিকাশ করতে পারবে না। ফলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না। জাতি হিসেবে আমরা আরও পিছিয়ে পড়ব। এ সময় অনুষ্ঠানে দেশের স্বার্থে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধা বিকাশের লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবি উপস্থাপন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে- - বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম-২০২১ বাতিল করা এবং যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নে অভিজ্ঞ, দেশপ্রেমিক এবং দ্বীনদার শিক্ষাবিদদের সম্পৃক্ত করা।  - পাঠ্যপুস্তকে সকল বিষয় হতে বিতর্কিত ও ইসলামী আক্বীদাবিরোধী প্রবন্ধসমূহ বাদ দেওয়া।  - স্কুল ও মাদ্রাসার সকল পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সংস্কৃতি, অনৈসলামিক শব্দ এবং অশ্লীল চিত্রমুক্ত রাখা।  - আলিয়া মাদ্রাসার স্বকীয়তা বজায় রেখে স্বতন্ত্র কারিকুলাম প্রণয়ন করা। - শিক্ষকদের স্বতন্ত্র উচ্চতর বেতন কাঠামো এবং শিক্ষক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে

ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন নজরুল ইসলাম দুলাল
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল।  শুক্রবার (১০ মে) শেষ দিনে দুপুর ১২টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে নজরুল ইসলাম দুলাল বলেন, এলাকার মানুষের চাওয়ার প্রেক্ষিতে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। এর আগে  সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর আসনটিতে উপনির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।  এ আসনে এখন পর্যন্ত তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ারদার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আব্দুল আলিম নিজামী এবং স্বতন্ত্র হিসেবে নজরুল ইসলাম দুলাল।
১৯ ঘণ্টা আগে

অর্ধযুগে পা রাখল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব
‘ঐক্যে মোরা, সত্যের পথে’ স্লোগানকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠার পাচঁ বছর পূর্ণ ও ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে কেক কেটে দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি, প্রেস ক্লাবের সভাপতি নবাব মো. শওকত জাহান কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জিহাদুজ্জামান জিসান। এরপর দুপুরে আনন্দ শোভাযাত্রা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে আলোচনা সভা, বার্ষিক ক্যালেন্ডার উন্মোচন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাবের সভাপতি নবাব মো. শওকত জাহান কিবরিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) শেখ মো. শহীদুল ইসলাম।  অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি এবং নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল হোসেন তোকদার। ২০১৯ সালের ৯ মে যাত্রা শুরু করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব।
১০ মে, ২০২৪

অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় ইসলাম
পৃথিবীর সব মানুষকে ইসলাম একটি অভিন্ন সূত্রে গেঁথে দেয়। পৃথিবীর সব মানুষ এক আদম-হাওয়া দম্পতির সন্তান—এ মানবিক পরিচয়ে পৃথিবীর সব মানুষকে একীভূত করে ইসলাম। পৃথিবীর প্রথম দম্পতির মাধ্যমেই বিস্তার লাভ করেছে মানবজাতি। পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে মানববংশ গড়ে তুলেছে হাজারো সমাজ। প্রতিটি সমাজের অতীত ও সূচনা একবিন্দুতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। তাই পৃথিবীতে শান্তি ও স্থিতি গড়ে তুলতে হলে এ মানবিক ও সামাজিক সূত্রে সবাইকে একীভূত হতে হবে। সমাজে মানুষ তার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও গ্রাম-মহল্লার লোকজনের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করে। তাই সমাজজীবনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে হলে সমাজের সব ব্যক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়। সমাজবদ্ধ হয়েই মানুষকে বসবাস করতে হয়। সমাজে একে অন্যের সহযোগী হয়ে জীবনের পথ চলতে হয়। তাই সামাজিক জীবনে পারস্পরিক বন্ধন ও সাহায্য-সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বজগতের সমগ্র সৃষ্টি একটি অভিন্ন পরিবারের মতো। