ঘুরে ফিরে সুন্দরবনের একই জায়গায় ২৫ বার আগুন
ঘুরে ফিরে সুন্দরবনের একই জায়গায় গত দুই যুগে ২৫ বার আগুন লেগেছে। এতে প্রায় ১শ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রত্যেকবারই তদন্ত কমিটি করা হয়। আর প্রত্যেকবারই কাছাকাছি একই প্রতিবেদন দাখিল করে বন বিভাগের তদন্ত কমিটি। কমিটির সুপারিশগুলো আমলে নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় পরের বছর একই এলাকায় আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের সুন্দরবনের অনেক জায়গায় বনভূমি উজাড় হয়ে পরিবেশ বিপন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অপরিকল্পিত প্রকল্পে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের ওই অঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ঘুরে ফিরে একই জায়গায় আগুন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী পশ্চিম বন বিভাগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিগত দুই যুগে সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের এই জায়গাটিতে অন্তত ২৫ বার আগুন লেগেছে। গত ৫৪ বছরে এ সংখ্যা ৪০। বন বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে ২০০২ সালে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের কটকায় একবার, একই রেঞ্জের নাংলী ও মান্দারবাবাড়িয়ায় দুবার। ২০০৫ সালে পচাকোড়ালিয়া সুতার খাল এলাকায় দুবার, ২০০৬ সালে তেরাবেকা, আমুরবুনিয়া, ধানসাগর এলাকায় পাঁচবার। ২০০৭ সালে পচাকোড়ালিয়া, নাংলি ও ডুমুরিয়ায় তিনবার। ২০১০ সালে গুলিশাখালীতে একবার, ২০১১ সালে নাংলীতে দুবার, ২০১৪ সালে গুলিশাখালীতে একবার, ২০১৬ সালে নাংলী, পচাকোরালিয়ায় তিনবার, ২০১৭ সালে মাদ্রাসারছিলায় একবার, ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ধানসাগর এলাকায়। এ ছাড়া ২০২১ সালের ৩ মে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় এবং সর্বশেষ তিন দিন আগে চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলা এলাকায় আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়েছে। এবারও তারা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে একটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, আমরা এখন সবাই ব্যস্ত আগুন নেভানোর জন্য। আমি নিজেও আগুন নেভানো ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সুতরাং যেসব কারণে আগুন লাগতে পারে কোনো কারণকেই আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। মৌয়ালের কারণেও আগুন লাগতে পারে। যারা মাছ ধরে তারা ইচ্ছা করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে- এটিও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। আবার দুর্ঘটনাবশত কারও হাত থেকে আগুন পড়ে গিয়েও লাগতে পারে, সেটিও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সবগুলো সম্ভাবনা হাতে রেখেই আমরা কাজ করছি। আগের করা ২৪টি তদন্ত প্রতিবেদনের অন্তত ১৫টি প্রতিবেদনে বনজীবীদের ফেলে আসা আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত উল্লেখ করা হয়েছে। জেলে ও মৌয়ালদের বিড়ি-সিগারেট বা মৌমাছি তাড়াতে জ্বালানো মশাল থেকে আগুনের সূত্রপাতের কথা বাকি প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে। অপরিকল্পিত নদী খনন কাল হয়েছে বন বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে গত দুই দশকে যেসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এর সব কটি ঘটনাই ঘটেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে সুন্দরবনের ভোলা ও মরা ভোলা নদীসংলগ্ন এলাকায়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. ওয়াসিউল ইসলামের মতে, পূর্ব সুন্দরবনের দুটি নদী অপরিকল্পিতভাবে খনন করে মাটি তুলে এমনভাবে রাখা হয়েছে, বাঁধের মতো হয়ে গেছে। ফলে জোয়ারভাটার পানি প্রবেশ না করায় সেখানকার ভূমিটা একবারে শুষ্ক থাকে। বর্ষা মৌসুমের আগে আগে এটা আরও শুষ্ক হয়ে যায়। সেজন্য এখানে আগুন সহজভাবে ধরতে পারে। তিনি বলেন, বনের মধ্যে পানিপ্রবাহ না থাকা বড় একটা ইস্যু হয়ে গেছে। এজন্য বড় ধরনের একটা প্রকল্প দরকার। বাংলাদেশ বন বিভাগের সঙ্গে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখা, নদীশাসনের কাজ যারা করেন, তাদের সবার একটা সমন্বয় দরকার। একটা পরিকল্পিত পদ্ধতিতে প্রকল্পটা নেওয়া দরকার। কারণ, আগের মতো প্রকল্প নিয়ে যদি মাটি বনের মধ্যে ফেলা হয় এবং বনকে যদি উঁচু করে দেওয়া হয়; তবে ম্যানগ্রোভের জন্য যে পরিবেশ লাগে, সেটা নষ্ট হবে। তখন নতুন প্রকল্পেও কোনো লাভ হবে না। এদিকে প্রায় ২৫ ঘণ্টা পর সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। সোমবার থেকে আগুনের এলাকা ড্রোন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর একাধিম টিম রয়েছে। কোথাও ধোঁয়া দেখা গেলে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে পানি ছেটানো হচ্ছে। বন বিভাগের ২৫টি টিম, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪

