আন্দোলনকে ইহুদি বিদ্বেষের ঢেউ বললেন বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তাকে ইহুদি বিদ্বেষের হিংস্র ঢেউ বলে উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ নিয়ে নিজ দেশের জনগণ ও শিক্ষার্থীদের সতর্কও করে দিয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসির হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে হলোকাস্টের বার্ষিক স্মরণানুষ্ঠানে এ সাবধানবাণী উচ্চারণ করেন তিনি। পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদকারীদের বেশ কিছু শিবির ভেঙে দেওয়ার ও বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করার পর এ বক্তব্য রাখলেন বাইডেন। বাইডেন বলেন, ‘বহু মানুষ হলোকাস্টের ভয়াবহতাকে অস্বীকার করছে, ছোট করছে, এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরছে।’ ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর চালানো হামাসের হামলার ঘটনাটি ‘অনেকে ভুলে গেছে’ উল্লেখ করে বাইডেন এর নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ‘হামাসই ইসরায়েলিদের ওপর নৃশংসতা চালিয়েছে। হামাসই ধরে নিয়ে গিয়ে লোকজনকে জিম্মি করে রেখেছে। আমি ভুলে যাইনি।’ বিবিসি বলছে, ওই হামলার পর থেকে এটি হামাসের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে তীব্র সমালোচনা ছিল। কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে হওয়া ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদের সময় কিছু প্রতিবাদকারী ইহুদিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা ও বেআইনি আচরণ করেছে উল্লেখ করে তিনি এসবেরও সমালোচনা করেন। একটি ‘সংখ্যালঘুকে বলির পাঁঠা ও মন্দ হিসেবে চিত্রিত করা হলে’ সব সংখ্যালঘুকেই হুমকি দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
০৯ মে, ২০২৪

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য ইহুদি নেতার
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা ইহুদিদের নিজ রাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রতি সমান আনুগত্য পোষণ করতে হয়; এমন একটি ধারণা প্রচলিত। প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলোর ইহুদি সমাজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও এই চরিত্রই ফুটে উঠে প্রবলভাবে। ঠিক এই মুহূর্তে যখন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব, তখন শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত ও প্রবল ইসরায়েলবিরোধী রাষ্ট্র ইরানের ইহুদি সম্প্রদায় তেলআবিবের বিরুদ্ধে তেহরানের পদক্ষেপকেই সমর্থন করছে। এক সাক্ষাৎকারে দেশটির সংসদের ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হোমায়ুন সামিয়াহ নাজাফ-আবাদি এমনটাই জানান।  তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অনেক ইহুদিই ফিলিস্তিনে বর্বর ইহুদিবাদী আগ্রসনের বিরুদ্ধে। যদিও বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংস্থাগুলো ইহুদি সম্প্রদায়কে শতভাগ সমর্থন করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে ইরানের ইহুদিরা নিজ দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। আমরা ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানকে শতভাগ সমর্থন করি এবং আমাদের নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নির্দেশনা মেনে চলি।’ ইহুদি এ নেতা জানান, নিজেকে রক্ষা করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে ইরানের। বিশ্বের যে কোনো দেশে ইরানি দূতাবাসে হামলা করা মানেই ইরানের মাটিতে হামলা করা। ইরানের এ হামলার জবাব দেওয়ার বৈধতা রয়েছে, যদি ইরান এ হামলার জবাব না দেয় তবে এটা ইসরায়েলকে আরও আগ্রাসী করে তুলবে।  সাক্ষাৎকারে নাজাফ-আবাদি জানান, কয়েক মাস ধরেই তেহরানের স্বার্থে আঘাত করে যাচ্ছে তেলআবিব। এমনকি তারা ইরানের সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা করে যাচ্ছে। তিনি জানান, ইসরায়েল যদি বুদ্ধিমান হয় তবে ইরানের প্রতি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। যদি তারা সংঘাতকে আরও উসকে দিতে চায় তবে যুদ্ধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছাড়িয়ে পড়বে।  ইরানি এ ইহুদি নেতা জানান, গেল বছরের ৭ অক্টোবরের আগেই ইসরায়েল গাজা আক্রমণ করতে চেয়েছিল। ওই দিন হামাসের আক্রমণের ঘটনাকে উপত্যকাটিতে হামলা চালানোর জন্য অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছে। হামাসের হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া বেশ নৃশংস হলেও বিশ্ব নেতারা ইসরায়েলের নিন্দা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানান নাজাফ-আবাদি।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

নারীদের অন্তর্বাস লুট করছে ইহুদি সেনারা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় শুধু গণহত্যা নয়, বিকৃত যৌন আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থেও মেতে উঠেছে ইসরায়েলি সেনারা। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একপ্রকার গর্বের সঙ্গেই প্রচার করছে নিজেদের বিকৃত আকাঙ্ক্ষার ভিডিও। এমন সব দৃশ্য উঠে এসেছে ফিলিস্তিন ইনিশিয়েটিভস ফর দ্য প্রমোশন অব গ্লোবাল ডায়লগ অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-মিফতাহর একটি প্রতিবেদনে।  অলাভজনক সংস্থাটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়িগুলোতে প্রবেশ করে নারীদের অন্তর্বাস হাতে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ভঙ্গিতে ছবি ও ভিডিও করছে ইসরায়েলি সেনাসদস্যরা। সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলি সেনাদের এমন আচরণ তাদের চারিত্রিকহীনতা ও দায়মুক্তির সঙ্গে অপরাধ সংঘটিত করারই প্রকাশ করে।  গত কয়েক দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় ইসরায়েলি সেনারা গাজার নারীদের অন্তর্বাস পরে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে ছবি তুলছে অথবা সেগুলো লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।  মিফতাহ জানায়, এসব ঘটনা ইসরায়েলি সেনাদের দ্বারা ফিলিস্তিনি নারীদের প্রতি বিকৃত আকাঙ্ক্ষার একটি অংশ যারা প্রায়ই অন্তর্বাসের টুকরোগুলো ‘ট্রফির মতো’ ধরে রাখে। এমনকি এসব ছবি গাজার পুরুষদের ওপর মনস্তাত্বিক আক্রমণের একটি অংশ যেখানে নারীদের ওপর ইসরায়েলি সেনাদের জয়ের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে চাওয়া হয়। 
০৬ মার্চ, ২০২৪

মসিহ বা দাজ্জালের আগমনের আয়োজন করছে ইসরায়েল
ইহুদি ধর্ম অনুযায়ী গোটা বিশ্ব একসময় তারা শাসন করবে। এমন ভবিষ্যৎ বাণী রয়েছে ইসলাম ধর্মেও। আর বিশ্ব শাসনের এই পর্ব ইহুদিদের হাতে যাওয়ার পূর্ব শর্ত হলো তাদের ত্রাণ কর্তার আবির্ভাব। ইহুদি ধর্মের এই ত্রাণ কর্তাকে বলা হয় মসিহ। ইসলাম ধর্মে মসিহকে বলা হয়েছে দাজ্জাল। মসিহ বা দাজ্জালের আবির্ভাবের আয়োজন শেষ করতে যাচ্ছে ইসরাইয়েল।    মসিহয়ের আগমনের আয়োজন সম্পন্ন করতে তাওরাতের বিধান মোতাবেক ২৪ ক্যারেটের ৪৫ কেজি সোনা দিয়ে বানানো হয়েছে বিশাল আলোকদানি। এ ছাড়াও নানা আসবাবপত্রও তৈরি করা হয়েছে। থার্ড টেম্বল নির্মাণের সময় ইহুদি ধর্মগুরু বা রাব্বিরা যেসব পোশাক পরবে তাও প্রস্তুত করা হয়েছে। জেরুজালেমের ওল্ড সিটির ইহুদি মহল্লার সেন্ট্রাল প্লাজায় এসব সংরক্ষিত আছে।   এ ছাড়া ইহুদিদের বহুল কাঙ্ক্ষিত লাল গরুও আমদানি করা হয়েছে আমেরিকা থেকে। ইহুদি ধর্মমতে, মসিহ এর আগমনের জন্য ৩টি শর্ত পূরণ করতে হবে। সেগুলো হলো সারা পৃথিবীতে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইহুদিদের ইসরায়েলে জড়ো হতে হবে। একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং সোলাইমানি মন্দির আগে যেখানে ছিল, ঠিক সেখানেই সেই মন্দির তৈরি করতে হবে।   ইহুদিরা বিশ্বাস করে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই তারা প্রথম দুটি শর্ত পূরণ করতে পেরেছে। অর্থাৎ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা ইহুদিরা ইসরায়েলে জড়ো হয়েছে এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রও গঠন করে ফেলেছে।    ইসরায়েল মনে করছে, এখন তাদের তৃতীয় শর্ত বাকি আছে। সেই শর্ত পূরণ করতে হলে আল আকসা মসজিদ ভাঙতে হবে আর সেখানেই সোলাইমানি মন্দির বা থার্ড টেম্পল গড়তে হবে।   থার্ড টেম্পল গড়তে হলে আগে পবিত্র হতে হবে। এজন্য তাদের লাল গরু প্রয়োজন। কোথাও লাল গরুর সন্ধান পেলে টেম্পল ইনস্টিটিউট নামের একটি প্রতিষ্ঠান সেগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে তারা নিশ্চিত হতে চায় সেটি আসলেই সেই লাল গরু কি না। এতদিন পর্যন্ত কোনো গরুকেই কাঙ্ক্ষিত গরু বলে তারা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে এখন তারা বলছে, সেই গরু তারা পেয়ে গেছে।   বনি ইসরায়েল নামের একটি সংগঠন গত বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঁচটি লাল গরু আমদানি করেছে। সংগঠনটির মুখপাত্র হাইম বারকোভিতস বলেছেন, আল আকসা মসজিদের কাছেই জাবাল উজ জয়তুন বা মাউন্ট অলিভ এলাকায় একটি খামারে গরুগুলোকে রাখা হয়েছে।  
১৯ নভেম্বর, ২০২৩

নিউইয়র্কে যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভে ২০০ ইহুদি আটক
২২ দিনে গড়িয়েছে ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে এ যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ করেছে শত শত ইহুদি। শুক্রবার নিউইয়র্কের গ্রান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালে তারা বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশ ২০০ জনকে আটক করেছে। এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইসরায়েলের তীব্র বোমাবর্ষণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ ছাড়া তারা কালো টি-শার্ট বিক্ষোভ করেন। যেখানে ‘ইহুদিরা যুদ্ধ থামাও’-সহ বিভিন্ন কথা লেখা ছিল। পরে সেখান থেকে ২০০ বিক্ষোভকারীকে আটক ও তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় নিউইয়র্ক পুলিশ। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশ ৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।  নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের স্বল্প সময়ের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয় এবং তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাকিদের শনিবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়।   সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাডভোকেসি গ্রুপ জিউস ভয়েস ফর পিস জানিয়েছে, শত শত ইহুদি ও তাদের বন্ধুরা গ্রান্ড সেন্ট্রাল স্টেশনে যুদ্ধবিরতির জন্য অবস্থান নিয়েছে। এটি নিউইয়র্কের জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা।  ছবিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা স্টেশন টার্মিনালে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে হবে’, ‘মৃতদের জন্য শোক করুন ইত্যাদি লেখা ব্যানার প্রদর্শন করেন।  আয়োজকরা বলছেন, ইহুদিদের এ শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি নিউইয়রর্কের ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় অসহযোগ আন্দোলন।   
২৮ অক্টোবর, ২০২৩
X