বিপ্লবের পরিবারে যেন ঈদ আনন্দ
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৫ দিন পর অবশেষে চট্টগ্রামে ফিরলেন ২৩ নাবিক। জাহাজটিতে থাকা নাবিকের মধ্যে ছিলেন ফেনীর দাগনভূঞার ইব্রাহিম খলিল উল্ল্যাহ বিপ্লব। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিপ্লব ঘরে ফেরার ঈদ আনন্দময় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন পরিবার। বিপ্লব ফেনীর দাগনভূঞার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের আবুল হোসেনের বড় ছেলে। পরিবারে তার দুই ছেলেসন্তান রয়েছে। তিনি জাহাজের ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত ছিলেন। বিপ্লবের বয়োবৃদ্ধ মা রৌশনারা বলেন, এত বৃদ্ধ বয়সে গত দুই মাস কান্নাকাটি আর খেয়ে না খেয়ে দিন কাটিয়েছি। প্রথম যেদিন আমার ছেলে জলদস্যুর কবলে পড়েছে খবরটি শুনি আমি অজ্ঞান হয়েছি। এরপর থেকে প্রতিটি মুহূর্ত যেন উৎকণ্ঠা আর দুশ্চিন্তায় কেটেছে। ছেলের মুক্তি পাওয়ার পর নিজের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। আজ ছেলে বাড়ি ফিরবে এটি শুনে নিজের কাছে এত বেশি আনন্দিত মনে হচ্ছে মনে হয় আজ আমার পরিবারে ঈদ। আমার ছেলে অনেক বড় একটা বিপদ থেকে ফিরে আসছে আজকে ছেলেকে কাছে পাব। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। বিপ্লবের স্ত্রী উম্মে সালমা সোনিয়া বলেন, এবারের বাড়িফেরা অন্য সময়ের চেয়ে একদম ভিন্ন। এতদিন নানা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করেছি। যখন কোম্পানি বা অন্য কারও ফোন আসত তখন খুব দুশ্চিন্তায় পড়তাম। কখন কি সংবাদ আসে। আজ আমাদের জন্য ঈদের আনন্দের চেয়েও বেশি। শুরু থেকে জাহাজ মালিকপক্ষ, সরকার এবং গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের চেষ্টা ও সহযোগিতার কমতি ছিল না।এজন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিপ্লবের বড় ছেলে রেদোয়ান বিন ইব্রাহিম বলেন, রাতে আব্বু বাসায় আসবে বলেছে। অনেকদিন আব্বুর সঙ্গে দেখা হয়নি। আজকে অনেক ভালো লাগতেছে আমার। বর্তমানে বিপ্লবের স্ত্রী তার দুই ছেলেকে নিয়ে ফেনী শহরে নাজির রোডে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা।
১৫ ঘণ্টা আগে

ইতালিতে বাংলাদেশিদের ঈদ পুনর্মিলনী
ইতালিসহ ইউরোপে বিভিন্ন দেশে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভিচেন্সায় সফল প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল হালিমের উদ্যোগে প্রবাসীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভিচেন্সার একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বাংলা কমিউনিটির নেতারা, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৩ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলা কমিউনিটির নেতা এমদাদুর রহমান চৌধুরী, আহমেদ, রনি শেখ, মাসুদ আলী, জামাল উদ্দিন, বিপুল দাস, সেলিম হোসেন, আব্দুর সাত্তার, মঞ্জুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন বাবলুসহ আরও অনেকই। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসীরা গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তিসহ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ ছাড়া বিভিন্ন রকমারি বাংলা খাবার পরিবেশন করা হয় এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে। হাজি আব্দুল হালিমের দেশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরের কলাবাড়ি গ্রামে। তিনি ২০১০ সালে ইউরোপের দেশ ইতালিতে পাড়ি জমান। ইতালির ভিচেন্সায় একজন সফল বাংলাদেশি ব্যবসায়ী তিনি। বর্তমানে ইতালিতে তার তিনটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিদেরও।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদ করতে এসে পানিতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু
রংপুরের পীরগাছায় গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে এসে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেছে মঈনুল হোসেন মাহিন (১৩) নামের এক কিশোর। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের দিলালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মাহিন ওই গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। জানা যায়, মাহিনের বাবা আজগর আলী পরিবারসহ জীবিকার তাগিদে ঢাকায় থাকেন। ঈদ করার জন্য মাহিন ও তার পরিবার কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে মাহিন গ্রামের বন্ধু-ভাইদের নিয়ে পুকুরের পানিতে গোসল করতে নামে। এ সময় সে পানির গভীরে চলে গেলে সাঁতার না জানায় ডুবে যায়। পরে সঙ্গীদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে মৃত অবস্থায় পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করে। মাহিন সাভারের আশুলিয়ার গাজীরচর আলিয়া মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণিতে পড়ত। এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) সেলিমুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে লোক পাঠাচ্ছি।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদ আনন্দে পর্যটকমুখর সোনারগাঁ
