শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
পিরোজপুরের নদীতে ঘুরছে সুন্দরবনের কুমির
দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের নদ-নদীতে অবমুক্ত করা কুমিরের অবস্থান জানতে মোট চারটি কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট বসিয়ে গত ১৩ মার্চ বন সংলগ্ন নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্রের জুলিয়েট, যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা মধু এবং সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা দুটি কুমির রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কুমির সুন্দরবনের নদীতে ঘুরে বেড়ালেও একটি চলে গেছে পিরোজপুরে। বন বিভাগের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গতিপথ পর্যালোচনায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সুন্দরবনের করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, বিশেষজ্ঞ টিম গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখেছে, জুলিয়েট, মধু ও আরেকটি ট্যাগধারী কুমির সুন্দরবনের মধ্যে আছে। কিন্তু একটি অন্য পথে চলে গেছে। গত ১ মার্চ ওই কুমিরটিকে সুন্দরবনের জোংরা খাল থেকে ধরা হয়েছিল। শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দিলে প্রথমে লোকালয়ের দিকে ছুটতে শুরু করে কুমিরটি। তবে গত কয়েক দিনের গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্ট থেকে মোংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলায় পৌঁছেছে। স্যাটেলাইট তথ্য বলছে, বর্তমানে বাকি তিনটি কুমিরের অবস্থান সুন্দরবনের নদী ও খালে। এর মধ্যে জুলিয়েট ও মধু হারবাড়িয়া পয়েন্টের কাছাকাছি নদীতে অবস্থান করছে গত কয়েকদিন ধরে। অন্যটি ঘুরে বেড়াচ্ছে করমজলের আশপাশের খালে।
২৮ মার্চ, ২০২৪

স্যাটেলাইট বসানো সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরের নদীতে
সুন্দরবনের চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পরে তিনটি সুন্দরবনে থাকলেও একটি বরিশাল বিভাগের পিরোজপুরের নদীতে ঘোরাফেরা করছে। বুধবার (২৭ মার্চ) করমজল বণ্যপ্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, বিশ্বে বিভিন্ন প্রাণি নিয়ে গবেষণা করা হলেও বাংলাদেশে এই প্রথম ১৩ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ চারটি কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবন এলাকায় থাকলেও একটি কুমির বন ছেড়ে মোংলা, বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ হয়ে এখন পিরোজপুরে ঢুকে পড়েছে। আজাদ কবির বলেন, সুন্দরবনের চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পরে দেখা যাচ্ছে, এর তিনটি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি কুমির এখন বরিশাল বিভাগের পিরোজপুরে ঘোরাফেরা করছে। মাত্র এগারো দিনে প্রায় একশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি। গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, কুমিরটি বুধবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে। স্যাটেলাইট তথ্য বলছে, এর মধ্যে জুলিয়েট ও মধু ট্যাগধারী কুমির দুটি হারবাড়িয়া পয়েন্টের কাছাকাছি নদীতে রয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। আর অন্য যে কুমিরটিকে করমজল থেকে ধরে ট্যাগ বসিয়ে সেখানকার খালে ছাড়া হয়েছিল সেটি এখন আশপাশের খালেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।
২৭ মার্চ, ২০২৪

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
সুন্দরবনের লোনা পানির চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পরে দেখা যাচ্ছে, এর তিনটি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি বহু পথ ঘুরে এখন বরিশাল বিভাগের জেলা পিরোজপুরে ঘোরাফেরা করছে। কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের বিশাল এলাকায় চলে যায়। তবে একটি কুমির বন ছেড়ে মংলা, বাগেরহাট, মোড়েলগন্জ হয়ে এখন পিরোজপুরে ঢুকে পড়েছে। মাত্র এগারো দিনে প্রায় একশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি। গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে কুমিরটি বুধবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশা, নির্দিষ্ট সময় পর হয়তো আবারো সুন্দরবনে ফিরে আসতে পারে কুমিরটি। তবে আপাতত সে তার নিজের জন্য নিরাপদ পরিবেশ খুঁজছে। গত ১৬ মার্চ স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে কুমিরটি অবমুক্ত করা হয়েছিলো সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে। এরপর এটি মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে পিরোজপুরে ঢুকেছে। বন বিভাগ বলছে, এই গবেষণার মাধ্যমে সুন্দরবনের কুমিরের চলাচল ও গতিপথ সম্পর্কে তারা জানতে চায়। বন সংরক্ষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “আমরা মূলত এই গবেষণার মাধ্যমে তাদের আচরণ ও বসবাসের পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করেছি। যে কুমিরটি বনের বাইরে গেছে সে হয়তো তার বসবাসের জন্য সুবিধাজনক জায়গা খুঁজছে”। কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌথভাবে করছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিআইজেড)। আইইউসিএন এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, “সুন্দরবনের কুমির কোথায়, কিভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে বিস্তারিত কোন গবেষণা হয় নি। সে কারণেই স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে এই গবেষণাটি করা হচ্ছে”। বিশ্বে পাখি, কচ্ছপ, নেকড়েসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে তাদের আচরণ নিয়ে গবেষণার নজীর রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কুমির নিয়ে এভাবে গবেষণা এই প্রথম করা হচ্ছে। যেভাবে শুরু হলো গবেষণাটি গত ১৩ থেকে ১৬ই মার্চের মধ্যে মোট চারটি লোনা পানির কুমিরে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়। এই চারটি কুমিরের মধ্যে দুটি পুরুষ এবং দুইটি স্ত্রী কুমির। এদের মধ্যে পুরুষ কুমির জুলিয়েট সুন্দরবনের করমজলে অবস্থিত দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরে ছিল। আর স্ত্রী কুমির মধুকে সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ির মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বাকি দুটি কুমির ফাঁদ পেতে ধরা হয় সুন্দরবনের খাল থেকে। এই মোট চারটি কুমিরে স্যাটেলাইট ট্যাগ স্থাপন করে ছেড়ে দেওয়া হয় সুন্দরবনের খালে। এই কাজের জন্য আইইউসিএন বাংলাদেশ নিয়ে আসে কুমির গবেষক ড. সামারাভিরা ও পল বেরিকে। তারা দু জন অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছিলেন। আইইউসিএন এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই গবেষক টিমের পরিকল্পনা ছিল মোট পাঁচটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো। সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করি আমরা”। তবে শেষ পর্যন্ত একটি বাদে মোট চারটি কুমিরের গায়ে বসানো হয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার। কুমিরে কিভাবে বসানো হল স্যাটেলাইট ট্যাগ? গত ১৩ মার্চ সুন্দরবনের করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে বাছাই করা হয় জুলিয়েটকে নামের একটি কুমিরকে। সকালেই সেটির শরীরে ট্যাগ বসানোর কাজ শুরু হয়। ট্যাগ বসানো শেষে ওই কুমিরটিকে ছেড়ে দেওয়া হয় সুন্দরবনের করমজলের খালে। যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা ‘মধু’ নামের আরেকটি কুমির আনা হয়েছিলো আগে থেকেই। একই দিন সেটিতেও স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো হয়। পরে সেটিকেও ছাড়া হয় একই খালে। ওই গবেষক দল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইল্ড লাইফ কম্পিউটার নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার কিটটি। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি পানির নিচে গেলেও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কুমিরের গায়ে বসানো এই ট্রান্সমিটার কিটটির মেয়াদ এক বছর। ব্যাটারি চালিত এই যন্ত্রে থাকে একটি ক্ষুদ্র অ্যান্টেনা। যেটি সরাসরি যুক্ত থাকে স্যাটেলাইটের সাথে। ট্যাগ লাগানোর পরই চালু হয়ে যায় এর লোকেশন অপশন। সেটি প্রতি ঘণ্টার আপডেট তথ্য ম্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করে। গবেষক দলের সদস্য মি. দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই কিটটির মেয়াদ এক বছর হলেও এটি চাইলে আরও বাড়ানো যাবে”। এর পরের দুই দিন রাতের অন্ধকারে সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা হয় আরো দু’টি কুমির। সেই দুটির গায়েও একইভাবে বসানো হয় এই স্যাটেলাইট ট্যাগ। কুমিরের মাথার ওপরের অংশে আঁশের মতো যে স্কেল থাকে। ওই স্যাটেলাইট ট্যাগটি বসানোর জন্য সেখানে ছোট একটা ছিদ্র করতে হয়। ওই ছিদ্রের মধ্যেই বসানো হয় এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারটি। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই ট্রান্সমিটার চিপটি খুব হালকা। যার ওজন দুই গ্রামেরও কম। যেটি একটি কুমিরের শরীরের ওজনের চেয়েও কয়েকগুণ কম। এই ধরনের চিপ বসানো হলে তাতে কুমিরের কোন ক্ষতি হয় না”। ট্যাগ বসানো কুমিরগুলো এখন কোথায়? কুমির প্রজনন কেন্দ্রের জুলিয়েট, যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা মধু এবং সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা আরও দুটি কুমিরের গতিপথ পর্যালোচনা করা হচ্ছে ওই দিন থেকেই। এই গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এর মধ্যে তিনটি কুমিরই আছে সুন্দরবনের মধ্যে। কিন্তু একটি কুমির অন্য পথে চলতে শুরু করেছে। ১৬ই মার্চ যে কুমিরটিকে সুন্দরবনের জংলা খাল থেকে ধরে গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়, এর পরদিন থেকেই ওই কুমিরটি সুন্দরবন ছেড়ে ছুটছে লোকালয়ের দিকে। গত দশদিনে কুমিরটির গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এই কুমিরটি সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্ট থেকে মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলায় পৌঁছেছে। স্যাটেলাইট তথ্য বলছে, বর্তমানে বাকি তিনটি কুমিরই এখন অবস্থান করছে সুন্দরবনের মধ্যে নদী ও খালে। এর মধ্যে জুলিয়েট ও মধু ট্যাগধারী কুমির দুটি হারবাড়িয়া পয়েন্টের কাছাকাছি নদীতে রয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। আর অন্য যে কুমিরটিকে করমজল থেকে ধরে ট্যাগ বসিয়ে সেখানকার খালে ছাড়া হয়েছিলো। সেটি এখন আশপাশের খালেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনটি কুমির সুন্দরবনের মধ্যে থাকলেও একটি কেন এত পথ পাড়ি দিয়ে লোকালয়ের নদীগুলোতে ঢুকে পড়েছে সেটি নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন আছে গবেষক দলেরও। গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বলছেন, “লোনা পানির কুমিরগুলো আসলে কোন কোন দিকে মুভ করে সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য আমাদের এক গবেষণার ধারণাকে স্পষ্ট করছে”। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিচের দিকে সমুদ্রের কাছে নদীতেও অনেক স্যালাইন থাকে। আবার কোন কুমির যদি কম লবণাক্ততা পছন্দ করে, সে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে আশপাশের নদী খালগুলোতে যায়। বিশেষজ্ঞ মি. আহমেদ বলেন, “ওই এলাকার পানিতে লবণাক্ততা কম বলে হয়তো সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। কিংবা সে যা খায় সেগুলো হয়তো সে বেশি পাচ্ছে সে কারণে কুমিরটি ওদিকে অগ্রসর হচ্ছে”। কুমির নিয়ে এ ধরনের গবেষণা কেন? বর্তমানে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবন এলাকাতেই প্রাকৃতিক পরিবেশে লোনা পানির কুমির দেখা যায়। তারপরও এই পরিবেশে লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন খুব একটা হচ্ছে না। আইইউসিএন’র গবেষক দলটি বলছে, কুমির নিয়ে এর আগে কিছু গবেষণা হলেও বিশদ কোন কাজ হয়নি। এ কারণেই কুমিরের অভ্যাস আচরণ জানার জন্য এই গবেষণাটি করা হচ্ছে। আইইউসিএন’র গবেষক মি. দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, “কুমির কোন অঞ্চলে ডিম পারে, কোন অঞ্চলে স্ত্রী-পুরুষের সংখ্যা কেমন সেটা জানার জন্য এমন গবেষণার পরিকল্পনা অনেক দিন আগে থেকেই ছিলও। এবার প্রথমবারের মতো যেটি শুরু হলো। বিশেষজ্ঞ ও বন কর্মকর্তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা লবনক্ততা বাড়া-কমার কারণেও জীবন জীবিকায় এক ধরণের প্রভাব পড়ছে। হুমকির মুখে পড়ছে এই বন্যপ্রাণীটি। কুমিরগুলোকে বাঁচাতে তাই এই ধরণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। জিআইজেড এর ‘ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অব সুন্দরবন ম্যানগ্রোভস অ্যান্ড দ্যা মেরিন প্রোটেকটেড এরিয়া সোয়াস অব নো গ্রাউন্ড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এই গবেষণাটি চলছে। বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এখন যেভাবে লোনা পানির কুমির নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এই গবেষণা ফলপ্রসূ হলে মিঠা পানির কুমির নিয়েও এভাবে গবেষণা করা দরকার বলে মনে করি আমরা”। সংবাদটি বিবিস বাংলার সৌজন্যে কালবেলার পাঠকের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো।
