কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খালে ময়লা ফেললে আইনি ব্যবস্থা : মেয়র আতিক

গুলশানে নগর ভবনের সামনে মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা
গুলশানে নগর ভবনের সামনে মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা

রাতের আঁধারে চোর যেভাবে চুরি করে, ডাকাত যেভাবে ডাকাতি করে তাদের থেকেও খালে নোংরা যারা ফেলে তারা বড় অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, যারা যারা খালে বর্জ্য ফেলবে আমি যদি দেখতে পারি তাহলে চোর চুরি করলে যেমন আইনের ধারায় শাস্তি হয় ঠিক তেমনি এদের জরিমানা করা হবে। এদের যদি আমরা ধরতে পারি তাহলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে যাব।

বুধবার (১৫ মে) গুলশানে নগর ভবনের সামনে সপ্তাহব্যাপী বর্জ্য প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, শহরকে পরিষ্কার করার জন্য আমাদের নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। এ শহর আমাদের। এখানে আমরা থাকি। নিজেদের শহরকে ভালোবাসতে হবে। যিনি ঢাকা শহরে বাস করেন তিনি কীভাবে একটা নষ্ট ফ্রিজ খালের মধ্যে ফেলতে পারে। সর্বপ্রথম আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। একটা সোফা বা একটি জাজিম কিন্তু কোনোভাবেই খালের মধ্যে ফেলা যায় না। এগুলো কিন্তু অহরহ আমরা আমাদের ড্রেন এবং খাল থেকে উদ্ধার করছি।

তিনি বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন ধরনের ট্রল হচ্ছে, যে রাস্তায় পানি জমে যাচ্ছে। কিন্তু পানিটা কি জন্য জমে যাচ্ছে এটা আমরা কেউ চিন্তা করি না। আমাদের বিভিন্ন এলাকাতেও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন আছে। সেখানে কিন্তু সহজে আমরা বর্জ্য ফেলতে পারি। এখানে দুই ধরনের চ্যালেঞ্জ। একটা হলো মানুষের পয়ঃবর্জ্য। আরেকটি হলো কঠিন বর্জ্য। আমি বলেছি যারা যারা বর্জ্য ফেলবে আমি যদি দেখতে পারি তাহলে চোর চুরি করলে যেমন আইনের ধারায় শাস্তি হয় ঠিক তেমনি এদের জরিমানা করা হবে। এদের যদি আমরা ধরতে পারি তাহলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে যাব।

প্রদর্শনী পরিদর্শনে এসে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই অনেক সময় বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যায়। এ ধরনের অভিযোগ আমরা পাই। অনেকে ভিডিও করেও আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। আমরা গিয়ে দেখি, ড্রেনেজ লাইনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বোতল, চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকে। পানির মধ্যে বড় বড় জিনিসপত্র, জাজিম, সোফা, ফ্রিজ ফেলে রাখা হয়।

তিনি বলেন, সরকার কাজ করবে। কিন্তু নাগরিকদের দায়িত্বের জায়গা থেকে, নাগরিকদের অধিকার যেমন সংরক্ষণের বিষয় আছে, তেমন দায়িত্ব পালনেরও বিষয়টি থাকে। নাগরিক তার দায়িত্বের জায়গা থেকে নিজ দায়িত্বটুকু পালন করলে তখনই সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে একটি পার্টনারশিপ তৈরি হয়। তখনই সমস্যাগুলো অনেক সহজে দূর হয়। একদিকে সিটি করপোরেশন সারাক্ষণই যদি পরিষ্কার করতে থাকে, অন্যদিকে আপনারা নোংরা করতে থাকেন, নিয়মের মধ্যে না থাকেন, তাহলে তো এ সমস্যা কোনোদিনও সমাধান হবে না।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, উত্তর সিটি এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফেক নিউজ ও পেইড প্রপাগান্ডা যাচাইয়ের ১৩ কার্যকর উপায়

ওজন ঝরিয়ে আবেদনময়ী কিয়ারা

পুলিশ-সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক : এসপি শামসুল আলম

আইজিপিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ 

আজমিরীগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি

আমান আযমীকে নিয়ে যে তথ্য দিলেন আইনজীবী

নতুন যুদ্ধের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার বিবৃতি

নির্বাচন পেছানো-আগানোর অবস্থা নেই : সারজিস আলম

জনগণ নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না : নজরুল ইসলাম খান

বলিউডে ভিকি-দীপিকা জুটির অভিষেক?

১০

চলতি মাসে ১ লাখ ভ্যাট নিবন্ধন বাড়াবে এনবিআর

১১

জেআইসি সেলে গুম-নির্যাতন : অভিযোগ গঠনের আদেশ ১৪ ডিসেম্বর

১২

গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে সুসংহত করতে হবে : মির্জা ফখরুল 

১৩

যে কারণে আইপিএল নিলামে নিষিদ্ধ হ্যারি ব্রুক

১৪

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন, রাখা হলো যে নাম

১৫

তারেক রহমানের নেতৃত্বে তারুণ্যের বিপ্লব ঘটবে : ফখরুল ইসলাম

১৬

পেঁয়াজ রোপণে শ্রমিক সংকট, মাঠে নেমেছে শিক্ষার্থীরা

১৭

প্রধান বিচারপতির কাছে ৩০০ বিচারক চেয়েছেন সিইসি

১৮

প্রকাশ্যে যুবকের হাতের কবজি কাটায় গ্রেপ্তার ৩

১৯

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিলেন চিকিৎসক

২০
X