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে প্রাচীন বাংলার রাজধানী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ছিল বিনোদনপ্রেমী দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। সোনারগাঁয়ে অবস্থিত লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, বাংলার তাজমহল ও পিরামিড, ঐতিহাসিক পানাম নগরী, বারদীতে জ্যোতিবসুর জাদুঘর, বৈদ্যেরবাজার মেঘনা নদীর ঘাট, কাইকারটেক ব্রিজ , অলিপুরা ব্রিজ, হরিহরদি ব্রিজ, দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর এলাকাসহ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানে দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয়। লোককারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বর, বাংলার তাজমহল ও পিরামিডের ভেতরের সাজসজ্জা ছিল এবারের ঈদে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ। রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে হওয়ায় সোনারগাঁ ভ্রমণে এসে মনোরম পরিবেশে আনন্দ উপভোগ করেছেন দর্শনার্থীরা। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও ছোট ছোট ছেলে মেয়ে বিশেষ করে উঠতি বয়সী যুবক-যুবতিদের পদচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এ ছাড়া মেঘনা নদীর ভাটিবন্দর থেকে কান্দারগাঁও পর্যন্ত নদীর পাড়, অলিপুরা ব্রিজ এলাকায় নদী-গাছপালা ইত্যাদি প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য দেখতেও ভিড় ছিল লক্ষণীয়। এসব দর্শনীয় স্থানে পসরা সাজিয়ে বসেছিল ছোট ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলা ও সাজসজ্জার ভ্রাম্যমাণ দোকান। দর্শনার্থীরা ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি তাদের পরিবার-পরিজনদের নিয়ে নেচে গেয়ে উপভোগ করেছেন রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার বিনোদনপ্রেমীরা। এবার বিদেশি পর্যটকদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো।  বাংলার তাজমহলের প্রতিষ্ঠাতা ও চিত্র পরিচালক আহসান উল্যাহ মনির সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাংলার তাজমহলে ও পিরামিডে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল।  পানাম নগরীর দায়িত্বে থাকা বুকিং সহকারী মঞ্জুর হোসেন জানান, এবারে আশানুরূপ দর্শনার্থীদের সমাগম হয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ কয়েক হাজার দর্শনার্থী প্রতিদিন পানাম নগরীর আদিরূপ উপভোগ কর‍তে ভিড় জমাচ্ছে। রীতিমতো হিমশিম পোহাতে হচ্ছেও বলেও জানান তিনি।   বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের (সোনারগাঁও জাদুঘর) পরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান কালবেলাকে বলেন, এবার পর্যটকদের একটু ভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে। জাদুঘর চত্বরে এবার ১৫ দিনব্যাপী  বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। পর্যটকরা যেন ঈদের ছুটিতে ঘুরতে এসে বৈশাখী মেলাও উপভোগ করতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।   তিনি আরও জানান, গত রোববার দুপুরে এ মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। মেলায় গ্রামবাংলার কারুশিল্পী প্রদর্শনীতে রাজশাহীর শখের হাঁড়ি শিল্পী সুশান্ত পাল, রিকশা ও রিকশা চিত্রশিল্পী এস এ মালেক, জামদানি শিল্পী ইব্রাহিম, দারুশিল্পী আব্দুল আওয়াল মোল্লা, বীরেন্দ্র সূত্রধর, শোলাশিল্পী নিখিল মালাকার, নকশিকাঁথা শিল্পী পারভীন আক্তার, হোসনে আরা বেগম, ঝিনুকশিল্পী মো. নূরুল ইসলাম, বাঁশ-বেত কারুশিল্পী পরেশ চন্দ্র দাস, হাতপাখা কারুশিল্পী বাসন্তী সূত্রধর, শতরঞ্জি শিল্পী আনোয়ার হোসেন এবং উদ্যোক্তাসহ ৩২টি স্টলে ৬৪ জন প্রথিতযশা কারুশিল্পী তাদের কারুপণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। অপরদিকে, প্রায় ১০ বছর পর বৈশাখ উপলক্ষে উপজেলা মঙ্গলেরগাঁও বটতলা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় শত বছরের আদি বটবৃক্ষকে কেন্দ্র করে উপজেলার ভট্টপুর জয়রামপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় বউ মেলা। যা হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে বটবৃক্ষটি সিদ্ধেশ্বরী দেবতা নামে সুপরিচিত। বটতলার পদতলে (সনাতন) হিন্দু সম্প্রাদায়ের শত শত নর-নারী পহেলা বৈশাখের এ পূজায় অংশগ্রহণ করেন। পূজা-অর্চনা একদিনের হলেও মেলা জমে তিন দিন। বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকে সিদ্ধেশ্বরী কালী তলার এ বউ মেলার জন্য। বউ মেলার পাশাপাশি দেবতার সন্তুষ্টির জন্য কবুতর উড়ানো ও পাঁঠা বলি দেওয়া হয় বৃক্ষ দেবতার পদতলে স্বামী সংসারের বাঁধন যেন অটুট থাকে, সারা বছর সুখ শান্তিতে যেন কাটে দাম্পত্য জীবন- এই কামনাতেই পূজার আয়োজন করে হিন্দু নারীরা। বউ মেলা আয়োজক কমিটির কর্মকর্তা নীলোৎপল রায় বলেন, প্রতিবছর বর্ষবরণ উৎসবে সিদ্ধেশ্বরী কলীপূজার আয়োজন করা হয়। এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সার্বজনীনভাবে এ মেলার আয়োজন করেন। এ পূজায় দেশবাসী ও এলাকার মানুষের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হয়।  