ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগ শনিবারেও খোলা থাকবে
আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্য দিবস ছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারও খোলা থাকবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) রাজস্ব বিভাগ। হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু, নবায়ন এবং ডিএনসিসির মালিকাধীন মার্কেটের ভাড়া পরিশোধের সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা ‍উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক একটি অফিস আদেশ জারি করে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, কার্য দিবস ছাড়াও সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের রাজস্ব বিভাগসহ প্রধান রাজস্ব বিভাগ সকাল ৯টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তিনি জানান, রাজস্ব বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ছুটি মঞ্জুর করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে চিঠি সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ইতোমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে।
১৬ মে, ২০২৪

খালে ময়লা ফেললে আইনি ব্যবস্থা : মেয়র আতিক
রাতের আঁধারে চোর যেভাবে চুরি করে, ডাকাত যেভাবে ডাকাতি করে তাদের থেকেও খালে নোংরা যারা ফেলে তারা বড় অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।  তিনি বলেন, যারা যারা খালে বর্জ্য ফেলবে আমি যদি দেখতে পারি তাহলে চোর চুরি করলে যেমন আইনের ধারায় শাস্তি হয় ঠিক তেমনি এদের জরিমানা করা হবে। এদের যদি আমরা ধরতে পারি তাহলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে যাব। বুধবার (১৫ মে) গুলশানে নগর ভবনের সামনে সপ্তাহব্যাপী বর্জ্য প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, শহরকে পরিষ্কার করার জন্য আমাদের নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। এ শহর আমাদের। এখানে আমরা থাকি। নিজেদের শহরকে ভালোবাসতে হবে। যিনি ঢাকা শহরে বাস করেন তিনি কীভাবে একটা নষ্ট ফ্রিজ খালের মধ্যে ফেলতে পারে। সর্বপ্রথম আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। একটা সোফা বা একটি জাজিম কিন্তু কোনোভাবেই খালের মধ্যে ফেলা যায় না। এগুলো কিন্তু অহরহ আমরা আমাদের ড্রেন এবং খাল থেকে উদ্ধার করছি। তিনি বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন ধরনের ট্রল হচ্ছে, যে রাস্তায় পানি জমে যাচ্ছে। কিন্তু পানিটা কি জন্য জমে যাচ্ছে এটা আমরা কেউ চিন্তা করি না। আমাদের বিভিন্ন এলাকাতেও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন আছে। সেখানে কিন্তু সহজে আমরা বর্জ্য ফেলতে পারি। এখানে দুই ধরনের চ্যালেঞ্জ। একটা হলো মানুষের পয়ঃবর্জ্য। আরেকটি হলো কঠিন বর্জ্য। আমি বলেছি যারা যারা বর্জ্য ফেলবে আমি যদি দেখতে পারি তাহলে চোর চুরি করলে যেমন আইনের ধারায় শাস্তি হয় ঠিক তেমনি এদের জরিমানা করা হবে। এদের যদি আমরা ধরতে পারি তাহলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে যাব। প্রদর্শনী পরিদর্শনে এসে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই অনেক সময় বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যায়। এ ধরনের অভিযোগ আমরা পাই। অনেকে ভিডিও করেও আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। আমরা গিয়ে দেখি, ড্রেনেজ লাইনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বোতল, চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকে। পানির মধ্যে বড় বড় জিনিসপত্র, জাজিম, সোফা, ফ্রিজ ফেলে রাখা হয়। তিনি বলেন, সরকার কাজ করবে। কিন্তু নাগরিকদের দায়িত্বের জায়গা থেকে, নাগরিকদের অধিকার যেমন সংরক্ষণের বিষয় আছে, তেমন দায়িত্ব পালনেরও বিষয়টি থাকে। নাগরিক তার দায়িত্বের জায়গা থেকে নিজ দায়িত্বটুকু পালন করলে তখনই সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে একটি পার্টনারশিপ তৈরি হয়। তখনই সমস্যাগুলো অনেক সহজে দূর হয়। একদিকে সিটি করপোরেশন সারাক্ষণই যদি পরিষ্কার করতে থাকে, অন্যদিকে আপনারা নোংরা করতে থাকেন, নিয়মের মধ্যে না থাকেন, তাহলে তো এ সমস্যা কোনোদিনও সমাধান হবে না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, উত্তর সিটি এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
১৫ মে, ২০২৪

পথচারী ও শিশুদের নিয়ে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’তে ভিজলেন মেয়র আতিক
বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র তাপপ্রবাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে নগরীতে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে এ ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ পথচারী ও শিশুদের ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’তে ভিজে আনন্দ করতে দেখা যায়। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে গিয়ে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি সরবরাহের জন্য রাখা বিশেষ ভ্যান পরিদর্শন করেন এবং নিজে ট্যাপ ছেড়ে পানি পান করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। পরে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির মতো পানি ছিটানো শুরু হলে মেয়র নিজে উচ্ছ্বসিত শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ছিটানো ওই পানিতে ভিজেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক মাস ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এ তাপপ্রবাহ থেকে নাগরিকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএনসিসিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন। সে অনুযায়ী ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেয়র আতিক বলেন, দুটি গাড়ি দিয়ে প্রতিদিন চার লাখ লিটার পানি আমরা ছিটাব। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি দেওয়া হবে। তবে গাড়িগুলো অলিগলিতে যেতে পারবে না, মেইন রোডে থাকবে। আর সড়কে পানি ছিটানোর জন্য ১০টি ব্রাউজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একেক ব্রাউজারে ১৫ হাজার লিটার করে পানি ধরে। আগামী সাত দিনের মধ্যে উত্তর সিটির বিভিন্ন পার্কে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলেছি। আমরা আশা করি, আগামী সাত দিনের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম পানির ব্যবস্থা করতে পারব। এ ছাড়া আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বিশুদ্ধ পানির ভ্যান থাকবে। ছোট ছোট ভ্যানগুলো নিয়ে অলিগলিতে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগরের মানুষ ভ্যান থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারবেন। এগুলোও আমাদের চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে করা হয়েছে। নগরের দোকান এবং শপিংমলগুলোর সামনে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি দোকান বা শপিংমলে পানির ব্যবস্থা রাখুন। যাতে নগরবাসী তৃষ্ণা মেটাতে পারে। গত বছর নগরের বিভিন্ন এলাকায় ৮০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর আমরা চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ৮০ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এবার আমরা আরও এক লাখ ২০ হাজার গাছ লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পরপরই আমরা এ কার্যক্রম শুরু করব। পাশাপাশি এসব কাজ রক্ষণাবেক্ষণে আমরা বেশ গুরুত্ব দিচ্ছি। যে এলাকায় গাছগুলো লাগানো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কমিউনিটিকে আমরা যুক্ত করছি।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

গরমে ব্যাগে ফ্যান নিয়ে বাইরে বের হতে বললেন হিট অফিসার
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। ইতোমধ্যে সারা দেশে বেশ কয়েকজনের হিট অ্যাটাকে মৃত্যুও হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন নগরবাসীকে ব্যাগে পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দায়িত্ব পেয়ে বসে নেই তিনি। চেষ্টা করে যাচ্ছেন কেন ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়ছে তা খুঁজে বের করার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটার চেষ্টা করছেন। তীব্র দাবদাহ মোকাবিলায় বুশরা জানান, এই অবস্থা থেকে সবাইকে বাঁচানোর জন্য তারা নিয়মিত ‘হিট অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন’ চালাচ্ছেন। তার মতে, ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কমাতে আরও বেশি গাছ লাগানো জরুরি। তিনি বলেন, আমাদের এখানে রাস্তার ধারে ২ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, সেগুলোর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। নগরে বনায়ন করা খুব জরুরি। এখানে যে ফাঁকা এবং পরিত্যক্ত জায়গাগুলো আগে সেখানে সবুজায়ন করার দিকেও আমরা নজর দিয়েছি। আমাদের এখানে আরও অনেক পার্ক এবং সবুজে ঘেরা জায়গা দরকার। তাতে তাপমাত্রা যেমন কমবে, তেমনই পাখিসহ নানা প্রাণীও ফিরে আসবে। বুশরা বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এর ফলে নানা রকম সমস্যার সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রাও। দিন দিন বাড়তে থাকা জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে সংকটে পড়া ঢাকার তাপমাত্রা গ্রামাঞ্চলের চেয়ে বেশি হচ্ছে। নগরের তাপমাত্রা কমাতে ঢাকায় বনাঞ্চল তৈরির পরিকল্পনার বিষয়ে বুশরা আফরিন বলেন, ঢাকায় তাপমাত্রা কমানোর জন্য আমরা ‘টু অ্যাবেল ফরেস্ট’ অর্থাৎ দুটি বন করার চেষ্টা করছি। একটা হচ্ছে মিরপুর কল্যাণপুরের দিকে; অন্যটি বনানীর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে। তিনি বলেন, এই বন দুটি যে শুধু নগরের হিট কমাবে তা নয়; দূষণ প্রতিরোধেও সহায়তা করবে। একই সঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে শহরের ফাঁকা জায়গাগুলোতে গাছ লাগনো হবে বলে জানান তিনি। বুশরা বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে আমরা নিজেরা যদি সচেতন থাকি- আমরা যদি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আমাদের ব্যাগে একটা পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র সঙ্গে রাখি তাহলে কিন্তু অনেকটাই নিরাপত্তা পেতে পারি।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

