ঈদের ছুটি শেষ। আজ রোববার (২ জুলাই) থেকে সরকারি অফিস আদালত খোলা। এরই মধ্যে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানী ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের কর্মজীবীরা।
পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে চাকরি, ব্যবসাসহ নানা কাজে ফিরছেন তারা। ঈদের আনন্দের স্বস্তি থাকলেও প্রিয়জনদের ছেড়ে আবারও কর্মব্যস্ত ঢাকায় ফিরে আসায় কিছুটা কষ্টের কথাও জানান যাত্রীরা। এখনো বাস টার্মিনালগুলোতে তেমন কোনো ধরনের চাপ দেখা যায়নি। তাই, অনেকটাই স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরছে মানুষ।
রোববার সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। তবে, সড়কে আসার সময় তেমন কোনো ভোগান্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন অনেকে।
এদিকে সকাল থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে যাত্রীদের ভিড় ছিল। এতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে কোনো প্রকার দুর্ভোগ নেই। যেসব যানবাহন ও যাত্রী আসছে তারা সহজেই লঞ্চ ও ফেরিতে উঠে গন্তব্যে যেতে পারছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো ফেরিঘাট পারাপারে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
যাত্রী নিয়ে ঘাটে আসা একাধিক যানবাহনের চালকরা কালবেলাকে জানান, পদ্মা সেতুর সুফলে ফেরি ঘাটে আসতে বেশি সময় লাগেনি। খুব সহজেই আগের তুলনায় ঘাটে এসে পৌঁছানো যায়। ঘাটে কোনো জ্যাম নেই। বাস টার্মিনালগুলোর চিত্রও একই। বিভিন্ন স্থান থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসগুলো ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে।
আসলাম মিয়া নামে এক যাত্রী কালবেলাকে বলেন, আমি একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। আজ থেকে সেটি খোলা। তাই সকালে চলে আসলাম। পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটিয়েছি, সময়টা যেন স্বপ্নের মতো কেটেছে। কর্মব্যস্ত জীবন, তাই ঢাকায় না ফিরে উপায় নেই।
উর্মি নামে এক শিক্ষার্থী কালবেলাকে বলেন, ঈদে অনেক কষ্ট করে বাড়ি গিয়েছিলাম। পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে আবারও ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে। আজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে, ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। তাই চলে আসতে হলো।
শাহীনুর নামের অপর এক যাত্রী কালবেলাকে বলেন, ঢাকায় ছোটখাটো একটা ব্যবসা করি। ঈদের আগের দিন বাড়িতে গিয়েছিলাম। অভাবের সংসার তাই বাড়িতে থেকে ঢাকায় ফিরছি।
তবে এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে তাদের সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন কালবেলাকে জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১২টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। কোনো রকম দুর্ভোগ নেই যাত্রীদের। ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ হলে আরও কয়েকটি ফেরি এ রুটে চলাচল করবে।
অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ কালবেলাকে জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছ। ঘাটে আসা মাত্রই যাত্রীদের নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ।
মন্তব্য করুন