ঈদের ছুটি কাটাতে এসে প্রাণ গেল শিশুর
নওগাঁর মান্দায় পিকআপের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষে ফারাবি হোসেন নামে পাঁচ মাস বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নিহত শিশুটির বাবা-মা ও বোন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের বিজয়পুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার চকগোছাই গ্রামের ফিরোজ হোসেন (৩৫), তাঁর স্ত্রী রেশমা খাতুন (৩০) ও মেয়ে ফারিয়া (৮)। তাঁদের উদ্ধার করে মান্দা হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মান্দা থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, নিহত শিশুটির বাবা ফিরোজ হোসেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ঈদের ছুটি কাটাতে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে সপরিবারে তাঁরা গ্রামের বাড়ি পত্নীতলা উপজেলার চকগোছাই গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে বিজয়পুর এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। ওসি আরও বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

মোটরসাইকেল জমা দিয়ে নিতে হবে ঈদের ছুটি
ঈদযাত্রায় অনেকে মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকে। ঈদের ভিড়ে যাতায়াতের সুবিধায় মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি যায় অনেকে। এক্ষেত্রে এবার ব্যতিক্রম ঘটছে ঢাকায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের।  আসন্ন ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে তাদের। কারণ, ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। যার ফলে যেসব পুলিশ সদস্য এবার ছুটি নেবে তাদের মোটরসাইকেল জমা রাখতে এবং ছুটি শেষে কাজে যোগদানের পর পুনরায় মোটরসাইকেল ইস্যু করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। রোববার (৩১ মার্চ) পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মিয়া মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। আদেশে বলা হয়, ছুটিতে যাওয়ার আগে নিজ নামে ইস্যুকৃত সরকারি মোটরসাইকেল সংশ্লিষ্ট ইউনিটে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করার পরই ছুটির ছাড়পত্র প্রদান করা হবে। যদি কোনো পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল জমা না দিয়েই ছুটি নিয়ে চলে যান তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  এ ছাড়াও এসব নিয়ম মানার পরও কেউ মোটরসাইকেল পেলেও মহাসড়কে ব্যবহারের জন্য তার অবশ্যই বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। বৈধ লাইসেন্স ব্যতীত কোনো পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন না। গত ১২ মার্চ পুলিশ সদরদপ্তরে পুলিশ মহাপরিদর্শকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুলিশ সদস্যদের মোটরসাইকেল ব্যবহার সংক্রান্ত এক সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল মন্ত্রিসভা
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) আছে আগামী ১০ থেকে ১২ এপ্রিল। সেখানে এই ছুটি আরও এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভা জানায়, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঈদের ছুটি আরও এক দিন বাড়ানোর যে আবেদন করেছিল তা গ্রহণ করা হয়নি। অর্থাৎ ৯ এপ্রিল ঈদের অতিরিক্ত ছুটি পাচ্ছে না সরকারি চাকরিজীবীরা।  এর আগে ঈদযাত্রায় যানজট, যাত্রী হয়রানি ও সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে ৮ ও ৯ এপ্রিল ২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ঈদের ছুটি আছে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। পরদিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তার পরদিন রোববার আবার পয়লা বৈশাখের ছুটি। মানে হলো, সরকারি ছুটি পাঁচ দিন নিশ্চিত।  পবিত্র শবেকদরের পর যদি কেউ দুই দিন ছুটি নিতে পারেন, তাহলে তিনি টানা ১০ দিন বাড়িতে কাটাতে পারবেন। কারণ, শবেকদরের আগের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সাধারণত ছুটি বেশি হলে মানুষ বাড়িও যান বেশি। তবে ছুটি যতই থাকুক, ঈদের আগের দু-তিন দিন চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের ছুটি বাড়ানোর সুপারিশ
সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে ঈদের ছুটি কতদিনের হবে তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এর মধ্যেই ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।  রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আগামী ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করেছে। কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। তিনি জানান, ছুটির সুপারিশ করা হলেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামীকালের (সেমবার) বৈঠকে নেওয়া হবে। এর আগে ঈদযাত্রায় যানজট, যাত্রী হয়রানি ও সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে ৮ ও ৯ এপ্রিল ২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।  গত ২৭ মার্চ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান। বিস্তারিত আসছে...
৩১ মার্চ, ২০২৪