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সমগ্র সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার। অতএব আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় সেই ব্যক্তি যে তার সৃষ্টির প্রতি উত্তম আচরণ করে।’ (শুআবুল ইমান : ৭০৪৮)। যেহেতু গোটা সৃষ্টিকূল একটি পরিবারের মতো, তাই সৃষ্টি জীবের সঙ্গে ব্যবহার হবে পরিবারের সদস্যদের মতো ও আত্মীয়স্বজনের মতো। আবার সব মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক হচ্ছে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক। কারণ সব মানুষের পিতা একজন, স্রষ্টাও একজন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মানবসমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় করো, যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দুজন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী।’ (সুরা নিসা : ১)। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘হে মানুষ! নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভু একজন। তোমাদের বাবা একজন। তোমরা সবাই আদম-সন্তান। সাবধান! আরবের ওপর কোনো অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই এবং কোনো অনারবের ওপরও আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। কোনো কালোর ওপর লাল তথা সুদর্শন ব্যক্তির শ্রেষ্ঠত্ব নেই, শ্রেষ্ঠত্ব নেই সুদর্শনের ওপর কোনো কালোর। শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করা যাবে শুধু তাকওয়া তথা আল্লাহ-ভীতির মাধ্যমে।’ (মুসনাদে আহমাদ : ২৩৪৮৯) মানুষের সমাজকে আরও উপমা দেওয়া হয়েছে একটি অভিন্ন দেয়ালের সঙ্গে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘এক মুমিন অন্য মুমিনের জন্য একটি দেয়ালের ইটগুলোর মতো সম্পূরকস্বরূপ—তারা একে অন্যের দ্বারা স্থিতি অর্জন করে। এই বলে তিনি নিজের দুই হাতের আঙুলগুলো পরস্পরের মধ্যে ঢোকালেন।’ (বোখারি : ২৬৪৬)। এ হাদিসে রাসুল (সা.) মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্কের গুরুত্বের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। অন্য হাদিসে আছে, মুসলমান জাতি একটি দেহের মতো। চোখ অসুস্থ হলে গোটা দেহ অসুস্থ হয়। আবার মাথা অসুস্থ হলেও গোটা দেহে এর প্রতিক্রিয়া হয়। মুমিনরা যদি প্রকৃতই পরস্পরের সহমর্মী হয়, তাহলে তাদের একের ব্যথায় অন্যরা ব্যথিত হবে, একের সুখে অন্যরা আনন্দিত হবে। ইসলাম যেহেতু গোটা মানবতাকে একই পরিবারের সদস্য বলে বিবেচনা করে, সুতরাং তাদের মধ্যকার সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নানাভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইসলামে বিভিন্ন ইবাদত, বন্দেগির নিয়মপদ্ধতি এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে যে, তার মাধ্যমে যেন মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে মানবসমাজে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি ও উন্নয়ন সম্ভব হয়। মানুষের সামগ্রিক মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করে ইসলাম। পৃথিবীতে ইসলাম বিস্তৃতি লাভ করেছে তার আদর্শের জাদুমন্ত্রে; পেশিশক্তির জোরে নয়। ইসলাম আত্মপ্রকাশের অল্পদিনেই অর্ধপৃথিবী জয় করার পেছনে মূল শক্তিটি ছিল ইসলামের আদর্শ, উদারতা ও মানবতাবোধ। আসলে ইসলাম প্রথমে মানুষের হৃদয় জয় করেছে, তারপর পৃথিবী জয় করেছে। প্রথমে মানুষের প্রকৃতিগত গুণ তথা মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটিয়েছে। ইসলামের শিক্ষা হলো, প্রথমে ভালো মানুষ হতে হবে, পরে ভালো মুসলমান। যিনি ভালো মুসলমান তিনি ভালো মানুষও বটে। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘তোমরা প্রকৃত মুমিন না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার পরস্পরকে ভালোবাসতে না পারা পর্যন্ত প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না।’ (বোখারি ও মুসলিম)। অর্থাৎ প্রকৃত মুমিন হতে হলে অন্তরে মানবপ্রেম জাগাতে হবে। মানুষের প্রতি দায়বোধ বাড়াতে হবে। শুধু মানুষই নয়, প্রতিটি প্রাণীর প্রতি দয়া প্রদর্শন করতে হবে। মানবকল্যাণে যিনি কাজ করেন তিনিই আল্লাহর প্রিয়পাত্র হতে পারবেন। পরমতসহিষ্ণুতা ইসলামের অন্যতম শিক্ষা। অন্যের প্রতি ঘৃণা বা অবজ্ঞা প্রদর্শন ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রতিটি মানুষ সে মুসলিম হোক বা অমুসলিম, নারী হোক কিংবা পুরুষ, মানুষ হিসেবে মহান আল্লাহ তাকে বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা দান করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি মানবজাতিকে মর্যাদাবান করেছি, আমি তাদের স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদের উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি আমার সৃষ্টিজগতের অনেকের ওপর।’ (সুরা বনি ইসরাইল : ৭০)। মহানবী (সা.) বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে মানুষের মর্যাদা সমুন্নত করে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘তোমাদের পরস্পরের জীবন, ধন-মাল ও সম্মান পরস্পরের জন্য সম্মানের যেমন তোমাদের এ দিনটি সম্মানের, এ মাসটি সম্মানের এবং এ শহর সম্মানের।’ (বোখারি : ৬৭)। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন। একবার আমাদের মহানবীর পাশ দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি ওই লাশের সম্মানে দাঁড়িয়ে গেলেন। তাকে বলা হলো, লাশটি তো একজন ইহুদির। মহানবী (সা.) বললেন, সে কি মানুষ নয়? (মুসলিম : ৯৬১)। মানুষের মর্যাদাহানি, কুৎসা রটানো, ঠাট্টা-বিদ্রূপ করাকেও ইসলাম সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের কোনো সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়কে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে যেন বিদ্রূপ না করে।’ (সুরা হুজুরাত : ১১)। আর কোনো মানুষের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো ইসলামে অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। আল্লাহতায়ালার ইরশাদ—‘ধ্বংস এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যে পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দা করে।’ (সুরা হুমাজা : ১)। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, ‘হে ইমানদাররা! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য কোনো সম্প্রদায়কে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর কোনো নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আর তোমরা একে অন্যের নিন্দা করো না এবং তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গুনাহ। ইমানের পর মন্দ নাম কতইনা নিকৃষ্ট! যারা এমন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই জালেম।’ (সুরা হুজুরাত : ১১) কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও হেয়প্রতিপন্ন করা মুমিনের কাজ নয়। বরং তা সংকীর্ণ মানসিকতার লক্ষণ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা একে অন্যের দোষ অনুসন্ধান কোরো না। পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ কোরো না ও পরস্পর শত্রুতা কোরো না। বরং হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও।’ (বোখারি : ৪৮৪৯)। মানুষের প্রতি কুধারণা ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত নিন্দনীয়। কোনো দলিল-প্রমাণ ছাড়া অনর্থক কারও সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করাকে ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা সব ধরনের অনুমান থেকে বেঁচে থাকো। কেননা কিছু কিছু অনুমান গুনাহের কারণ। আর তোমরা একজন অন্যজনের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না। আর তোমরা পারস্পরিক গিবত থেকেও বিরত থাকো।’ (সুরা হুজুরাত : ১২) তা ছাড়া ঘৃণার পরিবর্তে সৌহার্দ্য ও ভালোবাসার প্রসার ঘটানো ইসলামের মহান শিক্ষা। রাসুল (সা.) মুমিনদের ভালোবাসা ইমানের মাপকাঠি সাব্যস্ত করে বলেছেন, ‘ইমান ছাড়া তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, পরস্পরকে ভালোবাসা ছাড়া তোমরা মুমিন হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ের কথা বলে দেব না, যাতে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তোমরা পরস্পরকে সালাম দেবে।’ (মুসলিম : ২০৩) পৃথিবীর কোনো মানুষকে অমর্যাদা করা ইসলামের শিক্ষা নয়। অমুসলিম ও সংখ্যালঘুদের অধিকারেও ইসলাম কঠোর নির্দেশ প্রদান করেছে। এ প্রসঙ্গে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘জেনে রাখো, যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিম নাগরিক বা সংখ্যালঘুকে আঘাত করে বা তাকে অপদস্থ করে অথবা কর্মচারী নিয়োগ করে তার সাধ্যের বাইরে কাজ চাপিয়ে দেয়, আমি তার বিরুদ্ধে কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর দরবারে মামলা করব।’ (আবু দাউদ : ২/৪৩৩)। মহানবী (সা.) মদিনায় যখন একটি নতুন রাষ্ট্র স্থাপন করেন, তার ভিত্তি ছিল ‘মদিনা সনদ’। এ সনদের একটি ধারা হলো, সব ধর্মের লোকরা স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে। কেউ কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। মদিনার ইহুদিরা প্রায়ই ইসলামের বিরোধিতা করত, তথাপি রাসুল (সা.) তাদের ধর্ম পালনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি। একবার মদিনার মসজিদে বসে নবী করিম (সা.) নাজরান থেকে আসা একটি খ্রিষ্টান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। আলোচনার বিরতিতে তারা নিজ ধর্ম অনুসারে প্রার্থনা করার অনুমতি চাইলে নবী করিম (সা.) তাদের মদিনার মসজিদে প্রার্থনা করার অনুমতি দেন। (ফুতুহুল বুলদান : পৃ. ৭১) অমুসলিমদের অধিকার ইসলামের ঐতিহাসিক সৌন্দর্য। ফিলিস্তিন জয়ের পর খলিফা ওমর ফারুক (রা.) বায়তুল মুকাদ্দাসের খ্রিষ্টানদের একটি সংবিধান লিখে দিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। এটি একটি নিরাপত্তাসংক্রান্ত চুক্তিনামা, যা মুসলমানদের আমির, আল্লাহর বান্দা ওমরের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরিত হলো, এ চুক্তিনামা ইলিয়্যাবাসী তথা জেরুজালেমে বসবাসরত খ্রিষ্টানদের জানমাল, গির্জা-ক্রুশ, সুস্থ-অসুস্থ তথা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রযোজ্য। সুতরাং চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তাদের উপাসনালয়ে অন্য কেউ অবস্থান করতে পারবে না। তাদের গির্জা ধ্বংস করা যাবে না এবং কোনো ধরনের ক্ষতিসাধন করা যাবে না। তাদের নিয়ন্ত্রিত কোনো বস্তু, তাদের ধর্মীয় প্রতীক ক্রুশ ও তাদের সম্পদের কোনো ধরনের ক্ষতি সাধন বা হামলা করা যাবে না।’ (তারিখে তাবারি : ২/৪৪৯) আল্লাহ পৃথিবীর সব মানুষকে সম্মান দিয়েছেন। সম্মানিত করেই সৃষ্টি করেছেন। সব মানুষই সম্মানিত। মানবজাতির এ সম্মান ও মর্যাদা সর্বজনীন। প্রতিটি মানুষ সে বিশ্বাসী হোক বা অবিশ্বাসী মৌলিক সম্মান ও অধিকারের ক্ষেত্রে সমান। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকেও ‘সাধারণ সম্মান সব মানুষের জন্য’ প্রমাণিত হয়। আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানবজাতিকে সম্মানিত করেছি, তাকে কর্তৃত্ব দিয়েছি স্থলে ও জলে, তাদের দিয়েছি উত্তম জীবিকা এবং তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি আমার সৃষ্টিজগতের অনেকের ওপর।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ৭০) মানুষের সম্মানসংক্রান্ত আয়াতে আল্লাহ যেমন বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীর মধ্যে পার্থক্য করেননি, তেমন মৌলিক অধিকারসংক্রান্ত আয়াতেও তা করা হয়নি। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ যাকে হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন তাকে তোমরা আইনানুগ কারণ ছাড়া হত্যা কোরো না।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১৫১)। এসব আয়াতের ভিত্তিতে ইসলামী আইনবেত্তারা বলেন, ‘মানুষ সত্তাগতভাবে সম্মানী। সুতরাং তাকে অপমান করা, তার প্রতি অবিচার করা, তার অধিকার নষ্ট করা, সম্মানহানি করা অন্য কোনো মানুষের জন্য বৈধ নয়। সবার প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করা আবশ্যক। মোটকথা, পৃথিবীর সব মানুষকেই মানুষ হিসেবে সম্মান দিতে হবে, অধিকার আদায় ও রক্ষা করতে হবে, মানবিক ও সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে হবে। সুন্দর সামাজিক সম্পর্ক প্রকৃত মুমিন ও বিশ্বাসী মানুষের বৈশিষ্ট্য। লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামী চিন্তাবিদ
