নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যদি থানা পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে, তবে কোর্টে যেতে পারেন প্রার্থীরা। আমরা চাই- যে দুষ্কৃতকারী, তারই শাস্তি হোক। পুলিশ যদি অন্যপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হন, তাহলে কোর্ট খোলা আছে।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে গভীর রাতে থানায় ঢুকে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিতে হবে। আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শোনা কোনো বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব না।
ওই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফরমালি জানলেই কমিশন ব্যবস্থা নেবে। কমিশন জানছে ব্যবস্থা নেয় নাই- এমনটা কোনো জায়গাতেই হয় নাই।
বেলকুচি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ঘটনা ঘটে গেছে। উভয়পক্ষেরই আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আছে। থানা আছে, কোর্ট আছে, আইজিপি আছে। অনেক জায়গা আছে, স্তরে স্তরে ভাগ করা আছে যেখানে গেলে উনি সুবিচার পাবেন সেখানে যাবেন। যদি অভিযোগ আসে তবে তদন্ত করব, প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব।
রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটের আয়োজন সম্পন্ন করতে চাইলে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের অবশ্যই প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্বশীল এজেন্ট দিতে হবে, যিনি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রে অনেক সময় অনিয়ম হলেও প্রমাণের অভাবে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে এজেন্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
এর আগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন