উপজেলা নির্বাচন / যে কোনো অনিয়মকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে : ইসি আহসান হাবিব
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও কোনো অনিয়ম হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।  শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোলায় সকল উপজেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সকল প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি ও অন্যান্য সকল বিধিনিষেধের বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে যারাই প্রভাব বিস্তার করতে চাইবে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কোনো কার্পণ্য করা হবে না। মো. আহসান হাবিব খান আরও বলেন, যেভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করেছি, সেভাবেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।  ভোলা জেলা পরিষদের হলরুমে ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান। এ ছাড়াও সকল উপজেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারবৃন্দ ও সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ ঘণ্টা আগে

নির্বাচন কমিশন একদিন বিশ্বের রোল মডেল হবে : ইসি হাবিব
নির্বাচন কমিশন একদিন বিশ্বের রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।  ইসি হাবিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পরিবর্তন হয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে। তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।  তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম। আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোটগ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত সময়ে নির্বাচন নিয়ে কী ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সব বির্তক, সমালোচনা পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে মোট ভোটগ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোটগ্রহণে উপজেলাভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করব। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীদের আলাদাভাবে প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা ভোটারদের বাধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।  ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেওয়ার ক্ষেত্রে এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।  যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা বক্তব্য রাখেন। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।  
১৬ মে, ২০২৪

১৩৯ উপজেলায় কত শতাংশ ভোট পড়েছে, জানাল ইসি
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। বৃহস্পতিবার (৯ মে) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।  নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট কাস্টিং ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। ইভিএমে ভোট পড়েছে ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ আর ব্যালটে ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ।  কমিশনার বলেন, হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি, ধানকাটা ও একটি বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না আসায় ভোট পড়ার হার কম হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয় যা শেষ হয় বিকেল ৪টায়।  প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সারা দেশে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে ভোটার প্রায় ৩ কোটি ১৪ লাখ। ভোটকেন্দ্র ছিল প্রায় ১২ হাজার। ভোটকক্ষ প্রায় ৭৮ হাজার। প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৮ থেকে ১৯ জন করে নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত ছিল।  দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। সর্বশেষ ২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট হয় পাঁচ ধাপে।
০৯ মে, ২০২৪

চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ : ইসি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন অফিসে বেলা ১টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেলা ১২টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।’ মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোথাও কোথাও ভোটার উপস্থিতি কম। এখন পর্যন্ত ভোট নির্বিঘ্নে হচ্ছে, ভালো ভোট হচ্ছে। ইসি সচিব জানান, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার একটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া, তেমন কোথাও বড় কোনো সহিংসতা হয়নি। ইভিএম নিয়েও কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তথ্য অনুযায়ী- উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এদিকে, যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করে ইসি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সে হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৮/১৯ সদস্য এবং দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০/২১ সদস্য মোতায়েন করেছে ইসি। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় দুই থেকে চার প্ল্যাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটের আগের দুদিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন মোট পাঁচ দিন নিয়োজিত থাকবে। ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০ বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ পুলিশ সদস্য ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ও পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জনের ভ্রাম্যমাণ টিম রয়েছে। এ ছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ সদস্য। অন্যদিকে র‌্যাবের দুহাজার ৬৪৮ ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়াও নির্বাচনী আচরণবিধি নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন ১৩৯ জন। প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে তিন কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ এক কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী এক কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
০৮ মে, ২০২৪

দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ : ইসি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। বুধবার (০৮ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, ভোটগ্রহণ শুরুর পর প্রথম দুই ঘণ্টায় সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ। এদিকে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।   নির্বাচন কমিশন (ইসি) তথ্য অনুযায়ী- উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।   এদিকে, যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।   আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সে হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৮/১৯ সদস্য এবং দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০/২১ সদস্য মোতায়েন করেছে ইসি। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় দুই থেকে চার প্ল্যাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটের আগের দুদিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন মোট পাঁচ দিন নিয়োজিত থাকবে। ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০ বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ পুলিশ সদস্য ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ও পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জনের ভ্রাম্যমাণ টিম রয়েছে। এ ছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ সদস্য। অন্যদিকে র‌্যাবের দুহাজার ৬৪৮ ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়াও নির্বাচনী আচরণবিধি নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন ১৩৯ জন। প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে তিন কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ এক কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী এক কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
০৮ মে, ২০২৪

সরিষাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি
আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  রোববার (৫ মে) রাতে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  এবারের উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রথমবারের মতো কোনো প্রার্থির প্রার্থিতা বাতিল করল কমিশন। ইসি ও কালবেলার জামালপুর প্রতিনিধি জানান, সরিষাবাড়ীতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এর আগে দু’জনকে আটক করে সরিষাবাড়ী থানা ও জেলা ডিবি পুলিশ।  জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে সরিষাবাড়ীতে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। বাকি ২ জনের মধ্যে একজন হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক (আনারস) আর  অন্যজন হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য সাবেক কাস্টম অফিসার মো. তালেব উদ্দিন (দোয়াত কলম)। এর মধ্যে রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় বর্তমানে মো. তালেব উদ্দিন একক প্রার্থী। যদিও তাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখনো নির্বাচিত বলে ঘোষণা দেয়নি কমিশন। 
০৫ মে, ২০২৪