১০ মে, ২০২৪

ব্রিটিশ কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যা জানাল বিএনপি
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ইতোমধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটির সংশ্লিষ্ট নেতারা। তবে এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি। সর্বশেষ বুধবার (৮ মে) যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান- এমপির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। ঢাকাস্থ যুক্তরাজ্য হাইকমিশনারের বাসভবনে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় আরও ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ ও বিএনপির মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ। বৈঠকে যুক্তরাজ্য হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকসহ হাইকমিশনের রাজনৈতিক বিভাগের দুজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট স্থায়ী হয়। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে শামা ওবায়েদ কালবেলাকে বলেন, এটি একটি স্বাভাবিক বৈঠক। সেখানে দেশের চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশসহ সব বিষয়ে আলাপ হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।
০৯ মে, ২০২৪

রপ্তানিকারকদের আয় ৩০ শতাংশ বেড়েছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রপ্তানিকারকদের আয় ৩০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বৃহস্পতিবার (৯ মে) হোটেল রেডিসন ব্লুতে সিআইপি (রপ্তানি ও ট্রেড)-২০২২ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিন বছরে ডলারের মূল্য বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। রপ্তানিকারকদের আয়ও ৩০ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নগদ সহায়তা কমে গেলেও রপ্তানিকারকদের আয় টাকার অঙ্কে বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা ২০২৬ সালে যাত্রা শুরু করব। তিন বছর বিভিন্ন দেশে মার্কেট অ্যাক্সেস পাব। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এসব সুবিধা সীমিত হয়ে যাবে। এ জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে সুযোগ তৈরি করতে এরই মধ্যে প্রায় ২৬ দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছি। ভারত, জাপান, চীন, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়ার বাজারে সহজে প্রবেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অর্জন, বিশেষ করে ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের যে অর্জন তা সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। বাংলাদেশ এই জায়গায় পৌঁছাতে পারবে তা অনেকে বিশ্বাস করত না। ২০০৯ সালে যেখানে রপ্তানি ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের একটু বেশি, আজকে সেই রপ্তানি আয় প্রায় ৪ গুণ বেড়ে ৬৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। যার জিডিপির আকার প্রায় ৪৬০ বিলিয়নের ওপরে। এই সবগুলো অর্জনই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যে লজিস্টিক যে সাপোর্ট দিয়েছেন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটি অনস্বীকার্য। আজকে রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় নিয়ামক শক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা রপ্তানি বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা ১৪০ জনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য সিআইপি প্রদান করছি। সেই সঙ্গে এ দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই তাদের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সুপারিশ মোতাবেক ৪৪ জনকে সিআইপি ট্রেড হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি উদ্যোগের মধ্যে একটি হলো প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দেশে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টসের সঙ্গে লেদার, জুট, টি সেক্টরসহ ফার্মাসিটিক্যালস সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এ বছর প্রধানমন্ত্রী বর্ষপণ্য হিসেবে হস্তশিল্পকে ঘোষণা করেছেন। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ স্লোগানে তৃণমূলে কারিগরদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে হস্তশিল্পকে একটি বিকল্প রপ্তানি পণ্য হিসেবে তুলে ধরতে চাই। এটি নিয়ে আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে।  তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ৭৩টি দেশে আমাদের অ্যাম্বাসি আছে। ২৩টি দেশে আমাদের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আছে। তাদের মাধ্যমে আগামী পহেলা বৈশাখে অ্যাম্বাসিতে বৈশাখী মেলা করতে চাই। সেখানে আমরা আমাদের হস্তশিল্প পৌঁছে দিতে চাই। যাতে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যে সেটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকালই আমাদের টাকার প্রায় ৬ শতাংশ ডিভ্যালুয়েশন করা হয়েছে। রপ্তানিকারকদের সব সময় একটা চাপ ছিল, আমরা যেনো ডলার ডিভ্যালুয়েশন করে এমন একটি পর্যায়ে রাখি যাতে আমাদের রপ্তানি কস্পিটিটিভ হয়। এখন যখন ডিভ্যালুয়েশন হয়েছে, তখন কিন্তু আমাদের রপ্তানিকারকদের আয় বেড়েছে। যদিও আমাদের দেশ আমদানিনির্ভর। তারপরও আমাদের রপ্তানি কম্পিটিটিভনেসের জন্য আমাদের ডিভ্যালুয়েশ করতে হচ্ছে। আমরা আশা করি, এতে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের কম্পিটিটিভনেস বাড়বে। এই সুযোগটা আমাদের রপ্তানিকারকদের কাজে লাগাতে হবে। 
০৯ মে, ২০২৪

হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন মৌলভীবাজারের তাজ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. আখতারুজ্জামানের যৌথ বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এক‌ইসঙ্গে দ্রুত প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়ে নির্বাচন করার জন্য রুল জারি করা হয়েছে।  জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়নপত্র আপিল শুনানিতে বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও আপিল কর্তৃপক্ষ ড. উর্মি বিনতে সালাম। এরপর তাজুল ইসলাম তাজ মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে উচ্চ আদালত রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাজের রিট আবেদন গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার রুল জারি করেন। তাই এখন তাজুল ইসলাম তাজের নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোনো বাধা থাকলো না। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে তাদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম তাজ বলেন, আমি আমার অধিকার ফিরে পেয়েছি। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছিল। এখন ন্যায়বিচার ফিরে পেয়েছি। জনগণ আগামী ২১ মে আমাকে ভোট দিয়ে তাদের রায় দেবেন। উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থীর মধ্যে তাজের মনোনয়নপত্র বাতিল হ‌ওয়ায় প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে কামাল হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। 
০৯ মে, ২০২৪

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় গবেষণা মেলা শুরু
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে দুই দিনব্যাপী দ্বিতীয় গবেষণা মেলা ২০২৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের আয়োজনে সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গবেষণা মেলা। বুধবার (৮ মে) বিকেলে গবেষণা মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্জিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা। ৮ ও ৯ মে দুইদিনব্যাপী গবেষণা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি বিভাগ ৩২টি স্টলের মাধ্যমে তাদের গবেষণা কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশুরেন্স সেলসহ বিভিন্ন ইন্সটিটিউটসমূহ তাদের কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রকাশ করবে। গবেষণা মেলার সমাপনী আয়োজনে অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট গবেষক, বিজ্ঞানী ও বুয়েটের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। 
০৯ মে, ২০২৪
X