২৭ মার্চ, ২০২৪

বাড়িতে পুষতেন ৩৪০ কেজির কুমির, সাঁতার কাটতে দিতেন শিশুদের
মানুষ শখ করে অনেক প্রাণীই পোষে। সাধারণত মানুষের পোষা প্রাণীর এই তালিকায় কুকুর, বিড়াল কিংবা পাখির নামই থাকে। তবে এই ব্যক্তির প্রাণিপ্রীতি সবার থেকে আলাদা। তিনি বাড়িতে কুমির পুষেছেন। তা-ও যেই-সেই কুমির নয়। তার পোষা কুমিরের ওজন ৩৪০ কেজি। ১১ ফুট লম্বা কুমিরটির বয়স প্রায় ৩০ বছর। শুধু তাই নয় সে কুমিরের সঙ্গে পাড়ার শিশুদের সাঁতার পর্যন্ত কাটতে দিতেন তিনি। এনিডিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুমিরটির নাম আলবার্ট। এর মালিকের নাম টনি ক্যাভালারো। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দা। গত ১৩ মার্চ অবৈধভাবে কুমিরটি বাড়িতে রাখার জন্য সেটিকে জব্দ করেছে মার্কিন পরিবেশ সংরক্ষণ পুলিশ। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলবার্টকে রাখতে বাড়িতে আলাদা একটি জায়গা করেন টনি। সেখানে প্রায় ৩০ বছর বয়সী কুমিরটির জন্য একটি সুইমিং পুল নির্মাণ করেন তিনি। পুলিশ কুমিরটি নিয়ে যাওয়ার পর টনি বলেন, ‘আমি অ্যালবার্টের বাবা। সে সবার কাছে পরিবারের একজন সদস্যের মতো ছিল।’ তিনি আরও জানান, অ্যালবার্টের মালিকানার লাইসেন্সের মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়ে যায়। তিনি এটি নবায়ন করতে পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগে আবেদন করলেও লাইসেন্স পাননি। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বাড়িতে কুমির রাখা বেআইনি। এমনকি মালিক যথাযথভাবে লাইসেন্স নিলেও কুমিরের সঙ্গে জনসাধারণের সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুমিরটির সঙ্গে সাঁতার কাটতে পাড়ার শিশুদের দাওয়াত দিতেন টনি। এ ছাড়া তিনি অন্য মানুষদেরও এর সঙ্গে সাঁতার কাটতে দিতেন। কর্মকর্তারা বলছেন, আলবার্টের বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জটিলতা ছিল। যেমন কুমিরটি দুচোখে দেখতে পেত না। এর মেরুদণ্ডে জটিলতা ছিল। তবে কুমিরটি ফিরে পেতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন টনি। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি অনলাইন পিটিশন করেছেন তিনি। এ ছাড়া প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকেও তিনি ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমেও তার পক্ষে জনমত জোরাল হচ্ছে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

বিচিত্র / ৫০০ বছর ধরে গির্জার সিলিংয়ে ঝুলছে কুমির
আপনি যখন কোনো গির্জায় প্রার্থনার জন্য বা পরিদর্শনে যাবেন, কী দেখার প্রত্যাশা করবেন? এর উত্তর ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হবে। তাই বলে সেখানে শত শত বছর ধরে কোনো একটি কুমিরকে ঝুলিয়ে রাখা হোক, তা নিশ্চয়ই হবে না। তবে এমন একটি গির্জা আছে ইতালিতে, যেটির সিলিংয়ে ৫০০ বছর ধরে একটি কুমিরকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আর এ কারণেই এ প্রার্থনালয়টি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। এটি ইতালির লম্বার্ডিয়া অঞ্চলে কার্টাটোন পৌরসভায় অবস্থিত। এর নাম দ্য সান্টুয়ারিও ডেলা বিটা ভার্জিন মারিয়া ডেলে গ্রেজি। এ গির্জায় ঝুলিয়ে রাখা কুমিরটি বাস্তব। একে ট্যাক্সিডার্মিড (প্রদর্শনীর জন্য সংরক্ষণ) করা হয়েছে। কাজটি কেন করা হয়েছিল, তাও জানা যায়নি। প্রাচীনকালে খ্রিষ্টধর্মে সরীসৃপ প্রাণীদের মধ্যে সাপ, ড্রাগন, কুমিরের মতো প্রাণী অশুভ হিসেবে গণ্য করা হতো। এগুলো সাধারণ মানুষ পাপের দিকে নিয়ে যেত বলে ধারণা করা হতো। তাই খারাপের ওপর ভালোর জয়ের প্রতীক হিসেবে এমনটি করা হয়েছিল। প্রচলিত আছে, এর সঙ্গে দুই ভাইয়ের সম্পর্ক রয়েছে। তারা ওই প্রাণীটির সঙ্গে লড়াই করে হত্যার পর এখানে এনে ঝুলিয়ে রাখে। যেটি একটি চিড়িয়াখানা থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া আরও অনেক জনশ্রুতি রয়েছে। যা হোক, এটির কারণে গির্জাটি দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সূত্র: অডিটিসেন্ট্রাল