একই লেনে মৈত্রী ও ধূমকেতু এক্সপ্রেস!
সিরাজগঞ্জে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলসড়কে একই লেনে বিপরীতমুখী দুটি ট্রেন প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। তবে চালকের বিচক্ষণতায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেন দুটি। এতে বেঁচে গেছে দুই ট্রেনের সহস্রাধিক যাত্রী।  শনিবার (৪ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, প্রতিবেশী ভারত থেকে আসা ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় নিয়মিত চেকআপের জন্য দাঁড়ায়। অপর দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ধূমকেতু ট্রেনটি একই স্টেশনের দিকে ধীরগতিতে আসছিল। এ সময় চালক লক্ষ্য করেন লাইনে অপর একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। তৎক্ষণাৎ ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে দেন চালক। এতে মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মনিরুজ্জামান জানান, এখানে দুটি প্লাটফর্ম নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটির কাজ শেষ হলেও অপরটির কাজ চলমান। এ কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিগনালিং পদ্ধতি ভেঙে ম্যানুয়াল পদ্ধতি চালু করে। দুপুর আড়াইটার দিকে মৈত্রী এক্সপ্র্রেস ট্রেনটি ৫নং প্লাটফর্মে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পরই রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস চলে আসে। ওই ট্রেনটি ৪নং প্লাটফর্মে প্রবেশের কথা কিন্তু অদক্ষ্য লাইনম্যানদের ভুলের কারণে ট্রেনটি ৫নং প্লাটফর্মে ঢুকে পড়ে। বিষয়টি চালক দূর থেকে লক্ষ্য করে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। গতি কম থাকায় বড় দুর্ঘটনা থকে রক্ষা পায় ট্রেনটি।   পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার নূর মোহাম্মদ বলেন, সিরাজগঞ্জে একই লাইনে দুটি ট্রেন প্রবেশের ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা হারুণ-অর-রশিদকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী, সহকারী সংকেত প্রকৌশলী ও বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা রয়েছেন। ইতোমধ্যে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
০৫ মে, ২০২৪

একই লেনে মৈত্রী ও ধূমকেতু এক্সপ্রেস
সিরাজগঞ্জে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেল সড়কে একই লেনে বিপরীতমুখী দুটি ট্রেন প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। তবে চালকের বিচক্ষণতায় অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেন দুটি। এতে বেঁচে গেছেন দুই ট্রেনের সহস্রাধিক যাত্রী। গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভারত থেকে আসা ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় নিয়মিত চেকআপের জন্য দাঁড়ায়। অন্য দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি একই স্টেশনের দিকে ধীরগতিতে আসছিল। এ সময় চালক লক্ষ্য করেন একই লাইনে আরেকটি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। তৎক্ষণাৎ ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে দেন চালক। এতে গুরুতর দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মনিরুজ্জামান জানান, এখানে দুটি প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটির কাজ শেষ হলেও অন্যটির কাজ চলমান। এ কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিগন্যালিং পদ্ধতি ভেঙে ম্যানুয়াল পদ্ধতি চালু করে। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পরই রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলে আসে। ওই ট্রেনটি ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করার কথা। কিন্তু লাইনম্যানদের ভুলের কারণে ট্রেনটি ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকে পড়ে। বিষয়টি চালক দূর থেকে লক্ষ্য করে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। গতি কম থাকায় বড় দুর্ঘটনা থাকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার নূর মোহাম্মদ বলেন, সিরাজগঞ্জে একই লাইনে দুটি ট্রেন প্রবেশের ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা হারুণ-অর-রশিদকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী, সহকারী সংকেত প্রকৌশলী ও বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের এক কর্মকর্তা রয়েছেন। এরই মধ্যে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
০৫ মে, ২০২৪

কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন দুজন। শুক্রবার (৩ মে) রাত ২টার দিকে উপজেলার বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের আলমগীর হোসেন, তার ছেলে জহিরুল ইসলাম, তার মামি রাহেলা বেগম। আহতরা হলেন, আলমগীরের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম ও প্রাইভেটকার চালক ইব্রাহিম খলিল সুজন। ভবেরচর হাইওয়ে থানার ওসি হুমায়ুন কবির কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে ঢাকাগামী প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে এলে পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দেয়। এ সময় কারটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মারা যান তিনজন। চালকসহ আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, মরদেহগুলো বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। কাভার্ডভ্যানটিকে জব্দের চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, রাত প্রায় ২টার দিকে দুর্ঘটনার সংবাদ আসে। সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। এ সময় হতাহত সবাইকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাদিয়া আফরিন বলেন, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে হাসপাতালে ৫ জন রোগী আসে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষ করে  তিনজনকে মৃত ঘোষণা করি। নজরুল ইসলাম এবং সুজনের নামের দুই রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
০৪ মে, ২০২৪

হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চারজন একই পরিবারের সদস্য
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের চারজন একই পরিবারের সদস্য। আরেকজন প্রাইভেটকার চালক। গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের হরিতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের জামাল মিয়া, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ছেলে অন্তর ও ভাই গার্মেন্টসকর্মী এনামুল হক। আর প্রাইভেটকার চালক বরিশালের বাকেরগঞ্জের বড়পাশা গ্রামের ইউনুছ ব্যাপারীর ছেলে হারুন ব্যাপারী। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি বদরুল কবির বলেন, পরিবারটি ঢাকার সাভার এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করে। মাজার জিয়ারতের জন্য তারা সবাই মিলে প্রাইভেটকারে সিলেট গিয়েছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত দেড়টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুরের হরিতলা এলাকায় জামাল মিয়ারদের বহনকারী প্রাইভেটকারটির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই চালকসহ সব আরোহী নিহত হন। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার এসআই সুজন মজুমদার জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিকেলে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, জানা গেছে ট্রাকটি ওভারটেক করতে গিয়ে প্রাইভেটকারকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সবার মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন। পুলিশ চালককে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
০৩ মে, ২০২৪

তীব্র গরমে একই বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ
তীব্র দাবদাহে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। স্কুল সূত্রে জানা যায়, তীব্র গরমের মধ্যে উপজেলার তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে ক্লাস শুরু হয়। এদিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে। একপর্যায়ে ২য় ঘণ্টা চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার, সপ্তম শ্রেণির ফাহিমা আক্তার, একই সময়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে অষ্টম শ্রেণির সামিয়া সায়মা ও নবম শ্রেণির মারিয়া আক্তার। ৩য় ঘণ্টা চলাকালীন সময়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী উর্মি আক্তার, হেপি আক্তারসহ আরও একজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের অভিভাবককে ডেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মাসুদা আক্তার বলেন, ক্লাস চলাকালীন সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের অভিভাবকদের খবর দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তৃতীয় ঘণ্টা পর স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী ফরিদ আহমেদ বলেন, তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে জেনেছি। ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছি। এ ছাড়া আর কোথাও কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাইনি।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের ঢালমারা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের ঢালমারা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, বাকের উপজেলার নিয়ামমতি ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড ঢালমারা গ্রামের রিয়াজ মোল্লার স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩০), ছেলে সালমান মোল্লা (৫), মেয়ে রেজবি আক্তার (৯)। নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রিয়াজ মোল্লার ছেলে সালমান মোল্লা তাদের লেবু বাগান থেকে লেবু আনতে গিয়ে ছিঁড়ে থাকা বৈদ্যুতিক মেইন লাইনের সঙ্গে পেঁচিয়ে পরে, তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বোন রেজবি আক্তার ও মা সোনিয়া বেগম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।  শেষে স্থানীয়রা তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সাইফুর রহমান, বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একই পরিবারের চারজন নিহত
ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মালিখিল বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা পারাপারের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন, কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের দিলবর নেছা (৫৫), তার পুত্রবধূ স্ত্রী শাহীনুর আক্তার (২৪), নাতনি সায়মা আক্তার (৬) ও রাইসা আক্তার (২)। শাহীনুরের স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সোমবার রাত ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে মহাসড়কের এক পাশ থেকে আরেক পাশে যাচ্ছিলেন এক শিশুসহ তিন নারী। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একুশে পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। তাদের  উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তিন নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের সঙ্গে থাকা শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। পথে তারও মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, নিহতদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে । ঘাতক বাসটি পালিয়ে গেলেও একই কোম্পানির অন্য একটি বাস আটক করা হয়েছে।  
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

কুকুরের কামড়ে একই এলাকার শিশুসহ আহত ৪
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে একই এলাকার শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একই কুকুরের কামড়ে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের বালিনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের বালিনা গ্রামের মো. ফারুক মিয়ার ছেলে মো. আকিল (৫), একই এলাকার মৃত আবদুল বারীর ছেলে  রুহুল আমিন (৫০), মো. মনির হোসেনের মেয়ে তিশা মণি (৯) ও মো. আশিকুর রহমানের ছেলে মো. জিহাদ (১০)।   আহতদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিশা মণি নামের এক শিশুকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জলাতঙ্ক রোধে টিকা নিয়েছেন তারা।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কুকুরে কামড়ানো মো. আকিল নামের এক শিশু স্বজনসহ হাসপাতালে আসেন। তারপর এক এক করে কুকুরের কামড় খাওয়া অন্য রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। রাত নয়টা পর্যন্ত কুকুরের কামড়ের শিকার একই এলাকার ৪ রোগী চিকিৎসা নেন। আহতদের জলাতঙ্কের টিকা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কুকুরের কামড়ে আহত রুহুল আমিন বলেন, ভাতিজা আকিলকে প্রথমে পাগলা কুকুরটি কামড়ায়। আকিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা শেষে বাড়ি যাই। কিছুসময় পর ওই কুকুরটি আমাকেও কামড়ায়। আমিও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নিই। এছাড়াও কুকুরটি আমাদের এলাকার আরও দুই শিশুকেও কামড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, কুকুরের কামড়ে আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আহতদের জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা মজুদ রয়েছে। আহতদের মধ্যে গলায় কামড়ানো তিশা মণি নামের এক শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২০ এপ্রিল, ২০২৪
X