সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়ের শঙ্কা
দেশের সব বিভাগের ওপর দিয়ে বজ্রঝড়, কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কায় আরও তিন দিনের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার (০৮ মে) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছেন, আজ বিকেল ৪টা থেকে শনিবার (১১ মে) বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। এ সময় কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এর আগে অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, আজ বুধবার রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
০৮ মে, ২০২৪

সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস
গত দুদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যেই আরও তিন দিনের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার (৮ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত কালবৈশাখীর সতর্কবাতায় এ তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। এ সময় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়।   এদিকে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায়য় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।   এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

কালবৈশাখী ঝড়ে দেয়ালচাপায় দুই নিরাপত্তাকর্মী নিহত
ঢাকার ধামরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের দেয়ালচাপায় দুই নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। সোমবার (৬ মে) বিকালে ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন সিকদার কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন নওগাঁ জেলার মান্দা থানার কুরুগ্রামের আনিছুর রহমান ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানার শাহারুল আলম। তারা ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের এসএস এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের নিরাপত্তাকর্মী। এর আগে রোববার (৫ মে) দিবাগত রাতে আহত চারজনকে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এসআই বলেন, আহতদের সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজন মারা যান। আহতরা চিকিৎসাধীন আছেন।। বিষয়টি সাভার থানার পুলিশ দেখছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বলেন, রোববার মধ্যরাতে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ সময় ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে এসএস এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের ভেতরের একটি কক্ষে সাতজন নিরাপত্তাকর্মী অবস্থান করছিলেন। প্রবল কালবৈশাখী ঝড়ে প্রথমে ওই কক্ষের চালা উড়ে ও দেয়ালধসে নিরাপত্তাকর্মীদের ওপরে পড়ে। এতে পাঁচজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।  তিনি বলেন, আহতদের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ডিউটি ইনচার্জ মো. ইউসুফ আলী বলেন, রাতে আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। বাকি দুজনের চিকিৎসা চলছে।
০৬ মে, ২০২৪

সারা দেশে তীব্র কালবৈশাখীর শঙ্কা
দেশের আট বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (৫ মে) বিকেলে কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আজ বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। এসময় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারেও বলে জানানো হয়েছে। এদিকে আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে দেশের ৭টি বিভাগের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল সোমবারের (৬ মে) ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বলা হয়েছে, এদিন ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার (৮ মে) সকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচদিনে সারা দেশে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়।
০৫ মে, ২০২৪

কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরচাপায় ৫ বছরের ছেলেসহ অন্তঃসত্ত্বা মায়ের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মা ও তার ৫ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ামতপুর ইউনিয়নের হাজীপাড়া ঘোনার বাড়ি গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন, কৃষক আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রূপ তারা (৪৫) ও তার শিশু সন্তান তাইজুল (৫)। জানা যায়, রাতে ঝড়বৃষ্টির সময় শিশুসন্তান নিয়ে ঘরে শুয়েছিলেন অন্তঃসত্ত্বা রূপ তারা। এ সময় ঘরের উপরে থাকা একটি রঙিলা গাছ ঝড়ে উপড়ে ঘরের ওপর পড়ে যায়। ঘরের নিচে চাপা পড়েন রূপ তারা ও তার শিশুসন্তান তাইজুল। ঘটনাস্থলে তাইজুলের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আহত রূপ তারাকে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
০৫ মে, ২০২৪

কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড সহস্রাধিক বসতবাড়ি
বান্দরবানের লামায় আঘাত হানে কালবৈশাখী ঝড়। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত সাড়ে ৩টায় ঘণ্টাব্যাপী আঘাত হানা ঝড়ে কমপক্ষে সহস্রাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। রাস্তার পাশে গাছ ভেঙে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে ৩০টির ওপর বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও অসংখ্য স্থানে তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপজেলার বিভিন্নস্থানে রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। স্থানীয় লোকজন, বিদ্যুৎ অফিস ও সড়ক- জনপদ বিভাগ কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক করলেও বিদ্যুৎ সচল হতে আরও দু-একদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছে পিডিবি লামার আবাসিক প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন। জানা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে সব এলাকায় কমবেশি বিধ্বস্ত হয়েছে। সবকয়টি ইউনিয়নে ছোটবড় বহুঘর আংশিক ভেঙে গেছে। এ ছাড়া রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বৈদ্যভিটা এলাকায় বজ্রপাতে এক কৃষকের ৫টি ছাগল ও পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকায় রমজান আলী মেম্বারের খামারে ঘর চাপা পড়ে ছাগল মারা গেছে। রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, গতরাতের কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বৈদ্যভিটা ও পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকার ৬টি ছাগল মারা গেছে। গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সকাল থেকে স্থানীয় লোকজন নিয়ে গাছ কেটে যোগাযোগ স্বাভাবিক করেছি। কমবেশি সব মানুষের ক্ষতি হয়েছে। যাদের বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে তাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ  হতে সহায়তা করা হবে।     লামা পৌরসভার হরিণঝিরি এলাকার হাবীব বলেন, আমাদের ৯নং ওয়ার্ডের কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কয়েকটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত করছি। তালিকা লামা ইউএনওর সুপারিশ নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে ক্ষতি বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। লামা ইউএনও মোহাম্মদ  কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কালবৈশাখী বাতাসের প্রবল ঘূর্ণিপাকের কারণে সব কয়টি ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েকটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিলে সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে।
০৩ মে, ২০২৪

তীব্র কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড়ের দুঃসংবাদ
তীব্র তাপপ্রবাহে শেষ হয়েছে এপ্রিল। এ সময় এক পশলা বৃষ্টির জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছেন দেশবাসী। যার যার ধর্মমত, বিশ্বাস ও সংস্কৃতি অনুসারে অনেকেই করেছেন উপাসনা, আচার-অনুষ্ঠান পালন। তবে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মেলেনি। সদ্য শুরু হওয়া মে মাসেও তাপপ্রবাহের ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। যদিও তাপপ্রবাহের পাশাপাশি বজ্র ও শিলাবৃষ্টির সঙ্গে তীব্র কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রয়েছে ঘূর্ণিঝড়েরও আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত একমাস মেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।  পূর্বাভাসে বলা হয়, মে মাসজুড়ে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে এ মাসে দেশে তিন থেকে পাঁচ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় এবং দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। একইসঙ্গে মে মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে যার মধ্যে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে ঝড়বৃষ্টি হলেও মাসজুড়ে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু (৩৬-৩৮°সে.) বা মাঝারি (৩৮-৪০°সে.) এবং এক থেকে দুটি তীব্র (৪২°সে.) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। এ ছাড়া দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চালের নদীগুলোর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে। এদিকে, মাসের শুরুতেই উজানসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার সতর্কতা জারি করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)। এ সময় বন্যা মোকাবিলায় কিছু সুপারিশও করেছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পরিচালিত এফএফডব্লিউসি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছে। সতর্কতা সংকেতে বলা হয়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে। নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর নদীর তীরে পানি ওঠায় দ্রুতই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এসব এলাকার বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং সম্ভাব্য সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
০২ মে, ২০২৪

কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়িঘর লন্ডভন্ড
কক্সবাজারের পেকুয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ১৫টি বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোরে উপজেলার উজানটিয়া ও মগনামা শীলখালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।  জানা যায়, ঝড়ে উজানটিয়া ইউনিয়নের মালেকপাড়া, ফেরাসিঙ্গা পাড়া, ষাড়ধুনিয়া পাড়া, বাজার পাড়া, শীলখালী, মগনামা ইউনিয়নের কালার পাড়াসহ আরও কয়েকটি এলাকা বিধ্বস্ত হয়ে যায়। তাছাড়া উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও ছোটবড় বহু ঘর আংশিক ভেঙে গেছে। এ ছাড়া রাজাখালী ও মগনামায় বজ্রপাতে ২ লবণ চাষি নিহত হয়েছেন। উজানটিয়ার বাসিন্দা কক্সবাজার জজ কোর্টের আইনজীবী মীর মোশাররফ হোসেন টিটু বলেন, আমাদের ৮নং ওয়ার্ডের মালেকপাড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কয়েকটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।  উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম বলেন, আমার ইউনিয়নে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে আঘাতে ১০টি বাড়িঘর ভেঙে যায়। যেখানে ৫টি বাড়িঘর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায় বলে তিনি দাবি করেন। এমনকি বেশকিছু দোকান-ঘরও ভেঙে যায়।  শীলখালী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে ছোটবড় ৩-৪টি ঘর আংশিক ভেঙে গেছে।   মগনামা ইউিপ সদস্যরা বলেন, আমাদের ইউনিয়নেও ৬-৭টি কৃষকের বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এদিকে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকানো খাবার বিতরণ করছি। এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বাতাসের প্রবল ঘূর্ণিপাকের কারণে সব কয়টি ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যানরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিলে সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে বজ্রপাতে নিহত দুই লবণ চাষির পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
০২ মে, ২০২৪

কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকশতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে, বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে হঠাৎ মৌলভীবাজার জেলা দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। এতে জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-বাঁশ ঘরের ওপরে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল শহরে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সড়কে গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। শহরের বিভিন্ন দোকানের চাল উড়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য বড় বড় গাছ। শ্রীমঙ্গল শহরের বাসিন্দা মামুন আহমদ বলেন, হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড় আসে। এতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় শ্রীমঙ্গল শহর। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েকশত গাছ ভেঙে পড়েছে। ঘরবাড়িসহ দোকানের টিন উড়ে গেছে। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সদর দপ্তর মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, শনিবার রাতের ঝড়ে বড়লেখা উপজেলায় প্রায় ২০টি খুটি ভেঙ্গেছে অথবা পড়ে গেছে। শাহবাজপুর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। অন্যান্য এলাকায় ক্রমান্বয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বিকেলে শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বর্তমানে এ দুই উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। ঠিকাদারসহ আলোর গেরিলা টিম লাইন পুনঃস্থাপনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। সবাইকে আরেকটু ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছি।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

৪৩ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে কালবৈশাখী
এই এপ্রিল মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল বাংলাদেশে। অপরদিকে ৪৩ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে কালবৈশাখী। এই দাবদাহে ৪৩ বছরের মধ্যে চলতি মাসে সবচেয়ে কম কালবৈশাখী হয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে বজ্রঝড় হয়েছিল ৭টি। ২০২২ ও ২০২১ সালে হয় যথাক্রমে ৯টি ও ৮টি। আর এ বছর মাত্র একটি। শনিবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি। এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। এবার ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে গেল।’ এই তাপপ্রবাহের মাসে বজ্রঝড় বা কালবৈশাখীর সংখ্যা গেছে কমে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি ১৯৮১ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের উপাত্ত তুলে ধরেছেন তার গবেষণায়। এই ৪৩ বছরে এপ্রিল মাসে ৩৬৫টি বড় বজ্রঝড় হয়। সবচেয়ে বেশি ঝড় হয়েছিল ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে, ১৪টি। আর ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে সবচেয়ে কম ৪টি করে ঝড় হয় এপ্রিলে।  গত বছরের এপ্রিলে বজ্রঝড় হয়েছিল ৭টি। ২০২২-২১ সালে হয় যথাক্রমে ৯টি ও ৮টি। আর এ বছর মাত্র একটি। দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এর পর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র একটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটিও অস্বাভাবিক।  এপ্রিল মাসে ঝড় কমে যাওয়ায় অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহকেই কারণ মনে করেন বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম। তিনি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, তাপমাত্রা বৈশ্বিকভাবে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এ বছরের এপ্রিল ভারতে ১২২ বছরের মধ্যে ছিল সবচেয়ে বেশি উষ্ণ। আমাদের যে বায়ুপ্রবাহ তার সঙ্গে সীমান্তসংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উডিষ্যার সম্পর্ক আছে। এ সময় এসব অঞ্চলে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প বজ্র মেঘের সৃষ্টি করে। কিন্তু এবার ভারতের ওই সব অঞ্চলেও প্রচণ্ড গরম পড়েছে। আর্দ্রতাপূর্ণ জলীয় বাষ্প জড়ো হয়ে বজ্র মেঘ সৃষ্টি করেনি। তাতেই এ বিড়ম্বনা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এ অবস্থা দেখছি আমরা।  
২৭ এপ্রিল, ২০২৪
X