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পুকুরে অবরুদ্ধ কুমির ৩৫ বছর পর উদ্ধার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুকুরে অবরুদ্ধ এক কুমির ৩৫ বছর পর উদ্ধার হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা চরহাজারী গ্রামের কুমির আলা বাড়ির পুকুর থেকে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের একটি দল কুমিরটি উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩৫ বছর এ পুকুরে অবৈধভাবে অবরুদ্ধ ছিল লোনা পানির এ কুমির। ওই কুমিরের নাম অনুসারে বাড়িটি পরিচিতি লাভ করে কুমির আলা বাড়ি হিসেবে। বছর খানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের। এরপর ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিট। বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, উদ্ধার কুমিরটি ৫০ বছর বয়সী, এর ওজন প্রায় একশ কেজি। এখান থেকে কুমিরটি চট্টগ্রামের সাফারি পার্কে নিয়ে চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করা হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পুকুর থেকে উদ্ধার হলো ৩৫ বছরের অবরুদ্ধ কুমির
দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে লোনা পানির কুমির পুকুরে অবরুদ্ধ থাকলেও নজরে আসেনি বন বিভাগের। অবশেষে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) উদ্ধার হয় কুমিরটি।  আজ দুপুর ২ টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চরহাজারী ইউনিয়নের ৩নাম্বার ওয়ার্ডের চরহাজারী গ্রামের কুমির আলা বাড়ির পুকুর থেকে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের একটি দল কুমিরটি উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩৫ বছর উপজেলার চরহাজারী গ্রামের কুমির আলা বাড়ির পুকুরে অবৈধভাবে অবরুদ্ধ ছিল লোনা পানির এ কুমির। ওই কুমিরের নাম অনুসারে বাড়িটি পরিচিতি লাভ করে কুমির আলা বাড়ি হিসেবে। বছর খানেক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের  মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের। এরপর দুপুরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিট। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে কুমিরটি উদ্ধার করে নোয়াখালী উপকূলীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় নিয়ে আসা হয়। স্থানীয়দের মধ্যে জনশ্রুতি রয়েছে অনেক মানুষ উদ্দেশ্য পূরণে মানত করে এ কুমিরকে খাবার দিত।   বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি আমরা অবগত হই। উদ্ধারকৃত কুমিরটি পঞ্চাশ বছর বয়সী এর ওজন প্রায় ১'শ কেজি। এখান থেকে কুমিরটি চট্রগ্রামের সাফারি পার্কে নিয়ে চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করা হবে।   এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালীর উপকূলীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ,বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা প্রমুখ।  
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বন্যায় ডুবল উড়োজাহাজ, শহরে সাঁতার কাটছে কুমির
অস্ট্রেলিয়ার উত্তর কুইন্সল্যান্ডে আকস্মিক বন্যায় হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো বহু মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, কুইন্সল্যান্ডের ইতিহাসে এবারের বন্যা সবচেয়ে ভয়াবহ। গত সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় জাসপার অস্ট্রেলিয়ায় আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় জাসপারের কারণে সৃষ্টি ভারী বৃষ্টিপাতে এই ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে উত্তর কুইন্সল্যান্ড অঞ্চলে এক বছরের সমান বৃষ্টি হয়েছে। পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত কেয়ার্নস শহরে দুই মিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে প্রায় দেড় লাখ মানুষের এই শহরের রাস্তাঘাট, মহাসড়ক তলিয়ে গেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বিবিসির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কেয়ার্নস শহরের বিমানবন্দরে পার্ক করে রাখা উড়োজাহাজগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। ফ্লাইট ওঠানামা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। শহরের মাঝখানে কুমির সাঁতার কাটছে। মানুষ নৌকায় করে নিরাপদে সরে যাচ্ছেন। তবে ভয়াবহ এই বন্যায় এখনো কোনো হতাহতের খবর আসেনি। কুইন্সল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী স্টিভেন মাইলস এবিসি নিউজকে বলেছেন, এমন ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় তিনি কখনো দেখেননি। তিনি বলেন, কেয়ার্ন শহরের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে আমি আলাপ করেছি। তারা বলেছেন যে তারাও এ রকম কিছু আগে দেখেননি। কুইন্সল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, তাদের কাছে থাকা সব নৌকায় করে বন্যাদুর্গত মানুষকে উদ্ধার করছেন। বিশেষ করে নিজের চেষ্টায় যারা পানিবন্দি অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পারছেন না তাদের এসব নৌকায় উদ্ধার করা হবে।