ম্যালেরিয়া বাড়ছে, মিলছে এডিস মশার লার্ভা
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে ম্যালেরিয়া। ম্যালেরিয়া আক্রান্তের তালিকায় দেশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা এ জেলার কমবেশি সব উপজেলায় রোগী থাকলেও সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী দুর্গম জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল ও বাঘাইছড়ি উপজেলায়। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া গেছে এডিস মশার লার্ভা। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭২৩ জন। যার মধ্যে জুরাছড়ি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বিগত বছরের তুলনায় ৬ শতাধিক বেশি। অন্যদিকে গত এক মাসে জেলায় ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও তারা সবাই সুস্থ হয়ে গেছেন। কিন্তু জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া গেছে এডিস মশার লার্ভা, যা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ধংস করা হয়েছে। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সবাইকে মশারি টানানোর ওপর জোর দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আর মশার সংক্রমণ প্রতিরোধে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে মশার স্প্রে করা শুরু করেছে পৌরসভা। ২০৩০ সালের মধ্যে রাঙামাটিকে ম্যালেরিয়ামুক্ত জেলা ঘোষণা করার মিশন নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করলেও পাশের দেশগুলোতে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে তেমন কার্যক্রম না থাকায় আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাচ্ছে না বলে মত স্বাস্থ্য বিভাগের। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ব্র্যাক ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ফ্রিতে মশারি প্রদান করলেও তার সময় থাকে তিন বছর। এ সময়ে মশারির কার্যকারিতা কমে আসার পাশাপাশি মশারি টানানোর বিষয়ে অনেকে আগ্রহ দেখায় না বলে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা এ বছর বেড়েছে। তবে এ বছর নতুন করে জেলায় সাড়ে ৩ লাখ মশারি বিতরণ হওয়ায় আক্রান্তের হার কমে আসবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত তনয় চাকমা জানান, আমি বিলাইছড়িতে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছি। পরে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সুস্থ আছি। রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী জানান, ম্যালেরিয়ায় দেশের মোট আক্রান্তের ২৯ শতাংশ আমাদের এ জেলায়, যার ৫১ শতাংশ জুরাছড়ি উপজেলায়। আমাদের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে বেশি ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হচ্ছে, কারণ পাশের দেশগুলোতে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। জেলায় এ বছর সাড়ে ৩ লাখ মশারি বিতরণ করা হয়েছে, প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্যকর্মীরা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি শহরের বেশকিছু স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
১৬ জুলাই, ২০২৩

সিলেট ওসমানী মেডিকেলে এডিস মশার লার্ভা
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা। গতকাল শুক্রবার ওসমানী মেডিকেলের নির্মাণাধীন ভবনের বেশ কয়েকটি জায়গায় তা পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিক এসব লার্ভা ধ্বংস করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এর আগে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। সিসিক সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে নির্মাণাধীন নতুন ভবনের নিচতলা, আন্ডারগ্রাউন্ড ও এর আশপাশের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। নির্মাণাধীন ভবনের কাজ বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ থাকায় এসব জায়গায় নির্মাণকাজে ব্যবহৃত সামগ্রীতে এডিস মশার লার্ভা মিলেছে। বর্তমানে হাসপাতালে ৯ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
০৮ জুলাই, ২০২৩
X