‘অনুমতি পেলে দেশেই তৈরি হবে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি পেলে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের ভ্যাকসিনের সিঙ্গেল ডোজ দেশে বানানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানস্থ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ভবনে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় বছরব্যাপী আমাদের প্রস্তুতি এবং করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বক্তারা। তারা বলেন, আগামী মার্চ নাগাদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি পেলে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের সিঙ্গেল ডোজ দেশে বানানো সম্ভব হবে। এর দামও হবে অনেক কম। যত বেশি নগরায়ন বাড়বে ডেঙ্গুও তত বাড়বে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে অন্যতম প্রধান বাধা। কেবল উত্তর সিটি করপোরেশন নয়, উত্তর- দক্ষিণ দুই সিটি করপোরেশনকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা মশক নিধনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের চেষ্টার কমতি থাকবে না। মশক নিধনের সঙ্গে যে প্রতিষ্ঠান জড়িত, তাদের সবাইকে নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি করা হবে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে এই কমিটি কাজ শুরু করবে। এরপর থেকে বিটিআই সরাসরি ডিএনসিসি আমদানি করবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের সিড এনেছে। অনুমতি পেলে অচিরেই ভ্যাকসিন তৈরি করা যাবে। এসব নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও উত্তর সিটি এক সঙ্গে কাজ করছে। অনেক কাজ করার পরও ডেঙ্গুর ব্যাপারে তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না। অসফলের কারণ বের করতে হবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, একসময় দেশে কালাজ্বর ছিল। সেটা নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৪ সালে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে কাজের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য থাকার দরকার ছিল। আমাদের কীটতাত্ত্বিক সক্ষমতার অভাব আছে। প্রশিক্ষিত লোকের অভাব আছে, তাই এখন থেকেই কীটতাত্ত্বিক সক্ষমতার প্রশিক্ষণ দিয়ে কীটতত্ত্ববিদ বাড়াতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে টেকনিক্যাল কমিটি করতে হবে। ওয়ার্ডভিত্তিক ডেঙ্গু জরিপ করতে হবে। ল্যাবের সংখ্যাও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, বিমানবন্দর প্রতিনিধি, মেট্রোরেল প্রতিনিধি, আইআইডিসিআর প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জলাশয় ভরাট করে বিএডিসির ল্যাব নির্মাণের কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা হাইকোর্টের
ড্যাপে চিহ্নিত জলাশয় ভরাট করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি)  ল্যাব নির্মাণের কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা ও ৩ মাসের মধ্যে জলাশয় পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আজ (২৮ জানুয়ারি) এই রায় প্রদান করেন মহামান্য হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জায়গাটি জলাশয় হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনকে নির্দেশ প্রদান করেছেন মহামান্য আদালত। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক দায়েরকৃত একটি জনস্বার্থমূলক (নং ৯৬২৪/২০২৩) মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত মিরপুর মৌজাস্থিত গৈদারটেক এলাকায় ১১৭ একর জলাশয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের Water Regulating Pond হিসেবে চিহ্নিত। এ Water Regulating Pond ড্যাপ (২০২২- ২০৩৫) এ জলাশয় হিসেবে চিহ্নিত। আধুনিক পদ্ধতিতে বীজ আলু উৎপাদনের লক্ষ্যে “সেন্ট্রাল টিস্যু কালচার অ্যান্ড সিড হেলথ ল্যাবরেটরি’ নির্মাণের জন্য ড্যাপ (২০২২-৩৫) এ চিহ্নিত এ জলাশয়ের প্রায় ১২ একর জমি ভরাট করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। সরকারি সংস্থা কর্তৃক জনগুরুত্বপূর্ণ এ জলাশয় ভরাটের সংবাদ দেশের জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়।  