এমপিদের আশীর্বাদপুষ্ট প্রার্থীদের সরে আসার আহ্বান ইসি রাশেদার
উপজেলা নির্বাচনে কোনো প্রার্থী এমপিদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে সুবিধা নিলে তা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেলে প্রার্থীতাও বাতিল হতে পারে।’ শনিবার (৪ মে) সকালে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন এই নির্বাচন কমিশনার। এ সময় রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে কমিশন।’ স্থানীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্রার্থীরা এমপিদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে কোনো সুবিধা নিলে দয়া করে সরে আসেন। এ রকম অবস্থা যদি দাঁড়ায়, যদি অভিযোগ আসে তাহলে প্রার্থিতা বাতিলও হতে পারে।’ এর আগে নির্বাচন কমিশনারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নানা অভিযোগ তুলে ধরেন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। এবার প্রথম ধাপে ৮ মে উপজেলা নির্বাচনে রাজশাহী বিভাগে অংশ নিচ্ছেন ৯১ জন চেয়ারম্যান, ৮৬ জন ভাইস-চেয়ারম্যান ও ৭৩ জন মহিলা চেয়ারম্যান প্রার্থী।
০৪ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করলে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ ইসি রাশেদার
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যদি থানা পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে, তবে প্রার্থীরা কোর্টে যেতে পারেন। আমরা চাই, দুষ্কৃতকারীর শাস্তি হোক। পুলিশ যদি প্রভাবিত হয়, তাহলে কোর্ট খোলা আছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ দিতে হবে। সাংবাদিকদের থেকে শুনে ব্যবস্থা নেব না। শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বেলকুচিতে গভীর রাতে থানায় ঢুকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এসব কথা জানান ইসি রাশেদা। এর আগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বক্তব্য দেন।
০৪ মে, ২০২৪

পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করলে প্রার্থীকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ ইসি রাশেদার
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যদি থানা পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে, তবে কোর্টে যেতে পারেন প্রার্থীরা। আমরা চাই- যে দুষ্কৃতকারী, তারই শাস্তি হোক। পুলিশ যদি অন্যপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হন, তাহলে কোর্ট খোলা আছে।  শুক্রবার (৩ মে) সকালে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।  এ সময় সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে গভীর রাতে থানায় ঢুকে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিতে হবে। আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শোনা কোনো বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব না।  ওই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফরমালি জানলেই কমিশন ব্যবস্থা নেবে। কমিশন জানছে ব্যবস্থা নেয় নাই- এমনটা কোনো জায়গাতেই হয় নাই।  বেলকুচি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ঘটনা ঘটে গেছে। উভয়পক্ষেরই আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আছে। থানা আছে, কোর্ট আছে, আইজিপি আছে। অনেক জায়গা আছে, স্তরে স্তরে ভাগ করা আছে যেখানে গেলে উনি সুবিচার পাবেন সেখানে যাবেন। যদি অভিযোগ আসে তবে তদন্ত করব, প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব।  রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটের আয়োজন সম্পন্ন করতে চাইলে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের অবশ্যই প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্বশীল এজেন্ট দিতে হবে, যিনি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রে অনেক সময় অনিয়ম হলেও প্রমাণের অভাবে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে এজেন্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর আগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
০৩ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / প্রার্থীরা কে কার আত্মীয় দেখার প্রয়োজন নেই : ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কে কোন দলের। কে কোন মন্ত্রী ও এমপি, সচিবের ভাই, শ্যালক-সমন্ধি, ভাতিজা, আত্মীয় এসব দেখার কোনো প্রয়োজন নেই আমাদের। আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে যাব। বৃহিস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যদি কেউ কোনো বিপদে পড়েন অবশ্যই নির্বাচন কমিশন আপনাদের সঙ্গে থাকবে। আপনারা যারা ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা যদি নিরপেক্ষভাবে সততার সঙ্গে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করেন। আমরা যত পুলিশ, বিজিবি ম্যাজিস্ট্রেট দেই না কেন, কোনো কিছুতেই কাজ হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষতার সঙ্গে যতখানি সুশৃঙ্খলভাবে ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তার চাইতেও আরও স্বচ্ছ, নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। নীলফামারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, জেলা পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর (পিপিএম-সেবা) ও রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা, সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ডিমলা থানার পরিদর্শক দেবাশীষ কুমার রায়, ডিমলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুভ কুমার সরকার প্রমুখ।
০২ মে, ২০২৪
X