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

বগুড়া-৫ : মজনু যেন ‘টাকার কুমির ’
বগুড়া-৫ (শেরপুর ও ধুনট উপজেলা) আসনের প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজনু। ২০১৩ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৫২ লাখ ১৪ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে তা বেড়ে কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এক দশকের ব্যবধানেই মজনুর আয় দ্বিগুণ বেড়েছে সম্পদ। যেন এক ‘টাকার কুমির’ বনে গেছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের দাখিল করা ২০১৩ ও ২০২৩ সালে হলফ নামা ঘেঁটে দেখা গেছে, টাকাসহ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১১ গুণ। পেশায় ব্যবসায়ী মজনুর ২০১৩ সালে আয় ছিল ৫২ লাখ ১৪ হাজার টাকা। তখন সাড়ে ১৬ লাখ টাকা এবং আরও ৫১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রসহ তিনি মোট ৭১ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিক ছিলেন।   তবে ২০২৩ সালে তার বার্ষিক আয় কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। একইভাবে টাকা ও সঞ্চয়পত্র কেনার পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া মজনুর হাতে বর্তমানে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা রয়েছে। এ ছাড়া ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রসহ তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। শুধু আয় কিংবা অস্থাবর সম্পদই নয়, তার কৃষিজমির পরিমাণও দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০১৩ সালে তার কৃষিজমি ছিল পৌনে ৪ একর। বর্তমানে তিনি প্রায় ৮ একর জমির মালিক। আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির পাশাপাশি মজনুর ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৩ সালে ব্যাংকে তার সাড়ে ১৩ লাখ টাকা ঋণ ছিল। আর এখন ঋণের অংক কোটি টাকার কাছাকাছি। জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বগুড়া-৫ আসনে মজনুর পরিবর্তে বর্তমান সংসদ সদস্য হবিবর রহমানকে নৌকার প্রার্থী করা হয়। মজনুকে প্রায় ২৩ বছর পর বগুড়া-৫ আসনে দ্বিতীয়বার নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে।  সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার ইটভাটা ও জুট মিল রয়েছে। পাশাপাশি আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও সম্মানী পেয়েছি। এসব কারণে আমার আয় কিছুটা বেড়েছে। তবে যেহেতু ব্যবসা করি, সে কারণে ঋণের পরিমাণও বেড়েছে।’ 
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

নদীতে পড়া কুকুরের জীবন বাঁচাল কুমির
‘ডাঙায় বাঘ, জলে কুমির’ বা ‘খাল কেটে কুমির আনা’ প্রবাদগুলো আমরা হরহামেশাই শুনি। প্রচলিত এ প্রবাদগুলোই বলে দেয় কুমির কতটা হিংস্র আর বিপজ্জনক। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো—সম্প্রতি সে কুমিরই একটি অসহায় কুকুরের প্রাণ বাঁচিয়েছে। একটি নয়, দুটি নয়, তিনটি কুমির মিলে অবাক করা এ কাণ্ড ঘটিয়েছে পাশের দেশ ভারতে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ তুলে ধরেছে অসাধারণ এ ঘটনা। তাদের প্রতিবেদন বলছে, ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবিত্রী নদীর কাছে বেশ কয়েকটি বন্য কুকুর ধাওয়া করছিল আরেক কুকুরকে। জীবন বাঁচাতে অসহায় কুকুরটি একপর্যায়ে নদীতে নেমে যায়। কিন্তু তখনো এটি দেখেনি, কাছেই তিনটি কুমির ছিল। এরপরই অসহায় কুকুরটিকে নাকের ডগা দিয়ে ঠেলে নদীর অন্য পাড়ে তুলে দেয় কুমিরগুলো। কুমিরের মতো হিংস্র প্রাণীর এ ধরনের আচরণ সাধারণত দেখা যায় না। বরং পুরোপুরি উল্টো হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X