প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উল্লেখিত জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনকে পত্র প্রেরণ করে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত পত্রের তোয়াক্কা না করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনোরূপ অনুমোদন ছাড়াই এ জলাশয় ভরাট করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ ও সরকার কর্তৃক গেজেটকৃত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানে জলাশয় হিসেবে চিহ্নিত ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন এবং জলাশয়ে বালু ভরাট ও অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণের সুযোগ নেই। Town Improvement Act, 1953 অনুযায়ী রাজউকের আওতাধীন এলাকায় যে কোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন করতে হলে রাজউকের অনুমোদন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।  দেশে প্রচলিত আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃক জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে বেলা বিগত ০১ আগস্ট, ২০২৩ এ একটি জনস্বার্থমূলক মামলা দায়ের করলে মহামান্য আদালত বিগত ১৩ আগস্ট, ২০২৩ তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির পাশাপাশি ভরাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। মামলার বিবাদীগণ হলেন- ১। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব; ২। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ৩। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, ৪। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ৫। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ৬। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, ৭। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ৮। ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক, ৯। ঢাকার পুলিশ সুপার, ১০। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ, ১১। পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা মহানগরের পরিচালক এবং ১২। সেন্ট্রাল টিস্যু কালচার অ্যান্ড সিড হেলথ ল্যাবরেটরি, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের প্রকল্প পরিচালক। বেলা'র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আশরাফ আলী, বার-এট-ল' এবং তাঁকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। বিএডিসির পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এস এম জহুরুল ইসলাম, রাজউকের পক্ষে মামলাটি শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইমাম হাসান এবং ডিএনসিসির আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজা-ই-রাব্বি খন্দকার ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা সিলমা তামারিনা। জলাশয়টি রক্ষায় বিগত ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) ডিটেইল্ড এরিয়া প্লান (২০২২-৩৫) বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতাঃ বিএডিসিসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক জলাশয় ভরাট শিরোনামে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে । এছাড়াও বিগত ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ জলাশয় ভরাট করে বিএডিসির টিস্যু কালচার ল্যাব নির্মাণ কাজ বন্ধে  প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, আসকের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল, রাষ্ট্রের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির এবং পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান একটি পত্র প্রেরণ করেছিলেন।  
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

মোহাম্মদপুরে ৬০ দোকান উচ্ছেদ, জরিমানা ২ লাখ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন মোহাম্মদপুরে গাবতলী বেড়িবাঁধের জাকের ডেইরি ফার্ম সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় অবৈধভাবে নির্মিত ৬০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেন অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ। মোতাকাব্বির আহমেদ বলেন, জাকের ডেইরি ফার্ম ও মদিনা ডেইরি ফার্মের অবৈধভাবে দখল করা ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও অভিযানকালে পাঁচ মামলায় দুই লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এই স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল।   ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ডিএনসিসির মালিকানাধীন এই ভূমির অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

সরকারি প্রতিষ্ঠানেও মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে : মেয়র আতিক
কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অথবা জেল দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।  তিনি বলেছেন, বাসা বাড়ির পাশাপাশি এখন সরকারি অফিসগুলোতেও উল্লেখযোগ্য হারে এডিশ মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। ডেঙ্গু এখন আর কোনো নির্দিষ্ট সিজনের সমস্যা না। ডেঙ্গুতে এখন সারা বছর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে শুধু বর্ষায় নয়, সারা বছরই সচেতন থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) আয়োজিত কমিউনিটি পর্যায়ে ডেঙ্গুবিষয়ক জনসচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, ড্রেন বা নর্দমার পানিতে কিন্তু এডিস মশার জন্ম হয় না। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেই এডিসের লার্ভা জন্মায়। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, অব্যবহৃত কমোড, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রতি তিনদিনে অন্তত একদিন জমে থাকা পানি ফেলে দিন। প্রতি শনিবার নিজেদের বাসা বাড়ি পরিষ্কার করি তাহলেই এডিস মশার কামড় থেকে আমরা নিরাপদ থাকতে পারব। আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রচারণার পাশাপাশি আমরা সিটি করপোরেশন থেকে আইনানুগ ব্যবস্থাও নিচ্ছি।ঝটিকা পরিদর্শনে মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটিতে ২৮টি ভবনের বেজমেন্টে প্রচুর লার্ভা পেয়েছিলাম। কারওয়ান বাজারে সরকারি বড় বড় প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা, টিসিবি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন এবং যমুনা অয়েলের ভবনেও অভিযান চালিয়ে লার্ভা পেয়েছি। সবাইকে জরিমানা করেছি। কাউকে জরিমানা করা বা জেল দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো কোথাও যেন এডিসের লার্ভা না জন্মে।  মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, পরিপূর্ণ মশা হওয়ার আগে লার্ভা ধ্বংসের কীটনাশক যদি কিনতে পাওয়া যায় তাহলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। সবাই দোকান থেকে কিনে কীটনাশক ব্যবহার করে উৎসস্থলেই মশার লার্ভা ধ্বংস করতে পারবে। স্বাস্থ্য বিভাগকে অনুরোধ করব এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডা. মো. আখতারুজ্জামান, নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফের প্রতিনিধি লরেন্স ওজুবা, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
২৩ নভেম্বর, ২০২৩

বিএনপি নয়, এখন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জাতীয় সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টি। বিএনপি এখন বিরোধী দল নয়। বিএনপি এখন স্বীকৃত জনবিচ্ছিন্ন একদল। বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’র পরীক্ষামূলক কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশ ও মানুষের সম্পদ নষ্ট করে আবারও দেশকে অকার্যকর করতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাজত্ব কায়েম করছে বিএনপি। ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তারা (বিএনপি) শুধু মানুষ মারে না, বিদেশিও মারে। তাবেলা সিজারকে হত্যা করল, জাপানি একজনকে হত্যা করল। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মসজিদের ইমামকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। সেই কথা কিন্তু এদেশের মানুষ ভোলেনি। সেই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের কথা এদেশের মানুষ ভোলেনি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামকে অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু গুলশান এলাকার কাজ করলে চলবে না, আমাদের এলাকার দিকেও একটু লক্ষ্য রাখবেন। সন্ধ্যার পরে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে চলাচলের কোনো জায়গা থাকে না। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, কথা অনেক অনেক লোক অনেক কথা বলেছেন আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা শতভাগ না হলে আমরা বলতে পারি ৮০ শতাংশ আমরা সাকসেসফুল। দুর্বার গতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি তার একটি কারণ হলো আমরা ডিজিটাল। আজকে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। প্রধানমন্ত্রী  বলেছেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হবে, হয়েছে। তিনি বলেছেন মেট্রোরেল হবে, তাও হয়েছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আজ ডিএনসিসিতে স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং চালু হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট সোসাইটি দরকার, স্মার্ট এডুকেশন দরকার, স্মার্ট গভার্ন্যান্স দরকার। সেটিও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হবে। ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আতিকুল ইসলাম বলেন, দেশে এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তার নেতৃত্বেই আমরা এগিয়ে চলেছি। আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে, জয়যুক্ত করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের যে ভিশন সেদিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের বিরোধী যারা আছে তারা যত পারে চেষ্টা করছে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে। আমরা কখনো পিছিয়ে যাব না, আমরা এগিয়ে যাব। আমি আগেও বলেছি নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নেই। নৌকার একটাই গিয়ার, সেটা হলো ফ্রন্ট গিয়ার। নৌকার যে কোনো ব্যাক গেয়ার নেই তার আরও একটি প্রমাণ হচ্ছে আজকে এই স্মার্ট পার্কিং উদ্বোধন। তিনি বলেন, আমি জনগণকে অনুরোধ করব, নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া ঢাকা শহরে স্মার্ট পর্কিং অসম্ভব। পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন পতিত এলাকায় এ স্মার্ট পার্কিং ব্যবস্থা গুড়ে তোলা হবে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট সিটি কর্পোরেশন গড়ে তুলব এ  অঙ্গীকার করছি। আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকাবাসী স্মার্ট পার্কিংয়ের যাত্রা শুরু করল। স্মার্ট পার্কিংয়ে প্রথম দুই ঘণ্টার জন্য আমরা ফ্রি নির্ধারণ করেছি ৫০ টাকা, পরবর্তী ঘণ্টার জন্য আরও ৫০ টাকা। অর্থাৎ তিন ঘণ্টার জন্য একজনকে গুনতে হবে ১০০ টাকা।  এরপরে প্রতি ঘণ্টার জন্য গুনতে হবে ১০০ টাকা করে। যে কেউ এখানে অনলাইনের মাধ্যমে বুকিং করে গাড়ি রাখতে পারবে এবং অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবে। মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অনলাইনে ট্যাক্স নিচ্ছে যেখানে কোন ক্যাশে হোল্ডিং ট্যাক্স নেওয়া হবে না। আমরা অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স নিচ্ছি। আপনারা কেউ হোল্ডিং ট্যাক্স সশরীরে এসে দেবেন না, সবাই অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করবেন। কারণ কিছু কিছু অসাধু কর্মকর্তা আছে যারা আপনাকে 'আকাশের যত তারা সিটি কর্পোরেশনে তত ধারা' এগুলো দেখিয়ে দেবে। তাই অনলাইন ওপেন করবেন আপনার ট্যাক্স আপনি দিয়ে দেবেন। ইতোমধ্যে আমরা অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স আমরা চালু করে দিয়েছি। কোনো অভিযোগ জানাতে আমরা সবার ঢাকা অ্যাপ চালু রেখেছি। যে কেউ যে কোন জায়গা থেকে বসে অভিযোগ জানাতে পারছেন এবং আমরা তাৎক্ষণিক তা সমাধান করে দিচ্ছি। তিনি বলেন, সবার ঢাকা অ্যাপে আসা অভিযোগগুলোর মধ্যে আমরা ৯৮ শতাংশ সমস্যার সমাধান ইতোমধ্যে করে দিয়েছি। এসব অনলাইন কার্যক্রমই হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ। দুর্নীতি মুক্ত এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য আমরা এরকম অনলাইন সিস্টেম ইতোমধ্যে চালু করে ফেলেছি।  বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিরোধীদল সহিংসতা করছে আর আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করছে। কিন্তু তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রোপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। আমরা উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি; আর তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। ডিএনসিসির তথ্য কর্মকর্তা মো. পিয়াল হাছানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফুল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকসহ কাউন্সিলররা এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
০৮ নভেম্বর, ২০২৩

ডিএনসিসি কর্মকর্তাদের নিয়মিত অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিতে চিঠি
নিজেদের সব কর্মকর্তাকে সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা-২০১৯ যথাযথভাবে অনুসরণ করে অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য চিঠি দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এ বিষয়ে নির্দেশনাসহ একটি অফিস আদেশ জারি করেন। তিনি জানান, জারি করা নির্দেশনা পালনে অবহেলা প্রদর্শিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রত্যেক মাসে দুটি আঞ্চলিক অফিস পরিদর্শন করে এ বিষয়ে মেয়র বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, চিঠিতে কর্মকর্তাদের অফিসে নিয়মিত উপস্থিতির পাশাপাশি বাকি নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, সব কার্যালয়ে নথিপত্র, আসবাবপত্র ইত্যাদি সর্বদা পরিপাটি করে রাখা নিশ্চিত করতে হবে। কার্যালয়ের চারপাশের এলাকা অবাঞ্ছিত বা পরিত্যক্ত দ্রব্য ফেলা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। সব কার্যালয়ে উন্মুক্ত স্থানগুলো যথাসম্ভব সবুজায়ন করতে হবে। জীর্ণ, ভাঙা, আসবাবপত্র, বিনষ্টযোগ্য নথির তালিকা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কর্মচারীদের নিজ কর্মপরিবেশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার’ বা এ সংক্রান্ত কোনো স্লোগান প্রত্যেক কার্যালয়ে ব্যবহার করতে হবে। সব কার্যালয় ধূমপানমুক্ত রাখা নিশ্চিত করতে হবে। সব কার্যালয়, আবাসিক কোয়ার্টার ইত্যাদির ছাদ, কমন স্পেস, সিঁড়ি, সানসেট, পানির ট্যাংক ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। অফিসে আসা নাগরিক, সেবা গ্রহণকারীদের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
০৬ নভেম্বর, ২০২৩
X