পূজা অর্চনা ছাড়াও বউ মেলায় বাঙালি সংস্কৃতির প্রাচীন ঐতিহ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এ বউ মেলায় দারু ও মৃৎ শিল্পীদের তৈরি নানা রঙের নানা বর্ণের টেপা পুতুল, হাতি, ঘোড়া, ময়না, টিয়া, বাঘ-ভাল্লুক, হাড়ি পাতিল থেকে শুরু করে মন্ডা-মিঠাইয়ের দোকান বসে। বিভিন্ন মনোহারি জিনিসপত্রের পসরা নিয়ে বসে মেলায়। মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প, কাঠ ও বাঁশের তৈরি লোক পণ্য ছাড়াও মেলায় পাওয়া যায় বাহারী মিষ্টান্ন সামগ্রী। সোনারগাঁয়ের বউমেলা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, সোনারগাঁয়ে বেশকিছু পর্যটনকেন্দ্র তৈরি হওয়ায় পর্যটক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে সোনারগাঁয়ের দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি থানা পুলিশের মাধ্যমে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

স্বজনদের নিয়ে খালেদা জিয়ার ঈদ উদযাপন
ঈদের দিন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপি মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এদিন রাতে রাজধানীর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় গিয়ে দলীয়প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন তারা। এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। পরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদও বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঘণ্টাব্যাপী বিএনপি নেতৃবৃন্দ দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে সময় কাটান ও কুশলাদি বিনিময় করেন। এ ছাড়া দলের নেতাকর্মীরা শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন। সাক্ষাৎ শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি অসুস্থ, বন্দি অবস্থায় আছেন। আমরা এখানে তার সঙ্গে দেখা করেছি। এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি। তবে তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এখনো তিনি রাজনৈতিক কারণেই বন্দি হয়ে আছেন। আমরা মনে করি, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো উচিত। বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি দোয়া চেয়েছেন যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন, ভালো থাকেন। তিনি এটাও বলেছেন যে, তিনি জনগণ ও রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছেন। জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভিক এস্কান্দারসহ কয়েকজন নিকটাত্মীয় খালেদা জিয়ার বাসায় যান। ছোট ভাই বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রান্না করা খাবার স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে খান তিনি। দুপুরে লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, তাদের একমাত্র মেয়ে জাইমা রহমান, প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান, তাদের দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান, জাফিয়া রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন খালেদা জিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধী মেজো বোন সেলিমা ইসলামেরও খোঁজখবর নেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

জামালপুরে জমে উঠেছে শত বছরের ঐহিত্যবাহী পৌর ঈদমেলা
জামালপুরের মাদারগঞ্জে জমে উঠেছে ৭ দিনব্যাপী শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌর ঈদমেলা। প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের দিন এ মেলা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) থেকে মেলাকে কেন্দ্র করে মাদারগঞ্জে উৎসবের আমেজ বইছে। ঐতিহ্যবাহী এ মেলায় কৃষিপণ্য, মাটির জিনিস, টেপা পুতুল, বাঁশ ও বেতের সাংসারিক জিনিস, বীজ, খেলনা, কসমেটিক, কাঠ ও লোহার আসবাবপত্র পাওয়া যায়। এ ছাড়া মেলায় জিলাপি, গজা, বাতাসা, সাজ, মুড়কি, মোয়া, বুন্দিয়া, রং-বেরঙের মিষ্টির দোকান বসেছে। মেলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য হরেক রকমের আয়োজন করা হয়েছে। শুধু মাদারগঞ্জ পাশের উপজেলা ও জেলা সদর এবং অন্য জেলা থেকেও এই মেলায় ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। পাশের উপজেলা মেলান্দহের হাজরাবাড়ী থেকে আসা সদ্য বিবাহিত তরুণী ফাতেমাতুজ জান্নাত বলেন, আমি প্রথমবারের মতো এ মেলাতে এসেছি। অনেক ভালো লেগেছে। আরেক গৃহবধূ শাহনাজ আক্তার বলেন, ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে এই ঈদমেলায় আসতাম। এখন স্বামীর সঙ্গে এসেছি। বহুদিন পর এই মেলাতে আসলাম। অনেক ভালো লেগেছে। মনে হলো সেই ছোটবেলায় ফিরে গেলাম। স্থানীয় প্রাথমিকের শিক্ষক শাহজাহান বলেন, ছোটবেলা থেকেই এ মেলায় আসতাম। নিয়মিত আসা হয়। এবার শ্যালিকাকে নিয়ে এসেছি। এতে আরও ভালো লাগছে।  এদিকে মেলার প্রথম দিনেই বেচাবিক্রিতে খুশি ব্যবসায়ীরা। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী শ্রী সুবাস চন্দ্র ঘোষ বলেন, এরইমধ্যে বেচাকেনা জমে গেছে। গত বছরের চেয়ে এবার আরও ভালো ব্যবসা হবে। মেলায় এবার ২৫০টি স্টল বসেছে জানিয়ে পৌর ঈদমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মির্জা গোলাম মওলা সোহেল বলেন, মেলার প্রথমদিনে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে। তারা বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী ও খাবার ক্রয় করছেন। শিশু বিনোদনের জন্য আমাদের আছে অনেক ধরনের ইভেন্ট। বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন মডেলের ফার্নিচারও পাওয়া যাচ্ছে এই মেলায়। সবমিলিয়ে খুব উপভোগ করতেছে এ অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকার মানুষ। মেলাটির ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৭শ খ্রিষ্টাব্দে উত্তরাঞ্চলে সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহের সময় সন্ন্যাসীরা যমুনার চরাঞ্চলের ঘাঁটি করে ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতেন। ওই সময় তারা বগুড়ার গাবতলী মহিষাবানের গোলাবাড়ি এলাকায় গাড়িদহ নদীর পাড়ে বটতলায় একটি মন্দির এবং মাদারগঞ্জের বালিজুড়ি দহপাড়ায় বিলের ধারে একটি মন্দির স্থাপনের পর সন্ন্যাসী পূজা করতেন। এ উপলক্ষে মেলা অনুষ্ঠিত হতো।  ১৯২৫ সালে ঈদ ও পূজার মেলা একই দিনে হওয়ায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরুর উপক্রম হয়। তখন মুসলিম নেতারা বালিজুড়ি এফ এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঈদুল ফিতরের দিনে ইসলামী ঈদমেলা শুরু করেন। সেই থেকে প্রতিবছর এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগে বালিজুড়ি এফ এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই মেলার আয়োজন করা হলেও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটায় এবার মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাদারগঞ্জ হাওয়াই রোড সংলগ্ন মির্জা মোস্তফা স্মৃতি পৌর পার্কের মাঠে।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

এবারের ঈদ ছিল নিরানন্দ ও হতাশার: প্রিন্স
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, এবারের ঈদ ছিল নিরানন্দ। মানুষের মনে আনন্দ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিসহ অর্থনৈতিক সংকটে মানুষের কাছে ঈদ 'পূর্ণিমার চাঁদ ঝলসানো রুটি'র মতো মনে হয়েছে।  তিনি বলেন, তাদের কাছে ঈদও ছিল নিরানন্দ, হতাশা, কষ্টের। এসবের জন্য সরকার দায়ী। তাদের 'স্মার্ট যুগে' ঈদে স্বামী তার স্ত্রীকে মাংস খাওয়াতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে, সংসার খরচ না দিতে পেরে শেয়ারবাজার ধসে সব হারিয়ে ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ধারা বাজারে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মী ও জনসাধারণের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। প্রিন্স বলেন, মানুষের জীবন-সংসার তছনছ হয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে ও বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে ব্যস্ত তারা। তিনি বলেন, রমজান মাসে আওয়ামী লীগের ইফতার বিতরণ ওবায়দুল কাদেরসহ দুএকজন নেতার ফটোসেশনে সীমাবদ্ধ ছিল। গ্রাম-শহরের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে তাদেরকে দেখা যায়নি। বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের খরচ বাঁচিয়ে অসহায় জনসাধারণসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে গণইফতার করেছে এবং  ইফতার ও খাদ্যসামগ্রীও বিতরণ করেছে। বিএনপির ইফতার মাহফিলসমূহ জনসমাবেশে এবং মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে একজনের ইফতার দুই তিনজনে ভাগাভাগি করে খেতে হয়েছে। ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আরফান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি নেতা, ধারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন খান সেলিম, আলতাফ হোসেন, এমদাদ হোসেন, মোতালেব হোসনে খান, আলী আজাদ খান দিপু, লুৎফর রহমান, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি আবদুল হামেদ, উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফীন পাপন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম আর আল আমিন, জেলা যুবদলের সদস্য মোতালেব হোসেন, যুবদল দল নেতা এম বি রায়হান, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য নজরুল ইসলাম, বিএনপির নেতা আকিকুল ,কৃষক দলের হেলাল উদ্দিন, আকিকুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন রুবেল, আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