ঈদের ছুটি নিয়ে বিভ্রান্তি
এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি নিয়ে দেখা দেওয়া বিভ্রান্তিতে পড়েছেন সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা। কারণ সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদে সরকারি ছুটি থাকবে ১০ থেকে ১২ এপ্রিল। রমজান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে ধরে এ ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ছুটির তালিকা অনুযায়ী ৯ এপ্রিল, অর্থাৎ ২৯ রমজানে সরকারি অফিস খোলা থাকবে। কোনো কারণে ২৯ দিনে রমজান মাস পূর্ণ হলে ঈদের আগের দিনও অফিস চলবে। এজন্য নির্বাহী আদেশে এক-দুদিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর পক্ষে মত তাদের। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি অনুবিভাগ) মো. মুহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি নির্বাহী আদেশের ওপর নির্ভরশীল। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সিদ্ধান্ত হলে আমরা জানাতে পারব। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাহী আদেশে দু-একদিন ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে আলোচনা আছে। ২০ রোজার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। চাকরিজীবীরা বলছেন, যদি ১০ এপ্রিল ঈদ হয়, তাহলে ৯ এপ্রিল অফিস শেষ করেই বাড়ির পথে রওনা দিতে হবে। নতুবা পরের দিন ঈদের সকালে বাড়ি যেতে হবে। ঈদের নামাজ পড়তে হবে পথে। এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এক-দুদিন ছুটি বাড়ানো না হলে সমস্যা হয়ে যাবে। ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের ছুটি ১০ ও ১১ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল বুধবার এবং ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। ১২ এপ্রিল শুক্র এবং ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ১৪ এপ্রিল রোববার বাংলা নববর্ষের ছুটি। সেক্ষেত্রে ঈদের ছুটি মিলছে টানা পাঁচ দিন; কিন্তু ঈদের আগের ছুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। একই সংকটে পড়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবীরাও। এদিকে ঈদের ছুটি দুদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি মনে করে, ঢাকা ও ঢাকার পাশের দুই শিল্প জেলা গাজীপুর ও নরসিংদী থেকে ঈদে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে। ঈদের আগের দিন সব মানুষ একসঙ্গে এসব শহর থেকে বের হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য অতিরিক্ত দুদিনের ছুটি দাবি করেছে সংগঠনটি।
২৯ মার্চ, ২০২৪

ঈদের ছুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাকরিজীবীরা
রোজার ঈদের ছুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। কারণ সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ঈদের ছুটি শুরু হবে ১০ এপ্রিল বুধবার থেকে। কিন্তু চাঁদ দেখা সাপেক্ষে যদি এবার রোজা ২৯টি হয় তাহলে ১০ এপ্রিল (বুধবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে ঈদের আগের দিনও (৯ এপ্রিল) অফিস করতে হবে চাকরিজীবীদের। এজন্য নির্বাহী আদেশে এক-দুদিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর পক্ষে মত তাদের। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি অনুবিভাগ) মো. মুহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি নির্বাহী আদেশের ওপর নির্ভরশীল। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সিদ্ধান্ত হলে আমরা জানতে পারব। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাহী আদেশে দু-একদিন ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে আলোচনা আছে। ২০ রোজার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। চাকরিজীবীরা বলেন, যদি ১০ এপ্রিল বুধবার ঈদ হয় তাহলে আমাদের ৯ এপ্রিল অফিস শেষ করেই বাড়ির পথে রওয়ানা দিতে হবে। নতুবা পরের দিন ঈদের সকালে বাড়ি যেতে হবে। ঈদের নামাজ পড়তে হবে পথে। এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। এক-দুদিন ছুটি বাড়ানো না হলে আমাদের সমস্যা হয়ে যাবে। ঈদের ছুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের ছুটি ১০ ও ১১ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল বুধবার এবং ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। ১২ এপ্রিল শুক্র এবং ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ১৪ এপ্রিল রোববার বাংলা নববর্ষের ছুটি। সেক্ষেত্রে ঈদের ছুটি মিলছে টানা পাঁচ দিন। কিন্তু ঈদের আগের ছুটি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। একই সংকটে পড়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবীরাও। এদিকে ঈদের ছুটি দুদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি মনে করে, ঢাকা ও ঢাকার পাশের দুই শিল্প জেলা গাজীপুর ও নরসিংদী থেকে ঈদে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে। ঈদের আগের দিন সব মানুষ একসঙ্গে এসব শহর থেকে বের হলে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য অতিরিক্ত দুদিনের ছুটি দাবি করেছে সংগঠনটি।
২৮ মার্চ, ২০২৪

ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
আসন্ন ঈদযাত্রায় যাত্রী হয়রানি ও সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।  আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।  বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান। এ সময় বলা হয়, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে এক কোটি, গাজীপুর থেকে ৪০ লাখ, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১২ লাখসহ ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এসব যাত্রীর ঈদের আগের চারদিনে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ, ট্রেনে ৪ লাখ, প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসে ৩৫ লাখ, মোটরসাইকেলে ১২ লাখ, লঞ্চে ৬০ লাখ, উড়োজাহাজে প্রায় এক লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে।  এ সময় গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে এবং খোলা ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহনে ১৮ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এ ছাড়াও আন্তঃজেলায় যাতায়াত করবে প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি যাত্রী। এতে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদবাজার, গ্রামের বাড়ি যাতায়াতসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পরিবহনে বাড়তি প্রায় ৬০ কোটি ট্রিপ হতে পারে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা যায়, গণপরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা এবার রোজা ৩০টি সম্পন্ন হলে ১১ এপ্রিল ঈদ হতে পারে। ঈদের আগে ১০ এপ্রিল মাত্র একদিন সরকারি ছুটি রয়েছে।  অপরদিকে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় মুসলমানদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও পহেলা বৈশাখ উদযাপনে লম্বা ছুটির সুবাধে গ্রামের বাড়ি যাবে। তাই যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।  আগামী ৯ ও ১০ এপ্রিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। অথচ আমাদের গণপরিবহনগুলোতে ২২ থেকে ২৫ লাখের মতো মানুষ পাড়ি দেওয়ার সক্ষমতা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আগে ছুটি না বাড়ালে দেশের সব পথে যাতায়াত পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে। তাই ৮ এবং ৯ এপ্রিল দুই দিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হলে ৫ এপ্রিল থেকে সবাই স্বচ্ছন্দ্যে, ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবে।
২৭ মার্চ, ২০২৪
X