যারা ডিসিপ্লিন ভাঙবে, তাদের শাস্তি পেতেই হবে : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, সময়মতো তাদের কোনো না কোনো শাস্তি পেতেই হবে।  সোমবার (৬ মে) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন হুঁশিয়ারি দেন সেতুমন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের নিবৃত্ত করতে দলের সাংগঠনিক বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তারা সক্রিয় উদ্যোগে রয়েছেন। যারা ডিসিপ্লিন ভাঙবে, সময়মতো তাদের কোনো না কোনো শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের অ্যাকশন কোনো না কোনোভাবে থাকেই। ৭০ জনের বেশি সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন না দেওয়া, আগের মন্ত্রিপরিষদের ২৫ জনকে নতুন কেবিনেটে না রাখা কি এর উদাহরণ নয়? বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ১৯৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধ্বংস করেছে তারা। প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ভুয়া ভোটার, হ্যাঁ-না ভোট তো তাদেরই সৃষ্টি। গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার কাজ শেখ হাসিনাই করেছেন। বিএনপি মাগুরা মার্কা আর ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করেছে। বিএনপিরই গণতন্ত্রে কোনোদিন আগ্রহ ছিল না। গণতন্ত্রকে ম্যাচুরিটি দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।    তিনি বলেন, আমাদের সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও পাবে। বাস্তবতার কথা বিবেচনা করেই আমরা চিন্তাভাবনা করছি বিদেশি অতিথিদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মাহবুবউল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ। 
০৬ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সরে দাঁড়াতে বললেন ওবায়দুল কাদের
সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই ভোট অংশ নেওয়া মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের সরে দাঁড়াতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যারা এখনো উপজেলা ভোটে আছেন, তারা সরে দাঁড়াবেন। উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে যেটা সত্য, সেটা হলো বিএনপি নেতাদের কথা তাদের উপজেলা পর্যায়ে কেউ শুনছেন না। কাজেই অন্তঃসারশূন্য বক্তব্য বা সিদ্ধান্ত নিয়ে লাভ নেই।     বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারকে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনের জন্য নৌকা মার্কায় মনোনয়ন দেওয়া হয়। আসনটিতে দলের মনোনয়ন পেতে ফরম সংগ্রহ করেছিলেন দলের ২৫ নেতা।   এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে নায়েব আলী জোয়ার্দারকে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 
০৫ মে, ২০২৪

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রক্তে ভাসিয়ে দেবে : ওবায়দুল কাদের
বিএনপি যদি আবাও ক্ষমতায় যায় তাহলে দেশ রক্তে ভাসিয়ে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির হাতে ১৫ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে ২১ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ। তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে রক্তে ভাসিয়ে দেবে। তিনি বলেন, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে, এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আজ কতবার বাড়িয়ে (মজুরি) ১২ হাজার ৫শ টাকা করেছে। শ্রমিকের ওপর কোনো নির্যাতন নেই।  কাদের বলেন, শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলব আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছেন, ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির মধ্যে কাউকে পছন্দ না হলে বলে সরকারের এজেন্ট। এই বিএনপিকে আমরা ভাঙতে চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এত শত্রু, নিজেদের ভাঙনের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ, কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপির মুখে আন্দোলনের কথাটা শুনলে ঘোড়ারও হাসি পায়। কাদের বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন একসময় মনে করতাম বাংলাদেশ আমাদের জন্য বোঝা। বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, অগ্রগতি এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দেখতে পায়, বিএনপি কালো চশমা পরেছে, তারা দেখতে পায় না। জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন প্রমুখ।
০১ মে, ২০২৪

বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না : ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না।  রোববার (২৮ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পাকিস্তান একসময় আমাদের বোঝা ভাবত, এখন আমাদের উন্নয়নে তারা লজ্জিত। এতে রিজভীদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তাদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে। শেহবাজ শরিফ যা দেখে সেটাও দেখে না।   আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। সে সময় খুনিদের মদদ দিয়েছে জিয়া-মোশতাক চক্র। এর মধ্য দিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু। কাদের বলেন, দেশে ফিরে এসব হত্যার রাজনীতি বন্ধ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি কোন চাপে নির্বাচনে এসেছে, তা দলটিকে পরিষ্কার করতে হবে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ওবায়দুল কাদের ঘুমের মধ্যেও বিএনপি বিএনপি করতে থাকেন : সালাম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘুমের মধ্যেও বিএনপি-তারেক করতে থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদেরের কঠোর সমালোচনা করে আবদুস সালাম বলেন, ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নয়, তিনি বিএনপিবিষয়ক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন। তারেক আর বিএনপি আতঙ্কে তার ঘুমও ভেঙে যায়। ‘বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র নেই বলেই ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে’- কাদেরের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপিকে নিয়ে এমন বক্তব্য না দিয়ে আগে নিজের দলেরটা বলেন, হুমকি-ধমকি দেওয়ার পরও নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। তাদের দলেই গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশ্যে আবদুস সালাম আরও বলেন, আপনারা নির্বাচনে আসার কথা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে গিয়ে কী করবে? নির্বাচিত হলে ক্ষমতায় বসতে পারে না, চেয়ারে বসতে গেলে বরাদ্দ দেন না। নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আপনারা তো জাতীয় নির্বাচন খেয়ে ফেলছেন, স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে কী করবেন। আগে নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি ও জনগণ। বিএনপি নির্বাচনে ভয় পায় না জানিয়ে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ একটা সরকার আসুক, প্রধানমন্ত্রীকে গদি থেকে নামান। এরপর রাস্তায় এসে দেখেন একজন রিকশাওয়ালাও ভোট দেয় কি না। সাজানো নির্বাচন বন্ধ করুন। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর কতশ’ কোটি টাকা অবৈধ নির্বাচনে খরচ করেছেন তার হিসাব দিতে হবে। একটি গোষ্ঠী চায় বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগাতে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। পারভীন কাওসান মুন্নীর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আকম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ক্ষমতার জন্য বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের
ক্ষমতা পাওয়ার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।  ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতা পাওয়ার জন্য দাসত্ব করে, কিন্তু বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে কি ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?  কাদের বলেন, বিএনপির ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? এর আগে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে। 
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে : ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা; এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।  বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিএনপি রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নিজেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। তারা ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত। রোববার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দুরভিসন্ধিমূলক, কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে তিনি এই বিবৃতি দেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম জনগণের নিকট রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝাঁকুনি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অথচ বিএনপি নিজেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হাঁটায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত বিএনপি। এই ঝাঁকুনি হলো বারবার পরাজয়ের ঝাঁকুনি। তিনি বলেন, হতাশার গভীরে নিমজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতাদের বোধশক্তি লোপ পেয়েছে। দিন দিন তারা দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণকে শত্রুতে পরিণত করে চলেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রতি জনগণের কোনো আগ্রহ নেই বরং বিএনপির প্রতি তাদের এক ধরনের ঘৃণা রয়েছে। যে কারণে জনগণ বারবার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির নেতারা তাদের দুঃশাসনের দুর্বিষহ দিনগুলোতে জনগণকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রগতি ও ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ ও দেশের জনগণকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যা দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হয়। বিভিন্ন সময় বিএনপি ও তার দোসরদের যৌথ উদ্যোগে প্রযোজিত ও পরিচালিত সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে এবং দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে উসকানি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের অর্জনগুলো নাকি বর্তমান সরকার ধ্বংস করেছে! অথচ অন্ধকারের অপশক্তি ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রতিভূ সন্ত্রাসী দল বিএনপি দেশের অগ্রগতি ও জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কী ভূমিকা রেখেছে? বরং দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে হত্যা, গুম ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির প্রচলন করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান।  তিনি বলেন, অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে মিলিটারি ডিক্টেটর জিয়াউর রহমান বিরোধী দল ও মত দমনে ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করেছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।  ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে তো ওঠেইনি, বরং তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করেছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিয়ে সেগুলোকে যেন বিএনপির কার্যালয় ও হাওয়া ভবনের সঙ্গে অঙ্গীভূত করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। এগুলোই বিএনপির অর্জন, যা জনগণ বর্জন করে আসছে। জনগণ দ্বারা বর্জিত বিএনপি কখনোই ইতিবাচক কিছু অর্জন করতে পারবে না। তিনি বলেন, দেশের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে বরাবরের মতো শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও সুদৃঢ় নেতৃত্বে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। জনগণ চেয়েছে বলেই আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসেছে।  ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের স্বার্থ আর জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর সরকার যে জনগণের সেবক বাংলাদেশে এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক সংগঠন। তাই যে অপশক্তি দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতিপক্ষ বা শত্রু হিসেবে গণ্য হবে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

মোটরসাইকেল সড়কের বড় উপদ্রব : ওবায়দুল কাদের
বর্তমানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। এটা এখন সড়কের বড় উপদ্রব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে সমন্বয়ের সমস্যা এখনো আছে। এটি একটি বড় সমস্যা। এখানে বিভিন্ন রকমের স্টেকহোল্ডার আছে। এদের সকলের সমন্বয়টা জরুরি। আমরা এ নিয়ে সভা করেছি, সামনে উপদেষ্টা কাউন্সিলের বৈঠক করব। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, মন্ত্রী-এমপির নিকটজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। ভবিষ্যতে যারা করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ : ওবায়দুল কাদের
উপজেলা নির্বাচন চলাকালীন আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, মন্ত্রী-এমপির নিকটজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। ভবিষ্যতে যারা করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।  সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
২০ এপ্রিল, ২০২৪
X