ফাঁকা সিট নিয়ে ঢাকায় আসছে ঈদযাত্রার ট্রেন
ঈদুল ফিতরের পরে সাত দিনব্যাপী বাংলাদেশ রেলওয়ের ফিরতি যাত্রা শুরু হয়েছে। যদিও দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে যাত্রীদের রাজধানীতে আগমন ছিল কম। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনগুলো স্টেশনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আসছে। তবে ট্রেনগুলো থেকে যথেষ্ট যাত্রী নামতে দেখা যায়নি। যারা এসেছেন তারা জানিয়েছেন, আজ ট্রেন অনেকটাই ফাঁকা ছিল। আগামীকালও ছুটি, হয়তো পরশু দিন থেকে ট্রেনে চাপ বাড়বে। ভোর থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় থেকে আসা একতা এক্সপ্রেস (৭০৬) ট্রেনটি সকাল ৮টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়।  বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ১৩ এপ্রিলের ফিরতি টিকিট বিক্রি করা হয় ৩ এপ্রিল; ১৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৪ এপ্রিল; ১৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৫ এপ্রিল; ১৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৬ এপ্রিল; ১৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৭ এপ্রিল; ১৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৯ এপ্রিল। এ ছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে থেকে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদ উপলক্ষে বিজিবি-বিএসএফের মিষ্টি বিতরণ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইছামতি নদীর সুশীলগাতী এলাকায় সীমান্তের শূন্য রেখা স্প্রিড বোর্ডে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে দেবহাটা বিজিবি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে কালুতলা বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।  এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৭ বিজিবি নীলডুমুর ব্যাটালিয়ানের দেবহাটা ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. আব্দুল লতিফ। এ ছাড়া ভারতের পক্ষে ৮৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের কালুতলা ক্যাম্পের কমান্ডার এস আই কাওয়াল সিং। দেবহাটা ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার জানান, মুসলিম ধর্মের বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। দিনটি উপলক্ষে দু-দেশের মধ্যে উৎসবের আয়োজন ছড়িয়ে দিতে এবং বন্ধুত্ব অবস্থান ধরে রাখতে এ আয়োজন। দেশ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রাখতে উভয়ের প্রতি আন্তর্জাতিক নিয়ম বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
১১ এপ্রিল, ২০২৪

নানাবাড়ি ঈদ করতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
যশোরে মায়ের সঙ্গে নানাবাড়িতে ঈদ করতে যায় আড়াই বছরের শিশু মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু নানাবাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু পুরো পরিবারের ঈদ আনন্দ ম্লান করেছে।    শিশু মাহমুদউল্লাহ মনিরামপুর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে একই উপজেলার ঝাঁপা গ্রামে শিশুটির নানাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, মাহমুদউল্লাহর জন্মের ৬ মাসের মাথায় তার বাবা মারা যান। তবুও পৈতৃক ভূমি শাহাপুর গ্রামে মা মুনিয়া খাতুনের সঙ্গে থাকত মাহমুদউল্লাহ। ঈদ পালন করতে সম্প্রতি ঝাঁপা গ্রামে নানা আব্দুল মান্নানের বাড়িতে যায় তারা। দুপুরে মা মুনিয়া রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিল। অনেকক্ষণ ছেলেকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজ শুরু করে। আশপাশের বাড়িতে খোঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে বসত ঘরের পাশে পুকুরে শিশুর নিথর দেহ ভাসতে দেখে পরিবারের লোকজন। পুকুর থেকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদউল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন। মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝাঁপা পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক সঞ্জিত কুমার কালবেলাকে বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১১ এপ্রিল, ২০২৪
X